করোনাকাল: কর্মহীনদের পাশে ‘উজ্জীবন ফাউন্ডেশন’

মোস্তাফিজুর রহমান ফাহিম


সদ্য পড়াশোনা শেষ করা কয়েকজন বন্ধু- বান্ধবীদের নিয়ে গড়ে ওঠে সংগঠন। নাম ‘উজ্জীবন ফাউন্ডেশন’। উদ্দেশ্য মানব কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন।

এরা সবাই গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব এবং ঘাগটিয়া ইউনিয়নের অধিবাসী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি সংগঠনটির উদ্যোগে ৫০ টি দরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। উপজেলার চেংনা, নরোত্তমপুর, বাওরাইদ এবং ঘাগটিয়া গ্রামে তাদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। সেসব এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ এবং ১ লিটার সয়াবিন তেল প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হয় উজ্জীবন ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজির আকন্দের সাথে। তিনি জানান, বন্ধুদের সমন্বিত অর্থায়নে এ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তাদের পরিকল্পনায় আরো কিছু প্রকল্প রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ টি পরিবারকে ত্রান দেয়ার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে। ‘

সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে সৃষ্ট প্রতিকুল পরিবেশের কারণে ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করে উজ্জীবন ফাউন্ডেশন। উল্লেখ্য উজ্জীবন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব প্রধান মিন্টু এবং সাধারন সম্পাদক ফকির আব্দুল জায়েদ।

রাবিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মচারীদের লাগাতার কর্মসূচি

ওয়াসিফ রিয়াদ, রাবি প্রতিনিধি


দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে (মাস্টার রোল) চাকরি করছেন প্রায় ২৮০ জন কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বারবার চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানালেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। স্থায়ী নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রেখেছেন তাদের এক ঘন্টা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাস্টাররোল কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পাশে ব্যানার টাঙিয়ে তারা অবস্থান নেন।

এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় মাস্টারোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। বিষয়টি সুরাহার জন্য একইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেটে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি সুরাহার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

মাস্টাররোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের কর্মচারী মাসুদুর রহমান বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের ২৮০ জন কর্মচারী দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ে চাকরির পর প্রায় সবাই অন্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সের যোগ্যতাও হারিয়েছেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। সাত কার্যদিবসে মধ্যে তা সুরাহা না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।

কমিটির একজন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, একসাথে এত কর্মচারীর নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ১০/২০ জন করে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া গেলে তাদের সংখ্যাটা কমতে শুরু করবে। সিন্ডিকেটে এই বিষয়ে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতামূলক সেমিনার

মাসুম, ববি প্রতিনিধি


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মাদক বিরোধী কমিটি ও বরিশাল জেলা পুলিশের যৌথ আয়োজনে মাদক ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা রোধে তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ববির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার)। বিশ্ববিদ্যালয় মাদক বিরোধী কমিটির আহবায়ক ও প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যন্যদের মধ্যে বরিশাল জেলা কমিউনিটি পুলিশ ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এস এম ইকবাল, বরিশাল জেলা কমিউনিটি পুলিশ ফোরামের সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস মহিউদ্দীন মানিক বীর প্রতীক, কমিউনিটি পুলিশ ফোরামের সদস্য ক্যাপ্টেন (অব) ডাঃ এম সিরাজুল ইসলাম, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টাগণ, শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বরিশাল জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তারা মাদক ও জঙ্গিবাদের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন এবং সমাজকে এর কলুষতা থেকে রক্ষা করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য-সচিব ও টিএসসির পরিচালক ড. মোঃ খোরশেদ আলম।

চা নাকি কফি, কোনটি বেশি ভালো!

নাঈমুল হাসান দূর্জয়


বন্ধু মহল কিংবা বিকেলের নাস্তা, চা ছাড়া যেন জমেই না। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে এর চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। রিক্সাওয়ালা, শ্রমিক কিংবা দিনমজুর, দিনের সকল ক্লান্তি যেন ভর করে থাকে এক কাপ চায়ে। দিন শেষে চায়ের কাপে চুমুক না বসালেই নয়। চায়ের দোকান’কে অঘোষিত পার্লামেন্ট বললেও বোধহয় ভুল হবেনা।

এই শীতের রাতে শহরে গলির মাথায়, পার্কে, রাস্তার লেনে, টংঘরে, ল্যাম্পপোস্টের নিচে, চায়ের আড্ডার জন্য অনাবদ্য। কপত-কপতি কিংবা বয়োবৃদ্ধ সকলের কাছেই চা খাওয়াটা বেশ আরামদায়ক নেশা। ‘কফি খায় বড়লোকে’গ্রম্য মানুষের মুখে এমন বুলি থাকলেও এখন কিন্তু নিম্ন-মধ্যবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত কিংবা অত্যান্ত ধনাঢ্য পরিবার, মোটামুটি সকলের কাছেই কফির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক ‘চিকিৎসা বিদ্যা’ চা/কফি নিয়ে কী বলে…


চায়ের রাসায়নিক উপাদান

১. ক্যাফেইন (১-৪%)
২. এডিনিন
৩. থিওব্রোমিন
৪. থিওফাইলিন
৫. জ্যান্থিন
৬. গ্যালোট্যানিক এসিড
৭. ভোলাটাইল অয়েল


কফির রাসায়নিক উপাদান

১. ক্যাফেইন (১-২%)
২. ট্রাইগোনেলিন (০.২৫%)
৩. ট্যানিন (৩-৫%)
৪. সুগার (১৫%)
৫. ফ্যাটি এসিড (১০-১৩%)
৬. প্রোটন (১০-১৩%)


উপকারী দিকগুলো

চা এবং কফি দুটোই প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। চা এবং কফি দুটি পানীয় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে। মস্তিকের উপর বেশি কার্য়কারী হয় পরিমিত চা। চা এবং কফি দুটোই মানুষের উদ্দিপণা শক্তিকে ত্বরান্বিত করে। চা স্নায়ূতন্ত্র ঠান্ডা রাখে এবং মনে প্রশান্তি বাড়ায় অন্যদিকে কফি প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং বাড়তি প্রাণশক্তির উদয় হয়।

সমপরিমাণ চা এবং কফি পান করা মানুষদের ভিতরে কফি পান করা মানুষেরা রাতে নিদ্রাহীনতায় ভোগেন বেশি। দুটো পানীয় ডায়াবেটিকস্ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে তবে হৃদরোগে ভালো কাজ করে কফি এবং ক্যান্সার যেন না হয় সে কাজটি করেন চা। কারণ চায়ে রয়েছে এন্টঅক্সিডেন্ট। গবেষণা মতে চায়ে রয়েছে বেশি উপকারিতা। বাকিটা আপনার মর্জি…।


অপকারিতা

অতিরিক্ত চা পানের কারণে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তবে কফিতে এর ভয়াবহতা আরো বেশি। চায়ে থাকা ক্যাফেইন অল্প মাত্রায় মূত্রবর্থক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ এটি ডাই-ইউরেটিক। অনেকে মনে করেন সকালের চা ‘বড়’ কাজ সারতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত হলে উল্টো বিপরীত হবে। চায়ে থাকা ‘থিওফাইলিন’ নামক রাসায়নিক উপাদান হজমের সময় পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে, যার ফলাফল কোষ্ঠকাঠিন্য।

অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের সমস্যা, অস্থিরতা, অস্বস্তি ও হৃদস্পন্দসন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। গর্ভবতী মায়েদের চা পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ চায়ের ক্যাফেইন ভ্রুণের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রোস্টেট ক্যান্সার, এসোফ্যাজিয়্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি হল অতিরিক্ত চা পানের সবচাইতে খারাপ দিক। ক্যাফেইন হৃদযন্ত্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। তাই যারা হৃদরোগে আক্রান্ত কিংবা যারা সেরে উঠেছেন তাদের চা যথাসম্ভব কম পান করাই শ্রেয়।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

‘পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (ইউজিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, “দেশে উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানতম অন্তরায় হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি। এর কারণেই ভবিষ্যতে পিএইচডি ডিগ্রি বাদে কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়টি সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।”

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আয়োজিত ‘রোল অফ আইকিউএসি ইন ইনহানচিং কোয়ালিয়টি অফ হাইয়ার এডুকেশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ। এতে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আইকিউএসি সেলের ভূমিকা ও নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি এসুরেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক। রুয়েট আইকিউএসি সেলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল গাফফার খান।

অনুষ্ঠান শেষে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে রুয়েটের পক্ষ থেকে উপাচার্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।