সাংবাদিক ও কবি মাশুক চৌধুরী মারা গেছেন

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও কবি মাশুক চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন)।

মঙ্গলবার রাত ১.৩০ টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে প্রবীণ সাংবাদিক ও কবির বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

পরিবার সূত্রে, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ শনাক্ত হলেও তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মাশুক চৌধুরী স্ত্রী, এক কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বিএফইউজের দুই অংশের নেতারা।

কবি ও সাংবাদিক মাশুক চৌধুরীর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেন।

এরপর ১৯৭২ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন মাশুক চৌধুরী। তিনি দৈনিক দেশ, দৈনিক খবরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।

৭০ এর দশকের খ্যাতিমান কবি মাশুক চৌধুরীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রিয়তমা আমার’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘স্বর্গের রেপ্লিকা, ‘অত্যাগসহন’, ‘নদীর নাম দুঃসময়’।

মাস্কের বদলে ফের ফুল বিক্রি হবে || ফয়সাল হাবিব সানি

মাস্কের বদলে ফের ফুল বিক্রি হবে
ফয়সাল হাবিব সানি


কথা দিচ্ছি, অসুস্থ পৃথিবী সুস্থ হলে আমি আবারও তোমার প্রেমে পড়ব৷

আমি তোমার জন্য সেদিন পর্যন্তও অপেক্ষা করব, যেদিন রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে মাস্কের বদলে ফের রাশি রাশি ফুল বিক্রি হবে আর আমি মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে পাগলের মতো ‘ভালোবাসি’ ‘ভালোবাসি’ বলে চেঁচিয়ে তোমাকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরব।

ভালোবাসাকে আড়াল করবে দূরত্ব, তুমিই বলো তার সাধ্য কই? এমন তো একটা দিন চায়, যেদিন পৃথিবীতে আমৃত্যু ম্যাজিক ভালোবাসার ঘুড়ি উড়িয়ে তাজ্জব হৃৎপিণ্ডে পুরে অদ্ভুত সুন্দর আকাশ বয়ে বেড়াবে আমাদের এই মনুষ্যজন্ম!

এই পৃথিবী সুস্থ হলে হয়তো তোমার সাথে আমার নাও দেখা হতে পারে, তবে যেদিন থেকেই ফুলের কাছে ঘ্রাণের কাছে তুমি ছড়িয়ে পড়েছো, সেদিন থেকেই আমার বুকের বাঁম পাশে তোমার জন্য গুজে রেখেছি সহস্র রক্তগোলাপ!

সেই রক্তগোলাপের প্রতিটা রক্তচূড়ায় তোমার উপস্থিতি, তোমার জাদুকরী ঠোঁটের চুম্বনের দাগ আমি সেখানে কি দিয়ে মুছি বলো?

আচ্ছা, তুমি প্রেম নাকি দেবী? তুমি প্রতিমা নাকি নারী? কি নাম দেবো তোমার রাণী?
তুমি ফুল হয়ে স্পর্শে স্পর্শে তুমুল মগ্ন করো আমাকে! যেন তখন আমিই ফুলদানি।


লেখকঃ তরুণ কবি ও সাংবাদিক
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত পাঁচটি কবিতাগ্রন্থের রচয়িতা।
স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ (বাংলা বিভাগ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), গোপালগঞ্জ।

শেষ বার্তা

নাহিদুল ইসলাম ইমন


মাঝরাতের এ বার্তা যদি তোমার নিকট পৌছায়-
তবে না হয় ভুলবশতই ক্ষমা করে দিয়ো আমায়।
ভুলের খেয়ালে,জিদের হেয়ালে দিয়েছো যে যন্ত্রনা,
জানি করোনি তুমি,পেয়েছো কারো মন্ত্রনা!

অন্যের সাথে স্থীর চিত্রে যদি থাকোই হাসি-খুশি,
তবে বলো কেন বারংবার-“তোমায় ভালবাসি”!
রাগবশত,আবেগবশত করেছো যত অবহেলা,
সইতে না পেরে যাচ্ছি আমি,হবে তুমি একেলা।

যাচ্ছি আমি,যাবে তুমিও,হারাবে যত আশা,
মিথ্যা অপবাদে,হিংস্র উন্মাতে পুনরায় দিলে ধোকা!
আজ যতই ডাকো বারংবার,চিৎকার হোক যতই!
নতুন ভোর দেখতে দিয়ে এবার আমি যাবোই।

আমার আর্তনাদ যদি বুঝতে পারো,
সুখে থাকতে পারবে না,ভালবাসা বাড়বে আরো।

বুঝলে না এ আর্তনাদ, শুনলে না এ হৃদয় কল্লোল,
রয়েই গেলে অধরা,হলে না, হবেও না আমার শৃঙ্খল।
আমার হৃদয়ে আজ বারি বর্ষন,
তোমার কালো মনে ঢাকা আমার সুখের অনুক্ষন!

কেন করো এমন!তবে তুমিও কি তেমন?
খুলো মনের দ্বার,দেখো মনের জ্বালাতন।
কি সুখ পাবে তুমি?কি আনন্দ পেলে করে ছলনা,
যতই বলি- শুনবে না, দিবে যতশত বাহানা!

আজকের এই শেষ বার্তা জানি কেউ পৌছে দিবে,
অতঃপর-প্রস্ফুটিত একজোড়া ফুল আকস্মিকই ঝড়ে যাবে!!