যে কারণে সাধারণ ছুটিতেও ৪৩ দিন অফিস করেছেন ইয়াছিন জাবেদ

নোবিপ্রবি টুডে:করোনা ভাইরাস তাণ্ডবে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সাধারণ ছুটির মধ্যেও কিছু সরকারি লোককে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে হয় অবিরাম।

করোনা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যখন ঘরবন্দী হয়ে থাকে ঠিক তখনি কিছু মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালিয়ে নিতে অফিসের কার্যক্রম। গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহতার দিকে অগ্রসর হলে করোনা সচেতনতায় ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

করোনার সাধারণ ছুটিতেও নিস্তব্ধ ক্যাম্পাসে করোনাকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক প্রয়োজনে ৪৩ দিন অফিস করছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ ইয়াছিন জাবেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেন অফিসে যেতে হয়েছে এমন প্রশ্নে ইয়াছিন জাবেদ বলেন, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত চিঠি, শ্রান্তি বিনোদনের চিঠি ও মাতৃত্বকালীন এবং অন্যান্য ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান সংক্রান্ত চিঠি প্রেরণ। উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশে জরুরি মিটিং এর চিঠি ও সার্বিক সহযোগিতায় জন্য ঢাকা যাওয়া।

করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে দফায় দফায় চিঠি প্রেরণ, ল্যাব স্থাপনের জন্য ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ানদের বিভিন্ন কাজে ঢাকা যাওয়া আসার প্রশাসনিক অনুমতির চিঠি তৈরী করা যাতে চেকপোস্ট এ কোন সমস্যা না হয়।

তিনি আরও জানান, ইউজিসি এর নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইন ক্লাস করার বিষয়ে ও অনলাইন ক্লাস করার জরিপসংক্রান্ত কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য ডিন, ইন্সটিটিউট এর পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান দের চিঠি প্রেরণ। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ০১ দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রেরণের চিঠি।

ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি এবং করোনা পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রেরণের বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে চিঠি প্রেরণ।