ইমেরিটাস প্রফেসর অরুণ কুমারের লেখা বই ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মানবতা’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের শেখানো যার এক প্রকার নেশা। শিক্ষার্থীদের সুপার হিরো। তিনি হলেন পদার্থবিজ্ঞানে দেশের একমাত্র ইমেরিটাস প্রফেসর ড. অরুণ কুমার বসাক।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক তিনি। আশি-ঊর্ধ্ব এই অধ্যাপক শিক্ষাজগতের একজন জ্ঞানের বাতিঘর।

তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর নিলেও কেবল গবেষণার টানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রায় প্রতিদিনই আসেন।

গবেষণা করেন, ছাত্রদের শেখান। নিজের বেতনের সিংহভাগই দান করেন এই অধ্যাপক। তার বিলেতে গিয়ে গবেষণা করে উপার্জন করার পথ থাকলেও কেবল মাতৃভূমির জন্য কিছু করার তাগিদে ঘরে ফেরেন। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি তার কখনোই ছিল না। কিন্তু জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থীর কাছে হয়ে আছেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র।

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মানবতা’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে এই গুণী পদার্থবিজ্ঞানে দেশের একমাত্র ইমেরিটাস অধ্যাপকের।

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মানবতা’ শিরোনামে প্রকাশিত বইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত, শিক্ষা কেমন হওয়া উচিত, সব কিছুর শেষ কথা যে মানবতা এ নিয়ে বিস্তর চিন্তা ভাবনা লেখক তুলে ধরেছেন। এদিকে গতকাল সোমবার (১৫মার্চ) শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে তার লেখা ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মানবতা’ গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বইটি চিহ্ন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। বইটির গ্রন্থ-পরিকল্পনা ও রচনা-নির্বাচন করেছেন চিহ্ন সম্পাদক প্রফেসর শহীদ ইকবাল, প্রচ্ছদ করেছেন প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র সূতার এবং সংকলন করেছেন মো. মাসুম বিল্লাহ আজাদ। বইটি আসন্ন অমর একুশে বইমেলা-২০২১ এ চিহ্ন প্রকাশনের স্টলে পাওয়া যাবে।

‘চিহ্ন’ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মানবতা’ শীর্ষক এই গ্রন্থে প্রফেসর অরুণ কুমার বসাকের শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে লেখা ৩৪টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪০০ টাকা।

দেশের গুণী এই অধ্যাপকের লেখা বই দেশের স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। ২০০৮ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অবসর নেন। ২০০৯ সালে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে সম্মাননা পান।

এই অধ্যাপকের অধীনে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পিএইচডিও করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২০০৭ সালে পেনিনসুলা ওয়ালফেয়ার ট্রাস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বসাক বৃত্তি’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে, যা প্রতি বছর মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে।