বিইউপিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এ ‘টেকসই উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিইউপির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সম্মেলনটির আয়োজনে করে।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল ড. মোঃ মাহবুব-উল আলম সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অগ্রগতির মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠন করা’ যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

জানা যায়, সম্মেলনে ১৫টি দেশ থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি, শিল্প এবং আধুনিক নগরায়ন বিষয়ে ২৮৭টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা হয় যার মধ্যে ১০০টি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া এই সম্মেলনে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, এবং প্রকৌশল বিষয়ক ধারণা বিনিময়ের মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি শিল্প মেলার আয়োজন করা হয়। সময়োপযোগী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার পাহাং ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল জুহাইরি বিন জামলি, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, গ্রামীন ফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন (আরএপিআইডি) এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় বিইউপি সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

চবিতে আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে সশরীরে হবে পরীক্ষা

চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত, অসমাপ্ত ও অনলাইন ক্লাসের পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে বিভাগগুলো চাইলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে, শতভাগ টিকা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবাসিক হল বন্ধ থাকবে।

বৃ্হস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিষয়টি দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান/স্থগিত/অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সদস্য এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।

তিনি বলেন, গতকাল বুধবারের মিটিংয়ে লকডাউন শিথিল সাপেক্ষে ১৬ আগস্টের পর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্ব স্ব বিভাগ তাদের ছাত্রী ছাত্রীদের সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা নিতে পারবে। শতভাগ টিকা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত হল খুলছে না।

তিনি আরও বলেন, যদি মহামারির প্রকোপ আরও বেড়ে যায় তবে অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন সাপেক্ষে অনলাইনে পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। এজন্য বিভাগগুলোকে একাডেমিক কমিটির সভা করে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। ডিনবৃন্দ গৃহিত রিপোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটির নিকট প্রেরণ করবে।

এর আগে গত ১৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে সশরীরে সব ধরনের একাডেমিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করে। তবে করোনা পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে গেলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

চবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময়সীমা প্রকাশ

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক পুনঃনির্ধারিত তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমাও প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১১আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার(একাডেমিক) স্বাক্ষরিত এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই সময়সূচি জানানো হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে দুই দফা পিছিয়ে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি – ‘বি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৭ অক্টোবর ও ২৮ অক্টোবর, ‘সি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৯ অক্টোবর, ‘ডি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ৩০ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর, ‘এ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ১ নভেম্বর ও ২ নভেম্বর , ‘বি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা ৪৫ এবং ‘ডি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ৫ নভেম্বর দুপুর ২টা ১৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।

ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি- ‘চারুকলা ইনস্টিটিউট – ১৫ নভেম্বর, ‘নাট্যকলা বিভাগ – ১৬ নভেম্বর, ‘সংগীত বিভাগ – ১৮ নভেম্বর, ‘ফিজিকাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ – ২০ নভেম্বর ও ২১ নভেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে।

প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমা – ‘বি’ ইউনিট ১২ অক্টোবর, ‘সি’ ইউনিট ১৪ অক্টোবর, ‘ডি’ ইউনিট ১৫ অক্টোবর, ‘এ’ ইউনিট ১৭ অক্টোবর এবং ‘বি১’ও ‘ডি১’ উপ ইউনিটে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ইউনিট সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ১ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশপথ সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্থান- প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

আসনপ্রতি লড়বে ৩৭ জন- এবারের ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে ১লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থীর লড়বেন। সে হিসাবে প্রতি আসনপ্রতি লড়বে ৩৭ জন।

আসন সংখ্য- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪২টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।

#চবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময়সীমা প্রকাশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু

 

নুর নওশাদ : করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ সশরীরে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কর্তৃপক্ষ।আজ থেকেই চবিতে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার(৯জুন) চবি মার্কেটিং বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের ২৫তম ব্যাচের স্থগিত ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার মধ্য দিয়ে আবারো সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে।

পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ থাকছে হল।ফলে পরীক্ষার্থীদের স্থানীয় মেস কিংবা কটেজে থেকেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।তবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতভাগ।

ইতোমধ্যে আরো বেশকিছু বিভাগ পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন প্রকাশ করেছে।শুরুতেই বিভাগগুলো তাদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগ ১০ জুন থেকে সম্মান শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার রুটিন প্রকাশ করেছে।ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা হবে ১৩ জুন থেকে।রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৬ জুন থেকে এম.এস.এস পরীক্ষার নোটিশ দিয়েছে।অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা ২৮ জুন থেকে শুরু হবে বলে ।মার্কেটিং ২৬ তম ব্যাচের পরীক্ষা ২১জুন থেকে শুরু হবে।প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ ২০ তারিখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বর্ষের মৌখিক,ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক পরীক্ষা নিবে।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ১৫ তারিখের পর সিদ্ধান্ত দিবে বলে জানিয়েছে।

পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ ভাবে দেখছেন চবি শিক্ষার্থীরা।এর আগে বেশ কয়েকবার সশরীরে পরীক্ষা ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের সম্মান শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মজুমদার বলেন, আমরা এতদিন খুবই ডিপ্রেশনে ছিলাম।পরীক্ষার সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে এখন নিশ্বাস নিতে পারবো।আমরা খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে গেছিলাম।

অর্থনীতি বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মিছবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এতোদিন ধরে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে আমার অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট সহ সকল ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আশা করছি যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো দেওয়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীরা আবারও আমাদের প্রাত্যহিক ব্যস্ত জীবনে ফিরে যেতে পারবো।

এবিষয়ে চবি ব্যাবসায় প্রসাশন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্ল্যা ভুঁইয়া বলেন, মার্কেটিং বিভাগে কয়েকটি পরীক্ষা বাকি ছিল।আমরা এখন স্থগিত পরীক্ষা গুলো নিয়ে নিচ্ছি।পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতির হার শতভাগ ছিল। ১৫ তারিখ মিটিং এর পর বাকি পরীক্ষাগুলো সিদ্ধান্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসান বলেন, স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য ইউজিসির অনুমতি আছে।ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণের কথা ভেবে আমরা সকল ফেকাল্টির ডিন ও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি।তাই উনারা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য,এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে ১৭ মে হল এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়।একই সাথে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই সব পরীক্ষা নেওয়া হবে।এই ঘোষণার সাথে একমত পোষণ করে ২৫ফেব্রুয়ারি চবি কর্তৃপক্ষ সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করে।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে দেশসেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

নুর নওশাদ : স্পেনভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র‌্যাঙ্কিংয়ে চলতি বছরের বিষয়ভিত্তিক তালিকায় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে(সিএসই) শীর্ষস্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি)।

এ তালিকায় কম্পিউটার বিজ্ঞানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) এবং তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট)।

সিমাগোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪র্থ এবং বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৬৬তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

কলা ও মানবিকী, রসায়ন, গণিত, অর্থনীতি, কৃষি ও জৈবিক বিজ্ঞান, প্রকৌশলসহ ১৬টি বিষয়ভিত্তিক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে সিমাগো ইনস্টিটিউশনস।

তালিকাতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে দেশের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বিজনেস,ম্যানেজমেন্ট ও একাউন্টিং বিভাগে ৩য়,ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪র্থ,এগ্রিকালচার এন্ড বায়োলজিক্যাল সাইন্সে ৬ষ্ঠ,এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সে ৭ম,ফিজিক্স এন্ড এস্ট্রোনমিতে ১২ তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।পাশাপাশি এনার্জি গবেষণাতেও প্রথম স্থানে রয়েছে চবি।

এ বিষয়ে চবির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন,”এই র‍্যাংঙ্কিংগুলো করা হয় গবেষণা পাব্লিকেশনের উপর।আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা অনেক গবেষণা করছেন।আমাদের পাব্লিকেশনের সংখ্যাও অনেক।আমার নিজেরো গত ৬-৭ মাসে ৮টার মতো পাব্লিকেশন হয়েছে।’’

স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিং হলো একটি আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সিমাগো ল্যাব ও স্কপাসবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য প্রতিবছর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ২০০৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সিটের জন্য লড়বে ৪০ জন শিক্ষার্থী

 

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) স্নাতক পর্যায়ে(২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তির জন্য বিভিন্ন ইউনিটে সর্বমোট ১লাখ ৯৫হাজার ৭৯২জন আবেদন করেছেন।সে হিসাবে এবারে প্রতি আসনের জন্য লড়বে ৪০ জন।’এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

গত ১২এপ্রিল থেকে শুরু ভর্তি আবেদন হয়ে ৩০তারিখ পর্যন্ত আবেদনের শেষ সময় ছিল।কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চেয়ে দেরিতে আবেদন শুরু হওয়ায় গত ২৮ এপ্রিল ডিনস কমিটির সভায় আবেদনের শেষ সময় বর্ধিত করে ৭মে রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত করা হয়।

শুক্রবার(৭মে)রাত ১১টা৫৯ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে।যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭০ জন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম জানান, ‘এটি এ এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ আবেদন।এবার আমরা আমাদের নিজদের সিস্টেমে ভর্তি আবেদন গ্রহণ করেছি।’

পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পেছানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা হবে।’

ইউনিট ভিত্তিক আবেদন

আইসিটি সেল থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে,
‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৭০ হাজার ২০৭ জন,’বি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৪৫হাজার ৭৯২জন,’সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১৪ হাজার ২৭১ জন,’ডি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭হাজার ৮৯জন,’বি১’ উপ-ইউনিটে আবেদন করেছেন তিন হাজার ৪১৫ জন,’ডি১’ ইউনিটে আবেদন করেছেন পাঁচ হাজার ১৮জন।

সে হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বে ৫৮জন,’বি’ ইউনিটে লড়বে ৩৭ জন,’সি’ ইউনিটে লড়বে ৩২জন,’ডি’ ইউনিটে ৪৯জন,’বি১’ইউনিটে ২৭ জন এবং ’ডি১’ ইউনিটে ১৬৭ জন।এছাড়া মোট আবেদন অনুসারে প্রতি আসনের জন্য লড়বে ৪০ জন।

প্রবেশপথ সংগ্রহের তারিখ

‘বি’ ইউনিট ৭জুন,’ডি’ ইউনিট ৯জুন,’এ’ ইউনিট ১৩জুন,’সি’ ইউনিট ১৫জুন এবং ‘বি১’ও ‘ডি১’ উপ ইউনিটে ১৬ জুন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ইউনিট সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ১ঘণ্টা আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশপথ সংগ্রহ করতে পারবে।

এছাড়া ১৮ মে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন সংশোধন করতে পারবে।

আসন সংখ্যা ও পরীক্ষার তারিখ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪২টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।

আগামী ২২ ও ২৩ জুন ‘বি’ ইউনিট, ২৪ ও ২৫ জুন ‘ডি’ ইউনিট, ২৮ ও ২৯ জুন ‘এ’ ইউনিট ও ৩০ জুন ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১ জুলাই উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি প্রক্রিয়া

প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

ভিন্ন ভিন্ন শিফটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভিসি অধ্যাপক বেনু কুমার

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপ-উপচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

বুধবার (৫মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো উপ সচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আগামী ৪ বছরের জন্য তাকে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।এসময় তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ও বিধি অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন!

এ বিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “আজ বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মধ্যমে অধ্যাপক বেনু কুমার দে’কে উপ উপাচার্যের হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।আগামীকাল সকালে তিনি দায়িত্বে গ্রহণ করবেন।”

অধ্যাপক বেনু কুমার দে চবি রসায়ন বিভাগের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন!

চবি টুডে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ৭ মে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শেষ হওয়ার আগেই আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী। যেখানে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭০ জন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, সার্ভারজনিত ত্রুটির কারণে প্রথম দিকে কিছু অসুবিধা হলেও এখন সব ঠিক আছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

১২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ এপ্রিল। তবে করোনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভারজনিত ত্রুটির জন্য এ সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে ৭ মে রাত ১২টায়। তবে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পরীক্ষা কেন্দ্র

ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসে ২২ হাজার শিক্ষার্থী বসার মতো আসন রয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা বিবেচনায় ১৫ হাজার করে পরীক্ষা কয়েক শিফটে নেওয়া হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি

২২ ও ২৩ জুন ‘বি’ ইউনিট, ২৪ ও ২৫ জুন ‘ডি’ ইউনিট, ২৮ ও ২৯ জুন ‘এ’ ইউনিট ও ৩০ জুন ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ১ জুলাই উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://admission.cu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাস ও হল খোলা নিয়ে সংশয়

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


চলমান পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত ১৭ মে থেকে হল এবং ২৪ মে থেকে ক্যাম্পাস খোলা হবে কিনা এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কর্তৃপক্ষ।

দেশব্যাপি করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় এবং আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত না হওয়ায় এখনই হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের দাবি জট নিরসনে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।কুইজ টেস্ট,এসাইনম্যান্ট,অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে ফেলার দাবি শিক্ষার্থীদের।

এবিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “সরকার থেকে ছাত্রদের টিকা দেওয়ার কথা ছিল।টিকা না দিয়ে ছাত্রদের হলে দেওয়া এই পরিস্থিতিতে কোন বিবেচনাপ্রসূত কাজ হবে না।আমরা দেখি ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের কি নির্দেশনা দেয়।আমদের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এখন কিছু বলা যাচ্ছে না ।’’

গত ২২ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে এবং ১৭ মে থেকে হল খুলে দেয়া হবে।হল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নিশ্চিত করা হবে।এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরই সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা নিতে হবে।এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে চলামান ও অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করে চবি কর্তৃপক্ষ।জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তঅনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।এছাড়াও,টিকা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়।

বন্ধ ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার হিড়িক, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


করোনা মহামারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও সৌন্দর্যবর্ধন,অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ নানা অজুহাতে চবিতে মহাসমারোহে গাছ কাটা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে,লকডাউনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকেই বড় গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।গত দুই দিনে প্রায় ৯টির মতো বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।এর মধ্যে ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের দক্ষিণে রেইনট্রি, কড়ই ও বাদাম গাছসহ তিনটি এবং চবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্ব পাশের পাঁচটি মেহগনি গাছ কাটা হয়। চবির বঙ্গবন্ধু উদ্যানের মাঝখানের গাছটিও কাটা হয়েছে।এছাড়াও আগে ওয়াকওয়ের নাম করে চবির জিরো পয়েন্টের মসজিদ সংলগ্ন গাছও কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্যাম্পাসের গাছ কাটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

ক্যাম্পাসের গাছকাটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও অনেকবার আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীদের দাবি কিছুতেই কর্ণপাত না করে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে।ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চবিতে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে বৃক্ষ নিধন চলেছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়েও জনশূন্য ক্যাম্পাসে আমরা আবার এই নিধন দেখতে পাচ্ছি, যেখানে সম্পদ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে, যা অজুহাত হিসেবে খুবই দুর্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আমাদের সকলের দাবী, প্রশাসন যেন গাছকাটা থেকে বিরত থেকে প্রাণ প্রকৃতির সুরক্ষায় এগিয়ে আসে।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস ফেসবুকে লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কি টাকার অভাব এভাবে গাছ কেটে অর্থ যোগান দিতে হবে? বিশেষ কাউকে খুশী করার জন্যই কী এভাবে বৃক্ষ নিধন। তারা কি বেশী ক্ষমতাশালী মনে হয় জনশূন্য ক্যাম্পাসে গাছ খেকো শকুনগুলো কারা? মাননীয় প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা নিন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না। না হয় আমাদের ক্যাম্পাস রক্ষার জন্য আমরা বসে থাকবো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা প্রদিপ চক্রবর্তী দুর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, এই গাছ গুলো কি অপরাধ করেছে?? গাছ ব্যবসায়ী অসাধু সিন্ডিকেটের হাত থেকে সবুজ ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

চবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতু বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের নাম করে অর্ধশত বছরের সাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এভাবে গাছ কাটলে তাতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার জন্য যে কারণ গুলো দেখাচ্ছে তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।এত পরিমাণ গাছকাটা পরিবেশের জন্য হুমকি।যত দ্রুত সম্ভব গাছকাটা বন্ধ করতে হবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হাকিম আরাফাত বলেন, ২১০০ একরে সৌন্দর্যবর্ধন ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে প্রকৃতির প্রতি বারবার যে হচ্ছে তা মূলত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেই নিধন করে যাচ্ছে, গাছখেকো একটি মহল। প্রকৃতির উপাদানের ক্ষতি না ঘটিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন করা যায়, তা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকে দেখিয়েছে। পৃথিবী যখন সবুজের জন্য কান্নায় চোখ ভাসাচ্ছে, এমন পরিবেশ বিপর্যয়ে চবি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের এরূপ কর্মকাণ্ড অত্যন্ত ঘৃণিত।আমরা চাই,বৃক্ষ নিধন বন্ধ করে এই ক্যাম্পাসকে সুষ্ঠু উপায়ে বাঁচতে দিন।সকল ধরণেরর বন ধ্বংসে জড়িতদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হোক।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আল জুবায়ের নিলয় বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন খুব গরীব হয়ে পড়েছে কি? ব্যয় নির্বাহের উৎস হিসেবে আপনাদের এত প্রাচীন গাছগুলোও কাটতে হচ্ছে যে?গাছ চবিতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে লাগানো হয় নাই। যখন তখন গাছ কেটে বাইরে চালান দেয়া হবে আর ছাত্ররা কিছু বলতে পারবে না তা হবে না। এর জবাবদিহি চাই৷বৃক্ষনিধনের বিচার চাই।

প্রশাসনের বক্তব্য

এবিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসান দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে বলেন, “গাছ যা কাটা হচ্ছে সেগুলো পারমিশন নিয়ে প্রপারওয়েতে কাটা হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রক্রিয়ায় গাছ কাটে এগুলা সেভাবেই কাটা হচ্ছে।’’

হঠাৎ এই গাছকাটা কেন এই প্রশ্নের উত্তরে চবি রেজিস্ট্রার বলেন, “হঠাৎ না, যে গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ,ঝড়ে পড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে সেগুলোই কাটা হচ্ছে।ঝড়ের সিজন আসছে।’’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গার্ডেন ইনচার্জ ড. শেখ বগতিয়ার উদ্দীন বলেন, “দুদিনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯টি গাছ কাটা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ, বাগান তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং সৌন্দর্যহানির কারণে কিছু গাছ কাটতে ব্যবসাপ্রশাসন অনুষদ ও ল্যাবরেটরি কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। আমরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা কাটার অনুমতি দিয়েছি।’’