কৃষিকে টেকসই করতে হলে কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য একটি উইং খোলা প্রয়োজন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


‘আগামীর বাংলাদেশ’ সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কৃষি“ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল সেশনের শুরুতে মডারেটর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল; বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজনসহ ১৫ আগস্টে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের সবার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল এর প্রাক্তন নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি উন্নয়ন তথা কৃষি এবং কৃষকের কথা ভেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তির লক্ষ্যে কৃষি উন্নয়নের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, সংস্কার, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ কৃষির সকল গবেষনা প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষি বানিজ্যিকরনের জন্য একটি উইং খোলা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

কৃষিবিদ ইনস্টটিউশন অব বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শেকৃবির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কৃষি”শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কৃষির প্রয়োগিক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে বেতার-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কথা উল্লেখ করেন বলেন, আমাদের চাষিরা হলো সবচেয়ে দুঃখী ও নির্যাতিত শ্রেণি এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে নিয়োজিত করতে হবে। এ মুহুর্তে কৃষকের পন্যের ন্যায্যমূল্যের জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত।

দৈনিক বনিক বার্তার ডেপুটি চীফ এডিটর এবং বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক রিপোটার্স ফোরাম এর সাধারন সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন বলেন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার হওয়ার পরও খাদ্য আমদানী করা কোন প্রয়োজন নেই বললে চলে।

এছাড়াও প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্যসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগন এবং বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।