স্বাস্থ্যমন্ত্রী: প্রয়োজন হলে লকডাউন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোনো এলাকা যদি করোনাভাইরাস বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। দেশের যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।’-ডেইলি স্টার।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের মাধ্যমে চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে । অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো। আমাদের দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে হবে। লকডাউন হচ্ছে আক্রান্ত এলাকার জন্য করোনা মোকাবেলার একমাত্র উপায়।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন বড় সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে, বেশি আক্রান্ত হলে এটি করতে হবে। আমরা তো এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি বলে মনে করি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১ জন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০-এরও বেশি। তাছাড়া তার কিডনি, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ ছিল।’

তিনি প্রশ্নের উত্তরে আরো জানান, প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবণতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাবো। অন্যান্য জেলায় যতজন পাচ্ছি, সেসব জেলায় (মাদারীপুর, ফরিদপুর) বেশি পাচ্ছি। আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে বেশিভাগই সেখানকার। ওখানকার লোক বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য আমরা সেসব এলাকা বেশি ক্রিটিক্যাল মনে করছি। আগামীতে সেখানে যদি সত্যিই বেড়ে (সংক্রমণ) যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করে দেবো,’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। এটা তো আমাদের বিরাট একটা সফলতা যে এত মানুষকে আমরা রাখতে পেরেছি। আর যারা লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করছি। তাদের জেলে যেতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হচ্ছে। সেই বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।’

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৬

আন্তর্জাতিক টুডে


করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৬ জন। এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরো প্রায় ২ হাজার মানুষ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশে ১৩ জনের মৃত্যু ও ৩২৩ জন নতুন করে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

চীন সরকার উহানসহ ১২টির বেশি শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনের নতুন বছর উদযাপনের সব অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নতুন করে প্রদেশটির ১৮টি শহরে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রদেশটির পাঁচ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। প্রদেশটির রাজধানী উহানে মোতায়েন করা হয়েছে চীনা সেনাবাহিনীর ৪৫০টি মেডিকেল টিম।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের এ শহরে নতুন করে সাতজনের মৃত্যু এবং ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে হুবেইর উত্তর সীমান্তের হেনা প্রদেশে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রথমবারের মতো সাংহাই শহরেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চীন কতৃপক্ষ এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ৭দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসাসেবায় কাজ শুরু করবে। যাতে শয্যা থাকবে ১ হাজার।