ইবিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা: পরিবহন সুবিধা থাকলেও হল বন্ধ

ইবি প্রতিনিধিঃ করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক সুবিধা ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে অনুষ্ঠিত ১১৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে পরিবহন সুবিধা থাকলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

সভায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষক ও বিভিন্ন অফিস প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বিভাগের হাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন সুবিধা দিলেও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা চলাকালে কোন শিক্ষার্থীদের করোনা হলে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে না।

করোনায় কেমন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের

নানা কারণে বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ গুলো বর্ণিল হয়ে থাকে। নতুন ক্যাম্পাস নতুন পাঠ্যক্রম আর নতুন সব বন্ধু-বান্ধবের ভিড়ে পাওয়া যায় জীবনের পূর্ণতার স্বাদ। নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে সবাই। তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের (কুবি) করোনা কালীনে কিভাবে কেটে গেল, তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার চেষ্টা করছে -আবু জাফর ।

নুসরাত রশিদ, গণিত বিভাগ

“ভার্সিটি লাইফ হচ্ছে নিজের স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটা অন্যতম মাধ্যম। অনেক পরিশ্রম আর চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে উপনীত হই। তেমনি অনেক পরিশ্রম করে স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপদানের জন্যই কুবি’র বুকে পদচারণ ঘটেছিল। মাত্র ২ মাস ১৭ দিন ক্লাস করার সুযোগ হয়েছিল। তারপর কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এতো অল্প সময়েও কুবি আমাদেরকে তার মায়ায় জড়িয়ে বুকে টেনে নিয়েছিল। ব্যাচমেট ও সিনিয়রদের সাথেও এই অল্প দিনে কিছুটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

সেই মার্চ মাস থেকে এখনো পর্যন্ত আর ভার্সিটির সেই প্রাণোচ্ছল রূপ দেখা হয় নি, বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করা আর আড্ডা দেয়া হয় নি। এরপর সবাই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাই। অনলাইনে ক্লাস করা শুরু হয়। কিন্তু বন্ধুদের সাথে বসে সরাসরি ক্লাস করার মতো আনন্দটুকু আর পাওয়া যায় নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো ভার্সিটি ও বন্ধুদের সাথে আরো অনেক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠতো। ভার্সিটি লাইফটাকে উপভোগ করে ভালো সময় কাটানো যেতো। খুব মিস করি ভার্সিটি ও বন্ধুদেরকে। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই সুস্থ পৃথিবীতে সুস্থভাবে আবার দেখা হবে সবার।”

নাঈম, বাংলা বিভাগ

“সেই মাধ্যমিক থেকে দেখে আসা স্বপ্নের বাস্তব রূপলাভ করে গত ডিসেম্বরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে! ক্লাস শুরু জানুয়ারির পয়লা তারিখ । নতুন জায়গা কতশত নতুন মুখ! কিন্তু কাউকেই নতুন মনে হচ্ছে না। সিনিয়র, ব্যাচমেটরা এতই আন্তরিক যে প্রথম ক্লাসেও মনে হয়নি তাদের সবার সাথেই আমার প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতেই কাউকে কত আপন করা যায় তা ভার্সিটিতে না গেলে বুঝতেই পারতাম না।

ক্লাসের ফাঁকে ক্যাফেটেরিয়া যাওয়া, ক্লাস শেষে একসাথে আড্ডা দেওয়া, কোনো প্রিপ্ল্যান ছাড়াই আসে পাশে ঘুরতে যাওয়া। ম্যানারসহ যাবতীয় নিয়মকানুন শিখিয়ে ইমমেচিউর আমাদেরকে ম্যাচিউর করার কত চেষ্টা সিনিয়রদের। এরপরেও ঠিক মত সালামটাই দিতে পারতাম না । আহা! কত সুন্দর সময়। কিন্তু সেই সময়টা মাত্র কয়েকমাসেই ভোরের স্বপ্নের মত ইতি টেনেছে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী মহামারি করোনার জন্য!

সবাই সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর মত মনে করে এক কাপরে যে যার মত বাড়ি চলে আসি কিন্ত আজ দীর্ঘ নয় মাস হয়ে গেলো আজও ফিরে যাওয়া হলো না সেই প্রাণের ক্যাম্পাসে। যতই অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে আমাদের কোর্স কিংবা সেমিস্টার শেষ করা হোক না কেনো আমরা কি আমাদের সেই ইমম্যাচিউর ফার্স্ট ইয়ারটা পাব!? হায় বাস্তবতা, ইমম্যাচিউরিটির সাধ গ্রহণ করার আগেই ম্যাচিউর করে দিচ্ছে!”

জান্নাতুন নিসা , সাংবাদিকতা বিভাগ

“২০২০ সাল আনন্দের সাথে পুরো জানুয়ারি মাসটা কাটিয়ে দেই শিক্ষকবৃন্দ, বন্ধুমহল,বড় ভাই-বোনসহ সকলের সাথে পরিচয় হতে,সকলকে চিনতে,জানতে আর পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে দেখতেই। তবুও এর হয়না শেষ। এরই মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে আমাদের ভাগ্যবশে দেখা মিললো কুবির প্রথম কনভোকেশন।এর তৃপ্তিও ভিন্ন সাধের,ভিন্ন আনন্দের। এভাবেই যাচ্ছিলো দিন,কাটছিলো রাত। কিন্তু হায়! আমাদের এই আনন্দের তৃপ্তি বেশিদিন টিকল না।

মার্চের মধ্যভাগেই ঘটে করোনা রোগের আবির্ভাব।যার ফলে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য।ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ এপ্রিলে খোলার আশ্বাস দিলেও তা আর হলো না।ভয়ংকর এই মহামারীর জন্য হারালাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মূল্যবান সময়, হারালাম আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত,নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার সুযোগ, নতুন বন্ধুত্বের ছোঁয়া।শেষ কবে বন্ধুমহল নিয়ে কুবির মুক্তমঞ্চে আড্ডায় মাতোয়ারা হয়েছিলাম কে জানে।বন্ধের অল্প কয়েকদিন পরই তো আমাদের অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস শুরু হয়।

এই ভার্চুয়াল ক্লাস কখনোই পারেনি ক্যাম্পাসের সেই সরাসরি ক্লাসের তৃপ্তির স্বাদ এনে দিতে,পারিনি বন্ধু মহলে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে, তাদেরকে ভালোভাবে জানতে, আমাদের বন্ধুত্বটা আরো দৃঢ় করতে।এছাড়াও অনলাইন নির্ভর জীবনে দৃঢ় হলো না আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বন্ধন,বিভাগের সকল বড় ভাই-আপুদের সাথে আমাদের নতুনদের বন্ধুত্বের বন্ধন।”

শফিকুল ইসলাম, গণিত বিভাগ

“সেই প্রথম–দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গতানুগতিক পড়ালেখার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলাম। এতদিন ধারনা ছিল যে বিশ্ববিদ্যালয় এক উন্মুক্ত চিন্তা ধারার স্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তা বুঝতে ও পেরেছি। কিন্তু তা আর বেশিদিন হই নি করোনা মহামারির কারণে বাড়িতে চলে আসতে হয়েছে।যার ফলে নতুন করে বন্ধুদের সাথে পরিচিত হতে পারি নি তাছাড়া পড়ালেখার তো ব্যাঘাত ঘটছেই, যাইহোক অনলাইন ক্লাসের কারণে যদিও ক্লাস করতে পারছি তার পর ও তো যান্ত্রিক ত্রুটি থাকেই। অনলাইনে ক্লাস করেই আমাদের 19–2০ সেশনের সবার প্রথম বর্ষ শেষ হইয়ে গেছো। যা আমাদের জীবনের এক সোনালি অধ্যায় না উপভোগ করেই যেন চলে গেল।”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৬ জানুয়ারি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার কারণে স্থগিত হওয়া বাকি পরীক্ষাগুলো আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

পরীক্ষা না দিয়ে অটোপাসের কোন সুযোগ নেই: উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের সুযোগ নেই। করোনাভাইরাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার সব প্রস্তুতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে

সম্প্রতি গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে অটোপাসের দাবিতে বিভিন্ন কলেজের বিএ (সম্মান) ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

এদিকে সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরেও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের কোনও সুযোগ নেই। এটা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বললে তখন সেটা বিবেচনা করা যেত।

শিক্ষার্থীরা জানান, মৌখিক ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার গড় পদ্ধতি অনুসরণ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ফল ও করোনা পরিস্থিতিতে কলেজসমূহ বন্ধ হওয়ার আগে চতুর্থ বর্ষের অনুষ্ঠিত পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে বাকি বিষয়গুলো ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে হবে।

এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, স্বয়ংক্রিয় পাশের বিষয়টি এখনো ভাবা হচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় এনে এই মুহূর্তে ফেস টু ফেস পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। ভ্যাকসিন এলেও সমস্যার সমাধান হবে।

পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। আমরা শুধু করোনার প্রকোপ কমার অপেক্ষা করছি। পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে আমরা একদিনও কালক্ষেপণ করবো না। ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীদের অর্ধেক পরীক্ষা হয়ে গেছে। অবশিষ্ট পরীক্ষা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই নিয়ে নেয়া হবে।

আগামী ২৩ আগস্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে অনলাইন ক্লাস শুরু : উপাচার্য

ডেস্ক রিপোর্ট


আগামী ২৩ আগস্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে পুরোদমে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে। আর এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসে প্রায় ১৫শ থেকে ১৬শ শিক্ষক সংযুক্ত থাকবেন। এসব শিক্ষকরা সাড়ে ২৩ হাজার কোর্সের ওপর ক্লাস নেবেন।

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, এ অনলাইন ক্লাসে কি পাঠদান করা হবে এ বিষয়ে আমরা শিক্ষকদের একটি তালিকা করে দিয়েছি। তারা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া কোন কোন শিক্ষকরা এসব অনলাইন ক্লাস নেবেন সে সংক্রান্তও একটি তালিকা আমরা হাতে পেয়েছি।

উপাচার্য বলেন, আমরা অনলাইন ক্লসের জন্য যেসব শিক্ষক নির্বাচন করেছি তারা করোনাকালীন সময়ে জুমের মাধ্যমে লেকচার দেবেন আর সেটা রেকর্ড হতে থাকবে। এছাড়া আমরা বেশ কতগুলো কলেজকে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত করে স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করবো। কিছু কলেজে আমাদের স্টুডিও আছে।

 

করোনা পরবর্তী সময়েও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, কারোনাকালীন পরিস্থিতির অবসান হলেও বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিচালন ব্যবস্থায় এটা হবে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।করোনা মহামারির মধ্যে দেশের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গত ৩০ এপ্রিল এক অনলাইন বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।তখন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ আমাদের অনেক কলেজেই অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে। যেসব কলেজে এই সুযোগ-সুবিধা আছে, আমরা সেসব কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করব। আবার অনেক কলেজে সেটা সম্ভবও হবে না।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার অহংকার!

শাফিউল কায়েস


আমরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অহংকার করি। পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমসহ বাস্তবতায়ও একে অপরকে ছোট করে দেখি। পাবলিক-প্রাইভেটে সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাবলিক-প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ছোট করে দেখে।

প্রকৃত কথা হচ্ছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কিছুই দিতে পারে নি, একটা সার্টিফিকেট দিয়েছে…? অবশ্যই, অস্বীকার করার কিছুই নেই।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে, কিভাবে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজনীতি করেন। শিক্ষকরা সকাল ৮ টার ক্লাস ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে বিকেল ৪ কিংবা ৫ টার সময় নেন! উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলাম…কিন্তু দুঃখজনক আমাদের সিলেবাসের পড়ার বাহিরে একটি মানবিক গল্প বা ভালোবাসার গল্প শেখায় নি। আমি বলবো- একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে একটি শিক্ষিত সার্টিফিকেট দিয়েছে কিন্তু সুশিক্ষিত হওয়ার সার্টিফিকেট দেয় নি।

একজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বলতে দেখেছি- “ক্লাসরুমে বসে ছাঁড়পোকার কামড় আর গণশৌচাগারে বসে হাগাকালীন (টয়লেট করার সময়) পশ্চাদদেশের উপর দিয়ে তেলাপোকা ভ্রমণের মনঃকষ্ট থেকে সমালোচনা করাই যায়!”

এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বলতে শুনেছি- “আরে, ওরা ত পড়ে প্রাইভেট-জাতীয়তে; আর আমরা পড়ি পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে। ওদের থেকে আমরা বেটা। পাবলিকে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাইতে হয়। আর ওরা ত পড়ে টাকা দিয়ে। পাবলিকে চান্স না পাওয়ারা পড়ে প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।”

পাবলিক-প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য নেই? আছে। তবে তা আমাদের সমাজে যে ধরনের ধারণা-ভাবনা প্রচলিত, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

অপ্রিয় হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা সফল মানুষেরা নিজের চেষ্টাতেই সফল হয়েছেন। তাদের সফল হওয়ার কারণগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি যোগসূত্র নেই।

তবে- সার্টিফিকেট, ক্লাসরুম, টয়লেট নয় হল এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ শিক্ষার্থীর সামনে নতুন চিন্তার দুয়ার খুলে দেয়। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার ঠিক করে ফেলে। নিজের আগামীর পথচলার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তবে, হল-ক্যাম্পাসের আড্ডা তাতে সাহায্য করে।

নিজেদের পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তি আমাদের সফলতা দিতে পারে, অন্যথায় না!

যোগ্যতা আপনাকে নিজে তৈরি করতে হবে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় দিবে না। হোক সেটা পবলিক-প্রাইভেট কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেটা করতে জানলে গ্রামাঞ্চলের নাম অজানা ডিগ্রি কলেজ থেকেও করা সম্ভব। শত শত উদাহরণও আছে।

সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমরা এমন এক যুগে ধীরে ধীরে পদার্পণ করতেছি, যেখানে ‘আপনি কী জানেন ’ এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এখন ‘আপনি কী করতে পারেন’!!!

সবশেষে, আপনি যেখানেই পড়ুন না কেন; যেখান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করুন না কেন; আপনাকে সর্বোপরি ভালো মনের মানুষ হতে হবে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো কর্তব্য ও দায়িত্ব। বাবা-মায়ের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নিজের জন্য কাজ করতে হবে।

ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

২৮ মার্চ, শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম মনির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হল। করোনার কারণে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চলতি বছরেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সমাবর্তন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের দ্বিতীয় সমাবর্তন এ বছরের (চলতি) শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বছরের (চলতি) শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।”

সিনেট অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ মোট ৫৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।