কলেজের ৭২ লাখ টাকা আত্মসাৎ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি জারি করেছে রাজশাহী জেলা ও দায়রাজজ আদালত। সোমবার (১২ অক্টোবর) এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম।

গত ২০১৮ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনাল ও রাজশাহী দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। সে বছরই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদকের রাজশাহী জেলা কার্যালয়কে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন। রাজশাহী জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।

আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. ইমরুল হক ২০১৮ সালে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ওপর তদন্তভার দেন।

তদন্তে অধ্যক্ষ কলেজের ব্যাংক হিসাব থেকে ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা আত্নসাৎ করেছেন বলে প্রমাণ মেলে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আসা ৯ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগটি দুদক তদন্ত করেছে। আর বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া অভিযোগও আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

অপরদিকে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অনেক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের নামে গ্রেফতারি পরেয়ানা জারি হওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেন। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তারা। তারা বলেছেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করলে কলেজের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্নসাতের বিষয়টি প্রমাণিত।

জাককানইবি: পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ, ডিন পদ স্থগিত

জাককানইবি প্রতিনিধি


সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সিএসই বিভাগের ড.মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস এর পদোন্নতি ও ডিন পদ নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।

তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্যে আবেদন করেছিলেন কিন্তু পদোন্নতির শর্তপূরণ না করায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্লানিং কমিটির ১১৮তম সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি সেই সময়ের বিভাগটির প্রধান অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল এর সভাপতিত্বে বিভাগটির প্ল্যানিং কমিটি।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় প্ল্যানিং কমিটির সিদ্ধান্ত আমলে না নিয়েই ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয় এবং ৭০তম সিন্ডিকেট সভায় বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ডিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয় ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসকে।

সিএসই বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৭১তম সিন্ডিকেট সভায় জান্নাতুল ফেরদৌস এর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ঠিক আছে কিনা তা তদন্ত করতে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং সেই সাথে স্থগিত করা হয় ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদ।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার। সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. একে এম জাকির হোসেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক হতে ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস এর করা আবেদনে প্রকাশনা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব এর রেয়াতে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। পদোন্নতি গ্রহণ করতে হলে প্রকাশনা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের প্রত্যেকটির জন্যে একবার রেয়াত প্রাপ্ত হবেন কিন্তু ওই শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক থাকা অবস্থাতেও অতিরিক্ত দায়িত্বের রেয়াত যুক্ত করে পর্যায়ন্নোয়নের জন্যে আবেদন করেন পরবর্তীতে সেই দায়িত্বের রেয়াতই অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্যে আবেদন করেন। যা নিয়ম অনুযায়ী সেই রেয়াত যুক্ত করতে পারেন না ওই শিক্ষক। বিধায় অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তির জন্যে সকল শর্ত পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে একই বিভাগে অধ্যাপক পদধারী অন্য শিক্ষকরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই আবেদন করেছি। তবে পূর্বে পর্যায়ন্নোয়নের জন্যে দায়িত্বের রেয়াত আবেদন স্থগিত করতে আবেদন করেছিলাম যার প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদনের দলিল হয়তো বর্তমানে আমার কাছে নেই কিন্তু সব নিয়ম ঠিক রেখেই আমি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্যে আবেদন করি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তা অনুমোদন দেয়। হঠাত করে এই অভিযোগ আমলে নিয়ে আমায় দেয়া ডিন পদ স্থগিত করা আমার জন্যে মানহানিকর। যদি আমার আবেদনে ত্রুটি থাকতো তাহলে প্রশাসন কেন পূর্বেই তা স্থগিত করলো না? কি এমন হলো যে ৬ সিন্ডিকেট সভা পর এসে অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে অনিয়মের জন্যে তদন্ত কমিটি করা হলো সেই সাথে ডিন পদেও স্থগিত করা হলো?

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলেছি অধ্যাপক পদে ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসকে পদোন্নতি দেয়া হলে তা কি নিয়মবহির্ভূত হয় কিনা সেটা পর্যালোচনা করতে। আর বিজ্ঞান অনুষদে ডীন পদে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সেটা প্রথমে আমার প্রাপ্য। পরবর্তীতে জ্যেষ্ঠ অন্য শিক্ষকও রয়েছে কিন্তু তাদের কাউকেই দায়িত্ব প্রদান করেনি বিশ্ববিদ্যালয়।

ডিন পদে নিয়োগ নিয়ে ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এটা ঠিক যে আমার থেকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এই পদে আসতে পারতেন কিন্তু এ ও লক্ষণীয় যে উপাচার্য কাজের সুবিধার্থে তার পছন্দ অনুযায়ী ব্যক্তিকে সেই পদের দায়িত্ব প্রদান করতে পারেন। আমাকে তিনিই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। কিন্তু সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো যেখানে সহযোগী অধ্যাপক থাকলেই ডিন হওয়া যায় সেখানে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বিষয় সামনে এনে ডিন পদ স্থগিত করে একরকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এমন অভিযোগের বিষয় নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পদোন্নতির সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট। আগামী দুই থেকে তিনদিনের ভিতর সেই সিদ্ধান্তের নথিপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নেবে তদন্ত কমিটি। খুব দ্রুতই তদন্ত শেষ হবে।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি একা কোন সিদ্ধান্ত নেই না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কমিটি বা ফোরামের মাধ্যমে নেয়া হয়। তেমনি ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া এবং অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন সেটিও ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। আমি প্রত্যাশা রাখি বিষয়টির সুষ্ঠু সুন্দর সমাধান হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির ভাবনা কি জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান- এগুলো প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। আমরা কোন সিদ্ধান্ত দেই না।

উল্লেখ্য, সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে পদোন্নতি পেতে প্রয়োজন ১২ বছরের অভিজ্ঞতা। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্যে সহযোগী অধ্যাপক অবস্থায় ৪টি ও পূর্বের ৪টি প্রকাশনা মিলিয়ে ৮টির পর প্রত্যেক ৩টি প্রকাশনার জন্যে ১বছর ও ৬টির জন্যে সর্বোচ্চ ২বছর রেয়াত প্রাপ্ত হবেন।একই পদে থাকা অবস্থায় প্রকাশনার বরাতে পুনরায় রেয়াত প্রাপ্ত হবেন না। কোন নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে কেবলমাত্র একবার রেয়াত পাওয়া সম্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সেই অনুষদ ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পর্যায়ক্রমে ডিন এর দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন। যদি অধ্যাপক পদধারী শিক্ষক না থাকেন তবে জ্যেষ্ঠ সহযোগী অধ্যাপক ডিন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে অনিয়ম, সেন্ট যোসেফকে শোকজ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছর একাদশ শ্রেণির ভর্তির সময় বিধিবর্হিভূত কর্ম সম্পাদন করায় রাজধানী সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কলেজ অধ্যক্ষ/ সভাপতিতে শোকজের এ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

নোটিশের লিখিত জবাব পত্র ইস্যুর তারিখ থেকে সাত (৭) কর্ম দিবসের মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদের নিকট প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

স্মারকে বলা হয়, “মোঃ জাহিদ হাসান, এসএসসি রোল-১৩৯৮২৩, রেজি-১৭১২৭৪০৭১৩, বোর্ড-রাজশাহী, পাসের সন-২০২০; মোহাম্মদ রিফাত হোসেন, এসএসসি রোল-১১২৭২৩, বোর্ড -ঢাকা এবং মোঃ আব্দুল্লাহ আল নাফি, এসএসসি রোল-১০৯২১১, বোর্ড- ঢাকা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আপনার প্রতিষ্ঠানে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চায়নের জন্য কোন টাকা জমা করেনি, ভর্তি হতে ইচ্ছুক না বিধায় ভর্তি বাবদ কোন ফি জমা প্রদান করেননি মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ভর্তি ফি জমা না দেয়া সত্ত্বেও তাকে ভর্তি দেখিয়ে সেন্ট্রাল অনলাইন সিস্টেম থেকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিলের জন্য বুয়েটে তথ্য প্রেরণ করা হয়। ফলে সেন্ট্রাল অনলাইন সিস্টেম থেকে প্রার্থীর ভর্তির নিশ্চায়ন বাতিল হওয়ায় ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”

স্মারকে বলা হয়, “বিষয়টি আপনার স্বাক্ষরিত ১৬/০৯/২০২০ তারিখের পত্র দ্বারা প্রমাণিত। কেন এ ধরনের বিধি বহির্ভূত কর্ম সম্পাদন করা হয়েছে এর লিখিত জবাব পত্র ইস্যুর তারিখ হতে ০৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর দপ্তরে প্রেরণের জন্য বলা হল”

বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষিকার যৌতুক মামলা

যবিপ্রবি টুডে


যৌতুকের দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে ফারজানা নাসরিনকে নির্যাতনের অভিযোগে যশোর আদালতে নীলফামারীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার এ মামলা করেছেন।

যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় আসামি মাসুদ রানা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফতাবনগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী নিজেই।

বাদী ফারজানা নাসরিন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামি মাসুদ রানা পরসম্পদ ও যৌতুকলোভী। ২০১৯ সালের ২১ জুন তিনি শামসি নাহিদ অঞ্চা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে ওই বছরের ৪ নভেম্বর তালাক দেন। মাসুদ রানার সঙ্গে ফারজানা নাসরিনের মোবাইল ফোনে পরিচয়।

পূর্বের বিয়ে গোপন করে পারিবারিকভাবে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে ৫ লাখ টাকার মালামাল ও দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে মাসুদ রানা ঢাকার পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্য তার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ৫ লাখ টাকা মাসুদ রানাকে দেয়া হয়। বাকি ৫ লাখ যৌতুকের জন্য মাসুদ রানা তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এক মাস আগে মাসুদ রানা শ্বশুরবাড়ি এসে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে চলে যায়।

জানা যায়, বেশ কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ফারজানা নাসরিন আদালতে এ মামলা করেছেন।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাদরাসাছাত্রকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাদরাসাছাত্রকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন এক স্কুলশিক্ষক। পরে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ওই মারধরের ভিডিও। এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করলে রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে দিনাজপুর পার্বতীপুরে।

জানা যায়, উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চকবোয়ালিয়া মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাকিব আহম্মেদ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তার বাড়ি আটরাই গ্রামে। সাকিব তার দাদির কাছে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরুল হুদা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির তাকে রাস্তায় ধরে বেদম মারধর করেন। সেই সঙ্গে তাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেন। ওই মারধর ও হুমকির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান অনেকেই।

ওই ছাত্রের বাবা মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ুন কবির, স্ত্রী জেসমিন আক্তার, ভাই হেলাল ও ছেলে সৌরভকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ুন কবির দাবি করেন, খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী সাকিব আহম্মেদ তার ছেলে সৌরভকে মারধর করায় তিনি তাকে শাসন করেছেন। নুরুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, তার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ছাত্রকে মারধরের ভিডিওটি দেখেছেন। তিনি বলেন, এভাবে কাউকে মারধর করা ঠিক হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। অফিস খুললে বিষয়টি দেখা হবে।

এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, ছাত্রকে প্রকাশ্যে মারধর করার ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে

রাবি উপাচার্য না আসলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেবে ইউজিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) একটি তদন্ত দল। অভিযোগের জবাব দিতে নিজে থেকেই তদন্ত দলকে একটি উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করতে বলেন রাবি উপাচার্য।

প্রস্তাবিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন র্নিধারণ করা হলে শুনানিকে স্বাগত জানিয়ে ইউজিসিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এম সোবহান। যদিও শুনানির কয়েক দিন আগে সুর পাল্টেছেন এম সোবহান।

এখন তিনি দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করার ক্ষমতা ইউজিসির নেই। তবে ইউজিসি বলছে, তিনি শুনানিতে না আসলেও তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। তার দেয়া চিঠিকেই তার বক্তব্য হিসেবে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পাঠানো হবে।

জানা যায়, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কমিশনে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সম্প্রতি একটি কমিটি করে ইউজিসি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চাইলে লিখিতভাবে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দেয়া অসম্ভব দাবি করে এ বিষয়ে ইউজিসিকে উন্মুক্ত শুনানি আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউজিসি শুনানি আয়োজন করলেও এখন অন্য কথা বলছেন রাবি উপাচার্য। বর্তমানে তদন্ত কমিটির এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি।

গত বুধবার অনেকটা স্ববিরোধী অবস্থান নিয়েই ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে কর্তৃত্ববিহীন আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধের জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে রাবি উপাচার্য দাবি করেন, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কোনো ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে দেয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটির সদস্যদের মর্যাদা উপাচার্যের মর্যাদার এক ধাপ ওপরে হওয়া বাঞ্ছনীয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ইউজিসির একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও উপাচার্যের পদমর্যাদার সমমর্যাদাসম্পন্ন ইউজিসির দুজন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। যা শুধু বেআইনিই নয়, বরং এর মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে।

যদিও ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩ অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলেই তারা রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত করছে। কমিশন বলছে, অধ্যাদেশের ৫-এর আই ধারা অনুযায়ী, আইন ও সরকার প্রদত্ত কাজে কমিশন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে। অধ্যাদেশের সে ক্ষমতাবলেই ইউজিসির রাবি উপাচার্যের অনিয়ম তদন্ত করছে। এছাড়া ইউজিসি বলছে, সিনিয়র সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা তদন্ত কমিটিতে নেই। ওই কর্মকর্তা শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সভাপতি নিয়োগে অনিয়ম, উপাচার্যসহ পাঁচজনকে লিগ্যাল নোটিশ

ওয়াসিফ রিয়াদ, রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ প্রশাসনের শীর্ষ পাঁচজন কর্তাব্যক্তিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর।

জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘন করে বিভাগের সভাপতি পদে তাকে নিয়োগ না দেওয়ায় এ নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এবং অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম.এ বারী এবং কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সালেহা জেসমিন।

গত সোমবার (১১ মে) অধ্যাপক আলী আসগরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে ২০১৭ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৮ মে। জ্যেষ্ঠতার নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পর অধ্যাপক মু. আলী আসগর সভাপতি হওয়ার কথা।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক আলী আসগরকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ২৯ ধারার (৩) (১) জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘন করে।

জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘৭ দিনের মধ্যে নোর্টিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যদি এরমধ্যে তারা জবাব দিতে ব্যর্থ হন, তবে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিবো।’ প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় ভার্চুয়াল কোর্টে যাবেন বলেও জানান তিনি।

তবে এখনও নোটিশ হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক এম.এ বারী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো আইনি নোর্টিশ পাইনি। যদি নোটিশ আসে, তবে সেটা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

ফেসবুক লাইভে এসে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ জানালেন শিক্ষিকা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র ব্যবস্থা, লুটপাটসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন ওই কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুমা সরকার।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে অধ্যাপক রুমা অভিযোগ করেন।

ফেসবুক লাইভে রুমা সরকার বলেন,কলেজের নানা খাতে কোনো হিসাব না দিয়ে অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার কলেজের লাখ লাখ টাকা লুটপাট করে নিচ্ছেন। কলেজে শিক্ষামন্ত্রী এসেছেন তা নিয়ে কোনো সাধারণ সভা হয়নি। কত টাকা খরচ হবে, কী কারণে ১৭টি বিভাগ থেকে ৫০ হাজার, ১৭ হাজার, ১৫ হাজার টাকা করে নেয়া হবে? শিক্ষার্থীদের সেমিনারের টাকা কোন কোন খাতে খরচ হবে? ধাপে ধাপে মিটিংয়ের মাধ্যমে সেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং তা শিক্ষক পরিষদকে জানাতে হবে। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ কোনো হিসাব দেন না।

লাইভে রুমা আরো বলেন, অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। আমি এ কথাগুলো বলায় প্রতিনিয়ত আমায় হেনস্তা করা হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ করে বলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. খালেদা নাসরীন তাকে চরম অপমান করেছেন। শিক্ষক পরিষদের নির্বাচন হয়েছে ২২ জুন। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নতুন কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অধ্যক্ষ কলেজে একনায়কতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফেসবুক লাইভে তিনি আরো জানান, অধ্যক্ষের কক্ষে তার প্রিয় শিক্ষিকাকে সবসময় সামনে বসিয়ে রাখা হয়। অন্যান্য শিক্ষকরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি, একবার বসতেও বলেন না তিনি। শিক্ষক পরিষদের নির্বাচনে যুগ্ম সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি। অথচ আমাকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, আমি আবৃত্তি করি, উপস্থাপনা করি, বাংলাদেশ বেতারের খবর পড়ি অথচ সেলিম উল্লাহ খোন্দকার কলেজে আসার পর আমাকে কলেজে কোনো সাংস্কৃতিক কাজ করতে দেওয়া হয় না। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করার পর, কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ পূর্বে যেখানে ছিলেন, পার্শ্ববর্তী সেই কলেজে আমাকে বদলি করা হয়েছে। এ ধরনের হয়রানিমূলক বদলি আমি মেনে নেব না।

আনিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, অর্থকেন্দ্রিক বিষয়গুলো কলেজের অভ্যন্তরীণ। এছাড়া তিনি বাকি বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

‘বালিশকাণ্ডের মতো কলঙ্কজনক কাজ যেন পুনরাবৃত্তি না হয়’

জাতীয় টুডেঃ বালিশকাণ্ডের মতো কলঙ্কজনক কাজ যেন তার উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে পুনরাবৃত্তি না হয় এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান।

আজ শনিবার সিলেট সদরে সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি সম্পর্কে বার্তা দিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত সবাইকে কেনাকাটা ও খরচে হিসাবি হওয়ারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সব মানুষ দেখে ও বোঝে। তারা আমাদের পিঠে দাঁড়িয়ে আছে। এটা মনে রেখে আমাদের ব্যয় করতে হবে।”

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,”সরকার উন্মুখ হয়ে, রেডি হয়ে বসে আছে। সরকারকে বেশি তদবির করার প্রয়োজন হবে না। ভালো প্রকল্প নিয়ে আসবেন, বুঝিয়ে বলবেন, আপনাদের প্রকল্প দ্রুত পাস করা হবে। টাকার অবস্থা আমাদের খুব ভালো। টাকারও সংস্থান করতে পারব।”

“শর্ত শুধু একটাই, এই টাকাকে যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে। প্রতিটি টাকার হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। অডিট নিরীক্ষা করতে হবে। এটা জনগণের টাকা, সার্বিকভাবে এটা মাথায় রাখতে হবে। এই টাকার মালিক বাংলাদেশের সব মানুষ। এই টাকার হিসাব বাংলাদেশের মানুষের সামনে দিতে হবে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।