করোনা: চীনকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন, ২৪ ঘণ্টায় ৭৩৮ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক টুডে


করোনাভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ব। চীনের পর ইতালি, তারপর ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে করোনার বিস্তারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বুধবার স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ইউরোপের স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত আরও ৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক মৃত্যু নিয়ে স্পেন এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জন। গত মঙ্গলবার যার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৯৬। দেশটিতে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬১০ জন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতালি ও চীনের পর স্থান পেয়েছে স্পেন। তবে করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন এবং ইতালির পরেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫৪ হাজার ৯৬৩। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৮৪ জনের। এদিকে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮১।

৫ বছরের শিশু করোনায় আক্রান্ত: মাকে বলল, আমি কি মারা যাব?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সারাবিশ্বে প্রতিদিন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এর কাছে নবজাতক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের ওরচেস্টারশায়ারের ৫ বছরের এক শিশুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা তুলে ধরছেন মা লরিন ফুলব্রুক।

লরিন ফুলব্রুক জানান, ৫ বছরের আলফির প্রথমে হালকা জ্বর আসে। একই সঙ্গে বমি এবং হ্যালুসিনেশন। এমতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আলফির করোনা পজেটিভ আসে।

এদিকে জনগণকে সচেতন করার জন্য করোনার ভয়াবহতা লিখে ফেসবুকে প্রায় ৫১ হাজারের বেশি বার শেয়ার করেন তার মা লরিন। মার্চের ১৬ তারিখে লরিন লেখেন, আলফির (সন্তান) ব্লাড সুগার ৩.৭ এ দাঁড়িয়েছে। হার্টবিট কমে গেছে, তার শ্বাসকষ্টে সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে রীতিমত কাঁপছে। ওই সময়টাই লরিন এর জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানান তিনি।

আলফি কিভাবে ধীরে ধীরে অসুস্থ হলো তা বর্ণনা করেছেন তার লরিন। সাঁতার শিখতে যেয়ে বেশি ক্লোরিন খেয়ে ফেলে আলফি, এরপর তার কফ আসা শুরু হয়, সেই থেকে পরবর্তীতে জ্বর। এদিকে তার স্কুল বন্ধ করে বাসায় রাখলে সে সুস্থ বোধ করে।

একদিন পর আবার জ্বর আসে, খাওয়ায় অরুচি আসে সেই সাথে কোথাও নড়াচড়া করতে চায় না। এরপর জরুরী নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালে পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস ধরা পরে আলফির। এরপর আইসোলেশনে রাখা হয়। আলফি তার মা লরিনকে জিজ্ঞাসা করে আমি কি মারা যাব? মা লরিন সাহস যোগান। আইসোলেশনে রাখার শর্ত দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। লরিন জানান, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেছে আলফি। তবুও শরীরে হালকা তাপমাত্রা আছে।

করোনা-ভাইরাসকে স্বাভাবিক ভাবে না নিয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন লরিন।সেই সঙ্গে প্রথম থেকেই রোগীর যত্ন নেওয়ার ব্যাপারেও সচেতন কথা বলেছেন তিনি। লরিন সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

করোনায় বাংলাদেশে আরো ১ জনের মৃত্যু, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশে আরো ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ জনে। এদের মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন পাঁচজন।

এই তথ্য জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৭০ বছরের বেশি। তিনি একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

করোনা রোধে মহানবী (সা.) এর নির্দেশনা অত্যন্ত কার্যকর: মার্কিন গবেষক

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘বিশ্ব মহামারী’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা এখন আতঙ্কের নাম। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী ভাইরাস।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে অসংখ্য উপায় ও উপকরণের শরণাপন্ন হচ্ছেন গবেষকরা। কিন্তু কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

করোনাভাইরাস রাজত্বের সময়ে তরুণ মার্কিন গবেষক ড. ক্রেগ কন্সিডাইন করোনা প্রতিরোধে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত রাইস ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক হিসেবে কর্মরত।-দ্য নিউজ উইক।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিউনোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অ্যান্থনি ফসি ও মেডিক্যাল রিপোর্টার ডাক্তার সঞ্জয় গুপ্তের মতো বিজ্ঞ চিকিৎসকরা করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হোম কোয়ারেন্টিনের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে সুস্থ লোকদের জন্য জনসমাগম এড়িয়ে একাকী জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, এসব উপায় হচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

আজ থেকে প্রায় ১৩শ’ বছর আগে নবী মুহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ‘কোয়ারেন্টাইন’-এর ধারণা দেন। নবীর সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনও সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ছিল না। তবে তিনি এসব রোগব্যাধিতে করণীয় সম্পর্কে তার অনুসারীদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন এককথায় তা ছিল দুর্দান্ত! তাঁর মূল্যবান সেই পরামর্শ মানলেই করোনার মতো যেকোনও মহামারী থেকে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করা যায়।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যখন তুমি কোনো ভূখণ্ডে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তখন সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে প্লেগ যদি তোমার অবস্থানস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে ওই জায়গা ত্যাগ করো না।”

মহানবী আরো বলেন, “সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ মানুষের থেকে দূরে থাকবে।”

বিভিন্ন সময়ে নানা পরিস্থিতিতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর অনুসারীদের বিশেষ করে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত লোকদের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করতেন।

করোনায় শিক্ষার্থীরা ছুটি পেলেও বঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

গবি টুডে


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ দিকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা ছুটি পেলেও, ছুটি পাননি শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকরা তাদের নির্ধারিত অফিস রুমে বসে আছেন। কেউ কেউ একাডেমিক কাজে ব্যস্ত, কেউবা আবার পত্রিকা কিংবা বই পড়ে অলস সময় পার করছেন। ছুটি না থাকায় করোনা আতঙ্কে ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে বাধ্য হচ্ছেন।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়েও (গবি) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও অন্যান্য সকল কার্যক্রম যথারীতি চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থী ছুটি পেলেও ছুটি মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দের।

এদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবা খাতুন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গোটাবিশ্বে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। যেহেতু এই ভাইরাসটির এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, সেজন্য যদি দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে তাহলে সকলকে নিরাপদে বাসায় অবস্থান করাই শ্রেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। সরকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বললেও অফিস বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকারি নির্দেশনা পেলেই শিক্ষকরা ছুটি পাবেন।”.

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: প্রয়োজন হলে লকডাউন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোনো এলাকা যদি করোনাভাইরাস বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। দেশের যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।’-ডেইলি স্টার।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের মাধ্যমে চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে । অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো। আমাদের দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে হবে। লকডাউন হচ্ছে আক্রান্ত এলাকার জন্য করোনা মোকাবেলার একমাত্র উপায়।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন বড় সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে, বেশি আক্রান্ত হলে এটি করতে হবে। আমরা তো এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি বলে মনে করি। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১ জন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০-এরও বেশি। তাছাড়া তার কিডনি, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ ছিল।’

তিনি প্রশ্নের উত্তরে আরো জানান, প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবণতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাবো। অন্যান্য জেলায় যতজন পাচ্ছি, সেসব জেলায় (মাদারীপুর, ফরিদপুর) বেশি পাচ্ছি। আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে বেশিভাগই সেখানকার। ওখানকার লোক বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য আমরা সেসব এলাকা বেশি ক্রিটিক্যাল মনে করছি। আগামীতে সেখানে যদি সত্যিই বেড়ে (সংক্রমণ) যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করে দেবো,’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে আমরা কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। এটা তো আমাদের বিরাট একটা সফলতা যে এত মানুষকে আমরা রাখতে পেরেছি। আর যারা লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করছি। তাদের জেলে যেতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হচ্ছে। সেই বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।’

ইবিয়ানদের চোখে করোনাভাইরাস

আজাহার ইসলাম, ইবি


জাতিসংঘ ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসকে মহামারী বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই ভাইরাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। মিডিয়ায় এখন প্রধান শিরোনাম করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।

চায়ের কাপ থেকে শুরু করে মন্ত্রীসভা পর্যন্ত আলোচনার শীর্ষে করোনা ভাইরাস। করোনার আতঙ্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যপারে কী ভাবছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা?

আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনন্যা রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখি প্রধান শিরোনাম করোনা ভাইরাস। শুধু প্রত্রিকায় ই দেখা যায় এমন নয়। টিভি খুলে বসলে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও আলোচনার শীর্ষে করোনা। পুরো বিশ্বে এ ভাইরাসে আতঙ্কিত নয় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। করোনা প্রতিকার করতে না পারলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করা উচিৎ। পাশাপাশি আতঙ্কগ্রস্ত জনগণের কাছে এ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদেরই।’

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল প্রযুক্তি বিভাগের নুর উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার যে প্রভাব পড়েছে একে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যদি আমদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য নিজেরা সচেতন হয় এবং অন্যদেরকে সচেতন করি তাহলে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এখন পর্যন্ত নভেল করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গরম পড়ে গেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২২ থেকে ২৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনা বাঁচতে পারেনা। তবুও সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নই আমরা।’

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘জৈবপ্রযুক্তি এবং জিন প্রকৌশল বিভাগে পড়ার সুবিধার্থে নানারকম জার্নাল এবং নিউজ ঘেটে সম্প্রতি বিশ্বে বিষ্ফোড়ন ঘটানো ভাইরাস ‘করোনা’ নামে পরিচিত ‘কোভিড-১৯’ সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই জিন ৩৮০ বার নিজের জিন মিউটেশন ঘটিয়ে প্রতিটি প্রতিকুল অবস্থা অতিক্রম করে পরিবেশে টিকে আছে। তাই, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া এই ভাইরাসের বংশবিস্তারের জন্য অনুকূলে নয়’ ভেবে বসে থাকাটা মোটেও সুখকর বলে মনে করিনা।

বাংলাদেশে এই ভাইরাসের আক্রমণ মারাত্মক হবার আগেই সরকারি এবং বেসরকারিভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নেবার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারন মানুষের দাবি। পাশাপাশি নিজেকে ভাইরাস থেকে মানবদেহকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি দ্রব্যের বাজারমূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে সেব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টিপাত হোক সেটাই আশা করি। আমাদের দূর্বলতা যেন সুবিধাবাদীদের মুনাফার ভাগ বাড়িয়ে না দেয় সে ব্যাপারে নিজেরা সচেতন হই। আসুন, নিজে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকি। আশেপাশের মানুষকে সুস্থ রাখি।’

বাংলা বিভাগের ওয়াহিদা খানম আশা বলেন, ‘বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূল আলোচ্য বিষয় করোনা ভাইরাস। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসকে নিয়ে। কেউবা আবারা ট্রলও করছে। অনেকে ছড়াচ্ছে নানা ধরণের গুজবও। যেহেতু এটি সংক্রামক ব্যাধি, একজনের থেকে অন্যজনের হয়ে থাকে, তাই অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরী।’

উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘প্রাণঘাতি করোনার মিছিল বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র মহামারি নয়। এ ভাইরাস বিশ্ব মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনা। অতিক্ষুদ্র জীবানু হলেও এর ভয়াবহতা অনেক। করোনা একটি সংক্রামক ব্যাধি। হাঁচি কাশি এমনকি কারো সাথে হাত মিলালেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের দেশে যথেষ্ট উপকরণ নেই। একমাত্র জনসচেতনতাই পারে এই রোগ থেকে বাঁচাতে।’