এবার বিশেষজ্ঞ কমিটির আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) টানা সাতদিন পর বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ ৩মাস অবস্থান কর্মসূচির পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইটিই বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে আমরণ অনশন করছিলো এসকল শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্যসহ শিক্ষকদের আশ্বাসে গত ১৬ জানুয়ারি অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১৭ জানুয়ারি আলোচনায় বসেছিল। উক্ত আলোচনায় ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিচারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনসহ তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে আবার তারা আমরণ অনশন বসে।

এদিকে আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় ১৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা আলোচনাসভা শেষে অনশনরত শিক্ষার্থীদের বিস্কিট এবং পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান। এসময় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানান, আমাদের পক্ষে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র সুপারিশ করতে পারি৷ তবে আমরা তোমাদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করেছি এবং যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় সেই অনুযায়ী সুপারিশ করেছি।

এসময় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান করেন। সেই সঙ্গে বলেন, বর্তমান উপাচার্য চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তার পক্ষেও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় কারণ তিনি একাডেমিক কাউন্সিল কিংবা রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং আয়োজন করতে পারবেন না।

বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের আশ্বাসে অনশন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ইটিই শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা অনুরোধ করায় আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করেছি তবে আন্দোলন স্থগিত করেনি। আর ক্লাসে ফিরে যাবো কিনা এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিবো।

উল্লেখ্য, ইইই এবং ইটিই বিভাগকে একীভূতকরণের দাবিতে বিগত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এদিকে গত ২০ জানুয়ারি বিভাগ দুটির সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মতামত প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বশেমুরবিপ্রবির ইইই, ইটিইসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতিদের সমন্বয়ে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়।

১১ দফা দাবিতে উত্তাল হাবিপ্রবি, বাস চলাচল বন্ধ

তানভীর আহমেদ, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল। বিকাল ৫ টার পর ক্যাম্পাস থেকে ছাড়েনি কোন বাস।

ক্রেডিট ফি কমানো, ক্লাসরুম-ল্যাব সংকট সমাধান সহ মোট এগারা দফা দাবিতে ১৩ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার বরাবর স্বারকলিপি দিয়ে আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আজ(১৫ জানুয়ারি) তারা বিকাল ৫ টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-
১. ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকটের অতিদ্রুত সমাধান করা।
২. ক্রেডিট ফি কমানো।
৩. যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সংখ্যা বাড়ানো।
৫. বিএনপি মতাদর্শী শিক্ষককে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া।
৬. ভর্তি ফি কমানো।
৭. ছাত্রকল্যাণ ফি এর অপব্যাবহার না করা।
৮. সকল হলে ডাইনিং চালু করা, সুলভ মূল্যে খাবার পরিবেশন করা।
৯. আবাসিক মেসগুলোর ছাত্র/ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং
১০.বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশেপাশের মেসের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা।
১১. একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অতিদ্রুত শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেয়া।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা.মো.ফজলুল হক জানান, “ছাত্ররা কিছু দাবি দাওয়া দিয়েছে। কিন্তু সব গুলো দাবি একসাথে মানা যেকারো পক্ষেই সম্ভব না । তবে, তারা যে দাবি গুলো দিয়েছে সে ব্যাপারে ভিসি স্যার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। দশতলা একাডেমি ভবন, ছাত্রীদের আবাসিক হল নির্মাণের কাজ চলমান আছে, পরিবহনের জন্য ভিসি স্যারের আমলেই ১১টি গাড়ি যুক্ত হয়েছে এবং আরও ৪ টি বাস সহ ভেটেরিনারি মোবাইল ক্লিনিক এম্বুল্যান্স আসার অপেক্ষায় আছে। এছাড়াও ৪২৯ কোটি টাকার বাজেট আসার অপেক্ষায় আছে সেটি আসলে আবাসন সংকট সহ অন্যান্য সমস্যা গুলো কমে যাবে।

তিনি আরও জানান, বিএনপি সমর্থিত শিক্ষককে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ আসছে সেটা বিষয়ে দেখা হচ্ছে। ওনাকে স্থায়ীভাবে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। যেকোন সময়েই তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন স্যার। “

বশেমুরবিপ্রবি: আন্দোলনের ৯১তম দিনে আমরণ অনশনে ইটিই বিভাগ

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


আন্দোলনের ৯১ তম দিনে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ইটিই বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এর আগে সকাল ১০টায় একই দাবিতে একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।

এদিকে গত ১৮ অক্টোবর থেকে ইটিই বিভাগকে ইইই-এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে ইটিই শিক্ষার্থীরা।

আমরণ অনশনে অবস্থানরত ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন,”আমরা ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ৯০ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। এর কারণ ক্রমাগতভাবে ইটিই বিভাগের চাকরি ক্ষেত্র কমে আসছে। ইটিই এবং ইইই বিভাগের একাডেমিক কারিকুলাম প্রায় একই হলেও চাকরি ক্ষেত্রে ইইইকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

এ সময় অন্য আরেক শিক্ষার্থী জানান, ” বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। যার কারণে আজ (১৫ জানুয়ারি) থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।”

ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিনন আহমেদ সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহানের এখতিয়ারের বাইরে।

আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বছর শুরু করল হাবিপ্রবি

তানভির আহমেদ,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক গঠিত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালার বিষয়ে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে ‘কলম বিরতি’ সহ ‘অবস্থান কর্মসূচিতে’ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

‘সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ র ব্যানারে আজ(১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া মামুন রশিদ দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে জানান, “মাননীয় ভিসি স্যার সহ রিজেন্ট বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যবৃন্দ কর্তৃক গঠিত কমিটি সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুই ধাপে পদন্নোতির সুপারিশ করেন।

পরে একধাপে পদন্নোতির কথা জানালেও অজানা কারনে এখন পর্যন্ত কোন পদন্নোতির ব্যবস্থা করা হয়নি এবং কমিটির সেই সুপারিশ বাস্তবায়নও অন্ধকারের মদ্ধ্যে। অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পদন্নোতির এ সুযোগ থাকলেও এখানে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা। নিরুপায় হয়ে তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো আমরা”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হক কে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি, বিধায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে আন্দোলন

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের এর পদত্যাগে দাবিতে মুুুখে কালো কাপড় বেধে আন্দোলন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় দিনের মত তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বাধে এবং সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নিজ বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা আবদুল্লাহ আল জোবায়ের এর বিরুদ্ধে অকারণে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান, শিক্ষার্থীদের বাক-স্বাধীনতা হরণ, মানসিকভাবে হয়রানি, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে পরীক্ষার ফলাফলের উপর প্রভাব, ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা, নৈতিক স্থলনসহ মোট আটটি অভিযোগ তুলে ধরেন।

বিজিই ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মানস তালুকদার জানান, “তিনি তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিভাগের চেয়ারম্যান থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন এবং তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের সকল অভিযোগের সাথে দ্বিমত পোষণ করে জানিয়েছেন, “বিভিন্ন সময়ে যৌক্তিক কারণে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ প্রদান করেছে তবে এখন পর্যন্ত শোকজ নোটিশের প্রেক্ষিতে কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি।” ল্যাবের বিষয়ে তিনি জানান, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা সর্বদা চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার।”

ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ফলাফলের ওপর প্রভাবের বিষয়ে এই শিক্ষক বলেন, “একটি উত্তরপত্র দুজন শিক্ষক মূল্যায়ন করেন এবং দুজনের প্রদানকৃত নাম্বারে অতিরিক্ত পার্থক্য থাকলে সেটি তৃতীয় শিক্ষকের নিকট প্রেরণ করা হয় তাই কোনো শিক্ষকের পক্ষেই ফলাফল প্রভাবিত করা সম্ভব নয়।”

এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানিয়েছেন, “আমরা বিজিই শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।

কুবি: সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ (ভিডিওসহ)

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সেশনজট নিরসন সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ই নভেম্বর) সাড়ে ন’টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মাসুদা কামাল, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের আল্টিমেটাম সহ আন্দোলন চালিয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান সহ ফেস্টুনে বিভিন্ন প্রতিবাদী ভাষা লিখে আন্দোলন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- সেশনজট নিরসনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাচগুলোর চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে হবে, ব্যাচ ভিত্তিক শিফট করে ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করতে হবে, নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ন করতে হবে, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আর্ট এ্যান্ড হ্যারিটেজ সোসাইটির পূর্নাঙ্গ কমিটির নির্বাচন এবং দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে, প্রতি জোড় সেমিস্টার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে ফিল্ড ওর্য়াক ও ভাইবা শেষ করতে হবে।

আন্দোলন চলাকালীন সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই পাঁচ দফা দাবি মেনে নেন। দাবি মেনে নেওয়ার পরবর্তী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

ভিডিও দেখুন:



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি ইকবাল মুনাওয়ার।



 

জাবিতে আন্দোলনরত দৃষ্টিশক্তিহীন ছাত্রী শারমীনের ছবি ভাইরাল

জাবি টুডেঃ অনিয়ম দুর্নীতি ও সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় আন্দোলন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীদের হাতে হাত রেখে অংশ সেই আন্দোলনে নিয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শারমীন। সে (শারমীন) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা শারমীনের ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে। সেই সাথে অনেকেই প্রশংসা করছেন তার।

আন্দোলনে আসা নিয়ে শারমীন বলেন, ” সে দিন আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি তখন হলের মধ্যে ছিলাম। হামলার কথা শুনে আমি আর বসে থাকতে পারিনি। অবশেষে সকল প্রতিবন্ধকতা ছুড়ে ফেলে চলে এসেছি আন্দোলনে।”

শারমীনের ভাইরাল হওয়া ছবি প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাজিমুদ্দীন নামের একজন লিখেছেন, “যাদের চোখ আছে কিন্তু সমাজের অন্যায় অবিচার দেখেও দেখেন না, প্রতিবাদ করেন না, সেই চোখ ওয়ালাদের চেয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী শারমিনের চোখ অনেক ভালো দেখে,স্পষ্ট করেই দেখে! সে জন্যই ভিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষকের লড়াইয়ে শারমিন প্রতিবাদের প্রথম কাতারে। শারমিন চোখ ওয়ালাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন অসীম সাহসের। স্যালুট শারমিন!”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

১৭ দফা দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে শিক্ষার্থীরা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের দায়িত্ব পালন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রারিক্ত হল ভাড়া,ক্রেডিট ফি,চিকিৎসা ফি আদায় করেছে এবং সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এইসব মাত্রারিক্ত ফিস এর বিরুদ্ধে ও নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৭ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো :



১. ক্রেডিট ফিস ১০০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করতে হবে।
২. হল ভাড়া রুমে ১৫০ টাকা ও গণরুমের ভাড়া প্রতি সিট প্রতি ২৫ টাকা করতে হবে।
৩. ক্লাস উপস্থিতি হার ৫০ শতাংশ করতে হবে এবং কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৫০ শতাংশের কম হলে তাকে জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
৪. কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করতে হবে।
৫. পরিবহন ফি ৬০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করতে হবে।
৬. পরীক্ষায় ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
৭. বিভাগীয় উন্নয়ন ফি বাতিল করতে হবে
৮. চিকিৎসা ফি ২২৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা করতে হবে।
৯. প্রতি বিভাগে কমপক্ষে দুইজন নিয়মিত অধ্যাপক নিয়োগ দিতে হবে।



এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ-আল-রাজু বলেন, ” শিক্ষা কোন পণ্য নয় যে টাকা দিয়ে কিনতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় আসে দেশের সকল মানুষের কর থেকে। আমরা শোষণের শিকল ভেঙ্গে স্বৈরচারী খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে তাড়িয়েছি। আর কোন অন্যায়ের সাথে আপোস নয়। আমরা আর কোন অতিরিক্ত ফি দিব না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবো।”

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোঃশাহাজাহান বলেন, “শিক্ষার্থীরা গতকাল আমাকে তাদের দাবী সমূহ আমাকে লিখিত আকারে দিয়েছে এবং আমরা মতে করি তাদের অধিকাংশ দাবী সমূহ যৌক্তিক। কিন্তু বেশ কিছু দাবীদাওয়া আইনানুযায়ী আমার ক্ষমতার বাহিরে। শিক্ষার্থীদের দাবী সমূহের মধ্যে অন্যতম দাবী ছিল ক্রেডিট ফি কমানো, হলের ভাড়া কমানো, চিকিৎসা ফি কমানো এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন তাদের এ দাবী সমূহ রিজেন্ট বোর্ডের সভার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে কিন্তু আমি রুটিন দ্বায়িত্বে থাকায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা ডাকতে পারছি না, পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত এ বিষয়গুলো মিমাংসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যেতে আহবান করেন এবং বলেন নতুন উপাচার্য আসলে উক্ত বিষয় গুলো সমাধান করা হবে।”

উল্লেখ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

 

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বশেমুরবিপ্রবি: ‘ইটিই’ বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ২য় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। একইসাথে সপ্তম দিনের মতো তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ করার দাবি জানিয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে শিক্ষার্থীরা একাধিকাবার এই বিষয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে তারা গত ১৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং রোববার থেকে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, দিন দিন আমাদের বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র ছোট হয়ে আসছে। অপরদিকে ইইই বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ইইই বিভাগের সাথে আমাদের বিভাগের সিলেবাস কাঠামো শতকরা ৯০ শতাংশের উপরে মিল আছে। তাই আমরা এই দুটি বিভাগের একীভূত করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, আমরা এই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব নয়।



বিজ্ঞাপন



আপনার প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪৪৫২৭৯৯৯