ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রতি ৩ মিনিটে ১ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক টুডেঃ করোনা মহামারি মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে ভারতের মহারাষ্ট্রে । কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যটিতে প্রতি ৩ (তিন) মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে গড়ে প্রতি ৩ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন।

নূরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গতকাল রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৬৮ হাজার ৬৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ জন। গতকাল রাজ্যটিতে মারা গেছেন ৫০৩ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মারা গেছেন ৬০ হাজার ৪৭৩ জন।

এইচএসসি ২০২০ এর ফল প্রকাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ চলমান বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়া গত বছরের অর্থাৎ ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রস্তুত, প্রকাশ ও সনদ বিতরণের ক্ষমতা শিক্ষা বোর্ডগুলোকে দিয়েছে সরকার।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে জারি করা তিনটি গেজেটের মাধ্যমে নয়টি সাধারণ বোর্ডের সঙ্গে মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

SSC New Short Syllabus 2021 PDF (Download Now)

গেজেটে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধন করা হয়েছে।

২০২৪ আগে বিশ্বের সবার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হবে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা।

অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেব কষে দেখান প্রতিজন মানুষের যদি দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয় তাহলে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে হবে। সে হিসেবে পৃথিবীর সবার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে ৪-৫ বছর সময় লাগবে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ’র।

সিরাম ইনস্টিটিউট বর্তমানে অ্যাসট্রাজেনেকা ও নোভাভ্য়াক্সসহ ৫টি আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তি করে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসির তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দি ফিনান্সিয়াল টাইমসের বরাতে জানা যায়, অ্যাসট্রাজেনেকার চুক্তির ভিত্তিতে সিরাম প্রতি ডোজের প্রায় ৩ ডলার রেখে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চায়। নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুসারেও একই দাম পড়বে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের।

উপযুক্ত পরিবেশ হলেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: উপযুক্ত পরিবেশ হলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসসি) নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ পরীক্ষা গ্রহণের সমস্ত প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং অপচয় রোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেন মন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায়।

ড. দিপু মনি বলেন, করোনা সংকটকালে অনলাইন ও টেলিভিশনে পাঠদান চলছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে শতকরা প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। অনলাইনে পাঠদানে আজ নতুন একটি প্লাটফর্ম চালু করা হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি ব্যবহার করতে পারবে।

এসময় শিক্ষার্থী ও অভিভাববদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এই সময়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও সবাই এই সময়টাকে যেন কাজে লাগাই। পাবিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করি। নতুন দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার প্রতি মানবিক আচরণ করি।

দিপু মনি তার বক্তব্যে অনলাইন শিক্ষা সহজলভ্য করতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন।

গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা ভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তে উপযুক্ত নয় গণস্বাস্থ্যের কিট রোগ শনাক্তে উপযুক্ত নয়। এছাড়া এ কিট দিয়ে মাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

 

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানান। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কিট সহায়তা করবে বলেও তিনি মত দিয়েছেন।

 

এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।

 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তে রেপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবনের পর ২৬ এপ্রিল তা হস্তান্তরের আয়োজন করে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করতে যায়নি। এই কিটের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ওষুধ প্রশাসন। তখন তারা বলেছে, সিআরও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (মধ্যস্বত্বভোগী) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার পর তা তারা অনুমোদন দেবেন।

 

এর আগে বিএসএমএমইউ সূত্রে বলা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরম্যান্স কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।

 

এদিকে ১৭ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘোষণা দেয়, নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম, এমন একটি টেস্টিং কিট তারা উদ্ভাবন করেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কিট তৈরি করেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। এর দু’দিন পর কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

 

কিট পরীক্ষা নিয়ে বেশ বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআর,বিতে ওই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অনুমতি দেওয়া হয়।

 

এরপর ২ মে সেই পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

 

এরই মাঝে, ২৬ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই টেস্ট কিটের ট্রায়ালের জন্য ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে ২৫ মে রাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছিল সেই উদ্যোগ।

 

আজকের সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান (উপ-উপাচার্য, শিক্ষা), অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম (উপ-উপাচার্য, প্রশাসন), অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন (উপ-উপাচার্য, গবেষণা ও উন্নয়ন), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম (ভাইরোলজি বিভাগ), অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ (চেয়ারম্যান, মাইক্রোবায়োজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগ, অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী (চেয়ারম্যান, ভাইরোলজি বিভাগ) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

ফ্রি করোনা পরীক্ষা করতে পারবে চবি শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ফ্রি করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন । পরীক্ষার নমুনা দিতে চট্টগ্রামের কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরপরে নমুনা বিশ্ববিদ্যায়ে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। বিনামূল্যে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও এ সুবিধা পাবেন ।

সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চবি পরিবারের কারো করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ব্র্যাকের সহযোগীতায় কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথ নমুনা জমা দিতে পারবেন। এ জন্য চবি প্রক্টর অফিসে নাম জমা দিয়ে প্রতিনিধি সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নমুনা জমা দিতে পারবেন আগ্রহীরা।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট করো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি প্রক্টর অফিসে লিখিত দিয়ে কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে স্থাপিত বুথে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে পারবেন। পরীক্ষার জন্য কোনরূপ ফি দিতে হবে না। আর এসব নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবেই আমরা পরীক্ষা করবো।

এর আগে সোমবার সকালে চবি উপাচার্যের বাসভবনে এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, করোনা মহামারীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস সতর্কতায় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে চিহিৃত করা একটি বড় কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের জন্য এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ব্র্যাকের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে উপস্থিত ছিলেন, চবি প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ব্র্যাক এর ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. ইয়াছিন মিঞা এবং রিজিওনাল ম্যানেজার জনাব মো. হানিফ উদ্দিন।

করোনা ভাইরাস: দেশে ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ রবিবার এর চেয়ে আজ সোমবার দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে মোট সুস্থতার সংখ্যা অনেক বেশি এমন তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে গতকাল করোনা থেকে মোট সুস্থতার সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৮ হাজার ৭৩০। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সংক্রমণ শুরুর পর থেকে মোট ৩৪,০২৭ জন হয়েছেন। গতকালের মোট সুস্থতার সংখ্যার সাথে একদিনে ১৫,২৯৭ বেশি যোগ হয়েছেন।

সুস্থতার হারে এত পার্থক্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, গত দিনের (রবিবার) চেয়ে আমরা আজকে সুস্থতা অনেক বেশি বলছি কারণ আজকে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে হাসপাতালে শুধু না, বাসায় এবং যারা উপসর্গবিহীন ছিলেন তাদের সবাই এটার মধ্যে যোগ হয়েছেন।

দেশের করোনা নিয়ে অনুষ্ঠিত দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।

নিয়মিত বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩,০৯৯ জন। আর এই সময়ে আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী।

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১,২০৯ জনে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯০,৬১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫,০৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫, ১৯, ৫০৩টি।

করোনা সংকটে ই-কমার্স এর সম্ভাবনা

আলমগীর হোসেন


করোনাভাইরাসে দেশের সংকটকালীন প্রথাগত ব্যবসা-বাণিজ্যে যখন অচলাবস্থা তখন সীমিত পরিসরে হলেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ই-কমার্স কম্পানিগুলো। ইন্টারনেটভিত্তিক প্ল্যাটফর্মগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে।

একবিংশ শতাব্দীর ইন্টারনেট এর যুগে মানুষের কেনাকাটার প্রথাগত অভ্যাস অনেকটাই বদলে যাচ্ছে। ধারণা করা যায় করোনা-পরবর্তী বিশ্বে ই-কমার্সেই ব্যবসার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।

অনলাইনে বসে কয়েকটা মাত্র ক্লিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বেচাকেনার ধারাটা আমাদের দেশে দ্রুতই জনপ্রিয় হচ্ছে, সহজেই জানা যাচ্ছে ভোক্তার চাহিদা। এটাই ই-কমার্স। আর এই ই-কমার্সে এখন নতুন এক সম্ভাবনার ক্ষেত্র নিয়ে এসেছে কোভিড-১৯। একটি মুদ্রায় যেমন দুই পিঠ বিদ্যমান, তেমনি কোভিড-১৯ এর রয়েছে অর্থনীতির উপর উভমুখী প্রভাব। একদিকে যেমন অনেকে হারাবে তাদের কর্মসংস্থান, ধারণ করবে বেকারত্ব ; অপরদিকে চিন্তাশীল, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করে অনেক উদ্যোক্তা ই-কমার্সকে বেছে নেবেন টিকে থাকার জন্য।

বর্তমান সময়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলো আর সুপার-স্টোরগুলোর অনলাইনে অর্ডার বেড়ে গেছে চার থেকে দশ গুণ। বিশ্বজুড়ে অ্যামাজন যেমন ১ লাখ লোক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশে দারাজ, চালডাল, পাঠাও, সহজ, সিন্দাবাদ, ফুডপান্ডার মতো কোম্পানিগুলোও বহু গুণ অর্ডারের চাপ সামলাতে প্রচুর লোক নিচ্ছে।

বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রসারটা গত চার বছরে বহু গুণ বেড়েছে। দারাজ অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা আমাদের মার্কেট প্রবেশ করেছে, এসেছে উবার; বাংলাদেশের কোনো ই-কমার্স কোম্পানি প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যায়ন পেয়েছে। এই প্রথম এককভাবে দুই মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন এই শিল্পে— তাও মাত্র দুই বছরে পাঁচটি কোম্পানিতে।

ই-কমার্সে প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান পরিমাপ হচ্ছে গ্রস মার্চেন্ডাইজিং ভ্যালু (জিএমভি) বা কতো টাকার অর্ডার পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেটাও বাংলাদেশে বেড়েছে কয়েক গুণ। দারাজের মতো কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে দুই বছরে ১০ গুণের বেশি।

অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে ১ লাখের বেশি মানুষ পাঠাও, উবার রাইডসেবা দিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিআরটিসির হিসাবে, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ৪ বছরে হয়েছে দ্বিগুণ। দৈনিক ৩ হাজারের বেশি মানুষ অনলাইনে খাবার কিনছিলেন। প্রায় একই সংখ্যক মানুষ অনলাইনে নিয়মিত শাকসবজি ও ঘরের বাজার করছিলেন প্রতিদিন।

এমনকী, সিন্দাবাদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানও তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়েছে চার গুণ। সব মিলিয়ে দেশীয় ই-কমার্সে শক্তিশালী, টেকসই উত্থানের সব লক্ষণ হচ্ছে উজ্জ্বল।

হঠাৎ করেই গত ১৬ মার্চের পর থেকেই দেশের কিছু কিছু জায়গায় করোনার জন্য মানুষজন ঘরে নিজেদের গুটিয়ে আনা শুরু করে। গত কয়েক বছর থেকে চালডাল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ঢাকায় গ্রোসারি বিক্রি করে আসছে। তাদের অর্ডার পরের সপ্তাহেই চার গুণ হয়ে যায়।

লকডাউনে দেশে আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা আসতে না আসতেই অন্যান্য কয়েকটি কোম্পানিও খুবই দ্রুত শাকসবজি ও শুকনো, নিত্যপ্রয়োজনীয় আইটেমে মনোযোগ দেয়— দারাজ, আজকের ডিল কিংবা প্রিয় শপ খুচরা দরে এবং সিন্দাবাদ পাইকারি দরে স্যানিটাইজার, অ্যান্টিসেপ্টিকের পাশাপাশি রান্নার তেল, লবণ, ঘর পরিষ্কারের জিনিসপত্র ইত্যাদির পসরা নিয়ে আসে। পাঠাও, সহজ, ফুডপান্ডা ইত্যাদির গ্রোসারি, মুদি পণ্য ও ওষুধসহ নানান পণ্য, স্বপ্ন ও অন্যান্য আউটলেট থেকে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার সেবা চালু করে।

এমতাবস্থায় মানুষ কেন ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকে পড়ছে?

ভেবে দেখুন লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও, কোভিড -১৯-এর এই হুমকি কার্যকরভাবে চিকিৎসা সরবরাহ না করা পর্যন্ত জনমনে স্থায়ী হবে বলে আশা করছে বিজ্ঞানীরা। এমতাবস্থায় ক্রেতারা পুনরায় শপিংমল, বাজার এবং রেস্তোঁরাগুলির মতো খুচরা স্থানগুলিতে যাত্রা করার পক্ষে যথেষ্ট নিরাপদ বোধ করবে না। নিরাপদ থাকার ভয় এবং আতঙ্ক তাদের কে ই-কমার্সের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর কথা চিন্তা করি, যেসব দেশে ই-কমার্স খুব ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত ; সেগুলোতে দেখা গেছে ৫০-৮০% মানুষ বাজারে ভীড় জমিয়ে কেনাকাটা এড়িয়ে চলছে।

কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে যেহেতু ই-কমার্স এখনও পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত নয় তাই না চাইলেও কেনাকাটা করতে বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের বাজারমুখী হতে হচ্ছে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিল পরিশোধের ব্যাপার পুরোপুরিভাবে অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে। যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিল, সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের চাকরির বেতন ইত্যাদি পরিশোধ করা যাচ্ছে সম্পূর্ণ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এতে করে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে এবং সেই সাথে মূল্যবান সময়ও নষ্ট হচ্ছে না। তাই অনেকেই ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

উন্নত দেশগুলোর সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে ই-কমার্স ;তবে বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা কতোটা? তেমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কেউ কেউ সংশয় করলেও প্রকৃত বাস্তবতা হলো, এদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত। আর তাতে নতুন মাত্রা আনয়ন করছে, করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাস যে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে খুব খারাপ একটা প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে বা ফেলে দিয়েছে এ বিষয়ে আমরা মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছি।

করোনার ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা খুব ভালভাবে ইন্টারনেটভিত্তিক বাণিজ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে। এতে করে করোনা পরবর্তী সময়ে ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকে পড়াটাই স্বাভাবিক।

অস্তিত্বের প্রয়োজনে ঘুরে দাঁড়ানো!

এবারের সংকট খুব দ্রুত চলে যাবে না। বরং, সংক্রমণের ভয় কেটে গেলে আসবে অস্তিত্বের ভয়। আয় নেই, তাই ব্যয় কমবে, কেনাকাটা কমবে। সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, ধরেই নিতে হবে সেটা বেশিরভাগ ই-কমার্সের কাছে পৌঁছাবে না।

কোম্পানিগুলো ব্যয় সংকোচন করে হোক, কর্মী কমিয়ে হোক, কৌশল পরিবর্তন করে হোক, ধার করে হোক, নিজেদের কমপক্ষে আরও ছয় মাস চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এটা বেঁচে থাকার যুদ্ধ— এমন একটা সময় যেটার জন্য সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোরও প্রস্তুতি নেই।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম করোনায় আক্রান্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন অব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সকলের কাছে দোয়া চেয়ে তিনি জানান, ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ।আলহামদুলিল্লাহ, শারীরিকভাবে ভালো আছি। সবার নিকট দোয়া ও ক্ষমার দরখাস্ত রইল।’

সরোয়ার আলম বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ও ওষুধ, এবং বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি দাম নেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ চালিয়ে প্রশংসিত হন তিনি।

এর মধ্যে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানেও নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী জানান, মে মাসের ২ তারিখ থেকে তার বড় ভাইয়ের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে ৪ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে আসেন।

সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে নমুনা পাঠানো হলে ১০ মে প্রকাশিত রিপোর্টে তার রেজাল্ট আসে।পরদিন ১১ মে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে নেওয়া হয় আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেলে কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে।

একদিন পর আসা রেজাল্টে পূর্বে আক্রান্ত বড় ভাইর নেগেটিভ এবং মোবারকসহ তার বাবা-মা, ভাবী এবং ছোট ভাইর মাঝে পজিটিভ পাওয়া যায়। এছাড়া ছোট বোনপর মাঝে নেগেটিভ পাওয়া গেলেও তার কাশি এবং শরীর ব্যথা রয়েছে।এর আগে তার বড় ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে উঠেন।

কিন্তু রেজাল্ট দেরিতে আসায় না জানার ফলে এরমধ্যে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিশেছেন। ইতিমধ্যে তার থেকে পরিবারের সকলের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যায়। মোবারক বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলার ফলেই আজ তারা সকলে আক্রান্ত।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ঘরে জায়গা সংকোলন না থাকায় সকলকে মিশতে হয়। কিন্তু বড় ভাইয়ের আক্রান্তের বিষয়ে আগে জানলে অন্যদের আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে হলেও তাকে আইসোলেশনে রাখা যেত। রেজাল্ট দেরিতে আসার ফলে আজ তাদের পরিবারকে এ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

বর্তমানে তারা সকলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে নিজ বাসায় সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন। নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ তাদের খোঁজ নিয়ে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নিকট মোবারাক দোয়া কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, নিয়মিত আমরা তার পরিবারের খবর রাখছি। দোয়া করছি যেন তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারেন। এছাড়া তিনি সকলকে অনুরোধ করেন করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য।