করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু

কুবি টুডে: করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবুল হাসান।

রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবুল হাসান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের সন্তান। গত কিছুদিন আগে ধরে জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কুমিল্লা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ দিন ভর্তি ছিলেন।

পরে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে রিলিজ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিন সকালে ফের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দুপুরের দিকে হাসাপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। আবুল হাসানের জানাযা তার নিজ বাড়িতে এশার নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি আইনুল হক বলেন, আবুল হাসান কয়েকদিন ধরেই একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত শুক্রবার কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে সে। তবে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ আবার কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ১৬তম দিনে মালয়েশিয়া ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু

সারাদেশ টুডে


গোলাম মোস্তফা (৬০) নামে মালয়েশিয়া ফেরত প্রবাসীর যশোরে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ১৬তম দিনে মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।

এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে, মৃত গোলাম মোস্তফার করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

মৃত গোলাম মোস্তফা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়া শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেছার আলী জানান, মোস্তফা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করতেন। এ জন্য মালয়েশিয়াতে আসা যাওয়া ছিলো তার। সবশেষ তিনি গত ১৪ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।

হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ১৬তম দিনে তিনি বাঁকড়া বাজারের বাসা থেকে তার গ্রামের বাড়ি উজ্জ্বলপুরে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি মারা যান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তারা জানিয়েছেন গোলাম মোস্তফা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। অবশ্য এর আগেও তিনি দুইবার স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ হয়েছিলেন।

মৃত্যুর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী মজুমদার বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় গোলাম মোস্তফার করোনা আক্রান্তের কোনো লক্ষণই ছিল না। তবু মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক পরীক্ষা করেছেন। স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে নীরবে পিপিই পরে দাফন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


মোহাম্মদপুরের ৫০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর পর তাকে দাফন করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরেই সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

রবিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। করছেন স্বজনরা সন্দেহ করছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

ওই নারীর মরদেহ যারা দাফন করেছেন তাদের শরীরে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ছিল। দাফনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ৫ জন ব্যক্তি কবরস্থানের ঝিলপাড়ের প্রান্তে গিয়ে নেমেছেন। সকলের পরনে পিপিই। অ্যাম্বুলেন্স থেকে একটি স্ট্রেচারে করে সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ নামানোর পর কবরস্থানের ইমাম ও উপস্থিত ৮ জন মিলে জানাজা পড়েন। জানাজা শেষে স্ট্রেচারে করে মৃতদেহটি কবরের কাছে নেওয়া হয়।

মরদেহটি কবরে নামান পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরা তিনজন। দাফন শেষে ওই ৫ জন ঝিলের পাড়ে এসে পিপিই খুলে, এবং পিপিই-গুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নষ্ট করা হয়।

খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের স্টাফ মো. ফেরদৌস বলছিলেন, দাফনে ওই নারীর স্বামী ও সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। দাফনের আগে তারা কয়েকজন জানাজা পড়েন।

মৃতের স্বামী জানান, এখনও জানতে পারেননি ওই নারীর স্বামী। তার স্ত্রী কয়েক দিন ধরেই সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। খুব বেশি অসুস্থ ছিলেন না। তবে তারা হাসপাতালে যাননি।

তিনি আরও জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হলে রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে আমাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় এসে নমুনা নিয়েছে। তবে পরীক্ষার ফল এখনও পাওয়া যায়নি।’

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: প্রয়োজন হলে লকডাউন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোনো এলাকা যদি করোনাভাইরাস বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। দেশের যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।’-ডেইলি স্টার।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের মাধ্যমে চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে । অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো। আমাদের দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে হবে। লকডাউন হচ্ছে আক্রান্ত এলাকার জন্য করোনা মোকাবেলার একমাত্র উপায়।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন বড় সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে, বেশি আক্রান্ত হলে এটি করতে হবে। আমরা তো এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি বলে মনে করি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১ জন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০-এরও বেশি। তাছাড়া তার কিডনি, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ ছিল।’

তিনি প্রশ্নের উত্তরে আরো জানান, প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবণতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাবো। অন্যান্য জেলায় যতজন পাচ্ছি, সেসব জেলায় (মাদারীপুর, ফরিদপুর) বেশি পাচ্ছি। আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে বেশিভাগই সেখানকার। ওখানকার লোক বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য আমরা সেসব এলাকা বেশি ক্রিটিক্যাল মনে করছি। আগামীতে সেখানে যদি সত্যিই বেড়ে (সংক্রমণ) যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করে দেবো,’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। এটা তো আমাদের বিরাট একটা সফলতা যে এত মানুষকে আমরা রাখতে পেরেছি। আর যারা লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করছি। তাদের জেলে যেতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হচ্ছে। সেই বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।’