বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে খুবির নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন

 

খুবি টুডে

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

 

আজ (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এসময় নবনিযুক্ত উপাচার্য শোক বইতে মন্তব্য ব্যক্ত করেন।

 

এসময় নবনিযুক্ত উপাচার্যের সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়াও উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা ও উপ-উপাচার্যের সচিব মোঃ হেমায়েত মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ ভিসির বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

খুবি প্রতিনিধিঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে খুলনার সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এই সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ বাহারুল আলম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির এস এম শাহাদাত হোসেন ও এস এ রশিদ, খুলনা জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সঞ্জিত মন্ডল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন পরিষদের সৌমিত্র সৌরভ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আলামিন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ফরহাদ হাসান রাজ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের পলাশ, সচেতন নাগরিক নেতা মহসিন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বক্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা গত বছর ১লা জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষার্থীদের এ ৫ দফা যৌক্তিক বলেও জানান মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্মাণ দুর্নীতি, বিধিবহির্ভূতভাবে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করা, ভাইবা বোর্ডে নারী পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জানায় উপস্থিত বক্তারা।

ভিসির শেষ কামড়ের বলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক, দুই ছাত্র!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্মাণ দুর্নীতি, বিধিবহির্ভূতভাবে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করা, ভাইবা বোর্ডে নারী পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন বিভিন্ন সময়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যারা সামনে এনেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওত পেতে ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেষ কামড়ের বলি হতে হয়েছে তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে অপসারণ ও এই দুটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোঃ মোবারক হোসেন নোমান ও ইমাম হোসেনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানানোর অভিযোগে এই তিন শিক্ষককে অপসারণের নোটিশ দিয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে আন্দোলনের সময়ে দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে নেমেছে ওই দুই শিক্ষার্থী।

এ সমস্ত বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বলেন, এই ক্যাম্পাসে বাকস্বাধীনতা বলে কিছু নেই। উপাচার্য নিজের পছন্দ মতো লোকদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরাচারী রাজত্ব কায়েম করেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে উপাচার্য এবং তার অনুসারীরা দমন-নিপীড়ন চালায়। যার ফলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের আগেই শেষ কামড়ের বলি হতে হলো এই তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

৩ নভেম্বরের জেল হত্যা ১৫ ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা : তাজ কন্যা

 

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকবহ জেলহতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘জেলহত্যা দিবস,পিছনে ফিরে দেখা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের ৪র্থ তলায় সম্মেলন কক্ষে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য।
জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্তসহচর, আপোষহীন নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে কখনই তাঁরা বেঈমানী করেননি।

তিনি আবেগজড়িত কন্ঠে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট এবং ৩ থেকে ৫ নভেম্বরের সেই শোকাবহ, দুর্বিষহ এবং ভয়াবহ দিনগুলোর স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ড ছিলো পনেরই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা।

এরপর থেকে অনেক বছর পর্যন্ত এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার নাম মুখে নিতে পারতেন না। তাঁদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল পর্যন্ত করা যেতো না।
তিনি আরও বলেন দেশি-বিদেশি নীল নকশায় নৃশংস পনেরই আগস্ট ও জেলহত্যা কান্ডের পর দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় যারা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

ইতিহাস একদিনে সৃষ্টি হয় না, একদিনে ধ্বংসও হয় না, সময়মতোই জবাব দেয়। ঐ হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, অগ্রগতির পথে রয়েছে। যতো ষড়যন্ত্রই হোক, বাঁধা আসুক সবকিছুকে অতিক্রম করে অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

রিমি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিনির্ভর দেশ গঠন এবং এ দেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত করতে পারলে সেটাই হবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম স্বপ্ন পূরণ, তাঁদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন।

এ লক্ষ্যে যে যার অবস্থান থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের প্রতি দেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য শোকাবহ জেলহত্যা বলেন, সবচেয়ে বড় শত্রু বঙ্গবন্ধুর আশপাশে থাকার পরও তিনি ছিলেন অবিচল আত্মবিশ্বাসী। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উদারবাদী মানুষ। তিনি বলেন খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারে শপথ নেওয়ার পরও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সাথে যে যুক্ত সে সত্য আজ প্রমাণিত। মার্কিন দলিল পত্রে, বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় তা উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর এবং জাতীয় চার নেতার স্বপ্ন পূরণে কাছাকাছি। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই তাঁদের সে স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে তিনি ষড়যন্ত্রকারী ও জঙ্গিবাদীদের ব্যাপারে সাবধান ও সোচ্চার থাকার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

উপ-উপাচার্য বলেন, মুক্তির আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছিলেন যে মহানায়ক, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে আসে ৩ নভেম্বর। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাগুলো বাংলার মাটিতে স্বাধীনাতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসরদের ছকে বাঁধা পরিকল্পনারই একটি অপরিহার্য অংশ ছিল। এ নির্মমতা, নৃশংসতার মধ্যদিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, চেতনা এবং মূলনীতিগুলো পদপিষ্ট হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। জাতীয় চার নেতা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদেরকে জেলে ঘুমন্ত অবস্থায় ২ নভেম্বর রাত ১ টারও পরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিশ্বের ইতিহাসে এমন নির্মম ঘটনা নজিরবিহীন।

তিনি আরও বলেন, পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন যখন শুরু হয়েছিলো তখন থেকেই স্বপ্নের পাশাপাশি স্বপ্ন ভাঙ্গিয়ে দেবার একটা ষড়যন্ত্রও শুরু হয়।

এসময় ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক সমিতি এবং অফিসার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওয়েবিনারটি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অনলাইনে যুক্ত হন।

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে খুবিতে ওয়েবিনার

 

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

শোকাবহ ০৩ নভেম্বর জেলহত্যা স্মরণে খুলনা বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ০৩ নভেম্বর সকালে ১১:০০টায় জেলহত্যা দিবস পিছনে ফিরে দেখা শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে।
উক্ত ওয়েবিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নিবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-এর কন্যা ও মাননীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।

এছাড়া আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, মাননীয় উপ-উপাচার্য এবং প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, মাননীয় ট্রেজারার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। উক্ত ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

উক্ত আলোচনা সভায় সকল ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান/ পরিচালক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রভোস্টবৃন্দসহ সকল পরিচালক এবং বিভাগীয়/দপ্তর প্রধানকে স্বশরীরে প্রশাসনিক ভবনের (৪র্থ তলা) সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত অথবা অনলাইনে সংযুক্ত থাকার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এছাড়াও সরাসরি দেখতে পাবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে(https://www.facebook.com/ku.ac.bd.official)

ছাত্র আন্দোলনে সহমত পোষণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে শোকজ

খুবি প্রতিনিধি


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তাদের শোকজ করা হয় এবং তিনদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী, বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম ও ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আয়েশা রহমান আশা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ওই শোকজ পত্রে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ভীতিকর পরিস্থতি তৈরি করে। যা বে-আইনি, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত। উক্ত বিষয়ের সঙ্গে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

তথ্যমতে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর আবাসন সংকটের তীব্রতা, ন্যূনতম মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে ১ জানুয়ারি ছাত্ররা আন্দোলনে নামে।

সেই আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী প্রতিবেদন দিয়েছে। তারপর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করার সুপারিশ করলেও সে সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব পত্র প্রেরণ করেছে বলে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া এবং শিক্ষকদের বক্তব্য না নিয়েই রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পত্রে সকলের ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, এ বিষয়ের সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া সরাসরি এ ধরনের সিদ্ধান্তে আসা, প্রশাসনের দূরভিসন্ধিরই অংশ।

এ বিষয়ে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান ও শিক্ষক ইমরান কামাল বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গিয়েছি, সহমত পোষণ করেছি, এর পর চলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের দাবি সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের ছিল। তাই আমরা সেখানে সমর্থন প্রদান করেছি। এজন্য, আমাদের মধ্য থেকে মাত্র চারজন শিক্ষককে শোকজ করাটাকে আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দূরভিসন্ধিমূলক বলে মনে হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অচিরেই এ পদক্ষেপ থেকে সরে আসবে, আমাদের চারজন সহকর্মীর কাছ থেকে হয়রানিমূলক এ পত্র অবিলম্বে প্রত্যাহার করবে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে। এ হয়রানির অভিযোগ থেকে মনোযোগ ভিন্নখাতে সরাতে এবং স্মরণকালের সবচেয়ে বড় নিয়োগ (১৫০ টি পদে) নিয়োগ দেয়ার পথকে সুগম করতেই এ সিদ্ধান্ত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন।

দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই: খুবির নয়া উপ-উপাচার্য

খুবি প্রতিনিধি


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের নতুন সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা’র যোগদান পরবর্তী নিয়মানুযায়ী ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে এক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

তিনি বলেন, আমরা এমন একজন শিক্ষককে উপ-উপাচার্য হিসেবে পেয়েছি যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সম্যক অবহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন একজন নতুন উপ-উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।

নব-নিযুক্ত উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁর এই নিয়োগ লাভে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সকলের প্রচেষ্টা ছাড়া সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা এগিয়েছে। এই অর্জনকে সংহত রেখে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও প্রচেষ্টার দরকার। বিরাজমান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ধারা বজায় রেখে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা সামনে এগিয়ে নিতে চাই। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে শিক্ষকসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে নব-নিযুক্ত উপ-উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর এস এম জাহিদুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর মোছাঃ তাছলিমা খাতুন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আনিসুর রহমান, ফার্মেসী ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সালমা বেগম, ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. এ আর এম মোস্তাফিজার রহমান, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. কাজী সাইফুল ইসলাম, ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন প্রধান মোঃ হাসান হাওলাদার, খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান। সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল কালজয়ী মুজিব, শহিদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা ও কটকায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

খুবি’র প্রথম নারী উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা

অপরদিকে, বেলা ১২ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে নব-নিযুক্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জ্ঞাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

নব-নিযুক্ত উপ-উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে অফিসারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে মিলে একটি পরিবার। এই পরিবারের সবার সুবিধা-অসুবিধা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষের জায়গায় নিতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারিকুজ্জামান লিপন। এর আগে নব-নিযুক্ত উপ-উপাচার্যকে পরিষদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া আজ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, দপ্তর এবং কর্মচারিদের পক্ষ থেকেও নব-নিযুক্ত উপ-উপাচার্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রিভিউ প্রোগ্রামে খুবির সালেকীন

 

খুবি প্রতিনিধি


যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি প্রিভিউ প্রোগ্রামে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ৩ জনের মধ্যে ১ জন হিসেবে সুযোগ পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়টেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাহাগীর সালেকীন।

উক্ত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবছর এই প্রোগ্রামে আবেদন আহবান করা হয়। সেখানে সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৬০ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।

রাহাগীর সালেকীন এছাড়াও কমনওয়েল্থ অব লার্নিং এর আওতাধীন অনলাইন বেজড কোর্সেও মনোনীত হয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কম্পিউটেশনাল বায়োলজি কর্তৃক কানাডার মন্ট্রিলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তাঁর গবেষণা কর্মের জন্য ১ম পুরস্কার লাভ করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়টেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাহাগীর সালেকীনকে তাঁর সাম্প্রতিক অর্জনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অপরদিকে বিজিই ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আয়শা আশরাফ জানান রাহাগীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুল আয়োজিত থ্রিএমটি তে চ্যাম্পিয়ন এবং গ্লোবাল ফুড সামিট প্রতিযোগিতায় তিন জনের মধ্যে স্থান পেয়ে জার্মানী যাওয়ার সুযোগ লাভ করে।

খুবি শিক্ষার্থীদেরকে মারধরের অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে

খুবি প্রতিনিধি


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রক্ত দিতে গেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উপর এমন জঘন্য ঘটনাটি ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আমিন মৃধা’ ও তার সহযোগীদের দ্বারা এমন শিকার হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার আনুমানিক রাত ৩টার দিকে খুমেকের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২ জন ডোনারসহ মোট ৬ জন শিক্ষার্থী রাত ৩টার দিকে খুমেক হাসপাতালে যান। রক্তের ব্যাগ কেনার জন্য হাসপাতালের বিপরীতে একটি ফার্মেসীতে অবস্থানরত সময়ে একটি প্রাইভেট কার দ্রুত শিক্ষার্থীদের পা ঘেঁষে চলে যায়।
অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে চালককে প্রতিবাদ জানাতে গেলে গাড়ির ভেতর থেকে ২ জন বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জামার কলার টেনে ধরে।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে পেরে আরো চড়াও হয়ে পার্শ্ববর্তী গলিতে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে শারীরিক নির্যাতন করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা খুমেকের ইন্টার্ন হোস্টেলের ভেতরে আত্মগোপন করে।

এরপরে নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল অ্যাম্বুলেন্স পাঠালে তারা ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন জানান, শিক্ষার্থীরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য আল আমিন মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরাই প্রথমে গালাগালি করে। তবে আমি তাদের মারধর করিনি। অন্যরা এটা করতে পারে।

দিশেহারা হয়ে ক্যাম্পাস খোলার আগেই ফিরছেন শিক্ষার্থীরা

সুফিয়ান সোহাগ


করোনা মহামারী বিস্তারের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রথিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই ফিরতে শুরু করেছেন পিছু টানে। অনেক শিক্ষার্থীর দাবি টিউশনি ও পার্ট টাইম জব করেই পড়াশোনা চালাতে হতো, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বাসায় চলে গিয়ে এখন আর্থিক সংকটে পরেছেন অনেকে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, মহামারীর শুরুতেই গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় চলে এসেছি। টিউশনি ও পার্ট টাইম জব করে পড়াশোনা চালাতে হতো। কিন্তু বাসায় এসে এখন সংকটে পরেছি। তবে টিউশন ছুটে যাবার ভয়ে আমাকে আবার খুললায় ফিরতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশনি বা পার্ট টাইম চাকরি করে নিজের খরচ চালায়। অনেকে আবার পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। ফলে এই করোনাকালে তাঁরা বিপদে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থীর দাবি, টিউশনি করেই পড়াশোনা সহ সব খরচ চালাতাম। এখনতো টিউশনি নাই, ফলে ইন্টারনেট কিনে অনলাইন ক্লাস করতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনার কারণে আমার সব টিউশনি চলে গেছে। নতুন টিউশনির খোঁজে এবং বন্ধুদের ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে অনলাইন ক্লাস করার জন্য খুলনায় এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো আশা খুঁজে না পেয়ে আপাতত রংমিস্ত্রির কাজ করছি।’

পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, ‘প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে হয়। এই অবস্থায় দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ এ ছাড়া লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে খুলনায় ফিরে এসেছেন।

আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অথচ অনলাইনে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য খুলনায় ফিরে এসেছেন।