ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

১। গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরবেন না
২। পড়ার লেখার চেয়ে বন্ধু বান্দবকে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা
৩। রুমে নয় লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশুনা করুন, এতে আপনার স্টাডি সার্কেল বড় হবে
৪। সিট নয় বই কিনে পড়ুন
৫। নিজের যা আছে তার চেয়ে বেশি দেখাতে যাবেন না
৬। রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে বেশি হাই হ্যালো না করলেও শত্রুতা রাখবেন না

৭। নিজেকে সবার সেরা মনে করে অন্যকে ছোট করা যাবে না
৮। হলের ক্যান্টিনে বকেয়া রাখবেন না
৯। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে এড়িয়ে যাবেন না
১০। লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়ে পড়ার চেয়ে বেশি আড্ডা দিবেন না
১১। অন্যের কক্ষে গিয়ে বেশিক্ষণ আড্ডা না দেয়াই ভালো

১২। জুনিয়রদের কাজের হুকুম না দিয়ে ভালোবাসুন, দেখবেন এমনিতেই সে আপনার প্রয়োজনে কাজে আসবে
১৩। এক শিক্ষকের বদনাম আরেক শিক্ষকের কাছে বলবেন না
১৪। দোকানে খাওয়া শেষে বিল দিতে না পারলে বলে আসুন পরে দিবেন কিন্তু না বলে আসবেন না
১৫। ধর্ম কর্ম একেবারে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ, দিন শেষে মনের শান্তির জন্য হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা উচিত
১৬। পরীক্ষার চিন্তায় পড়াশুনা কমিয়ে দিবেন না

১৭। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে রাখবেন না
১৮। একটা কিছু হবেই, এ ভেবে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিবেন না। প্রথম থেকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক পড়াশুনা করতে হবে
১৯। শিক্ষকদের তোষামোদি করে ভালোবাসা নয়, মেধা দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করুন
২০। ক্যাম্পাসে কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না

এক শতাব্দী পেরিয়ে দ্বিতীয় শতাব্দীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবের পথচলায় এক শতাব্দী পেরিয়ে দ্বিতীয় শতাব্দীতে পা দিয়েছে আজ (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার। বয়সের হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি আজ শত বছর পূর্ণ করল। আর পা দিল ১০১ বছরে।

১৯২১ সালের এইদিনে ঢাকার রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবনগুলো ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনগুলোর সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

ঢাবিতে অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি, নির্দেশিকা প্রকাশ

৬ কোটি টাকা অনুদান পেল প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৪টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ১৯৮৬জন শিক্ষক, প্রায় ৪৭হাজার শিক্ষার্থী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে দেড় শতাধিক বিভিন্ন একাডেমিক ঘরানার অধিভুক্ত/উপাদানকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের মাহমারির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সশরীরে আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পসে কোন অনুষ্ঠান হবে না। অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি।

অনলাইন প্রতীকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল বক্তা হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন ভাষাসৈনিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির মূল অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ওইদিন নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।

শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সকল লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশ সেবায় রেখেছে অনন্য অবদান। দেশের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ ও চিরকৃতজ্ঞ চিত্তই এগিয়ে চলার পাথেয়। ইনশাল্লাহ, আমরা এগিয়ে যাবই।

“এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন গর্বিত শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অভিযাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়ে এই জ্ঞানপীঠ যেন পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম জ্ঞানকে আরও বেশি আয়ত্ত করার সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারে- বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সেটাই হোক প্রত্যাশা।”

১৯২১ সালে তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলো ছিল— সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।

প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। যেসব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তারা হলেন— হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ. সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, জি এইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ এ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, এ এফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও দেশভাগের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বা পরবর্তী সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫টি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। ১৯৪৭-৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে সব জন-আন্দোলন ও সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের আইয়ুব সরকারের জারি করা অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ জারি করেন। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাবিতে অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি, নির্দেশিকা প্রকাশ

ঢাবি টুডেঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সশরীরে পরীক্ষার নিয়মেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, টেবুলেশন শিট তৈরি, পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় প্রদান প্রভৃতি স্বাভাবিক সময়ের অনুরূপ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ইতোমধ্যে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরী করে, তা সংশ্লিষ্ট অনুষদ এবং বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে নির্দেশনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সাড়ে ৩ লাখ প্রাথমিক আবেদন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা স্থগিত

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষা কমিটি জানায়, করোনা পরিস্থিতির ফের অবনতি ঘটায় পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে। এ জন্য নির্দেশিকা তৈরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা, প্রশিক্ষণের জন্য দুইটি ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হবে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এ সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাই না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনলাইনে চলবে।’

ঢাবি উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, এরই মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের নীতিমালা চূড়ান্ত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইনস্টিটিউশনাল ই-মেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এখন পরিস্থিতি বুঝে বিভাগ, ইনস্টিটিউটগুলো শিক্ষার্থীদের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

এদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হবে কি-না, তা আজ জানা যাবে।

অনলাইন পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

ক) প্রস্তুতি পর্ব

১। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুতকরণ:

অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার জন্য গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করতে হবে। প্রতি সেমিস্টার/বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্লাসরুম খোলা হবে। সংশ্লিষ্ট সেমিস্টার/বর্ষের পরীক্ষা কমিটি গুগল ক্লাসরুম খুলবে এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডি ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজ নিজ সেমিস্টার/বর্ষের জন্য তৈরি করা গুগল ক্লাসরুম এ পরীক্ষা শুরুর অন্তত তিন দিন আগে জয়েন করতে হবে। সকল পরীক্ষার্থী নির্ধারিত ক্লাসরুমে জয়েন করতে পেরেছে কি-না বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সেমিস্টার/বর্ষের পরীক্ষা কমিটি নিশ্চিত করবে।

প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা অ্যাসাইনমেন্ট খোলা হবে। প্রদত্ত অ্যাসাইনমেন্ট-এ নির্ধারিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংযুক্তি হিসেবে থাকবে, যা পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট পূর্বে গুগল ক্লাসরুমে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার্থীরা সংযুক্ত প্রশ্নপত্রটি নিজ কম্পিউটার/মোবাইলে ডাউনলোড করতে পারবে।

প্রত্যবেক্ষণের জন্য অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুম ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই BdREN থেকে দেওয়া জুমের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে।

২। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত

i) পরীক্ষার নম্বর ও সময়

প্রচলিত পদ্ধতির অর্ধেক সময়ে এবং ফাইনাল পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত নম্বরের অর্ধেক নম্বরে পরীক্ষা নিতে হবে। ফল বিন্যাসের সময় নম্বর দ্বিগুণ করে পূর্ণ নম্বরে রূপান্তরিত হবে।

*দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় পাবে।

ii) প্রশ্নের ধরন সংক্রান্ত

প্রচলিত পদ্ধতিতে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় (যেমন বর্ণনামূলক, বহুনির্বাচনী, সংক্ষিপ্ত ইত্যাদি) এক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রশ্নই করা হবে। তবে বিভাগের একাডেমিক কমিটি চাইলে এর পরিবর্তন করতে পারবে। উভয় ক্ষেত্রেই বিভাগ থেকে সকল পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে ।

৪। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে করণীয়

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীগণ নিজ দায়িত্বে তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন একজন শ্রুতিলেখক নির্বাচন করতে পারবে। শ্রুতিলেখকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত প্রমাণপত্র, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ছবি ও ফোন নম্বর পরীক্ষা শুরুর অন্তত সাত দিন আগে বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এর চেয়ারম্যান/পরিচালক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ইমেইল-এ পাঠিয়ে দিতে হবে।

খ) পরীক্ষা অনুষ্ঠান

১। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার সংক্রান্ত

জুমে জয়েন করার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই নামের পরিবর্তে কেবলমাত্র পরীক্ষার রোল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এর ব্যত্যয় ঘটায় সেক্ষেত্রে প্রত্যবেক্ষকদের একজন তাকে রিনেম করে দিবেন। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে জুমে জয়েন করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কমিটি গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিমে জুম-এর আইডি পাসওয়ার্ড এবং জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য অন্তত তিনটি মোবাইল নম্বর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করবেন

পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই ভিডিও সচল রেখে দৃশ্যমান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

২। উত্তরপত্র সংক্রান্ত

অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত উত্তরপত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই বিধায় উত্তরপত্রের কাভার পৃষ্ঠার এডিটেবল সফটকপি পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা শুরুর অন্তত একদিন আগে গুগল ক্লাসরুমের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। পরীক্ষা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত পরীক্ষার খাতার অনুকরণে এই কাভার পৃষ্ঠা। প্রস্তুত করবেন। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই প্রয়োজনীয় তথ্য উক্ত সফটকপিতে পূরণ করে প্রিন্ট করবেন অথবা সেটি প্রিন্ট নিয়ে হাতে পুরণ করবেন অথবা প্রিন্টার না থাকলে A4 সাইজের সাদা কাগজে তার অনুলিপি প্রস্তুত করে রাখবেন। উত্তরপত্র স্ক্যান করার সময় এই পাতাটিকে প্রথম পাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা A4 সাইজ কাগজে নিজ হাতে প্রশ্নের উত্তর লিখবে এবং উত্তরপত্রের প্রতি পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠা নম্বর এবং পরীক্ষার রোল নম্বর লিখতে হবে।

৫। উত্তরপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত

পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের উত্তরপত্র স্ক্যান করে/ছবি তুলে একটি সিঙ্গেল PDF ফাইল আকারে গুগল ক্লাসরুমের যে অ্যাসাইনমেন্ট-এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল সেই একই অ্যাসাইনমেন্ট-এর বিপরীতে অ্যাটাচমেন্ট আকারে (কাভার পৃষ্ঠাসহ) পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার ১০ থেকে ৩০ মিনিট (বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত) সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। একজন পরীক্ষার্থী একটির বেশি ফাইল আপলোড করতে পারবে না। আপলোডকৃত ফাইলের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি কমন ফরম্যাট ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে সকল ফাইল ডাউনলোড করে কোনো ফোল্ডারে সংরক্ষণ করার পর কোন পরীক্ষার্থী কোন ফাইল আপলোড করেছে তা নির্ণয় করা দুরূহ হয়ে পড়বে। ফাইলের নামের ফরম্যাট হতে হবে *কোর্স কোড_পরীক্ষার রোল নম্বর’। এই বিষয়টি অবশ্যই আগে থেকে পরীক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে (গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে) এবং পরীক্ষা শুরুর আগে প্রত্যবেক্ষকগণ পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে আবার অবহিত করবেন।

উত্তরপত্রের স্ক্যানকৃত PDF ফাইলটি অ্যাসাইনমেন্ট-এর বিপরীতে অ্যাটাচ করা হয়ে গেলে অ্যাসাইনমেন্টটি টার্ন ইন’ করার বিষয়ে প্রত্যবেক্ষকগণ বারবার সতর্ক করবেন। উত্তরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর প্রত্যবেক্ষকগণ সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা দেয়া এবং টার্ন-ইন করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই একজন পরীক্ষার্থী জুম-মিটিং ত্যাগ করতে পারবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গুগল ক্লাসরুমে উত্তরপত্র জমা না নিয়ে পরীক্ষা কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত কোনো একটি ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডিতেও পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট আকারে প্রেরণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা কমিটির উপস্থিত সদস্যের অনুমতির প্রয়োজন হবে।

৬। মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত

মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নেওয়া যাবে ।

৭। ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত

যেসব বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এ ব্যবহারিক কোর্স রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সশরীর উপস্থিতি আবশ্যক না হলে

অনলাইনে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।

১। যান্ত্রিক ত্রুটির ক্ষেত্রে করণীয়

বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জুম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অথবা উত্তরপত্র নির্ধারিত সময়ে আপলোড করতে ব্যর্থ হলে তাকে অনধিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রত্যবেক্ষককে অবহিত করতে হবে।

২। পুনঃপরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত

বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে প্রত্যবেক্ষকের সুপারিশসহ পরীক্ষার্থীর লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পুনঃপরীক্ষা নেওয়া হবে।

কোনো পরীক্ষার্থী যদি অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

৩। অনলাইন কর্মশালা আয়োজন সংক্রান্ত

পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত উপরিউক্ত যাবতীয় কার্যক্রম গুগল ক্লাসরুম এবং জুমের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা কমিটির সদস্য প্রত্যবেক্ষক এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে কর্মশালা আয়োজন বাঞ্ছনীয়। এই কর্মশালা বিভাগ/ইনস্টিটিউট অথবা অনুষদ পর্যায়ে হতে পারে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গুগল ক্লাসরুমে পরীক্ষা দেওয়া ও নেওয়ার কর্মকৌশল সংক্রান্ত দুটি ভিডিও টিউটোরিয়াল অচিরেই প্রকাশ করা হবে।

এই নির্দেশিকায় বলা নেই এমন কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে পরীক্ষা কমিটি তার সমাধান দিতে পারবে।

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন: বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে।

বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

হাফিজুর নিখোঁজ হওয়ায় আমরা সবাই চিন্তিত

 

 

ঢাবি টুডে

 

ঈদের পরদিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। নিখোঁজের সময় তার পরনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোযুক্ত ডাকসুর টি-শার্ট ছিল। এদিকে হাফিজের দুশ্চিন্তায় তার বাবা-মা-বোন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে ।

 

শনিবার (২২ মে) ওই শিক্ষার্থীর নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম রিপন।

 

নিখোঁজ হাফিজুর রহমান তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত।

 

 

 

এদিকে বন্ধু মারফতে জানা যায় , ঈদুল ফিতরের পরদিন গত ১৫ মে দুপরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে হাফিজুর। বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে রাত ৮-৯টার দিকে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। পরে বন্ধুরা তাকে বিদায় দেয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। আমরা বিভিন্নভাবে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। বাধ্য হয়ে সর্বশেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি শেয়ার করছি।

 

তারা আরও বলেন, আজ প্রায় আট দিন হতে চললো, কোনোভাবেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হাফিজুর রহমানের নিজের এলাকায় জিডি করা হয়েছে, শাহবাগ থানায়ও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ায় আমরা সবাই চিন্তিত। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কেউ শিক্ষার্থী হাফিজুরের খোঁজ জানতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অথবা উল্লেখ্য নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি।

 

হাফিজুর রহমানের সন্ধান পেলে +8801681571977 (মীর লোকমান), +8801827949378 (লিজাইনুল ইসলাম রিপন) নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘থিম সং’ আহবান

 

ঢাবি টুডে :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে একটি ‘থিম সং’ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘থিম সং’টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে বলে জানা গেছে।

এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের থেকে ‘থিম সং’’ আহ্বান করা হচ্ছে। ‘থিম সং’’ টি অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ গান হতে হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে কোনো সুরকার, গীতিকার এবং শিল্পী সম্মিলিতভাবে অথবা যে কেউ এককভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

‘থিম সং’’ এর মধ্যে অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সমাজে ও দেশে অবদানের বিষয় উল্লেখ বা আভাস থাকতে হবে।
‘থিম সং’’ টি আগামী ৩১-০৫-২০২১ তারিখের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস, প্রশাসন-৩ শাখায় (reg.admin3@du.ac.bd) জমাদান/প্রেরণ করতে হবে।

 

ঢাকার বাইরেও হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)- Dhaka University (DU) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি জন্য আবেদনপত্র অনলাইনের গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকালে ঢাবি জনসংযোগ দফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ঢাকার বাইরেও । এ ব্যাপারে সোমবার (০৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোঃ আখতারুজ্জামান কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস থেকে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের বাইরের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা এবার ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু

তিনি আরও জানান। এ বছর ক-ইউনিটভুক্ত নতুন বিভাগ আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তাই এ বছর মোট আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ১৩৩টি। এরমধ্যে ক-ইউনিটে এক হাজার ৮১০টি, খ-ইউনিটে দুই হাজার ৩৭৮টি, গ-ইউনিটে এক হাজার ২৫০টি, ঘ-ইউনিটে এক হাজার ৫৬০টি এবং চ-ইউনিটে ১৩৫টি আসন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস বিষয়ে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, শুধু ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট অনুষ্ঠিত হবে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষার সময় ৬০ মিনিট থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ

জনসংযোগ দফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে ২০২১ শুক্রবার, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে শনিবার, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে বৃহস্পতিবার, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে শুক্রবার এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন শনিবার ও অঙ্কন পরীক্ষা ১৯ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। ক, খ, গ, ও ঘ ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান (এমসিকিউ) পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং অঙ্কন পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাবির ভর্তির বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট (https://admission.eis.du.ac.bd) এবং ভর্তির নির্দেশিকা থেকে জানা যাবে। সেই সাথে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন শুরু আগামী ৮ মার্চ

 

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন আগামী ৮ মার্চ বিকেল ৪টা থেকে শুরু এবং আবেদন চলবে ৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে ১ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত টাকা জমা দেয়া যাবে।

আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিবিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুক্রবার, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে শনিবার, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে বৃহস্পতিবার, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে শুক্রবার এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায় , ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কেবল ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০, ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন২১ শে মে দিয়েই শুরু এবারের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তিবিষয়ক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট admission.eis.du.ac.bd এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিগগির জানিয়ে দেওয়া হবে।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে একটি স্বপ্ন, বাঁচাতে প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মাসুদ রানা সুমন লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে যুদ্ধ করে চলেছে।

সুমনের বাড়ি রাজশাহী। গত এক মাসে আগে হঠাৎ লিভারজনিত রোগের জন্য অসুস্থতা দেখা দিলে প্রথমে তার নিজ জেলা রাজশাহী ও পরে ঢাকার কয়েকটা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও অবস্থার উন্নত হয়নি সুমনের। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। যা এই নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পরামর্শ দেন।

মাসুদ রানা সুমনের বোন জানান, আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের পক্ষে এত টাকা বহন করা সম্ভব না। আত্মীয়স্বজন যারা আছে তারা অনেকেই সাহায্য করছে। এরপরও আমাদের অনেক টাকা প্রয়োজন।

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টা ড.শারাফাত আলী বলেন, বিষয়টা নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের সাথে এবং ঐ শিক্ষার্থীর বোনের সাথে কথা হয়েছে। আমরা ঐ শিক্ষার্থী থেকে এ বিষয়ে দরখাস্ত পেয়েছি। পরবর্তীতে আমারা এসিসট্যান্ট কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নিবো।

সুমনকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

বিকাশ,রকেট-০১৭০৪৭৩০৬৬৫(সুমনের পরিবার)
নগদ-০১৭২৭২৫৮৪১১(সুমনের পরিবার)

বিভাগ পরিবর্তনের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পূর্বের ন্যায় পরীক্ষা এর মাধ্যমে বিভাগ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলেন- আমরা আপনাদের সন্তানের মতো। আমাদের জীবন নিয়ে খেলা করার অধিকার আপনাদের নেই। আমাদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার আছে। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই।

বক্তারা আরও বলেন- হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া কখনই শিক্ষার্থীবান্ধব হতে পারে না। মেধাকে ধ্বংস করতেই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আপনাদের এমন সিদ্ধান্তে শুধু আমরা নই, আমাদের পরিবারের লোকজনও ভেঙ্গে পড়েছে।

দ্রুত এমন হটকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পূর্বের ন্যায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানায় বক্তারা।