ছয় দফা দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি

 

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

শিক্ষকদের পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধা ও বিভিন্ন প্রকার দাবিদাওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার(২৬ জানুয়ারি ) সকাল ১০ টায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

এ সময় তারা বলেন, গত ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ২৩ তম সভার ২৯ তম সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাপ্যতার তারিখ (ডিউ ডেট) হতে আর্থিক সুবিধাসহ প্রভাষক হাতে সহকারী অধ্যাপক পদে বঞ্চিত সকল শিক্ষককে পদোন্নতি প্রদান করার রদাবি জানানো হয়। আসন্ন রিজেন্ট বোর্ডে প্রাপ্যতার তারিখ (ডিউ ডেট) হতে আর্থিক সুবিধাসহ সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে সকল শিক্ষককে পদোন্নতি এবং যেকোনো সময় ধারাবাহিকভাবে/অধারাবাহিকভাবে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও পোষ্টডক্টরালের জন্য স্ববেতনে শিক্ষা ছুটির ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবিও জানানো হয়।

আরও বলেন, শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি/পদের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা প্রদান ও চাকুরীর দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হওয়ার পরের দিন থেকে জোষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে স্থায়ী পদে স্থানান্তর করারও দাবি জানানো হয়। প্রথম বর্ষ থেকে নন ডিপার্টমেন্টাল সকল কোর্সের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে সম্মানী/পারিতােষিক/আনুতোষিকের ব্যবস্থা, সকল শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ/ডেস্কটপ, ডিজিটাল ডিভাইসসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের নিয়োগ বা পদোন্নতির নিয়োগপত্রে চাকুরী নিশ্চিতকরণের জন্য নীতিমালা বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশের শর্ত বাতিল করার জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়াও রিজেন্ট বোর্ডে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকোত্তর (সান্ধ্যকালীন নয়) ডিগ্রী গ্রহণের অনুমোদনের দাবি জানানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি সভাপতি ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, সহ সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. এস. এম. নুর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড. ইঞ্জি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রউফ সরকার, কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রহমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ মেহেদী হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য- সহকারী অধ্যাপক কিশোর কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ বুলবুল, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সুমন রহমান এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ হুময়ুন কবির প্রমুখ।

এছাড়াও গত ২৪ নভেম্বর অনুষ্টিত “শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম” উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে উপাচার্য কর্তৃক যবিপ্রবি উচ্চমানের গবেষকদের সংখ্যা নিয়ে ব্যিভান্তিকর তথ্য প্রদান ও শিক্ষকদেও দাবিদাওয়া না মানায় ১৪ তম যবিপ্রবি দিবস বর্জন করার সিদ্ধান্ত দেয় শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত গত ২৪ জানুয়ারী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. এস. এম. নুর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড. ইঞ্জি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। যার ফলশ্রুতিতে গতকাল ২৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের দেখা মেলেনি।

বশেমুরবিপ্রবি: নতুন উপাচার্য যোগদান করতেই ফের ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) গতকাল(৬ সেপ্টেম্বর ) যোগদান করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব। যোগদানের দ্বিতীয় দিনেই ২দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আস্থায়ী কর্মচারীরা।

সোমবার (৭সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কর্মচারীরা বলেন, ইতঃপূর্বে আমাদের ৩দফা দাবি ছিলো তবে স্থায়ী নিয়োগ এবং নীতিমালা অনেকটা একই দাবি হওয়ায় বর্তমানে দুটি দাবি আদায়ে কাজ করছি। দাবি দুটি হলো কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১৩মাস যাবৎ অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি নিয়ে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর হতে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বশেমুরবিপ্রবি: ‘ইটিই’ বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ২য় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। একইসাথে সপ্তম দিনের মতো তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ করার দাবি জানিয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে শিক্ষার্থীরা একাধিকাবার এই বিষয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে তারা গত ১৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং রোববার থেকে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, দিন দিন আমাদের বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র ছোট হয়ে আসছে। অপরদিকে ইইই বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ইইই বিভাগের সাথে আমাদের বিভাগের সিলেবাস কাঠামো শতকরা ৯০ শতাংশের উপরে মিল আছে। তাই আমরা এই দুটি বিভাগের একীভূত করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, আমরা এই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব নয়।



বিজ্ঞাপন



আপনার প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪৪৫২৭৯৯৯