জুলাই থেকে শুরু হবে নোবিপ্রবি বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষা

নোবিপ্রবি টুডে: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন সেমিস্টারের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ ৬ জুন (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় করোনায় আটকে থাকা বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও পরীক্ষা আর পেছাবে না উল্লেখ করে একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য ও শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরীক্ষা জুলাই মাসেই অনুষ্ঠিত হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বশরীরেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও যেন পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অনলাইন পদ্ধতিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কোন শিক্ষার্থীকে যেন হয়রানির শিকার না হতে হয় এজন্য উপযুক্ত সময় হাতে রেখেই অনলাইন অথবা অফলাইন এক্সামের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী আমরা স্বশরীরেই পরীক্ষা নিতে চাই। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা সম্ভব নয়। এজন্য বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অনলাইনে এক্সামের পদ্ধতি প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। যাতে করে পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষাটি আর পেছাতে না হয়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের যথাযথ সময় দিয়েই অনলাইন অথবা অফলাইনের ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব।

ক্লাস বর্জনের এক মাসেও মেলেনি সমাধান, চরম ভোগান্তিতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস বর্জনের একমাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি কোনো সমাধান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ১ মাস ক্লাস বর্জনে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সেশনজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানান। পরবর্তীতে ৩০ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর বিভিন্ন বিভাগে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলতে শুরু করলেও গত ১ অক্টোবর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু থাকলেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কারণে কোন ক্লাসই হচ্ছে না। এতে করে শিক্ষার্থীদের উপর বিরাট প্রভাব পড়ছে। সেই সাথে মহামারী করোনার কারনে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে যেতে পারে। আশাকরি শিক্ষকরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে অতিদ্রুত পাঠদানে ফিরবেন।

ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন মাহমুদ বলেন, এমনিতেই দীর্ঘদিন আমাদের ক্লাস হয়নাই। তারপর যদি এখন শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের জন্য আরও ক্লাস না নেয়া হয় তাহলে আমরা সেশনজটে পড়ে যাবো। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্য আমাদের অনেক বড় ক্ষতি বহন করতে হবে। যেটা কোনো শিক্ষার্থী চাইবেনা। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধান করে ক্লাস শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ক্লাস বর্জনের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরও আগেই উঠে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সচিব অসুস্থ থাকায় বিষয়টি সমাধান হতে দেরী হচ্ছে। তবে ক্লাস বর্জন উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাথে কথা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধান হবে এবং শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবে।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, গত ১ মাস ক্লাস বর্জনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা পরবর্তীতে পুষিয়ে দেওয়া হবে। ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের বিষয়টি কখন উঠিয়ে দেওয়া হবে তা আগামীকাল শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি,নোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

 

মাইনুদ্দিন পাঠান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( নোবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতীক মজুমদার এবং একই শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী পাল দীপ্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

আজ( মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতীক মজুমদার ও দীপ্ত পালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী প্রতীক মজুমদার ও পাল দীপ্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া এদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

মানববন্ধনে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজীদুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে আমরা যেসব ধর্মীয় দাঙ্গার জঘন্য ঘটনা দেখতে পাই বর্তমানে বাংলাদেশে ইচ্ছাকৃত অথবা অনাইচ্ছাকৃতভাবে সেসব দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিক মজুমদাররা। এদেরকে যদি এখনই না রুখা হয় তাহলে এদের মাধ্যমেই ধর্মীয় দাঙ্গা লাগবে আমাদের এই স্বপ্নের দেশে। স্থায়ী বহিষ্কার ছাড়া আর কোন বিকল্প হতে পারে না। এদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।

 

মানববন্ধনে এছাড়াও ফার্মেসী বিভাগের মো.সোহাগ মিয়া, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সালাউদ্দিন মহসিনসহ বিভিন্ন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অতি শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।

এই দিকে নোবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব, শব্দ কুটির ও নোবিপ্রবি থিয়েটারের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী আলোচনা শেষে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগে নোবিপ্রবি থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক, ক্যারিয়ার ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শব্দ কুটিরের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে প্রতীক মজুমদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এক অনন্য উদাহরণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে নিরলসভাবে কাজ করছেন। নোবিপ্রবিও কখনোই সাম্প্রদায়িকতাকে আসকারা দেয় নাই, দিচ্ছেনা এবং ভবিষ্যতেও দিবেনা।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি বিষয়ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীর ব্যাপারটা নোবিপ্রবি প্রশাসনের দৃষ্টি গোছর হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি মাননীয় উপাচার্য ও ট্রেজারার স্যারের সাথে কথা বলেছি।

আশা করি প্রশাসন শিগগিরই এব্যাপারটি যাচাই বাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউকে উস্কানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার জন্যে অনুরোধ করছি। আমরা কেউই বাংলাদেশ সরকারের আইনের উর্ধ্বে নই।

 

সেশনজটে নোবিপ্রবির ৫ বিভাগ, অনিশ্চয়তায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


এক বুক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ৪ বছরের অনার্স পড়াশোনা শেষে চাকরি বাজারে প্রবেশ করে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন থাকে অনেক শিক্ষার্থীর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেশনজটে মধ্যে আটকা পড়ে সে স্বপ্ন এখন কেবলই স্বপ্নই রয়ে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তা।

এমনই ঘটনা দেখা গিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ৫ বিভাগে।

খবর নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগ বিভাগের ইতিমধ্যে অনার্সের সকল একাডেমিক কার্যক্রম ও চূড়ান্ত ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাসের ১ম সেমিষ্টার ও প্রায় শেষের পথে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সেশনে শিক্ষার্থী হয়েও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যস্থাপনা বিভাগ, ইংরেজী বিভাগ, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জীন প্রকৌশল বিভাগের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় নি।

এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানেও না তারা কবে পরীক্ষায় বসতে পারবে, আর কবেই বা চুড়ান্ত ফলাফল হাতে পাবে। এদিকে ১ বছরের জুনিয়র হওয়ার পরও শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ একই সেমিষ্টারে অবস্থান করছে।

অনেক শিক্ষার্থী পরিবার এর মুখ্য ব্যক্তি হওয়াতে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে। গ্রাজুয়েশন শেষ না হওয়ায় সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে অংশ নিতে পারছেন না হতভাগ্য এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের বেলায় বিশ্বববিদ্যালয়ের এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বিন ইসলাম নাদিম বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য মহোদয় প্রফেসর ড. মো.দিদার উল আলম স্যার সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, স্যার দয়া করে দ্রুত এই অচল অবস্থা থেকে আমাদের উদ্ধার করুন। আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা আশা রাখছি আপনারা অবশ্যই আমাদের জন্য সুন্দর একটি সমাধান ব্যবস্থা করে দিবেন যেখানে দ্রুতই আমরা আমাদের অনার্স কার্যক্রম টি শেষ করতে পারি।

নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন

 

মাইনুদ্দিন পাঠান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিনতলা ভিতে নবনির্মিত মেডিকেল সেন্টার এর উদ্বোধন করা হয়।

আজ সোমবার (১২ অক্টোবর ২০২০) সকালে কেন্দ্রের নিচতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য চিকিৎসকদের মানবসেবায় ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ ও চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক এএইচএম নিজাম উদ্দিন চৌধুরি, মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ডা: ইসমত আরা পারভীনসহ নোবিপ্রবি বিভিন্ন দপ্তরসমূহের পরিচালকবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সবশেষ দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

 

নোবিপ্রবি: নীল দলের অবস্থান কর্মসূচি, ক্যাম্পাসে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন নীল দল।

আজ ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় নোবিপ্রবি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দও নীল দলের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সভায় অস্থায়ী শিক্ষকবৃন্দের পাশাপাশি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও নীল দলের সদস্যবৃন্দ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত নিষধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক ব্যাখ্যা করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী করেন।

বক্তারা বলেন, শিক্ষকগণ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ মেধার পরিচয় দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করছেন।

অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত ৬০ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ী করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষকের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাদের পরে স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকগণও পদোন্নতি পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে একধরণের বৈষম্য দেখা যাচ্ছে।

এছাড়াও অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে মানসম্মত পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিভাগ পরিচালনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বলে অনেক বিভাগের শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাছুটিতে যেতে পারছেন না।

এতে করে শিক্ষকদের মাঝে উচ্চশিক্ষা জনিত একধরণের অনিশ্চয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনকি অনেক শিক্ষক বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পেয়ে অস্থায়ী হওয়ার কারনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষকগণ হতাশায় আচ্ছন্ন থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে পুরোপুরি মনোযোগী হতে পারছেন না।

এমতাবস্থায় আজকের কর্মসূচী হতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হয় নচেৎ কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হয় এবং বলা হয় ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে প্রয়োজনে সবকিছু তালাবদ্ধ করে দেওয়া হবে।

নীল দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব বিপ্লব মল্লিকের সঞ্চালনায় উক্ত অবস্থান কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন, শিক্ষক সমিতি-২০২০ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব মো: মজনুর রহমান। উক্ত অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেননীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।

 

‘নোবিপ্রবিতে মরার উপর খাঁড়ার ঘা ‘

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


 

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সেশনজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানান। পরবর্তীতে ৩০ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর বিভিন্ন বিভাগে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলতে শুরু করলেও ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের’ মত সামনে এসেছে শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন।

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ১ অক্টোবর থেকে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষকেরা।

সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে স্থগিত আদেশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থগিত আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষক অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষকের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তাদের পরে স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকগণও পদোন্নতি পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে একধরণের বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিভাগ পরিচালনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বলে অনেক বিভাগের শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাছুটিতে যেতে পারছেন না। এতে করে শিক্ষকদের মাঝে উচ্চশিক্ষাজনিত একধরণের অনিশ্চয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গোলাম সারওয়ার বলেন, করোনাভাইরাসে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ১ জুলাই থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয় যা আমাদের আশার আলো দেখিয়েছিলো। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে শিক্ষকেরা। যার ফলে আবারও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী দিগন্ত ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও গতকয়েকদিন আগে আমাদের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকেরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে। আমরা আশা করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আমাদেরকে পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।

 

নোবিপ্রবিতে শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

মাইনুদ্দিন পাঠান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।

৩০ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা, শিক্ষক সমিতি সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মাঝে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দিই। মাননীয় উপাচার্য মহোদয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সাথে আলোচনা করে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও আমাদের প্রদত্ত সময়ের মাঝে আমরা কোনো ফলাফল পাইনি।

ফলে আমরা শিক্ষক সমিতি অস্থায়ী শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। শিক্ষক সমিতি আশা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, সাবেক ভিসির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ই এপ্রিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে স্থগিত আদেশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থগিত আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নোবিপ্রবি: সাবেক ভিসির অনিয়ম-অসঙ্গতি নিয়ে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

 

নোবিপ্রবি টুডে

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) সাবেক ভিসির মেয়াদে অনিয়ম-অসঙ্গতি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন।

গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নোবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা শাখা) সাক্ষরিত এক বিবৃতিতের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান তদন্ত কমিটির সচিব শিক্ষা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জসিম উদ্দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জসিম উদ্দিন বিবৃতিতে বলা হয়,” নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা ভঙ্গ, পদোন্নতি, আপগ্রেডেশনসহ প্রশাসনিক ও আর্থিক কোনো ধরনের অনিয়ম, অসঙ্গতি বা বিচ্যাুতি হয়ে থাকলে এবং ফলশ্রুতিতে কারও প্রতি কোনো অবিচার বা কাউকে বঞ্চিত করা হয়ে থাকলে উক্ত বিষয় সমূহ তদন্তের স্বার্থে বিগত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, নোবিপ্রবি/রেজি/প্র/শা/অফিস আদেশ/২০২০/৫২৭৭ (৪) মর্মে গঠিত কমিটির সচিবের নিকটে তথ্য প্রমানাদি সহ সরাসরি অথবাইমেইল(investigation.nstu@gmail.com) আগামী ০৮ অক্টোবর ২০২০ এর মধ্যে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত,কমিটি কর্তৃক গোপনীয়তা বজায় রেখে তদন্ত কার্য পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

মেসভাড়া মওকুফের দাবিতে নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন

মাইনুদ্দিন পাঠান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


মেসভাড়া মওকুফের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মেসভাড়া মওকুফের দাবি জানানো হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলমের সাথে বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাৎ করে।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থী সুলতান শাহজাহান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া বিষয়ে মানববন্ধন শেষে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রশাসন আমাদের আগামী সপ্তাহে সমাধানের আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু পূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে আর বিষয়টি সমাধান করছেনা। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আরো বেশী ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। প্রশাসন যদি আশ্বস্ত না করে আগে থেকে আশ্বস্ত না করতো তাহলে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে সমাধানের চেষ্টা করত। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী বিষয়টি দ্রুত সমাধান করলে শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী আরমান আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হয়েছি। এখানে আমরা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রশাসন আমাদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের প্রতি সুনজর রাখেনি। অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে ভাড়া নিয়ে বাড়িওয়ালাদের সাথে কথার মিল না হওয়ায় মেস ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমরা অতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে মেস ভাড়া মওকুফের বিষয়টি সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী আরিফুল হক তুহিন বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতার অপেক্ষা করেও এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না। ৬ মাস হয়ে গেল কিন্তু এখনো শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মেসভাড়া সমস্যার দ্রুত সমাধান চাচ্ছি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম দ্য ক্যাম্পাস টুডে কে জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেছি। আগামী সপ্তাহে মেস ভাড়া মওকুফের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হবে।