ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১২ টাকায় পড়ে, ইটস অ্যামাজিং: ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক আছেন দুই হাজারের অধিক। বিদেশি ডেলিগেটরা এলে তারা যখন শোনেন ১২ ও ১৫ টাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে, তখন তারা অবাক হয়ে বলেন, ইটস অ্যামাজিং! এটা আমাদের রেকর্ড।’

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন আছে। আমরা বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকলে এর একটি প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য বছরব্যাপী বাজেট থাকে। টাইমস হায়ার এডুকেশন, ইউএস র‌্যাঙ্কিংও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক সময় আমরা সেগুলো উপেক্ষা করতাম। এ কারণে এতদিন আমরা তথ্য দিইনি। আমরা বলতাম, র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করব না। তবে কয়েক বছর ধরে আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করছি, একটু একটু তথ্য দিচ্ছি। বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কম থাকায় র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান পেছনে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘টিএসসি যখন নির্মাণ হয়েছিল, তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম। এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই আছে। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী টিএসসির পুনর্বিন্যাসের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরই হয়তো সেটা দেখবেন।’

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এ আমার অহংকার- এখনই সময় দায় মোচনের’। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে গেল বছর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের দেয়া একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ঐ বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি চপ এবং একটি সমুচা পাওয়া যায়। পাবে বাংলাদেশে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, তাহলে এটি গিনেস বুকে রেকর্ড হবে। ১০ টাকায় এক কাপ চা, গরম পানিও তো রাস্তায় পাওয়া যাবে না। ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি সমুচা এবং একটি চপ- এগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। এটি আমাদের গর্ব, এটি আমাদের ঐতিহ্য।’

নুর নয়, ধর্ষণ করেন মামুন: ঢাবি ছাত্রী

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ধর্ষণ করেননি। ধর্ষণ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের (ছাত্র অধিকার পরিষদ) আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। মামলার এজাহারে এমনটিই উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘হাসান আল মামুন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবাদে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। নিজ বিভাগের সিনিয়র হওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। সেখানে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জ, মসজিদ রোড, ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলে। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে।’

অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন , ‘ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ১২ জানুয়ারি আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মামুনের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মামুন ও সোহাগ তা হতে দেয়নি। এর আগে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে রাজি হয়, কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর সে নানা টালবাহানা শুরু করে।’

মামলা করা ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা পর্যায়ের কয়েকজন বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করতে চাইলেও আসামিরা তাদের ষড়যন্ত্রকারী বলে অ্যাখ্যা দেয়। এরপর আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।’
মামলার ব্যাপারে পুলিশের লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার কে এম রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

মামলার অপর ৪ আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান ও মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হাসান আল মামুনকে, আর অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নুরের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলা, বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখছি: প্রক্টর

ঢাবি টুডে


বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি জানানা, এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঘটনাটি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শুনেছি। ওই ছাত্রী আমাদের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা আগেই বলেছি, দেশের যে প্রান্তেই হোক আমাদের কোন শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।

প্রক্টর বলেন, ‘আজ যে ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে তার বিষয়েও আমাদের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, আমরা করছি। ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে রবিবার রাতে লালবাগ থানায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ওই ছাত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী।

অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগে এক অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে এ সহায়তা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভুইয়া। বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের, অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান এবং অধ্যাপক মো. ছগীর আহমেদ।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫০ জন। গত ৬ জুলাই থেকে তাদের অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। দেখা যায়, পঞ্চাশ জনের মতো শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকছে না। পরে জানা যায়, তারা অসচ্ছল পরিবারের, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নেই।’

তিনি জানান, বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় প্রথমে ১৪ জনকে ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন ও ৫০০ টাকার ডেটা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। তারা ডেটা দিয়ে লেখাপড়া করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া লিখিতভাবে তাঁদের বাবা-মায়ের সম্মতিও নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দেশের সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে ক্লাস করতে পারছেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে এ কার্যক্রম শুরুর পর অনেক শিক্ষার্থীর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অভাব রয়েছে বলে জানা যায়। তাঁরা ক্লাসে অংশও নিতে পারছিল না। এজন্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কলকাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ঢাবি ছাত্র শারীফ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘উই ফিল স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড আন্তর্জাতিক শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে’ সর্বাধিক খেতাব অর্জন করেছেন বাংলাদেশের উদীয়মান ও মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা শারীফ অনির্বাণ। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তার চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেরা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বিভিন্ন দেশের ২৬টি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন কলা-কুশলীদের সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা হিসেবে বিজয়ীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত শুক্রবার উৎসব আয়োজকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কলকাতায় উৎসবের সমাপনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

শারীফের রিকশা চালক বাবার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ইনভেস্টমেন্ট’ সিনেমাটি তাকে এই উৎসবে সেরা পরিচালকের খেতাব এনে দেয়। এছাড়া তার অন্য তিনটি শর্টফিল্ম ‘কসমোপলিটন’, ‘ড্রিম ড্রাইভার’ এবং ‘সোনার বাংলা’ যথাক্রমে সেরা স্ক্রিপ্ট, সেরা আর্ট ডিরেকশন ও সেরা সামাজিক বার্তা প্রদানের জন্য বিজয়ী হিসেবে মনোনীত হয়।

এ উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে যৌথভাবে মনোনীত হয়েছে ভারতের রজত তালুকদারের ‘মা’ ও নেদারল্যান্ডের অগ্নিভা সেনগুপ্তের ‘তারাতুম’ সিনেমা দুটি। ভারতের অন্যতম সামাজিক সংগঠন ‘উই ফিল সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যাপ্তি ছিল প্রায় দেড় মাস।

উই ফিল ক্রিয়েশানের নির্বাহী প্রযোজক দিপিকা বিশ্বাস জানান, শর্ট ফিল্ম এখন বিশ্বজুড়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু নবীন নির্মাতাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রম অনেক সময় নিরুৎসাহিত হয় বাজেট আর পৃষ্ঠেপাষকতার অভােব। সংক্ষিপ্ত বাজেট আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে সব ফিল্মমেকাররা এমন ছোট ছোট প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তাদের স্বপ্ন লালন করে চলেছেন, সেসব প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দেওয়াই আমাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীন নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মানে আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

শারীফ অনির্বাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর থেকে স্মাতক ও স্মাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচিতে অডিও ভিডিও এন্ড ডকুমেন্টেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, শারীফ অনির্বাণের ‘ইনভেস্টমেন্ট’ শিরোনামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি এর আগে মিসরের ‘এএম ইজিপ্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ’, ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনলজি’, ‘ভারতের শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটি’ এবং ‘হলিউডের পাইনস্টুডিও’-তে প্রদর্শন করা হয়। সেসব আয়োজনেও প্রশংসিত হয়।

ক্যাম্পাসে ঢুকতে আলাদা লেন পাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে শিক্ষার্থীরা আলাদা লেন সুবিধা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পরিকল্পনার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখল মাস্টার প্ল্যানটি। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়।

মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনেই এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সহযোগিতায় এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের ফলে এখন থেকে আমাদের ক্যাম্পাস পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানের ফলে ক্যাম্পাসে যত্রতত্র কিছু করা যাবে না। এখন থেকে সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হবে। পুরো মাস্টার প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করতে ৩০ বছরের মতো সময় লাগবে। সেজন্য আমরা এটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি।

আখতারুজ্জামান আরো বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা রেখেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরোনো বিল্ডিংগুলো সংস্কার, টিএসসিকে আধুনিক করে গড়া, লাইব্রেরি সংস্কার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সোলারের আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের হাটার জন্য আলাদা লেন করা, সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন করাসহ আরও অনেক কিছু।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, আগে অপরিকল্পিতভাবে বিল্ডিং করায় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। আমরা এখন থেকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ডেভেলপমেন্ট করব। আমরা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য দোয়েল চত্বর এবং শাহবাগ মোড় দিয়ে দুটি লেনের ব্যবস্থা করব।

তিনি জানান, এই লেন ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করতে পারবে। এই লেন দিয়ে অন্য কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।

‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে ঢাকা অবরোধ করা হবে’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতেছে। কোনো সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মানুষ বলতে পারবে না যে তাদের দাবিগুলো অযৌক্তিক। আজকে যদি হাটহাজারীতে কোনো হামলা হয় তাহলে পুরো ঢাকা শহর অচল করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নুর বলেন, কওমি মাদ্রাসা বিভক্ত করার জন্য দুরভিসন্ধিমূলকভাবে কিছু আলেম নৈতিকভাবে বিচ্যুতি হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। আজকে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায় মুরব্বিরা দ্রুত একটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

তিনি আরো বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীদের ওপর যদি কোনো আঘাত আসে তাহলে আগামীকাল (শুক্রবার) আপনারা (কওমি ছাত্ররা) পুরো ঢাকা শহর ব্লক করে দিবেন। আন্দোলন করলে লাখ লাখ মানুষের দরকার হয় না। সিনা টান করে হাত উঁচু করে দশজন দাঁড়িয়ে যাবেন, দেখবেন পেছনে দশ হাজার লোক দাঁড়িয়ে যাবে।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, চট্রগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি আমরা সংহতি জানাচ্ছি। আপনারা ভয় পাবেন না। সারাদেশের ছাত্ররা আপনাদের সাথে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফরিদুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আরমান হোসাইন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম সুহেব হোসেন প্রমুখ।

১০০তে ১৫ পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা! হতাশ শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টাইমস হায়ার এডুকেশন এর বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং ২০২১ এ টিচিং এ ১০০ এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেল মাত্র ১৫ দশমিক ৩। যা গত বছর থেকে অবনমিত হয়েছে। গত বছর এ স্কোর ছিল ১৭.০০।

বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিক্ষকদেরকে আরো যত্নশীল হতে হবে।

এ বছর টিচিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র পেয়েছে ১৫.৩ (১০০) এবং গবেষণায় একশোর মধ্যে ৭.৭। যা গত বছর ছিল ১০০ এর মধ্যে ৮.৮।

এদিকে এই র‌্যাংকিংয়ে ১০০০+ তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার এ তালিকা প্রকাশ করে ব্রিটেনভিত্তিক এই সংস্থাটি। পৃথিবীজুড়ে এর একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
বিশ্বের ৯২টি দেশের ১৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ র‌্যাংকিং করা হয়। সাধারণত র‌্যাংকিং করার ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়। তার মধ্যে টিচিং, রিসাইটেশন, আন্তর্জাতিক আউটলুক এবং শিক্ষার্থীরা কিরকম উপার্জন করে থাকে। এসবের ভিত্তিতেই করা হয় এ র‌্যাংকিং।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, রাতারাতি কোন কিছুই পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে আমরা গবেষণার সেক্টরে উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং বিশ্ব র‌্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যেন আরও উপরের দিকে হয় সে চেষ্টাও করা হচ্ছে।

এ বছর র‌্যাংকিংয়ে প্রথম হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় হয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন ।মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তুলনামূলক কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পেয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ শত শিক্ষক। তার সময় এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শুধু ডাটা, স্মার্টফোন নয় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দেওয়া হবে : ঢাবি উপাচার্য

কাম্পাস টুডে ডেস্ক


এ মাসের শুরুর দিকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন কেনায় অসমর্থ শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওই সময় সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর এ সংক্রান্ত এটি চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। চিঠিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে যে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনায় আর্থিক সক্ষমতা নেই, তাদের নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছিল।

এরপর দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকা তৈরির কাজ শুরু করলেও ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের তালিকা তৈরি হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউজিসির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানো বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে শুধু স্মার্টফোন নয়, শিক্ষার্থীদের যা প্রয়োজন তার একটি অর্থবহ সার্ভে হবে এবং সে অনুসারে তা বিতরণ করা হবে। এ সময় তিনি বলেন‘একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সমীক্ষা করে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো’।

করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুবিধা ভোগ করতে পারে, সেজন্য বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ ও স্মার্টফোন সুবিধা দিতে মতামত দেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৫ জুন ইউজিসি ও উপাচার্যদের একটি অনলাইন সভায় এ মতামত উঠে আসে। এ প্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে স্মার্টফোন কেনায় অসমর্থ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

এ প্রসঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, মোবাইল ডিভাইস দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানো বিষয়ে আমাদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে আমরা অনেক আগে থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু মোবাইল ডিভাইস কেন! এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যা প্রয়োজন তার একটি অর্থবহ সার্ভে করবো এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুসারে আমরা তা বিতরণ করবো।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যতকে সামনে রেখে এ কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপচার্যকে (শিক্ষা) নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবেদন তৈরির কাজও প্রায় চূড়ান্ত। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে ইনক্লুসিভ ইকুয়েটবল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনশেকৃবিতে চলছে ভিসি পদে আসীনের বুদ্ধিদীপ্ত লড়াই

আরও বলেন, অনলাইনে ক্লাস শুরু করার একদম প্রথমদিক থেকে আমাদের এ প্রয়াস আছে এবং তা চলমান। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট তাদের কি প্রয়োজন তার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ সমীক্ষা করে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবোকবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে।হুটহাট করে কোন কাজ তো ফলপ্রসূ ভাবে করা যায় না। হুটহাট করে কোন কাজ করলে কাজের যে মৌলিক দর্শন রয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই আমরা চটকদারিতা দেখানোর জন্য সুপারফিশিয়াল কোন সিদ্ধান্ত নিবো না। আমরা আমাদের সকল কার্যক্রমকে অর্থবহ করে তুলতে চাই। কমিটির সকল অফিসয়াল কার্যক্রম শেষ হলে শিগগিরই কতৃপক্ষ কাজ শুরু করবে।

আরও পড়ুনবাকৃবিতে চালু হলো বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন কোর্স

তবে স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে কাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বা কারা এ সুযোগ সুবিধা পাবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী যাদের প্রয়োজন তাদেরকে আমরা সহায়তা করবো। যাদের ডাটা প্যাকেজ প্রয়োজন তাদেরকে তাই দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাদের স্মার্টফোন/মোবাইল ডিভাইস/ল্যাপটপ প্রয়োজন তাদের তাই দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে জিপিএ অসমতায় হতাশ ভর্তিচ্ছুরা

মঞ্জুরুল ইসলাম আকন্দ

বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধি


বাংলাদেশে ২০২০ সালের সর্বশেষ অধ্যাদেশ পাস হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি সহ ধরলে দেশে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০ টি।৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ দেশে আর মাএ ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় হলেই প্রতি হাজার বর্গমাইলে গড়ে থাকবে ১ টি করে বিশ্ববিদ্যালয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গড় ঘনত্বের জায়গা থেকে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে না হোক অন্তত এশিয়ায় জ্ঞানচর্চার একটি তীর্থভূমিতে পরিণত হবে এমনটাই প্রত্যাশা।

সমগ্র বিশ্বজুড়ে গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে যাকে ধরা হয় তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়। আর এ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো জাতিকে কি দিবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভর্তি পরীক্ষা প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা উঠে আসছে কি না তার উপর।

বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা চালু আছে এমন ৩৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরিক্ষার সার্কুলারে দেখা গেছে ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে জিপিএ র উপর নম্বর। যার ফলে দেখা যায় প্রকৃত মেধাবীরা তারা তাদের পছন্দের বিষয় বা পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর জিপিএতে । ভর্তি পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার জিপিএ তে সর্বোচ্চ ৬৭.৬৭ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে বরাদ্দ।

২০১৯-২০ সেশনে সমন্বিত ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুলোতে দেখা যায় ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১০০ নম্বর বোর্ড পরিক্ষার জিপিএ এর উপর।

বোর্ড পরিক্ষার ভিত্তিতে সবথেকে কম নম্বর বরাদ্দ রয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (১১.১১%), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৬.৬৭%) , এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৫%) ।

আরও পড়ুনবিদায় বেলায় ভালোবাসায় সিক্ত উপাচার্য, পুনঃনিয়োগের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় নম্বর বিভাজনের এমন অসমতা ও অসংগতির কথা তুলে ধরে “দ্যা ক্যাম্পাস টুডে” কে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তারা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা জানান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান জ্যোতি ” দ্যা ক্যাম্পাস টুডে” কে বলেন “শিক্ষার নিম্নমানের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-র ভ্যালু অনেকটা দায়ী। কারণ অসুস্থতা বা অন্য কারণবশত কোনো শিক্ষার্থী রেজাল্ট খারাপ করলে তার দায় ভার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতেও বহন করতেহয়৷ আর এর প্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষার্থী সেকেন্ড টাইমারও হয়ে যায়। কারণ, যেখানে তারই সহপাঠী ১৪/১৫মার্কস এগিয়ে থাকছে তখন স্বভাবত সে মানসিকভাবে হতাশায় ভূগে। ভর্তি পরীক্ষায় সমান বা বেশি মার্কস পেয়েও ভর্তি হতে না পারার পেছনে এটাই দ্বায়ী। আর ভর্তি হওয়ার সুযোগ হলেও পছন্দের বিষয় পাওয়া ডুমুরের ফুলের মতোই দুষ্কর। অন্যদিকে যখন দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় চান্স পেলো তখন তার মনে হবে আমি হয়তো এটার যোগ্য নই কারণ, সবাই আমার থেকে মেধাবী।আবার তাকে নানা ধরনের উস্কানিমূলক কথাও শুনতে হয়। মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্থ হওয়ার কারণে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ থেকেই পিছিয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু

অথচ জিপিএ ভ্যালু না থাকলে তার জীবনের মোড় হয়তো পাল্টে যেত। আর যেখানে সব শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নভিন্ন সেখানে ভর্তিপরীক্ষায় জিপিএ ভ্যালু রাখাটা অহেতুক। শিক্ষামানের অগ্রযাত্রা এগিয়ে রাখতে হলে জিপিএ ভ্যালু অবশ্যই বাদ রাখা উচিৎ বলে মনে হয়। “

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) এর শিক্ষার্থী, সাদিকাতুল বারী লাবিব জানান,“আমাদের ভর্তি পরীক্ষা সবচেয়ে ভাল ও গ্রহন যোগ্য।আমাদের ৬০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়। বিস্তারিতভাবে একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই হয়।দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ভেবে দেখতে পারে তারা এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে কি না।আমরা আমাদের পদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট।”

রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর শিক্ষার্থী, ইমন বলেন,আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মোটামুটি বেশ ভাল ছাত্র। কিন্তু এইসএসসি পরীক্ষায় অপ্রত্যাশিতভাবে রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় সে অনেক জায়গাতে পরীক্ষাই দিতে পারে নাই।মেডিকেলে তার ১৭ নম্বর গ্যাপ থাকায় পরীক্ষা দিতেই চায় নি । নোবিপ্রবি তে ভর্তি পরীক্ষায় হয়তো সে প্রথম হতে পারত। কিন্তু জিপিএ তে ১০ মার্ক কম ছিল।তাই মেধাক্রমে থাকতেই পারে নি,পরে ওয়েটিং থেকেও ডাকলেও পছন্দমত সাবজেক্ট পায় নি। এমন আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে,শুধু সেই না আমার এমন আরও কিছু বন্ধু এমন পরিস্থিতির স্বীকার। তাই আমিও তাই এমন বৈষম্যমুলক পরিস্থিতির অবসান হোক।

আরও পড়ুনবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় : ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্বোধন আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, রনো আনোয়ার জানান “ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডের প্রশ্নের কাঠিন্য ভিন্ন হয়ে থাকে,রেজাল্টেও রয়েছে পার্থক্য।সব বোর্ডের জিপিএ কে এক পাল্লায় মাপার কোন গাণিতিক যুক্তি থাকতে পারে না।ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থী ভাল নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী চান্স পাচ্ছে না,অনেকে শীর্ষ পছন্দের বিভাগগুলোতে পড়তে ব্যর্থ।অবিলম্বে এই অসম পদ্ধতি পরিহার করার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ইউজিসির ভাবা প্রয়োজন।”

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী, জান্নাতুল ফারজানা তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমি সিলেট কৃষিতে ভালো পরিক্ষা দিয়েও অপেক্ষমান তালিকায় ছিলাম। রেজাল্ট এ ৩ মার্ক কম ছিলো বলে । যদি ৩ মার্ক কম না থাকতো তাবে চান্স পেতাম। ময়মনসিংহ এ বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাকৃবি তে পরিক্ষা দিতে পারিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ কম বলে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ও অনেক নাম্বার কেটেছে, নয়ত ভালো প্রাইভেট মেডিকেলে হলেও স্কলারশিপের চান্স পেতাম। এরকম অনেক বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি, অপেক্ষমান তালিকায় থেকেছি আর হতাশায় সেই ভয়ঙ্কর দিন গুলো কাটিয়েছি।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী, মোঃ আল-মামুন জনান “আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ টাকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এখানে জিপিএর ভিত্তিতে প্রতি বিভাগ থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী বাছাই করে নেওয়া হয় এবং শুধু তারাই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। সর্বনিম্ন জিপিএ ৭.০০ (এসএসসি+এইচএসসি) ধরা হলেও বাস্তবে অনেক শিক্ষার্থীর জিপিএ ৭.০০ থাকার পরেও তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হয় না।যেমনঃ গত ২০১৯-২০ সেশনে ক-বিভাগের বাছাইকৃতদের মধ্যে সর্বনিম্ন জিপিএ ছিল ৯.৬৩। প্রথম সিলেকশনে জিপিএর ভিত্তিতে যাদের বাতিল করে দেয়া হয় তাদের মধ্যেও অনেক মেধাবী থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএর গুণগত মান বিচার না করে সবাইকে সমান সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।”

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি এমন নম্বর বিভাজন পদ্ধতি চালু থাকে তাহলে তাদের পক্ষে কি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনা সুগোগ কি আদৌ সম্ভব?