অটোপাস পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়েছে। তবে শর্তসাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন পাবেন তারা। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোভিড-১৯ করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক রিসার্চ গ্রান্ড পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী

যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ সালে অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পুরণ করেছেন, তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ক্লাশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

এসময় আরও বলা হয়, ২০২০ সালে অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছেন সর্বমোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৬ জন, অনিয়মিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ হাজার ৫০ জন। আর মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ২য় বর্ষে প্রমোশন পাবেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী। ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৬ জন শিক্ষার্থী।

প্রমোশন পাওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ১ম বর্ষের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি এই পরীক্ষায় অংশ না নেয় বা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রেগুলেশন অনুযায়ী ‘নট প্রমোটেড’ হয় সেক্ষেত্রে তার শর্তসাপেক্ষে দেওয়া প্রমোশন বাতিল বলে গণ্য হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

অটোপাস সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী, উচ্চশিক্ষায় সিট ১২ লাখ : বাকীদের কি হবে?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি’২০ পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অন্যদিকে এবার সাড়ে ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস। এই বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির জন্য এত আসন নেই। যদিও ইউজিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর হিসাবে আসনের এই তথ্য নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের এখন বড় চিন্তার কারণ উচ্চশিক্ষায় ভর্তি ।

এদিকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করবেন।

এখন চাইলে সবাই ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে ইউজিসি। সংস্থাটির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান শনিবার দেশের এক প্রথম সারির দৈনিককে বলেন, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো মিলিয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তিযোগ্য আসন আছে সোয়া ৮ লাখের মতো।

এদিকে ইউজিসির হিসাবে অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

ইউজিসির হিসাবে অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

এদিকে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের সঙ্গে সভা আছে।

 

পরীক্ষা না দিয়ে অটোপাসের কোন সুযোগ নেই: উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের সুযোগ নেই। করোনাভাইরাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার সব প্রস্তুতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে

সম্প্রতি গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে অটোপাসের দাবিতে বিভিন্ন কলেজের বিএ (সম্মান) ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

এদিকে সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরেও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের কোনও সুযোগ নেই। এটা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বললে তখন সেটা বিবেচনা করা যেত।

শিক্ষার্থীরা জানান, মৌখিক ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার গড় পদ্ধতি অনুসরণ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ফল ও করোনা পরিস্থিতিতে কলেজসমূহ বন্ধ হওয়ার আগে চতুর্থ বর্ষের অনুষ্ঠিত পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে বাকি বিষয়গুলো ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে হবে।

এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, স্বয়ংক্রিয় পাশের বিষয়টি এখনো ভাবা হচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় এনে এই মুহূর্তে ফেস টু ফেস পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। ভ্যাকসিন এলেও সমস্যার সমাধান হবে।

পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। আমরা শুধু করোনার প্রকোপ কমার অপেক্ষা করছি। পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে আমরা একদিনও কালক্ষেপণ করবো না। ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীদের অর্ধেক পরীক্ষা হয়ে গেছে। অবশিষ্ট পরীক্ষা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই নিয়ে নেয়া হবে।

এইচএসসি: ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ না ‘অটোপাস’, সার্টিফিকেটে লেখা থাকবে কোনটা?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনার কারণে এইচএসসি’২০ পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি। পরীক্ষা নিতে না পেরে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের ফল প্রকাশে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল-কলেজগুলো পন্থা নিয়েছিল সেটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তাতে ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ উল্লেখ থাকবে।

কিন্তু এবারের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ডিসেম্বরে যে ফল দিতে যাচ্ছে তা ‘প্রেডিকটেড’ লেখা যাবে না। অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্টে কী লেখা হবে ‘আরোপিত’ বা ‘অটোপাস’। যে পন্থা নেয়া হয়েছে সেটা বৈজ্ঞানিক নয় বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা।

দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশই যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাডেক্সেল’-এর শিক্ষার্থী। সংস্থাটির বাংলাদেশের প্রধান আবদুল্লাহ লিটন সাংবাদিকদের বলেন, মে-জুন সেশনের ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেল পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরির ক্ষেত্রে বেশকিছু নীতি অনুসরণ করা হয়।

প্রথমত, শিক্ষার্থীদের নেয়া ‘মক টেস্ট’র (বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুতি পরীক্ষা) ফল বিবেচনা করা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে এই টেস্ট না নিতে পারলে ‘ক্লাস টেস্ট’ (বছরব্যাপী) বিবেচনা করা হয়। যদি এই টেস্টের ফলও কোথাও না পাওয়া গেছে সেখানে শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীর সম্ভাব্য প্রাপ্ত গ্রেড নেয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষার্থীকে শিক্ষকই যথার্থভাবে মূল্যায়ন করতে পারে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের পরীক্ষা বোর্ড এমন আরও কিছু গাইডলাইন দিয়েছিল। সেটার আলোকে গোটা বিশ্বেই এই নীতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীর ফল তৈরি করা হয়। এটাকেই ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ বলা হয়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, আগের দুই পরীক্ষার ফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণে আরও বেশকিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলে এসএসসি ও এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বরের একটি অংশের গড় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ এবং এসএসসির ৪০ শতাংশ নেয়া হয়েছে। কোথাও এইচএসসির ৩০ বা ২৫ শতাংশ আর এসএসসির যথাক্রমে ১০ ও ১৫ শতাংশ নেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে বুয়েটসহ ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিদ্যার বিষয়ে গ্রেড নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

স্নাতকে সম্মান পড়তে বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করা হয়। এসএসসির তুলনায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি স্তরে উল্লিখিত বিষয়ে বেশ গুরুত্ব দেন। কিন্তু সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, গড় নম্বর বা গ্রেড দেয়া হলে কেউ অতি মূল্যায়িত হবেন আবার কেউ অবমূল্যায়িত হবেন। এতে কেউ কেউ বঞ্চিত হতে পারে।

জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্তে দেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেউ কেউ সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা পরীক্ষায় বসতে চাচ্ছেন। সেটা সম্ভব না হলে ইংরেজি মাধ্যমের মতো ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ (সম্ভাব্য ফল) চেয়েছেন তারা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু না হলে অটোপাস!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেছেন স্কুল খোলা সম্ভব না হলে পরীক্ষায় অটোপাস ছাড়া উপায় থাকবে না।এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন করতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

অক্টোবর ও নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্কুল খুললে তার উপর পরীক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে।
তবে অক্টোবর, নভেম্বরে স্কুল খোলা না হলে অটোপাস হবে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর ) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন এমন কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে অক্টোবর ও নভেম্বরে স্কুল খোলা যেতে পারে সেই প্রস্তুতি নিয়ে দু’টি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি ও তা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

যে মাসে স্কুল খোলা যাবে সেই সিলেবাস পড়িয়ে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা না গেলে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না, অটোপাস ছাড়া উপায় থাকবে না।

তবে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা ঝড়ে পড়া রোধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। বয়স্কদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করা হবে।

করোনার মধ্যে অনেক কিন্টারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেসব স্কুলের আশেপাশে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে সেসব স্কুলে ভর্তি করাতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যে যেখানে ভর্তি হতে চাইবে তাকে সেখানে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে।