বশেমুরবিপ্রবি: কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ‘মূল হোতা’ বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলােচিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি মামলার মূল হোতা পলাশ শরীফকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারিপুরের টেকেরহাটে একটি গাড়ি তল্লাশির মাধ্যমে আটক করা হয়েছে।

আজ (সোমবার) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার চুরির মূল হোতা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন,রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারিপুরের টেকেরহাটে একটি গাড়ি তল্লাশির মাধ্যমে পলাশ শরীফকে আটক করা হয়েছে।এ নিয়ে চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পলাশ শরীফ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তবে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট রাতে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

 

প্রসঙ্গত,গত বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয় এবং ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীর হোটেল ক্রিস্টাল ইন থেকে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: গ্রেফতার, বহিষ্কার ও মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট: সদ্য প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর স্ট্যাটাস’ দিয়ে গ্রেফতার, বহিষ্কার ও মামলার শিকার হয়েছেন অনেকে। এদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা গ্রেফতার

প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় অভিযোগে করা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। ছাত্রজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া, ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সহকর্মীরাই। অনতিবিলম্বে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ইবিতে ছাত্র ইউনিয়ন সম্পাদক সাময়িক বহিষ্কার

নাসিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম সাদিকুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ইবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তিনি।

সোমবার (১৫ জুন) ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সাদিকুলকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে জানানো হয়।

এছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

এদিকে নাসিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে জালালাবাদ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুন নিউমোনিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। পরে তিনটি করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। হাসপাতালে গত ৫ জুন শুক্রবার ভোরে তার স্ট্রোক হয়। একইদিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়।

এর আগেও নাসিমের একবার স্ট্রোক হয়েছিল।সবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ জুন) সকালে মোহাম্মদ নাসিম মারা যান।

কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, ৬ বখাটে গ্রেফতার

সারাদেশ টুডেঃ কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ৬ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার (২৯ মে) ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় , পিরোজপুরের নাজিরপুরের বইঠাকাটা ডিগ্রি কলেজের ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মো. রিমন হাওলাদার তানভীরের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। গত ২৬ মে তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রীর (প্রেমিকা) কাছে যায়।

ওইদিনই মোটরসাইকেলযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাওয়ার পথে কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল নামক স্থানে বখাটে রিপন জমাদ্দার, আফজাল, রাকিবসহ তাদের দলবল নিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী ফারুক জমাদ্দারের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

তাদের তিনজনকে স্থানীয় প্রভাবশালী হোসনেয়ারার ঘরে আলাদা আলাদা কক্ষে আটকে রেখে অভিভাবকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মোবাইলে মুক্তিপণ দাবি করে ভয়ভীতি দেখায়। তানভীরের অভিভাবক মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা বখাটেদের হাতে তুলে দেয়ার সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় থানা পুলিশ প্রথমে রিপন জমাদ্দারকে আটক করে। পরে আরও ৫ জনকে আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা র সাথে কথার এক প্রশ্নের জবাবে ব’লেন, “খবর পেয়ে আমরা কলেজ ছাত্রী ও তার প্রেমিক তানভীর এবং বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করি ও ৬ জনকে আটক করি। বাকিদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৩ সাংবাদিক কারাগারে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার পর গ্রেফতার করে নরসিংদীর তিন সাংবাদিককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে তিন সাংবাদিককে তাদের বাড়ি থেকেগ্রফতার করে পলাশ থানায় নেয়া হয়। পরে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার ওই তিন সাংবাদিক হলেন, স্থানীয় দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ- এর বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্ত বণিক এবং মাধবদী থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক; এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল নরসিংদী প্রতিদিন– এর প্রকাশক ও সম্পাদক শাওন খন্দকার শাহীন।

পলাশ থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপরে তিনজনকে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় লকডাউনের মধ্যে পেটের দায়ে সিএনজি নিয়ে বের হলে চালকের মৃত্যু হয়। পরিবার ও তার সহকর্মীরা দাবি করেন, পুলিশের পিটুনিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দৈনিক গ্রামীণ দর্পন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজপোর্টাল নরসিংদী প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ঘটনার সাথে অসামঞ্জস্যতার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল আলম বাদী হয়ে পলাশ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদেরকে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।