বাংলাদেশের ৯ জেলা এবং রাজধানীর ১৮ এলাকায় করোনা রোগী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের ৯ জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। এরই মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকায় ৩৬ জন শনাক্ত হয়েছে। রাজধানীর ১৮ এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছ। –দি বাংলাদেশ টুডে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে এই সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৯টি জেলা- ঢাকা, গাইবান্ধা, কক্সবাজার, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, কুমিল্লা ও গাজীপুর।

রাজধানী ঢাকার ১৮টি এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে- মণিপুর (পাঁচজন), বাসাবো (চারজন), পুরান ঢাকার বাংলাবাজার (তিনজন), লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, মগবাজার, সেনপাড়া, মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও উত্তরখান (দুজন করে) এবং মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর, বনানী-গুলশান, বারিধারা ও খিলক্ষেত যাত্রাবাড়ী, আজিমপুর, কলাবাগান, রামপুরা, মহাখালী, (একজন করে)।

করোনায় আক্রান্ত ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক, হাসপাতালে ভর্তি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশের বেসরকারি গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের এক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে আক্রান্ত ওই সাংবাদিক কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মামুন আব্দুল্লাহ।

তিনি জানান, গত ৯ দিন ধরেই ওই সাংবাদিক ছুটিতে আছেন। তিনি বাদে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীদের মাঝে করোনার কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। তাই এই মুহূর্তেই আমরা লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছি না।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এ পর্যন্ত ৬ জন মারা গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে কেউ মারা যাননি।

আজ শুক্রবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১ জনে। এ পর্যন্ত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন।

দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৬ জন মারা গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে কেউ মারা যাননি।

দেশে সর্দি, কাশি, জ্বরে ৫৮ জনের মৃত্যু: ভয়েস অফ আমেরিকা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত
সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যাথা নিয়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ জেলায় ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।- ভয়েস অফ আমেরিকা।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যাথা। বাংলাদেশে এসব লক্ষণ নিয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি রোগ নির্ণয় সংস্থা-আইইডিসিআর জানিয়েছে তাদের নমুনায় এর কোন আলামত নেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।

খবরে বলা হয়েছে, মৃতব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করা হলেও বলা হচ্ছে, তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ঢাকায় একজন স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমকে চারটি হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলা থেকে দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সরকারের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশে আরও দুই জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৫৬ জন। ওদিকে গত কয়েকদিনে করোনায় সারাবিশ্বে বিভিন্ন দেশে ৮০ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।

করোনা: নীরব দর্শক স্কোপাসের জরিপে গবেষণায় শীর্ষে থাকা রাবি

এমএ জাহাঙ্গীর, রাবি প্রতিনিধি


স্কোপাসের জরিপে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে গবেষণায় শীর্ষের প্রতিষ্ঠানটির নাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা গবেষণার সাথে তাল মিলাতে পারছে না এই শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংকটের মুহুর্তে রয়েছে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসী বিভাগের স্যানিটাইজার তৈরির পর আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রদক্ষেপ চোখে পড়ে নি। অথচ দেশের এই সংকটকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞানসহ বেশ কয়েকটি বিভাগকে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ ছিলো। তবে এসকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন অন্যান্য বিভাগের মতোই ছুটিতে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নিস্ক্রিয়তায় হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষার্থীই। তারা বলছেন, দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জায়গা আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু গবেষণায় অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান তাই এই সংকটে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উপাচার্য ভবনে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাবি করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির একটি জরুরি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ২০০টি করোনা পরীক্ষার সক্ষমতার কথা জানিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার গবেষণাগারটি করোনা পরীক্ষার মানসম্পন্ন দাবি করে কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ লোকবল তাদের রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পরীক্ষার কিট ও নমুনা সরবরাহ করলেই এক দিনেই শনাক্তের ফলাফল জানা যাবে। এ ধরনের কোনো কার্যক্রমও চোখে পড়েনি রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এই সংকটের মুহূর্তে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করণীয় আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, এই বিষয়ে কাজ সুযোগ অবশ্যই আছে। আমাদের বিভাগেরই অনেক শিক্ষক আছেন যারা মলিকুলার বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাদেরকে নিয়ে আমরা চিন্তা করছি কিছু করা যায় কিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে আমরা চেষ্টা করবো কিছু কাজ করার।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাস ডিটেকশন করার মতো সুযোগ এখন পর্যন্ত আমাদের নাই, সরকার যদি আমাদের এখানে ল্যাব করে দেয় তাহলে আমাদের সেই সক্ষমতা আছে যে আমরা জিনোম সিকোয়েন্স থেকে শুরু করে ভাইরাস ডিটেকশন করা বা এ নিয়ে আরো গবেষণা করতে পারবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো কাজ হচ্ছে না এখনো পর্যন্ত। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এ ধরণের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ কম।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করবে রাবি

এমএ জাহাঙ্গীর, রাবি প্রতিনিধি


করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরী এক সভায় বুধবার সকাল ১০ টায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আলীম। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এই সিদ্ধান্তের ভুয়সী প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ জানান, সারা পৃথিবীতে এই মুহুর্তে সংকট চলছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। সাধারণ মানুষসহ সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ মুহুর্তে যার যেমন সামর্থ আছে তা দিয়েই এই সংকটের মোকাবিলা করতপ হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত অবশ্যই সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আমরা স্বাগত জানাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। আমরা চাই দেশের প্রয়োজনে সবসময় এগিয়ে থাকতে।

এদিন সকালের সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্ব করেন।

‘ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম হলে আমি কাউকে ছাড়ব না’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনার কারণে দেশে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সাহায্য পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তিনি এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি হলে সেটা সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সম প্রধানমন্ত্রী এই সব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি ক্রান্তিকালে এই ভিডিও কনফারেন্স। এরকম পরিস্থিতি বোধহয় আমরা জাতীয় জীবনে আর কখনও দেখিনি।’

প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী শুরু থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তাতে কান না দেয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাব্যবস্থা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এগুলো দেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।’

স্যার, সবাই মুখোশ আর হাত-ধোয়ার ‘ঔষধ’ দেয়, পেটে দেয়ার কিছু দেয় না

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্থবির সারাবিশ্ব। করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা গোটা বিশ্বের মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের উপরে। এই অবস্থায় তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

করোনার মোকাবেলায় বাংলাদেশকে লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দু’জন চলাচল নিষিদ্ধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দোকানপাট বন্ধ, যানচলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনার আশঙ্কায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ফুটপাথের ব্যবসায়ী, চা দোকানদার, রিকশাওয়ালা এবং দিনমজুরদের জীবনযাত্রায়।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট ঘুরে দৃশ্য দেখা যায়। তবে মাঝে মধ্যে রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।

জিজ্ঞেস করলে এক রিক্সাচালক বলেন, ‘স্যার, পেট-পিঠের তো লগটাউন (লকডাউন) হয় না। রিক্সা না চালালে খাবো কি? বাচ্চা-কাচ্চা (বউ-বাচ্চা) তো না খেয়ে মরবে। হক্কলে (সবাই) খালি (শুধু) মুখোশ (মাস্ক) আর হাতধোয়ার ঔষুধ দেয়, পেটে দেয়ার মতো খাবার তো কেউ দেয় না।

খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ এখন বাহিরে কম বের হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফুটপাথের ব্যবসায়ী এবং রিকশা চালকরা। গণপরিবহন শ্রমিকরাও আছে অস্বস্তিতে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য সময়ে ক্রেতা সাধারণের চাপ থাকতো মারাত্নক রকমের ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতে।

হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ১৬তম দিনে মালয়েশিয়া ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু

সারাদেশ টুডে


গোলাম মোস্তফা (৬০) নামে মালয়েশিয়া ফেরত প্রবাসীর যশোরে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ১৬তম দিনে মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।

এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে, মৃত গোলাম মোস্তফার করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

মৃত গোলাম মোস্তফা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়া শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেছার আলী জানান, মোস্তফা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করতেন। এ জন্য মালয়েশিয়াতে আসা যাওয়া ছিলো তার। সবশেষ তিনি গত ১৪ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।

হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ১৬তম দিনে তিনি বাঁকড়া বাজারের বাসা থেকে তার গ্রামের বাড়ি উজ্জ্বলপুরে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি মারা যান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তারা জানিয়েছেন গোলাম মোস্তফা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। অবশ্য এর আগেও তিনি দুইবার স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ হয়েছিলেন।

মৃত্যুর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী মজুমদার বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় গোলাম মোস্তফার করোনা আক্রান্তের কোনো লক্ষণই ছিল না। তবু মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক পরীক্ষা করেছেন। স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পিপিই পাননি ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার-নার্স

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনার বিস্তার ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের দাবি, রোগীর পরীক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে সব স্বাস্থ্যকর্মীকেই পিপিই সরবরাহ করতে হবে।-দ্য বাংলাদেশ টুডে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের যুক্তি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে যার যেটা প্রয়োজন সেটাই দেয়া হচ্ছে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে যখন অর্ধশতকের দোর গোড়ায়, তখন ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিন ওয়ার্ডে নার্স ও চিকিৎসকদের সেবা দিতে দেখা যায় কোনো রকম সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই। জরুরি বিভাগের মতো স্পর্শকাতর স্থানেও একইভাবে কাজ করছেন অনেক নার্স-চিকিৎসকরা।

করোনায় দেশের এমন প্রেক্ষাপটে যে পরিমাণ সুরক্ষা উপকরণ আছে তা দিয়েই মানিয়ে নেয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই মজুদ থাকার আশ্বাস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

পিপিই এর ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না এমন রোগীর জন্য দরকার নেই। তবে কে আক্রান্ত তা তো আগেই জানা যায় না, সেক্ষেত্রে আমরা সকলকেই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট) পিপিই দিয়েছি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে কোনো ধরনের পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট এর
ঘাটতি হবে না। নার্সচিকিৎসকদের আমরা আশ্বস্থ করছি পিপিইর অভাবে কারো চিকিৎসা দেয়া ব্যাহত হবে না।

এদিকে, দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সকলকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মানার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি।

১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা, নতুন কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারো নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)।

আজ রবিবার বেলা ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয় নি। পূর্বে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৪৮ জন। এদের মোট ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরা সবাই মৃদু আক্রান্ত ছিলেন। সুস্থদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এবং করোনায় বাংলাদেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।