এক আবেদনেই মিলবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ সেবা

সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, এডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯টি সেবা এখন থেকে এক আবেদনেই গ্রহণ করতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থীকে ফি জমা দিতে ব্যাংকে যেতে হবে না।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার কাঙ্খিত সেবা পাবে। শুধু তাই নয়, যে বিষয়ে আবেদন করা হবে তা প্রস্তুত হলে অটো এসএমএস চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে ও মেইল আইডিতে।

সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবাগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এক আবেদনে পেতে পারে সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্রুত ও স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদানের জন্য নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা পাবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯টি সেবা একই আবেদনে পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রবেশ করে সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে স্টুডেন্ট লগিনে গিয়ে এক্সামিনেশন সার্ভিস মেন্যুতে যেতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে কমবাইন্ড সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে ডকুমেন্টস কারেকশন মেন্যুতে ক্লিক করে ৬টি সেবা একসঙ্গে গ্রহণ করতে পারবে। এই সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট (দ্বিতীয় বার)। আর ডুকমেন্টস ডুপলিকেট মেন্যুতে ক্লিক করে ৪টি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট।

একইভাবে ইমপ্রুভমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে ২টি সেবা নিতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে- মার্কশিট, সার্টিফিকেট। ট্রান্সলেশন মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৩টি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট। ফ্রেস কপি মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৪টি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, অরজিনাল সার্টিফিকেট। এই সেবাগুলো একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে নিতে পারবে। আবার আগের মতো আলাদাভাবেও সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে একসঙ্গে আবেদন করলে অর্থ এবং সময় উভয় দিক থেকেই সাশ্রয় হবে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দফতরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা, ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সেলের সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী।

সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সহকারী অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আগ্রহী প্রার্থীকে ১২ আগস্টের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীকে ডাকেও আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

১. পদের নাম সহকারী অধ্যাপক: বিষয় সমাজ বিজ্ঞান। পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৬। বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

২. পদের নাম সহকারী অধ্যাপক: বিষয় অর্থনীতি। পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৬। বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

৩. পদের নাম সহকারী অধ্যাপক: বিষয় গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান। পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৬। বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

প্রার্থীকে প্রতি পদের জন্য ১২০০ টাকা জমা দিতে হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমের প্রিন্ট কপিসহ সব ডকুমেন্টস এবং প্রকাশনার সত্যায়িত কপি ডাকে, কুরিয়ারে অথবা সরাসরি ১২ আগস্টের মধ্যে পাঠাতে হবে। নইলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

ঠিকানা: রেজিস্ট্রার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪।

বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত রাখতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে। এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। আমরা দেখলাম অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছে। তাদেরকে পুরোপুরি অটোপাসও দেয়া হয়নি। আমরা কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেই। তবে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই তার চার বছরের অনার্স কোর্স চলাকালীন সুবিধামতো সময়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কোন সেশনজটে রাখতে চাই না উল্লেখ করে বলেন, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যতটা সম্ভব এগিয়ে নেয়া হবে। অনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল বিষয়ের উপর ১০ থেকে ১২টা করে লেকচার দিলেই ১২ হাজারের মতো ক্লাসের প্রয়োজন। আমরা ইউটিউবে সাড়ে সাত হাজার ক্লাস আপলোড দিয়েছি। আরও কিছু হাতে রয়েছে, সেগুলো এডিট করে আপলোড করা হবে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

২৪ জুন থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আগামী ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নিদের্শনা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকশিত নির্দেশনায় বলা হয়, ২৪ জুন থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়ে চলবে ১ আগষ্ট পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত এবং ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৩-২০১৪ (৪র্থ বর্ষ উত্তীর্ণ) ২০১৪-২০১৫ (৩য় বর্ষে উত্তীর্ণ) ২০১৫-২০১৬ (২য় বর্ষে উত্তীর্ণ) শিক্ষাবর্ষের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধু এফ গ্রেড প্রাপ্ত কোর্সে ২০২০ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

নির্দেশনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উল্লেখিত শর্তসমূহ-

নিয়মিত : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নিবন্ধনকৃত অনার্স কোর্সের যারা ২০১৮ সালের প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রোমোটেড হয়েছেন, তারা ২০২০ সালের অনার্স দ্বিতীয় বৰ্ষ পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

অনিয়মিত : ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে যেসব শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হননি, অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, ওইসব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২০ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে পূর্ববতী বছরের পাস করা কোর্সের তত্ত্বীয় পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে যারা ২০১৯ সালের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সি বা ডি গ্রেড পেয়েছেন, শুধু তারাই ২০২০ সালের পরীক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার জন্য পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন এবং এফ গ্রেড প্রাপ্ত সকল কোর্সে পরীক্ষা দিতে হবে।

গ্রেড উন্নয়ন : ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছের, ওইসব শিক্ষার্থী শুধু সি বা ডি গ্রেড কোস বা কোর্সসমূহ গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

যেসব শিক্ষার্থী ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন, কিন্তু একাধিক কোর্সে এফ গ্রেড রয়েছে, তারা ২০২০ সালের পরীক্ষার এফ গ্রেড প্রাপ্ত কোর্স বা কোর্সসমূহে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকল এফ গ্রেড প্রাপ্ত কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে (রেজিস্ট্রেশনের মাসে) অবশ্যই ন্যূনতম ডি-এ উন্নীত করতে হবে।

২০১৯ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সি উত্তীর্ণ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত একটি কোর্সে ২০২০ সালের পরীক্ষার অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় তার কোর্স বাতিল হয়ে যাবে।

অটোপাস পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়েছে। তবে শর্তসাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন পাবেন তারা। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোভিড-১৯ করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক রিসার্চ গ্রান্ড পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী

যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ সালে অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পুরণ করেছেন, তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ক্লাশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

এসময় আরও বলা হয়, ২০২০ সালে অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছেন সর্বমোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৬ জন, অনিয়মিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ হাজার ৫০ জন। আর মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ২য় বর্ষে প্রমোশন পাবেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী। ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৬ জন শিক্ষার্থী।

প্রমোশন পাওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ১ম বর্ষের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি এই পরীক্ষায় অংশ না নেয় বা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রেগুলেশন অনুযায়ী ‘নট প্রমোটেড’ হয় সেক্ষেত্রে তার শর্তসাপেক্ষে দেওয়া প্রমোশন বাতিল বলে গণ্য হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রফেশনাল কোর্সের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

 

টুডে ডেস্ক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল কোর্সের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল (৭ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ ভর্তি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে পূর্বঘোষিত আজ (৮ জুন) থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও ২৩ জুন থেকে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভর্তি সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম ও নির্দেশনা পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল কোর্সের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

আজ সোমবার (৭ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ ভর্তি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে পূর্বঘোষিত আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ জুন) থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও ২৩ জুন থেকে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এতে আরও বলা হয়, ভর্তি সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম ও নির্দেশনা পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে ।

শতবর্ষী ১৩ সরকারি কলেজে এবার পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তাণ্ডবের মাঝেও এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের ১৩টি শতবর্ষীসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল।এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নীতিনির্ধারকদের নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তা আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব কলেজে এবারও এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

আরও পড়ূনঃ ‘শিক্ষাখাত বাঁচানোর বিকল্প পন্থা খুঁজতে হবে এমপিদের’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, একটা বিষয় আমাদের ভাবনায় ছিল, ১৩টি শতবর্ষী কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার। এটির পরিকল্পনা ছিল আমাদের কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতি আমরা সেটা থেকে সরে এসেছি। এসব কলেজেও এবার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে আগামীতে শতবর্ষী কিংবা ৫০ বছরের বেশি বয়সের কলেজে আলাদা পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করা হবে- সেটি আমাদের ভাবনায় রয়েছে।

১৩টি শতবর্ষী কলেজ হচ্ছে- রাজশাহী কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, বরিশাল, মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ, সিলেট, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, খুলনা, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর, সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) কলেজ, বাগেরহাট, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-ডিগ্রি পাস করা ৭০২ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাচ্ছেন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: অনার্স ও ডিগ্রি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। এদের মধ্যে অনার্স পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।

ডিগ্রি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৯ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করতে বলা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে।

জানা গেছে, ২০২১ অর্থবছরের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।

মেধাবৃত্তি পাওয়া প্রতিজন শিক্ষর্থী এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা ও মাসিক ১ হাজার ১২৫টাকা দেয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তি পাওয়া প্রতিজন শিক্ষার্থীকে এককালীন ৯০০ টাকা ও মাসিক ৪৫০টাকা দেয়া হবে। আগামী ১ বছর এসব শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবেন।

এদিকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে স্নাতক (পাস) বা ডিগ্রি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৯জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। মেধাবৃত্তি পাওয়াদের এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা ও মাসিক ১ হাজার ৫০ টাকা দেয়া হবে।

আর সাধারণ বৃত্তি পাওয়া ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন ৬০০ টাকা ও মাসিক ৩৭৫ টাকা দেয়া হবে। আগামী ২ বছর এসব শিক্ষার্থী বৃত্তির সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নির্বাচনের পদ্ধতি বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রতি জেলা থেকে ২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রীর জন্য সাধারণ বৃত্তি বণ্টন করে অবশিষ্ট ৪৪টি বৃত্তি মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করতে হবে।

এদিকে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত করতেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।

অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষের (বিশেষ) পরীক্ষার ফলাফল রোববার (২৩ মে) প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিকেল ৭টা থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে যে কোন মোবাইল এর মেসেজ অপশনে গিয়ে NUH3Exam Roll লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করে পাওয়া যাবে। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটhttp://www.nu.ac.bd/results থেকেও ফলাফল জানা যাবে।

পরীক্ষায় ২৩টি অনার্স বিষয়ে মোট ২ হাজার ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম রোববার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।