বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রেমে খরচ কমাবেন যেভাবে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ প্রেমে পড়াতে কোন বয়স লাগে না, তাছাড়া এ অনুভুতিটি মানে না কোন নিয়ম-নীতিমালা। প্রেম নিয়ে ইতিহাসের পাতায় সাক্ষ্য দেয় অনেক কল্পকাহিনী। সেখানে অনেক চরিত্রও রয়েছে। প্রেমের কথাটি জানাতে প্রিয় মানুষটির কাছাকাছি পৌঁছাতে হয়। দূর থেকে ভালোবাসার গভীরতা প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য।

তাইতো প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরের দেখা পেতে আকুল হয়ে থাকে। তাই বলে তো প্রথমবার কারো সঙ্গে দেখা করার সময় মাঠেঘাটে বসে কাটিয়ে দেয়া যায় না! ভালো রেস্টুরেন্টে যেতে হয়, সিনেমার টিকিট কাটতে হয়, উপহারও কিনতে হয়। প্রথম দেখার ইমপ্রেশন ধরে রাখতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ দিনগুলোতেও খরচের বহর চলতেই থাকে! কাজেই মাসের মাঝামাঝি পৌঁছোতে না পৌঁছোতেই পকেট গড়ের মাঠ! তাই চলুন জেনে নেয়া যাক প্রেমে খরচ কমানোর উপায়-

আর্থিক অবস্থা সবসময় একইরকম থাকে না। টাকাপয়সার টানাটানি থাকলে সঙ্গীর কাছে তা অকপটে বলুন। ধারদেনা করে প্রেম চালিয়ে নিতে যাবেন না। খরচও দুজনে শেয়ার করে নিন।

প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে যে সবসময় নামীদামী রেস্টুরেন্টেই খেতে যেতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই! ভালোবাসায় গভীরতা থাকলে আপনারা পরস্পরের সান্নিধ্যই উপভোগ করবেন। হোক তা পথের ধারের টি স্টলে আড্ডা। কোনো মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি ঘুরে দেখেও কাটাতে পারেন সময়। ঘুরতে বের হলেই যে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করতে হবে, তা কিন্তু নয়।

প্রিয় বা ভালোবাসার মানুষটিকে উপহার দিতে ইচ্ছে হতেই পারে। কিন্তু তা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়। নিজের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে দামী দামী উপহারই যে দিতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। তার প্রতি আপনার আন্তরিকতাটাই আসল। তাই বিভিন্ন উপলক্ষ খুঁজে বের করে দামী উপহার দেয়ার পরিমাণটাও কমাতে হবে।

ডেটিংয়ে যাওয়ার আগে দামি স্পা বা সালোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানোর অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ুন। শুধু স্পা নয়, নতুন পোশাকআশাক কেনার ব্যাপারটাও নিয়ন্ত্রণে আনুন।

মেয়েরা প্রেমের টানে নয়, ফ্রি খেতেই ডেটিংয়ে যান!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ডেটিং শব্দটি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। প্রেমিক-প্রেমিকারা আলাদাভাবে নিজেদের সময় উপভোগ করতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যান। খেতে খেতে গল্প করেন। মূলত এটাই হলো ডেটিং।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, নারীরা প্রেমের টানে নয়। বরং তারা পুরুষসঙ্গীদের সঙ্গে ডেটিংয়ে যান ফ্রিতে খাওয়ার জন্য। গবেষণা বলছে, ২৩-৩৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের কাজ করেন।

ডেটিং এর বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির গবেষকরা এই ধরনের নারীদের ‘ফুডি কল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ ব্যাপারে গবেষণা ফলাফলে আরও বলছে, এ ধরনের নারীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পুরুষসঙ্গী খুঁজেন ও দফায় দফায় তা পরিবর্তন করেন। এসব নারী বিভিন্ন সময় নেতিবাচক কাজেও জড়িয়ে পড়েন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।