উপহার হিসেবে বন্ধু দিয়েছিল এক প্যাকেট ‘চানাচুর’

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি


ঝিনাইদহ শহরে জন্ম আলীনুর ইসলামের। ছোটবেলা থেকে লেখার প্রতি টান আর বাবার সাথে রাত জেগে আসর দেখা। চতুর্থ শ্রেণীতেই মঞ্চস্থ হয়েছিল তার লেখা ‘দুষ্টু মাতবর’। উপহার হিসেবে বন্ধু দিয়েছিল এক প্যাকেট চানাচুর।

তার লেখক নাম বঙ্গ রাখাল৷ ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘সংস্কৃতির দিকে ফেরা’।

এ বছরের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তার লেখা দুইটি বই৷ ‘কবিতার করতলে’ নামের বইটি প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন প্রকাশন ও ‘অন্ধ যাজক’ প্রকাশ করেছে লেখামালা প্রকাশন।

এ বই নিয়ে আলীনুর ইসলাম বলেন, এবারের বইয়ে মূলত ২৩টি প্রবন্ধ আছে। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে সমসাময়িকদের কবিতা নিয়ে লিখেছি। এই লেখাতে বিভিন্ন সময়ে আমার ধ্যান-ধারণা-চিন্তা ভাবনাকেই তুলে ধরেছি।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ – মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ, মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য।

কবিতা- হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন, লণ্ঠনের গ্রাম, যৈবতী কন্যা ইশকুলে। গবেষণা- লোক মানুষেরগান ও আত্ম অন্বেষণ’। সম্পাদনা- অগ্রন্থিত রফিক আজাদ, পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত দর্শন। ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ)।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি। বর্তমানে কবি সমাজসেবামূলক এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত আছেন।

এছাড়া আলীনুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অফ ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রী এবং গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যায় পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।

উল্লেখ্য, তিনি প্রবন্ধে পেয়েছেন ‘আবুল মনসুর আহমদ’ পুরস্কার-২০২০ এবং কবিতায় ‘জলধি’ সম্মাননা-২০২১।