একুশে পদকপ্রাপ্ত চবির সাবেক অধ্যাপক চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিম আর নেই

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও একুশে পদক প্রাপ্ত খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিম আর নেই।আজ(সোমবার) বেলা ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ার কারণে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে তাঁকে নিউমোনিয়া ও হৃদরোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল।

আজ বাদে এশা রাজবাড়ীতে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।তাঁর প্রতিষ্ঠিত “বুনন আর্ট স্পেস” প্রাঙ্গণে তাঁকে কবরস্থ করা হবে।

মনসুর উল করিম ১৯৫০ সালে রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় স্নাতক এবং পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মনসুর উল করিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে দীর্ঘ ৪০ বছর অধ্যাপনা করেন।চিত্রকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।২০১৪ সালে তিনি শিল্পকলা একাডেমির সুলতান পদক লাভ করেন।

একুশে পদক ২০২০ পাচ্ছেন যারা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


২০২০সালের একুশে পদকের জন্য ২০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিসরূপ তাদের এ পদকে ভূষিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটও পাচ্ছে একুশে পদক।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনীতদের নাম প্রকাশ করে।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠিকভাবে পদকপ্রাপ্তদের পদক তুলে দেয়া হবে। পুরস্কারে মনোনীতদের প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন ২ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।


এবার পদক পাচ্ছেন


১. ভাষা আন্দোলনে আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর)।

২. শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন।

৩. শিল্পকলায় (সংগীত) শঙ্কর রায়।

৪. শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম মিতা হক।

৫. শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান।

৬. শিল্পকলায় (অভিনয়) এস এম মহসীন।

৭. শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান।

৮. মুক্তিযুদ্ধ হাজী আক্তার সরদার (মরণোত্তর)।

৯. মুক্তিযুদ্ধ আবদুল জব্বার (মরণোত্তর)।

১০. মুক্তিযুদ্ধ ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর)।

১১. সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ আলী (ওয়াজেদ জাফর)।

১২. গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম।

১৩. গবেষণায় হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।

১৪. শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।

১৫. অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

১৬. সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

১৭. ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী।

১৮. ভাষা ও সাহিত্যে সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর)।

১৯. ভাষা ও সাহিত্যে বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি।

২০. চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।