ফেসবুকে সরব এমসি কলেজে গণধর্ষণের আসামীরা, নিজেদের নির্দোষ দাবি

সিলেট টুডে


সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলাও হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ খোঁজে না পেলেও ফেসবুকে সরব রয়েছে আসামীরা। শনিবার সকালেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে এই মামলার দুই আসামীকে। স্ট্যাটাসে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

এদিকে গণধর্ষণের মামলার ৫ নম্বর আসামী রবিউল ইসলাম শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ফেসবুকে লেখেন-

“সম্মানিত সচেতন নাগরিকবৃন্দ
আমি রবিউল হাসান। আমি এম সি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। আপনারা অনেকেই চিনেন, আমি কেমন মানুষ তা হয়তো অনেকেই জানেন। গতকাল এম সি ছাত্রাবাসে গনধর্ষনের সাথে, কে বা কারা আমাকে জড়িয়ে অনেক অনলাইন নিউজ করিয়েছেন, আমি এম সি কলেজ ছাত্র, কিন্তু আই হোস্টেলে কখনোই ছিলাম না, আমি বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আমি যদি এই নির্মম গনধর্ষনের সাথে জড়িত নই, আমাদের পরিবার আছে।যদি আমি এই জঘন্যকাজের সাথে জড়িত থাকি তা হলে প্রকাশে আমাকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

আমি কোনো ভাবেই এই কাজের সাথে জড়িত নই। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি সত্য না যেনে আমাকে এবং আমার প্রানের সংঘটন ছাত্রলীগের নাম কোনো অপপ্রচার করবেন না। এমসি বিশ্ববিদ্যালের ছাত্রাবাসে গনধর্ষণকারী সকল নরপশুদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

এর আগে এই ধর্ষণ মামলার ৬ নম্বর আসামী মাহফুজুর রহমান মাসুম ফেসবুকে লেখেন-

“এরকম জঘন্য কাজের সাথে আমি জড়িত না। যদি জড়িত প্রমাণ পান প্রকাশ্যে আমাকে মেরে ফেলবেন। একমাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে। আল্লাহ আমাকে নির্দোষ প্রমান করবেন। তবে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে আমাকে সুইসাইডের দিকে নিয়ে যাওয়া আপনাদের বিচার আল্লাহ করবেন। বাকি আসামীদের কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।”

আসামীদের গ্রেপ্তার করতে না পারা প্রসঙ্গে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সবধরণের চেষ্টা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাতে ছাত্রাবাস থেকে এই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী।

মামলায় এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।

এই ধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে আসামীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ভুল মানুষের প্রেমে

কাওসারী বেগম


ঢাকার মোটামুটি স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে প্রীতি। পরিবারের একমাত্র মেয়ে হওয়ায় সবার কাছে আদর টাও অন্য রকম। যখন যা চাইতো সেটাই পেতো। সবার আদরে অনেকটা একরোখা টাইপের হয়ে যায়।

এক সময় মেট্রিক পাস করে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলো। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে অনেকটা নিজের মতো করে চলতে থাকে প্রীতি।পরিবারের কেউ এটা নিয়ে তেমন কিছু পাত্তা দিতো না। কখনো একা কখনো বান্ধবীদের নিয়ে যাতায়াত করে।

একদিন খেয়াল করলো প্রীতি ওর কলেজ যাওয়া আসার পথে প্রায়ই একটা ছেলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছেলেটা বেশ ফ্যাশনেবল, একেক দিন একেক পোষাক পড়ে আসে আর খুব স্টাইলিশ পোষাক। মাঝে মাঝে চোখে সানগ্লাস থাকে, কখনো বুক পকেটে দামী কলম।

ছেলেটা বেশ সুদশর্ন হওয়ায় প্রীতি মনে মনে তার প্রতি বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। আচমকা একদিন ছেলেটি এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে প্রীতিকে প্রেম নিবেদন করে। প্রীতি মনে মনে আনন্দে নেচে উঠে কিন্তু ছেলেটিকে কিছু বলে না। এভাবে তিনদিন ছেলেটি একই কাজ করলো প্রীতির সাথে।

অবশেষে প্রীতি ছেলেটার নাম জিজ্ঞেস করে, ছেলেটি বলে ওর নাম সবুজ। এভাবে আস্তে আস্তে প্রীতি আর সবুজের সম্পর্ক এগুতে থাকে। সবুজের মার্জিত ব্যবহার আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট গিফট পেয়ে প্রীতি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে।

সারাক্ষণ ওর কথাই ভাবে সারাদিন, লেখাপড়ায় ও মন বসে না ঠিকমতো। কথায় কথায় জানতে পারে সবুজের বাবার তিনতলা বাড়ি আছে আর ও একাই কোন ভাইবোন নেই। প্রীতি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী ভাবতে থাকে। কিছুদিন চলার পর দুইজনে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার।

কিন্তু প্রীতির বাবা-মা, ভাই এতো তারাতাড়ি প্রীতিকে বিয়ে দিবেনা। সবুজও বলে কেবল অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে এই মুহূর্তে বাড়িতে নিজের বিয়ের কথা বললে বাবা সোজা বের করে দিবে। দুই জনে অনেক ভেবে ঠিক করলো বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করবে, কিছুদিন দূরে থাকবে তারপর এক সময় দুই পরিবার মেনে নিবে। যেমন বয়স তেমন বুদ্ধি!!

প্রীতি একটা চিরকুট লিখে। মা, আমি চলে যাচ্ছি,আমার জন্য চিন্তা করো না। আমি ভালোই থাকবো। আমাকে ক্ষমা করে দিও।তারপর সেটা ওর মায়ের বালিশের তলায় রেখে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়।

আজ দশদিন ধরে প্রীতি বাড়ি ছাড়া। তিনদিন হোটেলে থেকে সবুজ বন্ধুর বাড়ির কথা বলে বেগুনবাড়ির বস্তিতে উঠেছে। সাতদিন ধরে এখানেই আছে তারা। ফ্ল্যাট বাড়িতে থেকে অভ্যস্ত প্রীতি বস্তির নোংরা পরিবেশ দেখে খুব বিরক্ত হয়ে যায়। এদিকে সবুজ ও কিছু করছে না।

এর মধ্যে সকাল থেকে এক মধ্য বয়সী মহিলা খুব জঘন্য ভাষায় সবুজকে গালিগালাজ করেই যাচ্ছে, সবুজও কিছু বলছে না। প্রীতি অসহ্য হয়ে ওই মহিলাকে কিছুটা রাগের স্বরে বলে , কেন সে সবুজকে এতো বাজে ভাষায় বকা দিচ্ছে। মহিলা জবাব না দিয়ে উল্টো প্রীতিকেই বাজে ভাষায় গালি দেয়া শুরু করে।

প্রীতির চোখে পানি এসে যায়, রাগে সবুজকে ধাক্কা দিয়ে বলতে থাকে কেন সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বলছে না কেন। সবুজ বলে, ওই মহিলা আমার মা আর আমরা এই বস্তিতেই থাকি। ঢাকায় আমাদের কোন বাড়ি নেই। আমার মা বাসা বাড়িতে কাজ করে আর বোন গার্মেন্টসে, তাদের আয় দিয়েই সংসার চলে।

এই সব শুনে প্রীতির মাথায় আচমকা আকাশ ভেঙে পড়ে। চিৎকার করে সবুজকে ধরে বলে, কেন আমাকে মিথ্যে বললে। সবুজ প্রীতির হাত ছাড়িয়ে বলে, নেশা করা আর জুয়া খেলা সবুজের পেশা। যার কাছ থেকে নেশা কিনতো সে বেশ টাকা পায় সবুজের কাছে, এদিকে মুদী দোকানেও বেশ বাকী পড়ে আছে৷ কিভাবে এইসব শোধ করবে চিন্তায় পড়ে যায়।

তখন বুদ্ধি করে কোন বড়লোকের মেয়েকে পটিয়ে বিয়ে করার। পারিবারিক অবস্থা দেখে তখন প্রীতিকে টার্গেট করা হয়। নিজেকে বড়লোকের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতে প্রতিদিন এলাকার লন্ড্রি থেকে দামী পোষাক নিয়ে প্রীতির কলেজ যাওয়া-আসার পথে দাঁড়িয়ে থাকতো।এইভাবেই প্রেম তারপর বিয়ে, কিন্তু প্রীতি হতাশ করে পালিয়ে আসার সময় বাবার বাড়ি থেকে কেবল ছোট একটা সোনার নেকলেস আনে। যা দ্বারা দেনা শোধ করা যায় নি।

সকাল বেলায় পাওনাদাররা এসে সবুজের মাকে বকাবকি করে যায়, যার জন্য সবুজের মা সবুজকে বকতে থাকে। সব শুনে প্রীতি চিৎকার দিয়ে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে, সবুজ সব বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

সন্ধ্যার পর সবুজ ফিরে প্রীতির সাথে বেশ রূঢ় আচরণ করতে লাগলো আর বললো দুইদিনের মধ্যে ওর বাবার বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা যেন এনে দেয়। প্রীতি সবুজের কথায় বেশ ঘাবড়ে যায় কিন্তু কিছু বলে না। দুইদিন পর সবুজ টাকা চাইতেই প্রীতি জানায় ওর পক্ষে সম্ভব না আর বাবার বাড়ি যাওয়ার। সবুজ এই কথা শুনে সাথে সাথে প্রীতির কান বরাবর খুব জোরে চড় লাগায়। প্রীতি বেশ কিছুক্ষণ কানে কিছুই শুনতে পায়নি।

এরপর থেকে প্রায়ই সবুজ প্রীতি গায়ে হাত তোলে, প্রীতিও সব মুখ বুজে সহ্য করে নিতে থাকে। এক সময় সবুজের অত্যাচার কমে আসলো, প্রীতি ভাবলো হয়তো সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু প্রীতির জন্য আরো চমকের বাকী ছিলো।

মাস খানেক পরে এক সন্ধ্যায় প্রীতিকে বেড়ানোর কথা বলে নির্জন এক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাসে তুলে দেয়। মাইক্রোবাসে থাকা একজন সবুজের দিকে এক বান্ডিল টাকা ছুঁড়ে দেয়। সবুজ টাকার বান্ডিল হাতে নিয়ে প্রীতির দিকে তাকিয়ে এক বিশ্রী হাসি দিয়ে বিদায় নেয়। প্রীতি বুঝতে পারে ওকে নারী পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে, সবুজের বিশ্বাসঘাতকতা দেখে চিৎকার দেয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে।

সপ্তাহখানেক পরে প্রীতিকে পাচারকারীরা বর্ডারের কাছে এক বাড়িতে এনে রাখলো। প্রীতি দেখলো ওর বয়সী বেশ কয়েকটা মেয়ে এই বাড়িতে। কেউ বিয়ের প্রলোভনে আবার কেউ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এদেরকে পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করেছে। কয়েকটা বাচ্চা মেয়েকে দেখলো ওদের সাথে, হয়তো রাস্তা থেকে চুরি করে এনেছে।

রাতের আঁধারে বর্ডার ক্রস করার সময় গোয়েন্দা পুলিশের এক চৌকস টিমের কাছে ওরা ধরা পড়ে। সবাইকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পাচারকারীদের জেলে প্রেরণ করে মহিলা ও বাচ্চাদের একটা সেইফ হোমে রাখা হয়। তাদের কাছ থেকে ঠিকানা জেনে বাবা-মায়ের কাছে খবর পাঠানো হয় আর বাচ্চাদের ছবি তুলে পত্রিকায় দেয়া হয়।

প্রীতির বাবা-মা থানায় যায়, মেয়ের জরাজীর্ণ চেহারা দেখে প্রীতির মা ডুকরে কেঁদে উঠে। প্রীতির বাবা মেয়েকে দেখামাত্র রাগে খুব বকাবকি করতে লাগলো, এরপর বললো তুই চলে যাওয়ার পর এক মাস তোর মা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেনি, তোকে কখনো শাসন করি নি তার প্রতিদান এভাবে দিলি, মুখে চুনকালি মেখে।

প্রীতির বাবার কথা শেষ হতেই ওসি উনাকে মেজাজ ঠান্ডা করতে বলে আর বোঝায়, কম বয়সে আবেগ বেশী থাকে ফলে যা হবার তাই হলো। আপনাদের মেয়ে আরো বড় বিপদে পড়তে পারতো। যদি কোন পতিতা পল্লীতে বিক্রি হয়ে যেত তবে হয়তো কখনোই আর খোঁজ পাওয়া যেত না। এখন ভুল শুদরে ওকে বাকী জীবন ভালোভাবে চলতে আপনাদের সাহায্য ওর অনেক প্রয়োজন।

ওসির কথা শেষ হতেই প্রীতির মা দাঁড়িয়ে উঠে বলতে থাকে, জীবনের কিছু ভুল যা কখনো শোধরায় না। আমরা সমাজ নিয়ে বাস করি, এখন ওকে নিয়ে গেলে আমরা সমাজের কাছে সব সময় অপমানিত হবো। তার চেয়ে আপনারা যা ইচ্ছা ওকে তাই করুন, আমাদের কোন মেয়ে নেই। একজন ছিলো সে অনেক দিন আগে মরে গেছে। এই বলে প্রীতির বাবা-মা চলে যায়।

ওসি অনেক চেষ্টা করে তাদের বুঝাতে সক্ষম হতে পারিনি। প্রীতি কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে এর চেয়ে ভালো ছিলো পাচার হয়ে যাওয়া। ওসি তখন আশ্বাস দিলো, নিজেকে আরো শক্ত করো, যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে। একটা ব্যবস্থা হবেই। প্রীতি কাঁদতে কাঁদতে জানতে চায় যারা মেয়েদের পাচার করে তাদের জীবন নষ্ট করে তাদের কি কোন শাস্তি হবে কিনা।

ওসি বলে, পাচারকারীদের হাত অনেক বড় যারা স্পটে ধরা পড়ে শুধু তাদেরই শাস্তি হয় কিন্তু এর মূলে যারা আছে তাদের শাস্তি তো দূরে গ্রেফতারই করা যাবে না। এদের কেউ কেউ রাজনীতির উচ্চ পর্যায়ে, কেউ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত আবার কেউ কেউ বিভিন্ন সভায়, সেমিনারে নারী অধিকার নিয়ে গলা ফাটায়।

প্রীতির বাবা-মা প্রীতির দায় এড়াতে পারলেও রাস্ট্র পারেনি দায় এড়াতে। অবশেষে প্রীতির নতুন ঠিকানা হয় “দুস্থঃ মহিলা পুনর্বাসন কেন্দ্রে”। প্রীতি এখানে এসে দেখে ওর মতো অনেক মেয়েরা এই কেন্দ্রে আছে, তাদের অনেকেই প্রেমিক দ্বারা প্রতারিত।

এই কেন্দ্রে মহিলাদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রীতি সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রের পরিচালকের সহায়তায় এক সময় ছোট একটা দোকান দেয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই দোকান থেকে এক সময় বিশাল শো রুম দিতে সামার্থ্য হয় যার বেশীর ভাগ কর্মচারী হয় দুস্থ মহিলারাই। পাশাপাশি দেরি করে হলেও গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে। কিন্তু অভিমানী, একরোখা প্রীতি আর কখনো বাবা-মার কাছে ফিরে যায় নি।

কাওসারী বেগম, ঢাকা।

মিথ্যা মামলা থেকে জামিন পেলেন জবি ছাত্র মনির

ফারহান আহমেদ রাফি
জবি


অবশেষে হত্যা মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে শরিয়তপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে তার মামলার শুনানি হয় , এবং তাকে নিঃশর্ত জামিন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মনিরের ভাই সিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, মনিরের মুক্তিতে অনেক খুশি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শরীয়তপুর ১ আসনের এমপি , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্ষণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

জানা যায়, মনির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১ জুলাই তারিখ তাকে তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নের বলাই মুন্সী কান্ধি গ্রামে তার বাসা থেকে তাকে অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

সরকারি নির্দেশনা কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, ৪ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সরকারের নির্দেশনা কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস ও এতে সমর্থন করার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার শিক্ষকদের হাতে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছেছে। গতকাল রোববার রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম ওই চারজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

সাময়িক বরখাস্ত ওই চার শিক্ষক হলেন উপজেলার কুলিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, বড়বিহানালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ওরফে সুইট। বুজরুকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আয়নুল হক এবং মোজাফফর হোসেন।

করোনাকালে দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে এর আগে পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র জারির পর জেলায় এটিই প্রথম ব্যবস্থা গ্রহণের ঘটনা। ৭ মে সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সর্ম্পকিত নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্র ওই দিনই প্রচার করা হয়। স্থানীয়ভাবে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই পরিপত্র দপ্তরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, করনো সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ। শিক্ষকদের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত করা সুবিধাভোগীদের তালিকা যাছাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয় ওই নির্দেশনায়। সে মোতাবেক ১২ মে বাগমারার ইউএনও শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তালিকাগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন। তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাছাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন ১৩ মে শিক্ষক আয়নুল হক এই সিদ্ধান্ত কটাক্ষ নিজেদের ‘কলুর বলদ’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেন এলাকার আরও তিনজন শিক্ষক। বিষয়টি ইউএনওর নজরে এলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন পাঠান তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা খাতুন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকেরা সরকারি পরিপত্র তোয়াক্কা না করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগমারার ইউএনও শরিফ আহম্মেদ বলেন, “সরকারি পরিপত্র জারির পর এ ধরনর স্ট্যাটাস অমার্জনীয় অপরাধ।”

এদিকে ওই চার শিক্ষক বরখাস্তের আদেশ–সম্বলিত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, তাঁরা বুঝতে না পেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং লাইক দিয়েছেন। এ জন্য তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থী।

নোবিপ্রবি: জুনিয়র কর্তৃক হেনস্থা, সিনিয়রের আত্মহত্যা চেষ্টা

নোবিপ্রবি টুডে


জুনিয়র কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সিনিয়র এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা চেষ্টা করে। অজ্ঞান অবস্থায় নোয়াখালী সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয় তাকে। হামলার শিকার সাব মিয়া সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফলিত গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান দূর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাব মিয়া সোহেলকে ডেকে পাঠায়। সোহেল নীল দীঘি পাড়ে আসলে তার দেয়া স্ট্যাটাসের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এসময় ভুক্তভোগী তার দেয়া স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমা চায়। এসময় সোহেলের কথায় কর্ণপাত না করে দূর্জয় তার দলবল নিয়ে সোহেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং চরমভাবে হামলা চালায়।

জানা যায়, ভুক্তভোগী সাব মিয়া সোহেল দুর্জয়ের ও তার গার্লফ্রেন্ডের একটি অস্পষ্ট ছবি (পেছন থেকে তোলা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করে। এই ছবিকে কেন্দ্র করে সোহেলের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্জয় ও তার সঙ্গীরা।

এসময় দূর্জয়ের গার্লফ্রেন্ড মারিয়াম সিদ্দিকা জেমি, সোহেলকে কান ধরিয়ে হাঁটায় এবং চরমভাবে লাঞ্ছনা করে। জানা যায়, জেমি, সোহেল একই ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষার্থী।

এদিকে জুনিয়র কর্তৃক লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে হামলা পরবর্তীতে সোহেল আত্মহত্যা চেষ্টা করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সহপাঠীরা তাকে নোয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যায়। এই রিপোর্টের পূর্ব পর্যন্ত ভুক্তভোগী অজ্ঞান অবস্থায় হসপিটালে ভর্তি রয়েছে ।

এই হামলার ঘটনায় সাকিবুল হাসান দূর্জয়ের সাথে সমাজকর্ম ২০১৮-১৯ বর্ষের সোহান ও একই সেশন বাংলা বিভাগের তানভীর মাহতাব সামি। এছাড়া নাম জানা যানা যায়নি এমন আরও ১০ জনের মত উক্ত হামলায় অংশ নেয় বলে সোহেলের সহপাঠীরা জানান।

হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, “এ হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলাকারীরা সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।

অদূর জঙ্গল থেকে শিক্ষকের ‘লাশ’ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৫

সারাদেশ টুডে


নেত্রকোনায় শ্বশুরবাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে স্কুল শিক্ষক উজ্বল চৌধুরীর (৪১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় স্ত্রী মনি, শাশুড়ি ললিতা, শ্বশুর আব্দুল হাই, শালা আরিফ ও রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। উজ্বল চৌধুরী জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানের জনক।

সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) সকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বাড়ির অদূরে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রাম সুত্রে জানা যায়, কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মনিকে গত প্রায় আট বছর পূর্বে বিয়ে দেন মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের কেনু মিয়া চৌধুরীর ছেলের সাথে। এরপর থেকে মনি কোনাপাড়া তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির অদূরে জঙ্গলের মাঝে সড়কের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে অবহিত করেন। পরে চেয়ারম্যান নেত্রকোনা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।

হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসি। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে উজ্বলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টেনে নিয়ে অন্যত্র ফেলার চেষ্টা করছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এক সঙ্গে নয়, এক এক করে সবাইকে ‘ফাঁসি’ দেওয়া হোক

আন্তর্জাতিক টুডে


নির্ভয়ার মা আশাদেবী জানিয়েছেন, আইনের সঙ্গে তারা খেলা করছে। এক সঙ্গে নয়, প্রয়োজনে এক এক করে সবাইকে ফাঁসি দেওয়া হোক।

আশাদেবীর বক্তব্য, “ফাঁসির দিন ক্ষণ পিছিয়ে দেওয়াই আসল উদ্দেশ্য দোষীদের। এজন্যই আইনের সঙ্গে খেলা করছে ওরা। এর পরিণাম যে কী হতে পারে, তা বোঝাতেই এক এক করে ফাঁসি দেওয়া উচিত ওদের।”

২০১২ সালে ওই ঘটনার সময় নাবালক ছিল বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল পবন গুপ্ত। সোমবার তার সেই আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। এরপরই দণ্ডিতদের এক এক করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান আশাদেবী।

আশাদেবী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ওদের ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল খারিজ হয়ে গিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকর হলে শান্তি পাব আমি। যে ভাবে একের পর এক বাধা সৃষ্টি করে ফাঁসি পেছানোর কৌশল করছে, তাতে এক এক করেই ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত ওদের, যাতে আইনের সঙ্গে খেলা করার মানে বুঝতে পারে।”

‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় এই গ্রেফতারি পরোয়োনা করেছে আদালত।

১৬ জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।

আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় অন্যান্য আসামিরা হলেন− কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন, কামরুল হায়দার।

প্রসঙ্গগত, গেল বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর আনন্দ আয়োজনে বিদ্যুতায়িত হলে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে/এসকে।

রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ মামলার রায় ২৩ জানুয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


চলতি বছরের আগামী ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায় ঘোষণা করবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গাম্বিয়ার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এই বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হগে শুনানি হয়।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা। এ ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। গাম্বিয়া মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং রাখাইনে সংঘাত যেন আরো তীব্র না হয়, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সু চি। তিনি দাবি করেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে মামলা পরিচালনার ক্ষমতা জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার জন্য বিচারকের প্রতি তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন। যদিও রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন সু চি।

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে দলবেঁধে রাতভর গণধর্ষণ

সারাদেশ টুডে


ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করেছে একটি যুবকের দল।

বুধবার সকালে তিন সদস্যের ওই ধর্ষক দলটি ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে দেয়। পরে ভিক্টিমকে (ছাত্রীকে) তার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাতালে ভর্তি করান।

বর্তমানে ওই ছাত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ধর্ষণের ঘটনা মঙ্গলবার সদর উপজেলার বোরর চর ইউনিয়নে এ ঘটে।

ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, “মঙ্গলবার বিকালে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় যাই। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবায়দুলের সাথে দেখা হয়। ওবায়দুল আমাকে বলে আমিও যাব বলে সিএনজিতে উঠতে বলে। সিএনজিতে কালো বোরকা পড়া একজনকে দেখে আমিও সিএজিতে ওঠি।”

ওই ছাত্রী আরো জানান, “পরে সিএনজিটি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে চিৎকার শুরু করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব। পরে আমাকে বোরর চর ইউনিয়নে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমাকে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম পালাক্রমে ধর্ষণ করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরদিন সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।”

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় গেলে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নি’র্যাতন করে। আমি ওই তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাকের আহমেদ। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা বলেননি তিনি।”