‘ইইই সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে ইটিই শিক্ষার্থীদের’

শাফিউল কায়েস


‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, এটা বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করবো তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।

আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ বিষয়ক বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত লাইভ প্রোগ্রামে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

 

এবার বিশেষজ্ঞ কমিটির আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) টানা সাতদিন পর বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ ৩মাস অবস্থান কর্মসূচির পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইটিই বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে আমরণ অনশন করছিলো এসকল শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্যসহ শিক্ষকদের আশ্বাসে গত ১৬ জানুয়ারি অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১৭ জানুয়ারি আলোচনায় বসেছিল। উক্ত আলোচনায় ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিচারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনসহ তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে আবার তারা আমরণ অনশন বসে।

এদিকে আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় ১৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা আলোচনাসভা শেষে অনশনরত শিক্ষার্থীদের বিস্কিট এবং পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান। এসময় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানান, আমাদের পক্ষে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র সুপারিশ করতে পারি৷ তবে আমরা তোমাদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করেছি এবং যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় সেই অনুযায়ী সুপারিশ করেছি।

এসময় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান করেন। সেই সঙ্গে বলেন, বর্তমান উপাচার্য চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তার পক্ষেও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় কারণ তিনি একাডেমিক কাউন্সিল কিংবা রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং আয়োজন করতে পারবেন না।

বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের আশ্বাসে অনশন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ইটিই শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা অনুরোধ করায় আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করেছি তবে আন্দোলন স্থগিত করেনি। আর ক্লাসে ফিরে যাবো কিনা এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিবো।

উল্লেখ্য, ইইই এবং ইটিই বিভাগকে একীভূতকরণের দাবিতে বিগত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এদিকে গত ২০ জানুয়ারি বিভাগ দুটির সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মতামত প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বশেমুরবিপ্রবির ইইই, ইটিইসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতিদের সমন্বয়ে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়।

বশেমুরবিপ্রবি: উপাচার্যের মিথ্যা আশ্বাস, আমরণ অনশনে অসুস্থ ২


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)


দীর্ঘ ৩ মাস ধরে আন্দোলনে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ তিন মাস ধরে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরণ অনশনে বসেন তারা। এটি তাদের ২য়বারের মত আমরণ অনশন । এর আগে ১৫ জানুয়ারি তারা বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে প্রথমবার আমরণ অনশনে বসেন।

যেকারণে ফের আমরণ অনশনে তাঁরা

আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ তিন মাস শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি । এ কারণে গত ১৫ জানুয়ারি (৯১তম দিনে) তাঁরা আমরণ অনশনে বসে। পরে একই দিনে উপাচার্যের আশ্বাসে তা স্থগিত করি। কিন্তু উপাচার্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা আবারো আমরণ অনশনে বসছি।

ইটিই ৩য় বর্ষের ছাত্র শিহাব শাহরিয়ার বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষকদের আশ্বাসে গত ১৬ জানুয়ারি আমরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে ১৭ জানুয়ারি আলোচনায় বসেছিলাম। উক্ত আলোচনায় আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বিচারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনসহ তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি।”

ফের আমরণ অনশন নিয়ে ইটিই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

কেন তাঁরা ইইই বিভাগের একীভূতকরণের দাবি করছে?

তাদের দাবি নিয়ে এলাধিক শিক্ষার্থী জানান ‘ক্রমাগতভাবে ইটিই বিভাগের চাকরিক্ষেত্র কমে আসছে। ইটিই এবং ইইই বিভাগের অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম প্রায় একই হলেও চাকরি ক্ষেত্রে ইইইকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ সকল কারণে আমরা ইটিইকে ইইই-এর সঙ্গে একীভূতকরণের দাবিতে ৯০ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।’

শিক্ষার্থী আরো জানান, ইলেকট্রনিকস টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (ইটিই) পাঠ্যসূচির সাথে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাঠ্যসূচি ৮০% থেকে ৯০% মিল থাকা সত্ত্বেও চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্য কথা ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইটিই বিভাগকে ইইই তে রুপান্তর করার দাবি।

আমরন অনশনে অসুস্থ দুই, হাসপাতালে ভর্তি

এই আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়েছেন ইটিই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আকাশ বিশ্বাস এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নাফিসা। উভয়েই গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারের প্রশাসনের বক্তব্য

ইটিই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহজাহান ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ কে বলেন, “রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমি রুটিন দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্ত) পালন করায় এবিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় নতুন ভিসি নিযুক্ত হওয়ার পর এ সমস্যা সমাধানে অবহিত করা হবে।”

ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিনন আহমেদ সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহানের এখতিয়ারের বাইরে।


উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইটিই বিভাগের নাম ইইই বিভাগে একীভূতকরণের দাবিতে তারা গত বছরের ১৭ই অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখে। এমনকি গত ২৭শে নভেম্বর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায়ও অংশ নেয়নি তারা।

বশেমুরবিপ্রবি: পরীক্ষা দিচ্ছেন না দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ আগামী ২৭ নভেম্বর তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর গত ১৪ নভেম্বর ছিল ফরম পূরণের শেষ দিন। কিন্তু এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোন শিক্ষার্থীই ফরম পূরণ করেননি।

এদিকে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ না করে বিভাগ পরিবর্তনের এক দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতির মুখে পড়বেন জেনেও তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত ইটিই বিভাগের ১৫৮ জন শিক্ষার্থী।

গত ২৭ অক্টোবর থেকে শ্রেণিকক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে ইটিই বিভাগের চাকরির বাজারে বর্তমান অবস্থান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইটিইর বিলুপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বিভাগ পরিবর্তন করে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তারা। কিন্তু টানা ২৪ দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

কেন ইটিই বিভাগের রূপান্তর চান? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা জানান, ইইই বিভাগের সিলেবাসের সঙ্গে ইটিই বিভাগের সিলেবাসে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মিল রয়েছে। তা সত্ত্বেও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের। পিএসসি’র নেয়া বিসিএস পরীক্ষায় ইটিই বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র কোনো সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়নি। সেজন্য ইইই বিভাগের প্রণীত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

এ ব্যাপারে ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, “ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। আমি তাদেরকে ক্লাসে ফেরাতে চেষ্টা করেছি। সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ইটিই বিভাগ চলমান রয়েছে। ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি পাস করে চাকরি পায় তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে না কেন।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বশেমুরবিপ্রবি: ‘ইটিই’ বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ২য় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। একইসাথে সপ্তম দিনের মতো তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ করার দাবি জানিয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে শিক্ষার্থীরা একাধিকাবার এই বিষয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে তারা গত ১৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং রোববার থেকে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, দিন দিন আমাদের বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র ছোট হয়ে আসছে। অপরদিকে ইইই বিভাগের চাকরির ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ইইই বিভাগের সাথে আমাদের বিভাগের সিলেবাস কাঠামো শতকরা ৯০ শতাংশের উপরে মিল আছে। তাই আমরা এই দুটি বিভাগের একীভূত করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, আমরা এই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব নয়।



বিজ্ঞাপন



আপনার প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৭৪৪৫২৭৯৯৯