চবি: ডিসেম্বরেই পরীক্ষার দাবি, না মানলে আমরণ অনশনের ডাক

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শেষ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা (সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি)। দাবি বাস্তবায়ন না হলে,রবিবার (৬ডিসেম্বর) থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ,চবি এর পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।বলা হয়,আগামী ৩রা ডিসেম্বর,২০২০ এর মধ্যে স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ নেয়ার ব্যাপারে যদি তারিখ ঘোষণা পূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসে,তাহলে আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখ থেকে আমরণ অনশনে যাবে তাঁরা।

কয়েক দফা মানববন্ধন,স্মারক লিপি ও আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার পর গত ১৫ নভেম্বর স্থগিত থাকা সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কিন্তু বিভাগগুলোতে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা না যাওয়ায় বিভাগগুলো পরীক্ষার নেওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে।এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।সর্বশেষ,গত ২৯ নভেম্বর অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির প্রথম সভায় পরীক্ষার ব্যাপারে মৌখিক ও প্র‍্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাগুলো সবার আগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে বলা হয়,’বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তিনমাস আগেই স্থগিত পরীক্ষাসমূহ পর্যায়ক্রমে নিয়ে নিতে পারতো।সর্বশেষ বিভিন্ন বিভাগের সম্মান ৪র্থ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষা শেষ না করেই ভাইবা এবং প্র‍্যাকটিকাল পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাসমূহ না নেয়ার দুরভিসন্ধি হিসেবেই দেখছে।করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে তো তখন লিখিত পরীক্ষা দেয়াটা জটিল হয়ে পড়বে।’

তারা জানান,’ইতোমধ্যে ৪২ তম ও ৪৩ তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের সম্মান ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষাসমূহ শেষ না হলে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অল্পের জন্য ৪১তম এর পর ৪৩ তম বি সি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাবে।’

এমতাবস্থায় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে বলা হয়, ‘আগামী বৃহস্পতিবারের(৩ডিসেম্বর) মধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষাসমূহ ডিসেম্বর মাসের ভিতরেই গ্রহণের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে আগামী রোববার থেকে আমরণ অনশনে যাবে শিক্ষার্থীরা।’

কোন শিক্ষার্থী যদি অংশগ্রহণ করতে না পারে সেক্ষেত্রে কী হবে এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান,”আমরা যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের রিস্ক নিয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।তবে কোনো শিক্ষার্থীর সাথে কোনোরূপ প্রহসন আমরা মেনে নেবো না।”

স্বাস্থ্যবিধির প্রশ্নে তাঁরা বলেন,”স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে আমরা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের নামে শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো অন্যায় হলে সেটা আমরা মেনে নেবো না।”

পরীক্ষা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল পরীক্ষা গ্রহণ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া তাই দেরি হচ্ছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করছে একই সাথে স্বাস্থ্যবিধির বিষয় নিয়েও চিন্তা করছে।