দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ অন্যান্য বছরগুলোতে ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় । তবে করোনার কারনে পিছিয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী জুনে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ অনুকুলে না আসলে পরীক্ষা হবে না এমন ও ভেবেছে সরকার। করোনা কবে নিয়ন্ত্রনে আসবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
গতবছর করোনা মহামারীর কারণে এসএসসি ও এইচএসসি’র পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করিয়ে দিয়েছে সরকার। তবে এবছর করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই গত বছরের তুলনায় বেশি তাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়েই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা।
সহজেই বিদায় নিচ্ছে না করোনা ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিভাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন থেকে চার মাসে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সিলেবাসের উপর ভিত্তি করেই হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা তিন-চার মাস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।
কমিটির আহ্বায়ক আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, সহজে নিরসন হবে না করোনা ভাইরাস, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় এলে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা। অনলাইনে সর্বোচ্চ এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও রচনামূলক সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন সবকিছু পর্যালোচনা করে বিকল্প উপায়ে পাঠদান চালু রাখার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ পাঠাব।