ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

১। গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরবেন না
২। পড়ার লেখার চেয়ে বন্ধু বান্দবকে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা
৩। রুমে নয় লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশুনা করুন, এতে আপনার স্টাডি সার্কেল বড় হবে
৪। সিট নয় বই কিনে পড়ুন
৫। নিজের যা আছে তার চেয়ে বেশি দেখাতে যাবেন না
৬। রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে বেশি হাই হ্যালো না করলেও শত্রুতা রাখবেন না

৭। নিজেকে সবার সেরা মনে করে অন্যকে ছোট করা যাবে না
৮। হলের ক্যান্টিনে বকেয়া রাখবেন না
৯। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে এড়িয়ে যাবেন না
১০। লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়ে পড়ার চেয়ে বেশি আড্ডা দিবেন না
১১। অন্যের কক্ষে গিয়ে বেশিক্ষণ আড্ডা না দেয়াই ভালো

১২। জুনিয়রদের কাজের হুকুম না দিয়ে ভালোবাসুন, দেখবেন এমনিতেই সে আপনার প্রয়োজনে কাজে আসবে
১৩। এক শিক্ষকের বদনাম আরেক শিক্ষকের কাছে বলবেন না
১৪। দোকানে খাওয়া শেষে বিল দিতে না পারলে বলে আসুন পরে দিবেন কিন্তু না বলে আসবেন না
১৫। ধর্ম কর্ম একেবারে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ, দিন শেষে মনের শান্তির জন্য হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা উচিত
১৬। পরীক্ষার চিন্তায় পড়াশুনা কমিয়ে দিবেন না

১৭। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে রাখবেন না
১৮। একটা কিছু হবেই, এ ভেবে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিবেন না। প্রথম থেকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক পড়াশুনা করতে হবে
১৯। শিক্ষকদের তোষামোদি করে ভালোবাসা নয়, মেধা দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করুন
২০। ক্যাম্পাসে কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না

দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া দুই আর্থিক অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থী আসমা খাতুন এবং মো. সিয়ামের পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে আসমা খাতুন ৩৬৮তম এবং মো. সিয়াম ৭৮৯তম মেধাস্থান অধিকার করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ‘ঢাবিতে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। বিষয়টি ঢাবি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের ভর্তি ও পড়াশোনার দায়িত্ব নেয় তারা।

উল্লেখ্য, মো. সিয়ামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব পৌরসভার একটি গ্রামে। অন্যদিকে আসমার বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

দিন মজুর বাবার ক্যান্সারে মৃত্যু, লাইট পোস্টের আলোয় লেখাপড়া করে ঢাবিতে চান্স

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ক্যান্সারে বাবার মৃত্যু হলো। দিন মজুর বাবার স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হলো কিন্তু বাবা দেখে যেতে পারলেন না।

মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। তবুও থেমে থাকেনি তানিয়ার স্বপ্নজয়ের যুদ্ধ। দরিদ্রতা তাকে দমাতে পারিনি।

অন্যের জমিতে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর। বাড়িতে আলোর কোন ব্যবস্থা নেই! বিদ্যুৎ নেই। বাড়ির পাশের লাইট পোস্ট। রাত হলেই সেখানে বই খাতা নিয়ে বসে পড়তো অদম্য মেধাবী তানিয়া।

জেলা শহরের ’কাঞ্চন নগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ থেকে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে মেধা তালিতায় ভর্তির সুযোগ হল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার টাকা নেই। এই বুঝি বাবার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো! এরই মধ্যে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র পাশে দাঁড়ালেন। অবশেষে বাবার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে।

গল্পটা ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাঞ্চননগর গ্রামের তানিয়া সুলতানার। তার বাবা কামাল হোসেন ভ্যানচালক ছিলেন। ৩ বছর আগে তার বাবা ক্যান্সার রোগে মারা গেছেন । মা আছিয়া বেগম। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন।

তানিয়ার মা আছিয়া বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মেয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষা নিয়ে হতাশ ছিলাম। মেয়র দায়িত্ব নেয়ার কারণে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে।”

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, “তানিয়ার মতো মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে থাকতে পেরে খুশি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সব ব্যয়ভার বহন করবে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ’গেস্টরুম’ কি চলে?

ঢাবি টুডেঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে রয়েছে অতিথিদের জন্য ‘গেস্টরুম’। রাতে এসব ‘গেস্টরুমে’ হলের শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা বলছেন, প্রশাসনের নীরবতার কারণেই বছরের পর বছর ধরে এই অপকর্ম চলে আসছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে চলে আসছে এই ‘গেস্টরুম কালচার’।

ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যেতে বাধ্য করা হয় তাদের। না গেলে জবাবদিহির জন্য ডাকা হয় গেস্টরুমে। গভীর রাতে হল থেকে বের করে দেওয়াসহ মারধরও করা হয়। গেস্টরুমে যেতে কেউ অনিচ্ছা প্রকাশ করলে ‘শিবির অপবাদ’ দিয়ে হল ছাড়তেও বাধ্য করা হয়। কোনও শিক্ষার্থীর ফেসবুকে প্রকাশিত মতও যদি বিপক্ষে যায়, তাহলেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এছাড়া জুনিয়রদের প্রতি বিভিন্ন অসদাচরণ ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারও করা হয় গেস্টরুমে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সব সময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে হলের আসন বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর এর বিনিময়ে হলের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে হয়। তবে হল প্রশাসনের দাবি, হলের সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রেজাউল আলম বলেন, “প্রথম বর্ষে থাকতে সপ্তাহে তিন-চার দিন রাতে গেস্টরুমে যেতে হতো। হলের বড় ভাইয়েরা বাধ্য করতেন। না গেলে অন্যদের দিয়ে ধরে নিয়ে যেতেন।’ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় তার কয়েকজন বন্ধুকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।”


কী হয় ‘গেস্টরুমে’?


শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত সবাই এই গেস্টরুমে আসা-যাওয়া করেন। তবে সবাইকে ‘চেইন অব কমান্ড’ মেনে চলতে হয়। এখানে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের কথাই চূড়ান্ত।

কয়েকটি হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেস্টরুম দিনের বেলা অতিথিদের জন্য ব্যবহৃত হলেও রাতে ব্যবহৃত হয় ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার’ শেখানোর কাজে। হলে ওঠা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ‘রাজনৈতিক আচরণ’ শেখানোর হাতেখড়ি হয় এখানে। কীভাবে হলের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, সালাম দিতে হবে, তাদের কথায় সায় দিতে হবে ইত্যাদি।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে ডাকেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাদের (দ্বিতীয় বর্ষের) গেস্টরুমে ডাকেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এভাবেই চলে গেস্টরুমের কার্যক্রম। এভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে এই ‘গেস্টরুম কালচার’। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় হল রাজনীতিও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেস্টরুম দুইভাগে বিভক্ত—বড় গেস্টরুম এবং মিনি গেস্টরুম। বড় গেস্টরুমে সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা যান। এটি সপ্তাহে এক বা দুইবার হয়। আর মিনি গেস্টরুম সপ্তাহে তিন বা চারদিন হয়। সাধারণত রাত ১০টা-সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সচল থাকে গেস্টরুম।


‘গণরুম’ থেকে ‘গেস্টরুম’ নির্যাতন


বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যেদিন কেউ হলে ওঠেন, সেদিনই তিনি ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ‘কর্মী’ হয়ে যান। তাদের মধ্যেই পরে কেউ কেউ নেতা হয়ে ওঠেন। অনেকে মনে করেন, এই সংস্কৃতিই ছাত্র রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ করে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বৈধভাবে থাকার জায়গা না পেয়ে রাজনৈতিকভাবে যারা হলে ওঠেন, তাদের রাখা হয় ‘গণরুম’-এ। সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী। তাদেরই মূলত গেস্টরুমে ডাকা হয়। এর বাইরেও অনেক শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে নিরাপদে হলে থাকার জন্যও গেস্টরুমে যেতে বাধ্য হন।


ছাত্রনেতাদের বক্তব্য


ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে অলিখিতভাবে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের হাতে তুলে দেয় প্রশাসন। এর মধ্যে দিয়ে ছাত্র সংগঠনকে অপকর্ম করার সুযোগ দেওয়া হয়। সব জেনেও প্রশাসন নীরব থাকে।

রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করলে হলে থাকতে দেয়, অন্যথায় শিবির ব্লেম দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে হলগুলোতে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা আমরা দেখেছি। বুয়েটের আবরারের মতো ২০১০ সালে ঢাবিতে প্রাণ হারিয়েছেন আবু বকর।”

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়মকানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়। গেস্টরুমে নির্যাতনের যে অভিযোগগুলো রয়েছে তা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “গেস্টরুম অবশ্যই থাকবে। এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ। গেস্টরুমে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাবে। আমরা কাউকে জোর করবো না। তবে যারা অতি উৎসাহী, তারা গেস্টরুমকে ভিন্নখাতে নিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের হুঁশিয়ারি রয়েছে।”

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, “গেস্টরুমে ম্যানার শেখানোর নামে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন সবসময় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয়, তাদের আচরণ শেখানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা আমাদের বোধগম্য নয়। নেতাদের কথা না শুনলে শিক্ষার্থীদের শিবির অপবাদ দিয়ে হলছাড়া করা হয়।”


ঢাবি হল প্রশাসনের বক্তব্য


সেই সময় ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান তিন শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “এই ঘটনার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে আবাসিক শিক্ষকদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তারা তখন ওই ছাত্রদের আবার হলে তুলেছেন বলে আমি জানি।”

এদিকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ‘গেস্টরুম কালচার’র অভিযোগ সম্পর্কে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “হলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের কোনও খবর আমার কাছে আসেনি।হলের আসন বণ্টন থেকে শুরু করে সবকিছু প্রশাসনই দেখভাল করে।”


ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য


উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “আমাদের হলগুলোতে ‘গেস্টরুম’ রয়েছে। হলে যে অতিথিরা আসেন, তাদের বিশ্রামের জন্য তা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতন হয় কি না তা আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি কোনও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, তাহলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান খুবই কঠিন “

ছাত্রলীগ: গেস্টরুমে ভালো কিছু শেখানো হয়, নির্যাতন হয় না

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ গেস্টরুমে ভালো কিছু শেখানো হয় প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রলীগ বলেছে, এখানে কোন নির্যাতন করা হয় না, শিক্ষার্থীদের ভাল কিছু শিখানো হয়’।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে গৃহীত ব্যবস্থার পর্যালোচনা এবং হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ে শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতারা এ দাবি করেন।



“গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়মকানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়।”



গেস্টরুম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়মকানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়।”

ফাহাদ হত্যা নিয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, “আবরার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। সাংগঠনিকভাবে তাদের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর বাইরে আর কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরও যেন খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।”

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে ফাহাদ বাড়ি থেকে রবিবারই হলে ফেরেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

যেমন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন!

বিশ্ববিদ্যালয়: ইহা একটি বিশেষ জায়গা, যেখানে এইচ.এস.সি তে ভাল ফলাফল করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়।

হল: সারারাত জেগে সকাল ৬ টায় ঘুমানোর জন্য পারফেক্ট জায়গা। তাতে কিন্তু শান্তি নাই, সকাল ৮ টার আগে ঠিকই চোখের পাতা উপরে উঠে যাবে।

লেডিস হল: ছেলেদের জন্য ক্যাম্পাসের একমাত্র নিষিদ্ধ জায়গা।

ডাইনিং: পুষ্টিকর আর স্বাস্থ্যকর হালকা হলুদ গরম পানির ডাল পাওয়ার একমাত্র জায়গা। VACCINE এড় চেয়ে বেশি IMMUNITY এখানে GROW করে।

ক্লাশরুম: ফেসবুক চালানোর আদর্শ যায়গা।

লাইব্রেরী: কপোত-কপোতীর জন্য আদর্শ জায়গা। কপোতী পড়া বুঝায় আর কপোত ঘুমন্ত অবস্থায় মুগ্ধ হয়ে শুনে।

অ্যাটেনডেন্স আর প্রক্সি: স্যার দয়াময় হলেও চলে না, বন্ধুদের দয়া ছাড়া ৭৫% ক্লাশ উপস্থিতিও জুটেনা। এখানে স্যারের চেয়ে বন্ধুদের দয়ার উপর নির্ভর করে করতে হয় বেশি।

এসাইন্টমেন্ট: একজনেরটা দেখে অন্যজনের কপি-পেষ্ট করা, বেশিহলে সাথে কিছু যোগ বিয়োগও থাকে।

লেকচার: লেকচার মানেই ঘুমের মহাঔষুধ, সময়ের অপচয়, বাধ্যতামূলক ক্লাশে শারীরিক উপস্থিতি।

প্রফেসর: যিনি ক্লাশ নিলে ঘুম আসে। প্রাচীণ যুগের ঐতিহাসিক নোট নিয়ে ব্যাচের পর ব্যাচ পার করেন, জুনিয়র টিচারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হস্তক্ষেপ করে স্টুডেন্টদের বাঁশ দেন।

ভাইভা: স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার উপযুক্ত সময়। যার জন্য একজন স্টুডেন্টকে ২ জায়গায় ২বার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।একবার স্যারের সামনে আর আরেকবার সহপাঠী বন্ধুদের সামনে- “দোস্ত তোরে কি জিগাইছে? এর উত্তর কোনটা?”

পরীক্ষা: মাথা চুলকানোর বিশেষ জায়গা। যেখানে প্রত্যেক স্টুডেন্ট মাথা চুলকায়ে নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করে। যা পরীক্ষকের বোধগম্যের বাইরে। কারণ তিনি এই বিষয়ে কোন ডিগ্রী নেন নাই। ১ম এক ঘন্টা ভাবা হয় প্রশ্ন কোন গ্রহ থেকে দিয়েছে। এক ঘণ্টা পর মাথা চুলকায়া গ্রহের সন্ধান পাইলে লেখা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষের ৩০ মিনিট আগে হাতের লেখার স্পিড কেমন করে যেন বেড়ে যায়।

টিউশনি: যা কিছু স্টুডেন্টদের একমাত্র বাঁচার উপায় ।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত