দ্বিতীয় দফায় এসএসসির ফরম পূরণের সুযোগ দিয়েছে ঢাকা বোর্ড

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ স্থগিত হওয়া চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। আজ রবিবার (২২ মে) থেকে ২৯ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়াই প্রথম দফায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ এর সুযোগ পাচ্ছে।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষা ২০২১-এর ফরম পূরণ গত ১ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু করোনার বিস্তারের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পারেননি। যারা ওই সময়ে ফরম পূরণ করতে পারেননি, তারা ২২ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ মে।ফরম পূরণের ক্ষেত্রে কেও যদি অতিরিক্ত ফি আদায় করে এবং অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৪ এপ্রিল বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এরমধ্যেই চলছিল এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম। পরে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম স্থগিত করে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড।

আর কত বিড়ম্বনা সইতে হবে এইচএসসি-২০২০ কে?

আতিকুর রহমান আতিক: বর্তমান এইচএসসি ব্যাচ-২০২০ জন্মলগ্ন থেকেই বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নতুন নিয়ম। তারপর জেএসসি পরীক্ষায় হরতালের কারণে পরীক্ষা বিকালে দিতে হল। এসএসসি পরীক্ষায় ৭ টা সৃজনশীল শুরু হল। সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষায় আঘাত হানল প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নামের সাথে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে অটোপাশের ট্যাগ।

সেই সাথে চলছে মাননীয় শিক্ষাবিদদের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর খেলা। এইচ এস সি পরীক্ষা নিয়ে কত নাটক চলল তাতো সবাই উপভোগ করেছেই। দুদিন পরপর এভাবে সিদ্ধান্ত পাল্টানো ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন ও ক্যারিয়ারের ছন্দপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। এখন চলছে এডমিশন টেস্ট নিয়ে বিড়ম্বনা।

দেশে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা চালু হয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ভোগান্তি কম হবে ও অর্থ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা সহজতর হবে।তবে যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ও বিজ্ঞান থেকে বিভাগ পরিবর্তনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য যে নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে তা পাল্টানো নাহয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। নয়তো ২০০৩ এইচ এস সি ব্যাচের মত ২০২০ ব্যাচও তাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নীতিনির্ধারকগণের করা ভুলের মাশুল গুণতে বাধ্য হবে কড়ায়গণ্ডায়।

কোনো দেশে যখন শিক্ষানীতি নতুন করে প্রণয়ন করা হয় তখন তার বিস্তারিত কয়েক বছর আগেই জানিয়ে ‍দিতে হয়। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এটার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে অনায়াসে। যেমনটা আমরা দেখেছি কিছুদিন আগে দেশে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে যা কয়েক বছর আগেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনের এই নতুন নিয়মের কথাও আগেই জানিয়ে দেয়া উচিত ছিল।তাছাড়া ‍যদি প্রতি বিভাগের মানবন্টনের কথা যদি এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণার পরপর জানিয়ে দেয়া হত তাহলেও শিক্ষার্থীরা তাদের লেখা-পড়া কভার করতে পারত।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে বেশী বিষয় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যান্য গ্রুপের তুলনায়। যেখানে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদেরও এত বিষয়ে পড়তে হয় না। তাও আবার শেষ মূহুর্তে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে এতগুলো বিষয় চাপিয়ে দেয়াটা বেমানান।

তাছাড়া এখন হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ‍বিভাগ পরিবর্তন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কোচিং করছে। তাদের মধ্যে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া করোনার ভয়ানক ছোবলে অনেক মধ্যবিত্ত/উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক অবস্থাও শোচনীয় পর্যায়ে। অনেকের এই মূহুর্তে নতুন করে বিজ্ঞান বিভাগের কোচিং এ ভর্তি হওয়ার পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তাই এরকম হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নকে অনিশ্চয়তার বেড়াজালে আবদ্ধ করা কি অনুচিত নয়?

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়

তানিয়াল হোসেন


২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি -তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি -আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্তের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।আর,সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।

তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা ২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।
২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি। এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি – তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি – আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্ত্যের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে। আর, সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।

যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা বলছিল।তার কথা হল ভাই এইচএসসিতে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।

তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়। বলছিল।তার কথা হল ভাই ইন্টারে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়।তাহলে সেসব শিক্ষার্থী তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করে যাবে।আবার তারা ঘুরে দাঁড়াবে।

লেখক: তানিয়াল হোসেন
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ।

জেএসসি-এসএসসিতে ৫ থাকলে এইচএসসি রেজাল্টেও জিপিএ-৫

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি।

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ দেয়া হবে। তবে এ দুটির একটিতে খারাপ হলেও তা যোগ করে তার অর্ধেক দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে গড় নম্বর দেয়া হবে সেটি নির্ণয় করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে তার অর্ধেক নম্বর এইচএসসিতে দেয়া হতে পারে। এ দুটি পরীক্ষার মধ্যে কারও একটি স্তরের মোট নম্বর কম হলেও তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। তবে যাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ রয়েছে তাদের এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ দেয়া হবে।

অন্যদিকে যারা এক অথবা দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের অটোপাস দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকবে এইচএসসিতেও তাদের জিপিএ-৫ দেয়া হতে পারে। এক ও দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে পাস করিয়ে মোট জিপিএ দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, নিচের স্তরের উভয় পরীক্ষায় কম জিপিএ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করবে সেই সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ কারণে তাদের পাস করিয়ে দেয়া হলেও জিপিএ নম্বর কম থাকবে। তবে সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন।

এইচএসসি: গতবার ফেল করা সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর কপাল খুলল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


এইচএসসিও সমামানের পরীক্ষায় একবার ফেল করে যারা এবার পরীক্ষায় বসায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে তাদের কপাল খুলে গেছে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এদিকে গতবার এই পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন তাদেরও জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।

এইচএসসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “গতবার যারা ফেল করেছে, তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।”

গতবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।

সেই হিসেবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার আর কোনো পরীক্ষায় অংশ না দিলেও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ পাবেন।

এইচএসসি-তে দুই বিষয়ে (সর্বোচ্চ চার পত্র) ফেল করলে পরের বছর শুধু ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে একজন শিক্ষার্থীকে সাতটি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসতে হয়।

এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ বেকার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিআইডিএস-এর গবেষণা বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার।

গত ডিসেম্বরে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। বিআইডিএস-এর গবেষণার ফল বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩.১৯ শতাংশ পুরোপুরি বেকার।

বিআইডিএস এর ওই গবেষণার আলোকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়েচে ভেলে বাংলা। এতে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১৫ হাজার ২৫ জন শিক্ষিত তরুণ ফেসবুক ও ইমেলের মাধ্যমে এই জরিপে অংশ নেন।

জরিপ অনুযায়ী, শিক্ষাজীবন শেষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেকার ছিলেন ১১.৬৭ শতাংশ, দুই বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে বেকার ১৮.০৫ শতাংশ এবং ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেকার ১৯.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া প্রায় ৩৬.৬ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার। স্নাতকোত্তরদের মধ্যে এই হার ৩৪.৩ শতাংশ। আর এসএসসি ও এইচএসসি পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ২৬.৭৯ ও ২৭.৯৫ শতাংশ।

গবেষণা বলছে, পড়াশোনা শেষ করার ছয় মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন অর্ধেক তরুণ (৫০.৭৪)। ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১ শতাংশকে। আর ১৮ শতাংশ তরুণকে দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মাস্টার্স পাস করার দুই বছর পরও বেকার ছিলেন ১৯.২১ শতাংশ।অনার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৮.৭৩ শতাংশ। অনার্সে প্রথম শ্রেণি পাওয়াদের ১৭.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই বছরেরও বেশি সময় কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও বেশি, ২৬.৮ শতাংশ!

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা মাস্টার্স পাস করেছেন তাদের ২৮.৭৫ শতাংশের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার উপরে। আর অনার্স ডিগ্রিধারীদের ১৮.২ শতাংশ মাসে ৪০ হাজারের বেশি বেতন পান। অর্থাৎ মাস্টার্স করলে বেশি বেতনে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মাস্টার্স পাস করে মাসিক ১০ হাজার টাকার নীচে বেতনে চাকরি করছেন ৫.৯২ জন৷। আর ১১.৪৩ শতাংশ অনার্স ডিগ্রিধারীর বেতন মাসে ১০ হাজার বা তার চেয়ে কম।

এসএসসি: দুই স্কুলে দুই শিক্ষার্থী, দুজনই ফেল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- সাতক্ষীরার কলারোয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় ও দেবহাটার বাবুরাবাদ ধাপুখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এই তথ্য নিশ্চিত করেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব জানান, প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে একজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। দুজনই ফেল করেছে। গত বছর এ তালিকায় বোর্ডের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল সাড়াতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

দুই হাত নেই, মুখে লিখেই জিপিএ ৩.৬৭

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ নিজের ইচ্ছাশক্তি আর পরিবারের অনুপ্রেরণায় শারিরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে মাসুদুর রহমান লাদেন। মুখ দিয়ে লিখেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার নাগেরগাতি গ্রামের মাসুদুর।

উপজেলার নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে লাদেন।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি লাদেনের প্রবল আগ্রহ ছিল। হাত নেই তাই অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়ালেখা করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইচ্ছা শক্তির ওপর ভর করেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় লাদেন। শুরুতে পা দিয়ে লেখার চেষ্টা করলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ দিয়ে লেখা শুরু করেন। এভাবেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করে। পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট কিংবা ফুটবলও ভালো খেলতে পারে লাদেন।

মাসুদুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সুন্দরভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এমন ফলাফল করতে পেরেছি। আর এ পথ চলায় প্রতিনিয়ত বাবা-মা, শিক্ষক ও সহপাঠীরা সাহস যুগিয়েছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহের ফলে এতদূর চলতে পেরেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ভবিষ্যতে যেন আরো ভালো কিছু করতে পারি।

মাসুদুরের বাবা সাহেব আলী বলেন, জন্ম থেকেই লাদেনের দুই হাত না থাকায় অনেকটা চিন্তিত ছিলাম। অনেকেই অনেক কিছু বলেছেন। কিন্তু তার শিক্ষকরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম জানান, তার এই ফলাফলে পুরো উপজেলাবাসী অনেক খুশি হয়েছেন। আমরা তাকে অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি যেন আগামীর পথ চলা আরো সুন্দর হয়। সেই সাথে তার ও তার পরিবারের জন্য সরকারি অর্থায়নে একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তাকে সব সময় সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

এসএসসির ফল প্রকাশ ৩১ মে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে আগামী ৩১ মে (রবিবার) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এদিন ফল প্রকাশের সম্মতি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী রবিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।

চলতি বছর এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফল দেয়া হবে। আর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে।

এদিকে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা মেনেই শিক্ষার্থীদের ফল সংগ্রহ করতে বলেছে হয। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফল প্রকাশের দিন জমায়েত হওয়া যাবে না।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্র জানান, করোনার মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পেতে ৮ লাখ ১২ হাজার ৮৫০ জন শিক্ষার্থী প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে। এছাড়া আগামী ২৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

২১ মে’র পর যেকোনো দিন এসএসসির ফল প্রকাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আগামী ২১ মে’র পর যেকোনো দিন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড কমিটি। সে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এ সময়ের পর অর্থাৎ ঈদের আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় নির্ধারণ করবেন সেদিন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

এদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেশের সবগুলো শিক্ষা বোর্ড দুই শিফটে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি মাসের ২৬ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে এ ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে। আগামী ২১ মে’র মধ্যে ফলাফল প্রস্তুতের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই এ সময়ের পর যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক বলেন, আগামী ২১ মে’র পর এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে। সেই ভিত্তিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে ফল প্রকাশের প্রস্তাব পাঠাব। চলতি সপ্তাহে এ প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় নির্ধারণ করবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস করে পরীক্ষা ফল জানা যাবে। ঘরের বাইরে না গিয়ে কীভাবে সহজেই শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেয়া যায় সে চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, “কাজ দ্রুত শেষ করতে আমাদের দুই শিফটে কাজ চলছে। উত্তরপত্র দ্রুত নিয়ে আসতে ডাক বিভাগ আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছে। আশা করছি এ মাসের শেষ নাগাদ ফল প্রকাশ করা যাবে।”


সূত্রঃ Jagonews24.com