কবিতা: আয় আয় চাঁদ মামা

আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।

ধান ভানলে কুঁড়ো দেব
মাছ কাটলে মুড়ো দেব
কাল গাইয়ের দুধ দেব
দুধ খাবার বাটি দেব
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।

 

আমার একজন আমি থাকুক

মো: মাজেদুল ইসলাম


আমি চাই,আমারও একটা আমি থাকুক।
এই বৃষ্টির বদ্ধ দিনে গল্প করার মতো একজন থাকুক।
আমি চাই,অনলাইনে উকি দেওয়ার মতো আমারও কেউ থাকুক!!
রাতে ঘুমানোর আগে, শুভরাত্রি বলার মতো একজন নারী থাকুক।
বিষণ্ণ বেলায় মন ভালো করার, এক মায়াবিনী থাকুক।

যখন একাকীত্ব চারদিকে ভর করে!!
তখন সংগ দেওয়ার জন্য এক চিত্রাঙ্গীনি থাকুক।
ভোরের কুয়াশার চাঁদরে নগ্ন পাগুলো কে রাঙানোর সময়, এক সঙ্গিনী থাকুক।

গোধূলি বেলায় রক্তিম সূর্য যখন ডুবু-ডুবু করে,
সেই অলৌকিক দৃশ্য দেখার সময়,
পাশে এক মহিনী থাকুক
চারদিক যখন স্তব্ধ , নিশাচরের মতো আমি জেগে থাকি!!

তখন, আমাকে ঘুমানোর চেষ্টায় রত একজন নারী থাকুক।
খুব বেশি তো চাইনি আমি——
আমাকে সর্বদা পাশে আছি বলার মতো,
একজন আমি থাকুক।

মানব কুপ | সোয়াদুজ্জামান সোয়াদ

কোলাহলে মুখরিত থাকো
হরেক রঙের মানুষে
কেউ আসে না নিজে থেকে
যদি না পরে অসুখে।

কলাপাতা-সাদা ড্রেসে
আসে ওরা আসে,
সাদা গাউন পরে,
কাধে স্ট্রেটিস্কোপ ঝুলিয়ে।
ওরা আসে ওরা আসে
সরকারি বেতন ভুক্ত বলে যাচে।

দেখার নামে পেট টিপে
চোখ চাড়িয়ে দেখে
সামান্য কিছুতেও কত
পরীক্ষা দেয় লিখে।

মধ্যবিত্ত-ধনী গরীব
ছুট দেয় তারা ল্যাবে,
কোম্পানির লোক থাকে
দাঁড়িয়ে ঔষুধের হিসেবে।

দালালেরা ব্যাবসা করে
কাউন্টারে-কাউন্টারে,
সিরিয়াল ঢেলে সামনে দেয়
পকেটে টাকা ভরে।

তাদের কাছে রোগী পন্য
নিতে হবে লুটেপুটে,
জমি যাক গরু যাক
আজরাইল যেন না আসে।

কেউ ফেরে সুস্থ হয়ে,
কেউ আবার লাশ,
কেউ বা ফেরে ডাবল হয়ে
কেউ বা থাকে মাসের পর মাস।

মো. সোয়াদুজ্জামান সোয়াদ, শিক্ষার্থী, এগ্রীকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), দিনাজপুর। ‎

বৈষম্য

অমল দত্ত


হে তুই এক আকস্মিক ধরণী,
তোর মাঝে কত যে রূপের হাতছানি,
কেউ থাকে না রাজহালে,
আর কেউ থাকে তিমিরের মাঝে পড়ে,
চলে অর্থের মায়াজালে,
আর কেউ বাঁচে সততার বলে।

কেউ থাকে উঁচু সব দালানে,
আর কারো হয়নাকো জায়গা রাস্তার ধারে,
কেউ পরিধান করে নতুন সব বস্ত্র,
আর পায়নাকো কেউ গা ঢাকার একখানা বস্ত্র।

কেউ খায় হোটেল-রেস্তোরাঁয়,
আর কারো জোটেনাকো রাস্তায় ফেলে দেওয়া অন্ন।
কেউ রাস্তায় বেরোয় গাড়ি চড়ে লোক দেখানোর জন্য,
আর কারো পায়ে হেঁটে হয়না যে পথ সম্পন্ন।

আজ মানুষের মুখে তুলে দেয় অন্ন,
এমন কেউ আছে-
যায় দেখা অতি সামান্য!
আজ সকলেই হয়িয়াছে মহান,
শুধু খেটে খাওয়া মানুষের জন্য।

তবুও তাদের জন্য হয়নাকো দয়া-
এক মুহূর্তের জন্য!
তারা করেছেকো ত্যাগ স্বার্থকে,
দিয়েছেকো বলি নিজেরই মাঝে,
তবুও হয়নাকো মায়া,
হয়নাকো দয়া সাহায্যের জন্য।

তাদের আজ রয়েছেকো অভাব,
রয়েছেকো সকল-সমস্যার ভাব,
যেন এই ধরণীর বৈষম্যের জন্য।
পারিবেকি মানুষের ভেদাভেদ করিতে দূর,
পারিবেকি করিতে কালের একূল-ওকূল,
তবেই ধরণী হবে বৈষম্যের প্রতিকূল।

প্রতিশ্রুতি | তাজমিন রহমান

নিখিলেশ,
এবার যে তোমার আমাকে শাড়ী -চুড়ি কিনে দেবার কথা ছিল
তুমি কি ভুলে গেছো!!
কিন্তু তা কি করে হয়?
তুমি তো ভুলো মনা নও।।

মনে আছে সেদিন বলেছিলে-
এবার বৈশাখে তোমায় নিয়ে রিকশায় করে সারা শহর ঘুরবো
আমি বলেছিলাম রিকশায় কেন?!
তুমি হেসে কবির ভাষায় বললছিল-রিকশায় ওঠায় একটা রাজকীয় ভাব আছে, মাথা উচু করলেই আকাশ দেখতে পাওয়া ।।

কিন্তু নিখিলেশ,,তুমি তো এলে নাহ
আমার আর রাজকীয় ভাবে আকাশ দেখা হলো নাহ।।

তোমার মনে আছে সেদিন বলেছিলে- এবার শ্রাবনে তোমায় নিয়ে সিরাজ মামার দোকানে ইলিশ খিচুড়ি খেতে যাবো
তুমি এটাও বলছিলে আমি যেনো কাচের চুড়ি পড়ি
আমি বলেছিলাম কাচের চুড়ি কেন??
সদাহাস্য তুমি বলেছিলে-খিচুড়ির গন্ধে আর চুড়ির শব্দে মুহূর্তটাকে বাচিয়ে রাখতে চাই অনন্তকাল।।

কিন্তু তুমি কি বেচে আছো??শ্রাবণ তো চলে গেছে,ফুরিয়ে গেছে খিচুড়ির গন্ধ
চুরি গুলো ভেঙে পড়ে আছে ধুলোতে
তবু তুমি এলে নাহ।।

নিখিলেশ, ,
শরৎ কালের কথা মনে আছে তো??
কাশফুল প্রকৃতির নিয়মে ফুটে আবার ঝরে গেছে
তবু তোমার সাথে নৌকা ভ্রমণ আর জোসনা বিলাস হলো না।
তুমি কবে আসবে নিখিলেশ??

মনে আছে এবার শীতে আমাদের পাহাড়ে যাবার কথা ছিল
যেখানে মেঘ পাহাড়ের বুকে নেমে আসতো,
কুয়াশা ভেজা মেঘগুলো নাকি তুলোর মত!!
কিন্তু আমার যে কিছুই দেখা হলো নাহ
কিভাবে মেঘ পাহাড়ের বুকে নেমে আসে
কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কাচা রোদ আমার দেখা হলো নাহ এবারেও

শীত পেরিয়ে বসন্ত এলো
নিখিলেশ তুমি কি সব ভুলে গেছো??
ভুলে গেছো আমার অপেক্ষার কথা
বসন্ত ফুরিয়ে যাচ্ছে, সাথে ফুরিয়ে যাচ্ছে আমার জীবন
তোমার দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির ভারে আমি নুয়ে পড়েছি।

নিখিলেশ,
তুমি মাতৃভূমির আজ্ঞা পালন করে তবেই না হয় এসো
এই অদৃশ্য যুদ্ধ শেষ হলে তবেই না হয় এসো।।
তবু তুমি এসো নিখিলেশ, তবু তুমি এসো।


তাজমিন রহমান
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

একদিন ছবি হব

আসিফ ইকবাল আরিফ

একদিন ছবি হব
খুব ঝাপসা আর বিবর্ণ এক
আধছায়া ছবি
ঠিক যেন মনের আবেশে
শিল্পীর কালির শেষ বিন্দুতে আঁকা
অপূর্ণ এক অসমাপ্ত শিল্পের মত।

একদিন ফটো হয়ে থাকবো ঝুলে
কক্রিটের সাদা দেওয়ালে
কোনো এক জং ধরা ফ্রেমে
ধুলো আর ময়লাতে ছেয়ে যাবে
কোনো এক রমণীর ঘরে।

একদিন ছবি হবে আমার এই
সিল্কি আর ঘন কালো আধপাকা
লম্বা চুলগুলো
মনের আরতি দিয়ে কেউ আঁকবে
করে একেবারেই এলোমেলো।

সাধ্যের সবটুকু দিয়ে
ব্যর্থ চেষ্টা করবে কোনো এক শিল্পী
কল্পনার সবটুকু যশ ঢেলে
তবুও এই আমি তার ছবিতে ঝাপসা হবো।

একদিন ছবি হবে আমার কাজল বর্ণ চোখ দু’টো
আমার চোখের কাব্যি করা কবির কাছে
সেদিন ব্যর্থ হবে সে আঁকতে এক ফটো।
আমার এই জলজল আর ঝলমল
চোখের ছবি বড্ড ঝাপসা হবে
চোখের পলক বুঝলে এক নি:শ্বাসে।

আমার চোখে প্রেম চাওয়া সেই প্রেমিকা
কাব্যি করা সেই ছন্দের কবি
আর আমার চোখের চাহনিতে কাবু হওয়া
সেই অহংকারী রমণী
সেও কিন্তু ঝাপসা এক প্রতিচ্ছবি
বহুকষ্টে স্মৃতির পাতা খুঁজে তন্ন তন্ন করে
পাবে শুধুই ঝাপসা এক ছবি।

একদিন ছবি হবে আমার এই ঠোঁট দু’টো
প্রেমের আদরে তৃপ্ত প্রেমিকাও
স্মৃতির পাতা হাতড়ে পাবে
বড্ড ঝাপসা ঠোঁঠের ছবি।

একদিন ছবি হবে আমার নাসিক্য কর্ণ
আর ভ্রুযুগল
শিল্পী তার রঙ তুলিতে
আকঁবে অনেক যতনে
ঝাপসা আর এক বিবর্ণ
ছবি খুঁজে পাবে সেও।

একদিন ছবি হবে আমার বক্ষ
তেলাপোকার ভয়ে
হঠাৎ চিৎকার করে
অল্প ভয়ে কাতরিয়ে
বুকে আশ্রয় নেওয়া
সেই অবুঝ মেয়েটিও এক ঝাপসা ছবি পাবে
তার মনের অতল হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে।

একদিন ছবি হবে আমার হাত দু’টো
সহস্রের পর সহস্র হাতে হাত রেখে
পথচলা প্রেমিকাও ঝাপসা একগুচ্ছ
হাতের ছবি খুঁজে পাবে।
অল্প জ্বরের কাতর যেই মেয়েটির
মাথার কালোকেশে আর কপালে হাত বোলানোর
ছবিও তার কাছে ঝাপসা হয়ে যাবে।

একদিন ছবি হবে আমার পরিচয় নির্মাতা
রক্ত-মাংস আর শিরার পিণ্ডটি
প্রিয়ার সহিত কাটানোর
সকল প্রেম ফাল্গুনের সাক্ষী যে
সেই পিণ্ডটিরও ঝাপসা ছবি থাকবে
প্রেমিকার মনের কোণে।

সব মানুষই ছবি হয়ে যায়
চোখের আড়ালে গেলে
চোখের সামনের জ্যান্ত চলাফেরার
মানুষটাও দীর্ঘদীনের অদেখায় ছবি হয়ে যায়।
যত দিন যায় ততোই ঝাপসা হয়ে যায়
সেই মানুষের ছবি।
মানুষ হারিয়ে যাওয়া মানুষের
মুখ অবয়বের একটুকরো ঝাপসা
ছবি ছাড়া আর কিছুই আঁকতে পারেনা।
একদিন ছবি হব
সেই ছবি
বড্ড ঝাপসা আর বিবর্ণ এক ছবি।


লেখক: সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

তৃষ্ণার্তা | কাজী জহিরুল ইসলাম

তৃষ্ণার্তা
কাজী জহিরুল ইসলাম


তৃষ্ণার্তা,
তুমি বলেছিলে আজ
তোমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখতে

যে কবিতার বরফ জমেছিলো
কয়েক সহস্রাব্ধ বছর পূর্বে
তখন তুমি কোথায় ছিলে?

তৃষ্ণার্তা
ভেবেছো কি কখনো?
আমার অনুরাগের ব্যথা
যখন হৃদয়ে ভাবাবেগের ঢেউ মেতেছিলো
উদ্বেলিত করেছিল সমগ্র অঙ্গ-পতঙ্গে
তখন তুমি কোথায় ছিলে?

ক্ষুদার রাজ্যে আমার মন যখন পদ্যময়
তখন যদি তুমি বলতে?
আমায় নিয়ে একটা কবিতা ল্যাখো
ঝর্ণার পানির মতো গড়িয়ে পড়তো
ছন্দের-অলঙ্করণে ঘেঁষা শতশত কবিতা।

প্রশান্তের ঢেউয়ের মতো থাকতো যার যৌবন
কুয়াশার মতো হতে পারতো কোমল
ভালোবাসায় রাঙ্গিয়ে দিতো সমগ্র বাঙ্গালির মন।

তৃষ্ণার্তা!
তখন তুমি কোথায় ছিলে?


শিক্ষার্থী, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

পথিক | দীপিকা রায়

দীপিকা রায়


হে পথিক,
তোমার যা কিছু ছিল প্রয়োজন
সবে’ই তো নিয়েছিলে সাথে;
যাত্রার শুরুতে, সেই প্রথমপ্রভাতে।

তবু কেন মুখখানা এত আনমনা
নিগূঢ় আঁধারে গেছে ঢেকে!
পিছনে ধাবিত বাতাস ও ওঠে ডেকে,
চলমান পথ কী তাকায় পিছে!
তুমি কেন বারবার ফিরে দেখো মিছে?

হে পথিক,
কম্পিত কেন পদক্ষেপ তোমার?
দেখনি সময় চক্রাকার!
আর কত ভাঙবে জয়ের উজ্জ্বল মূর্তি;
দোটানার বাহানায় লুণ্ঠিত প্রহর
রুদ্র বৈশাখের দ্রোহে কাঁপে,
কামপীড়িত সঙ্গমে ধরাধাম তাপে।

কি দেখবে পশ্চাতে?
ওরা উলঙ্গ লস্কর,
সমুদ্র সম্ভোগে মাতে হারায় নঙ্গর।

হে পথিক,
দেখো তাকিয়ে সূর্যটা ঢুলঢুল
আর কয়েক মুহূর্ত বাকি;
শীঘ্র’ই ধরিত্রী হবে রাতের সম্রাজী।

শোনো, বিকেলের দোয়েল হয়ে কে ডাকে?
সে কি আগুন্তুক মহাকাল!
যার প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়েছে ত্রিকাল,
যে শত সাফল্যের ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথে,
পরায় যতনে যুগের গলাতে।

হে পথিক,
কি আছে তোমার?
দিতে পারো তাঁকে।

মা

মুহম্মদ সজীব প্রধান


মায়ের হাতের পরশ যেনো স্বর্গতুল্য সুখ,
দেখলে তার বদনখানি দূর হয় শত দুঃখ।
সুখে, দুঃখে কেবল তিনি সবার চেয়ে আপন,
রাতিদিনি খোকা নিয়ে তার কতনা স্বপন!

রাত্রি এলে মা যে থাকে দাঁড়িয়ে দ্বারে,
কখন আসবে খোকা মোর ঘরেতে ফিরে।
খোকার গায়ে কভু যদি একটু জ্বরও আসে,
সারারাত্র থাকে মা খোকারই পাশে।

শিক্ষা-দীক্ষায়, কাজে-কর্মে মা যে জীবনপ্রভা,
মায়ের স্নেহ পরশ ছাড়া জীবন প্রদীপ নেভা।
লেখাপড়া শেষে খোকা হলে মহামানব,
মায়ের মুখে ফোটে হাসি, চোখে স্বপ্নের অণর্ব।

ডাকবি কারে মা

অ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম


ডাকবি কারে মা ওরে মন,
আসবোনা সে তো আজীবন।
ওপারে তার ডাক পড়েছে,
মাতো আমার চলে গেছে।

আমি ছিলাম তার নয়ন মনি,
সেতো ছিল স্নেহের খনি।
কষ্টটা কি জানতাম না,
তাকে কভু ছাড়তাম না।

সারাদিন তার আঁচল ধরে,
ঘুরতাম শুধু ধারে ধারে।
একটু চোঁখের আড়াল হলে,
জবাব নিতো ‘কোথায় ছিলে’।

আজ আর কেউ নেয়না খবর,
আজ আর নেই দয়ার সাগর।
এই হাতে তারে করেছি দাফন,
পাবিনা মা আর আজীবন।


লেখকঃ অ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম, জজ কোর্ট, পঞ্চগড়।