রাষ্ট্রে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকার সবচেয়ে বড় টিকা দুর্নীতি

কামরুল হাসান মামুন


পিয়ন, ড্রাইভার, মিটার রিডার এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এরা আসলে টোকাই। এরা এদের বসদের দুর্নীতির ছিটেফোঁটা কুড়িয়ে কেউ কেউ একটু ভালো থাকে। এই ধরণের টোকাইরা যখন অঢেল সম্পদের মালিক হয় তখন বুঝতে হবে এদের বসরা কি পরিমান কামিয়েছে। দুইদিন আগে শুনলাম এতিম খানায় বড় হওয়া রাজউকের চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীর শতকোটি টাকার সম্পদ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষক, কিংবা গাড়ির ড্রাইভার অথবা বিদ্যুৎ বা তিতাসের মিটার রিডার সম্পদ দেখে আমরা আঁতকে উঠি। কারণ এদেরকে গরিব ভাবতে আমরা অভ্যস্ত। এরা কেন এত সম্পদের মালিক হবে? এরা ধরা পরে কারণ এরা এদের সম্পদ পাচার করতে পারে না। লজ্জা লাগে না এই চুনোপুঁটিদের ধরে পৈশাচিক আনন্দ নিতে যখন তাদের বসরা ধরা ছোয়ার বাহিরে?

ওদের বসরা ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে কারণ বসরাতো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বড় অংশই পাচার করে দেয়। আর একটি অংশ দেশে থাকলেও আমরা ধরে নেই এরা আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তাই এদেরতো গাড়ি বাড়ি অঢেল সম্পদ থাকবেই। ছোটবেলাইতো আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে।

তাই এদের রাজকীয় চালচলন দেখলে আমরা স্বাভাবিক ধরে নেই। সারাজীবনে পাওয়া বেতন একসাথে যোগ করলেও হয়ত তার অর্জিত সম্পদের দুই আনাও হবে না তবুও আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে না। কারণ ওই যে মগজে ধারণ করা আছে এরা বড়লোক হওয়ার জন্যইতো লেখাপড়া করেছে। লেখাপড়ার আসল উদ্যেশ্য যে জ্ঞানার্জন ও সৎ এবং ভালো মানুষ হওয়া সেইটা আমাদের মগজে নাই।

আমাদের আক্রোশ সব গরিব মানুষদের উপর। দেখুন না বাসার কাজের মেয়ে ফ্রীজ থেকে একটা মিষ্টি খেয়ে ফেললে আমরা কি তুলকালাম কান্ড বাধিয়ে দেই? ঘরে ৫০ টাকার নোট হারিয়ে গেলে প্রথমেই সন্দেহ করি ওই গরিব কাজের মানুষের উপর অথচ পরে দেখা যায় নিজের সন্তানই ওটা মেরে দিয়েছে। চারিদিকে একটু তাকিয়ে দেখুন না?

কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক, পত্রিকার মালিক, টেলিভশনের মালিক, ব্যাংকের মালিক। কারা হাজার কোটি টাকার মালিক? এদের সবাই হয় ব্যাংক লুটেছে অথবা রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করেছে। এই যে আমাদের চিনিকল, টেলিটক, বিমান, রেল ইত্যাদি কেন লাভের মুখ দেখে না?

কারণ এইগুলা ছারপোকা যেমন রক্ত চুষে তেমনি একদল কর্মকর্তা রাষ্ট্রের সম্পদ চুষে বড় হয়েছে। গতকাল দেখলাম এক অবসর প্রাপ্ত উপ সচিব ঢাকায় বাড়ি গাড়ি থাকা সত্বেও আরো সম্পদ আহরণের লোভে প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে জুয়া খেলে কোটি কোটি টাকা হারিয়েছেন। এইবার বুঝুন চাকুরীরত অবস্থায় কেমন সততার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

আমাদের মিডিয়া এবং আমরা ম্যাংগো পাবলিকরা ওই গরিব ড্রাইভার, সুইপার, মিটার রিডারদের দুর্নীতির গল্প শুনিয়ে পত্রিকার কাটতি বাড়িয়েই খালাস। এর উপরে যেতে এরা পারে না।

কারণ পত্রিকার মালিকরাও যে একই শ্রেণীর। এখানে হাত দিতে তারা ভয় পাছে নিজেরটা বের হয়ে আসে। এই রাষ্ট্রে ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকার সবচেয়ে বড় টিকা হলো বড় দুর্নীতি করতে হবে। দুর্নীতি যত বড় হবে জীবনটা ততই নিরাপদ হবে।

লেখক: কামরুল হাসান মামুন
অধ্যাপক,
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নুরের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলা, বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখছি: প্রক্টর

ঢাবি টুডে


বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি জানানা, এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঘটনাটি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শুনেছি। ওই ছাত্রী আমাদের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা আগেই বলেছি, দেশের যে প্রান্তেই হোক আমাদের কোন শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।

প্রক্টর বলেন, ‘আজ যে ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে তার বিষয়েও আমাদের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, আমরা করছি। ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে রবিবার রাতে লালবাগ থানায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ওই ছাত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী।

অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগে এক অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে এ সহায়তা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভুইয়া। বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের, অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান এবং অধ্যাপক মো. ছগীর আহমেদ।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫০ জন। গত ৬ জুলাই থেকে তাদের অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। দেখা যায়, পঞ্চাশ জনের মতো শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকছে না। পরে জানা যায়, তারা অসচ্ছল পরিবারের, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নেই।’

তিনি জানান, বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় প্রথমে ১৪ জনকে ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন ও ৫০০ টাকার ডেটা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। তারা ডেটা দিয়ে লেখাপড়া করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া লিখিতভাবে তাঁদের বাবা-মায়ের সম্মতিও নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দেশের সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে ক্লাস করতে পারছেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে এ কার্যক্রম শুরুর পর অনেক শিক্ষার্থীর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অভাব রয়েছে বলে জানা যায়। তাঁরা ক্লাসে অংশও নিতে পারছিল না। এজন্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চিরকুট লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কামরুলের আত্মহত্যা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অকালেই ঝরে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্রের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র কামরুল বাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।কামরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়ে যোগদান ও করেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেখানে বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ওই ছাত্র আত্মহত্যার আগে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মোবাইলও বন্ধ রাখেন। তবে মৃত্যুর আগে সর্বশেষ বন্ধুদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, তা পরিবারের সদস্যরা জানাতে পারেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তার পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। সে সম্প্রতি ব্যাংকে চাকরিও পেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থী যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে সে আমাদের সঙ্গে, বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সামাজিক সমস্যা তো থাকবেই। তাই বলে, এভাবে চলে যেতে হবে? আমার শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান থাকবে, কেউ যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে তা যেন প্রকাশ করে। এ ধরনের পথ যাতে কেউ না বেছে নেয়।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত আগস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমাম হোসেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

কলকাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ঢাবি ছাত্র শারীফ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘উই ফিল স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড আন্তর্জাতিক শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে’ সর্বাধিক খেতাব অর্জন করেছেন বাংলাদেশের উদীয়মান ও মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা শারীফ অনির্বাণ। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তার চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেরা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বিভিন্ন দেশের ২৬টি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন কলা-কুশলীদের সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা হিসেবে বিজয়ীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত শুক্রবার উৎসব আয়োজকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কলকাতায় উৎসবের সমাপনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

শারীফের রিকশা চালক বাবার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ইনভেস্টমেন্ট’ সিনেমাটি তাকে এই উৎসবে সেরা পরিচালকের খেতাব এনে দেয়। এছাড়া তার অন্য তিনটি শর্টফিল্ম ‘কসমোপলিটন’, ‘ড্রিম ড্রাইভার’ এবং ‘সোনার বাংলা’ যথাক্রমে সেরা স্ক্রিপ্ট, সেরা আর্ট ডিরেকশন ও সেরা সামাজিক বার্তা প্রদানের জন্য বিজয়ী হিসেবে মনোনীত হয়।

এ উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে যৌথভাবে মনোনীত হয়েছে ভারতের রজত তালুকদারের ‘মা’ ও নেদারল্যান্ডের অগ্নিভা সেনগুপ্তের ‘তারাতুম’ সিনেমা দুটি। ভারতের অন্যতম সামাজিক সংগঠন ‘উই ফিল সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যাপ্তি ছিল প্রায় দেড় মাস।

উই ফিল ক্রিয়েশানের নির্বাহী প্রযোজক দিপিকা বিশ্বাস জানান, শর্ট ফিল্ম এখন বিশ্বজুড়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু নবীন নির্মাতাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রম অনেক সময় নিরুৎসাহিত হয় বাজেট আর পৃষ্ঠেপাষকতার অভােব। সংক্ষিপ্ত বাজেট আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে সব ফিল্মমেকাররা এমন ছোট ছোট প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তাদের স্বপ্ন লালন করে চলেছেন, সেসব প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দেওয়াই আমাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীন নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মানে আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

শারীফ অনির্বাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর থেকে স্মাতক ও স্মাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচিতে অডিও ভিডিও এন্ড ডকুমেন্টেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, শারীফ অনির্বাণের ‘ইনভেস্টমেন্ট’ শিরোনামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি এর আগে মিসরের ‘এএম ইজিপ্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ’, ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনলজি’, ‘ভারতের শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটি’ এবং ‘হলিউডের পাইনস্টুডিও’-তে প্রদর্শন করা হয়। সেসব আয়োজনেও প্রশংসিত হয়।

ক্যাম্পাসে ঢুকতে আলাদা লেন পাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে শিক্ষার্থীরা আলাদা লেন সুবিধা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পরিকল্পনার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখল মাস্টার প্ল্যানটি। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়।

মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনেই এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সহযোগিতায় এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের ফলে এখন থেকে আমাদের ক্যাম্পাস পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানের ফলে ক্যাম্পাসে যত্রতত্র কিছু করা যাবে না। এখন থেকে সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হবে। পুরো মাস্টার প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করতে ৩০ বছরের মতো সময় লাগবে। সেজন্য আমরা এটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি।

আখতারুজ্জামান আরো বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা রেখেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরোনো বিল্ডিংগুলো সংস্কার, টিএসসিকে আধুনিক করে গড়া, লাইব্রেরি সংস্কার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সোলারের আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের হাটার জন্য আলাদা লেন করা, সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন করাসহ আরও অনেক কিছু।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, আগে অপরিকল্পিতভাবে বিল্ডিং করায় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। আমরা এখন থেকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ডেভেলপমেন্ট করব। আমরা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য দোয়েল চত্বর এবং শাহবাগ মোড় দিয়ে দুটি লেনের ব্যবস্থা করব।

তিনি জানান, এই লেন ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করতে পারবে। এই লেন দিয়ে অন্য কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।

ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি সাদা দলের

 

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।

জানা যায়, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন মতপ্রকাশ ও মুক্তবুদ্ধির লালন ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। কিন্তু আমরা হতাশা ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সুমহান ঐতিহ্য নস্যাত হতে চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড. মোর্শেদ হাসান খান মার্কেটিং বিভাগের একজন অধ্যাপক। একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর একটি নিবন্ধের সূত্রধরে উদ্ভূত প্রতিক্রিয়া ও পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনিক ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, ট্রাইবুন্যাল প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে একটি শাস্তির সুপারিশ করেছিল।’

কিন্তু একটি মহল এটি জানতে পেরে ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করে এবং ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি পরিস্থিতি তৈরি করে ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ৫৬ ধারার-৩ উপধারা এবং ১ম স্ট্যাটিউটের ৪৫ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ, অদক্ষতা এবং চাকরিবিধি পরিপন্থী কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা যায়।

অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান উপর্যুক্ত কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত নন।’
বাংলাদেশের সর্বত্র ভিন্ন মতের মানুষের প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। ভিন্ন মতের বক্তব্য কেবল পাল্টা বক্তব্য দিয়েই খণ্ডন করা উচিত। কিন্তু সরকার জবাব দেয় হামলা, মামলা, খুন, গুম ও ধর্ষনের মাধ্যমে।’

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশে। আদেশের ৫৬ ধারার২ উপধারা অনুযায়ী যে কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা রাজনীতি করার তথা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। নিবন্ধটি প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা সত্ত্বেও তাঁকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত চাকরিবিধিরও সুস্পষ্ট ব্যত্যয়।’

এটি স্বাধীন মতপ্রকাশ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের পরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি এ ধরণের ‘নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক’ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁকে চাকরিতে পূর্নবহাল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপক কালাম সরকার, অধ্যাপক আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক মোস্তফা আল মামুন, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অধ্যাপক জাফরুল আজম, অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, সাইফুদ্দিন আহমেদ, এম এ কাউসার, জাহিদুল ইসলাম, আল আমিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল পাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়মিত সব শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল অ্যাকাউন্ট দেওয়া হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুমোদন প্রদান করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ই-মেইল এড্রেস Google-এর G-Suite for Education-এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ই-মেইল ছাড়াও গুগল ড্রাইভ, গুগল ক্লাসরুম, গুগল মিটসহ G-Suite-এর অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি বিভাগ/ইনস্টিটিউট একজন করে ‘ই-মেইল এডমিন’ মনোনয়ন প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করে আইসিটি সেলে প্রেরণ করবে। এরপর শিক্ষার্থীদের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট প্রদান করা হবে।

এশিয়ার প্রথম কোন দল হিসাবে ফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


এইচডব্লিউএস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এশিয়ার কোনো প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ।

আইবিএ-ঢাবির এই দলটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে। সাজিদ আসবাত খন্দকার এবং সৌরদীপ পলের নিয়েই মূলত দলটি গঠিত। এই দলটিই এশিয়ার প্রথম কোনো দল যারা এইচডব্লিউএস রাউন্ড রবিনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।

জানা যায় , এইচডব্লিউএস রাউন্ড রবিন বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক এবং অভিজাত বিতর্ক অনুষ্ঠান। এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অফ ডিবেটিংয়ের সমার্থকও বলা যায় কারণ একটি দলকে তাদের মহাদেশ থেকে নিজেদের সেরা হিসাবে প্রমাণ করতে হয়।

বিতর্ক এই প্রতিযোগিতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এক নম্বরে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ। আর তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

অক্টোবরেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা নেই!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত পৃথিবীতে থমকে আছে শিক্ষাজীবনও। জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিথর হয়ে আছে। অদম্য প্রাণচাঞ্চল্য থাকা স্থাপনাগুলো হয়ে পড়েছে প্রাণহীন। শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর থাকা ক্লাস রুম, করিডোরগুলোও আজ নিস্তব্ধ। চলমান এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা।

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা ধরণের ঘোষণা আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট আর কোন নির্দেশনা নেই। ফলে সেশনজটসহ শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আবাসিক হলসহ শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। আর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানালেন ইউজিসি।

এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা লম্বা সময় আমাদের শিক্ষা জীবন থেকে চলে গেছে। আমরা ক্লাস করতে পারিনি, পরীক্ষাগুলো দিতে পারিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য আমরা যখন ভাবব তখন অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রেখে তারপর আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, যদি কোন সময় কোন কিছু করতে হয় যতটুকু পারব আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেটা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৯১টি যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখের বেশি।

সূত্র: সময় টিভি