ইবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদককে ফের ধাওয়া

ইবি টুডেঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদককে ফের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করলো পদবঞ্চিত দলীয় কর্মীরা। এর আগে হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ধর, ধর চিৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে প্রবেশের সংবাদে তাকে ধাওয়া দেওয়ার নামে ক্যাম্পাসরে আতঙ্ক ছড়ায় পদবঞ্চিতরা। পরে ৪ টার দিকে সাধারণ সম্পাদক রাকিব প্রশাসন ভবন থেকে বের হলে তাকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করে তারা।

জানা যায়, সাধারণ সম্পাদক রাকিব মাস্টার্সের মৌখিক পরীক্ষা দিতে শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে আসে। পরীক্ষা শেষে প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্তাব্যক্তির সাথে স্বাক্ষাত করতে যান। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপটি সকল আবাসিক হল থেকে একত্রিত হয়ে শোডাউন দিয়ে দলীয় টেন্টে যায়। টেন্টে গিয়ে হঠাৎ করেই ধর, ধর চিৎকারে এলোপাতাড়ি প্রধান ফটকের দিকে দৌড় দেয়। পরে প্রধান ফটক থেকে প্রশাসন ভবনের দিকে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে যায়।

এসময় ডায়না চত্বরসহ ক্যাম্পাস এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পদবঞ্চিত গ্রুপটি প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় টেন্টে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তাদের রাকিবের চামড়া তুলে নেব আমরা, চোর রাকিবের এ ক্যাম্পাসে স্থান নেই, টাকার বিনিময়ে কমিটি মানি না মানব না এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে বিকেল ৪টার দিকে সাধারণ সম্পাদক রাকিব প্রশাসন ভবন থেকে বের হলে ফের ধাওয়া দেয় এ গ্রুপটি। এসময় রাকিব মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাম এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে নিয়োগ বাণিজ্যের পরিকল্পনা ও টাকার বিনিময়ে নেতা হওয়ার অভিযোগ তুলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপ। এর আগেও তিনবার রাকিবকে এবং একবার পলাশকে ধাওয়া দিয়েছে এই গ্রুপটি।

এ নিয়ে পদবঞ্চিত গ্রুপের যোবায়ের হোসেন বলেন, “৪০ লাখ টাকার বিনিময়ের এই কমিটি অবিলম্বে বাতিল করে নতুন কমিটি দিতে হবে। দুর্নীতিবাজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাসে আগেই অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাই তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই প্রতিহত করব।”

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমি পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে যাই। পরে ট্রেজারার স্যারের রুমে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মিছিল করে। তারা মিছিলে রাকিব পলাশ যেখানে, জবাই হবে সেখানে স্লোগান দেয়। একজন ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে কর্মীদের এমন স্লোগানে আমি খুবই মর্মাহত, ব্যাথিত। তারা মূলত শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করে মেগা প্রকল্পের টেন্ডার হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে অভিযোগ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাইব। ”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন,”কিছু ছাত্রলীগ কর্মী সাধারণ সম্পাদক রাকিবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তবে রাকিবকে আমরা নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।