১৫ দিন অচল অবস্থার পর, রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম শুরু

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতি আস্থা রেখে ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের কথা চিন্তা করে আগামী রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে সকল ভবনের তালা খুলে দিবেন বলে জানিয়েছেন ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র কারিমুল হক। তবে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।

বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বলেন, ‘‘আমরা কমিটির প্রতি আস্থা রেখে ও সকলের কথা চিন্তা করে রবিবার একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিবো। তবে পাঁচ তারিখের মধ্যে অনুমোদন প্রদান না করলে আবারো সকল ভবনে তালা ঝুলিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু করবো।’’

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ইউজিসি কর্তৃক ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ওই দিন থেকেই একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলন অব্যাহত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম সচলের দাবিতে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দাবিতে আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম অবিলম্বে সচল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল ১০টায় জয় বাংলা চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সকল কার্যক্রম সচল রাখার দাবি জানান।

এ সময় মানববন্ধনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনের পক্ষে তাদের সমর্থন রয়েছে। তবে এভাবে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা সৃষ্টি কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয় অচল বিরাজমান থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছে।

এদিন অন্যদিকে, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে টানা ১২ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।

আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আন্দোলনের শুরু থেকেই অগ্রণী ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম বন্ধ আছে। শাখা ব্যবস্থাপক মো:শিমুল মোল্লা জানিয়েছেন “আন্দোলনের কারণে ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ।এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারী এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের ব্যাপারে আন্তরিক। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগ অনুমোদনের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না দিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়ায় বিভাগটির শিক্ষার্থীরা । ওই দিন রাত থেকেই ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

আন্দোলনে অচল বশেমুরবিপ্রবি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ভর্তি বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রবিবার থেকে কোন ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।

সোমবার পঞ্চম দিনের মতো বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এসময় বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন ক্যাম্পাস। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিন দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি প্লাকার্ড মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শেষ হয়।

আন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব জানান, অনুমোদন ব্যতীত বিভাগ চালু করা প্রশাসনের অপরাধ। প্রশাসনের অপরাধের জন্য আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবো? এদিকে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতিহাস ব্যতীত অন্যান্য প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা পোষণ করেছে। ইউজিসি ইতিহাস বিভাগকে অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভা প্রয়োজন। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিল আহ্বান আমার ক্ষমতার বাইরে।’

প্রসঙ্গত, ইউজিসির কোনো অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) ইনস্টিটিউটের অধীনে ইতিহাস বিভাগ চালু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। তিন বছর পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে আর কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ওইদিন রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বর্তমানে এ বিভাগটিতে চারশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।