দিনাজপুরে একসঙ্গে ৪০ তরুণ-তরুণীর বিয়ে

সারাদেশ টুডেঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২০টি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও নব দম্পতিদেরকে দেয়া হয়েছে নতুন পরিবার সাজানো ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। আগামীর দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় তাদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়। পরে নব দম্পতিদের হাতে সেলাই মেশিন, ছাগল, লেপ-তোশক, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, হাড়ি পাতিলসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তুলে দেয়া হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বীরগঞ্জের বটতলী ফয়জিয়া মদিনাতুল উলম মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে ২০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকেই যৌতুকবিহীন বিয়ে দেখার জন্য মানুষ ওই মাঠে আসেন। এ সময় তাদের বিয়ে পড়ান মাওলানা আবেদ আলী।

এদিকে বিয়ের এই সুন্দর আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-১ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। এ সময় তিনি ২০ কনেকে শাড়ি প্রদান করেন। যৌতুকের কু-প্রভাব এবং ধর্মীয়ভাবে যৌতুক দেয়া-নেয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রতিটি ঘরে ঘরে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এসময় আয়োজকরা জানান, এই তরুণ-তরুণীর বাবা-মা অত্যন্ত গরীব। তাদের বিয়ে দেয়ার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। আর তাই এমন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এটির উদ্দেশ্য কনেকে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দেয়া এবং একই সঙ্গে যৌতুকের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে যৌতুকবিহীন বিয়েতে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া।

এই ২০ জোড়া তরুণ-তরুণী বিয়ের সব তদারকি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ দিনাজপুর প্রতিনিধি মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ও ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদের তত্ত্বাবধানে বিয়েতে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে।

এসময় আয়োজক ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ বলেন, এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যারা খরচের ভয়ে বৈবাহিক জীবন গঠন করতে পারেন না তাদের জন্যই যৌতুকবিহীন বিয়ের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া এই ধরনের বিয়ের মাধ্যমে যৌতুকের যে কু-প্রভাব সেটি তুলে ধরা এবং যৌতুক দেয়া কিংবা নেয়া যে ধর্মীয়ভাবে নিষেধ সেটিও জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ায় এই লক্ষ্য।

প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল । এসময় তিনি বলেন, “যৌতুক দেয়া কিংবা নেয়া ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ। এই ধরনের বিয়ে সেই বার্তায় পৌঁছে দেবে প্রতিটি ঘরে ঘরে।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ামিন হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম নুর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আলম ফিরোজ, সাতোর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার বৃষ্টিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।

জীবনে সুস্থ থাকতে চাইলে ‘বিয়ে’ করুন অল্প বয়সে!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন। বিয়ে শুধু সামাজিক বন্ধনই না। যা বিনা সুতার টানে দুটি মানুষকে একত্রে বেধে ফেলে। অর্থাৎ বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ের মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

বিবাহের ফলে দুটি মানুষের মনের ভাব আদান প্রদান হয়। যার ফলে দুটি মানুষ তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করতে পারে। যার ফলে একাকিত্ব মনোভাব, হতাশা, ক্লান্তি সবই দূর করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে বিয়ে করা জরুরি।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের বিয়ে ও সুস্বাস্থ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এমন তথ্য। তা জেনে নিন-

রক্তচাপ কমায়ঃ নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে রক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক সম্পর্ক রক্তচাপ কমায়।

নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণঃ স্বাভাবিক যৌ’নজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ব্যায়ামঃ নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষকরা জানান, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক. হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে।

ব্যথা কমায়ঃ ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিঃ শারীরিক সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক স’ম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা কম।

মানসিক চাপঃ সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অ’ত্যন্ত জরুরি।

ঘুমঃ শারীরিক স’ম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।