লকডাউনে বন্ধ বুয়েটের অনলাইন ক্লাস

 

বুয়েট টুডে:চলমান মহামারী সংকট পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে লকডাউনের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানোয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের চলাচল বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হওয়ায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বুয়েট। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস বন্ধ থাকবে। গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আরো বলা হয়েছে, গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি টার্মের ক্লাস অনলাইনে শুরু করলেও করোনা পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতি হওয়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বুয়েট।

চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে লকডাউনের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানোয় বুয়েটের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত: সীমিত আকারে খুলছে রাবি

রাবি প্রতিনিধি: ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয় (রাবি) খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সীমিত পরিসরে খুললেও চলবে না ক্লাস-পরীক্ষা। এছাড়াও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হলসমূহ বন্ধ থাকবে।

আজ শনিবার (৩০মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিটিং শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন থেকে ক্যাম্পাস খোলার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে শনিবার জরুরী সিন্ডিকেট সভায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ১ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সমূহ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা জানান, এখন ওই হলসমূহ খোলা হবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

করোনায় শিক্ষার্থীরা ছুটি পেলেও বঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

গবি টুডে


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ দিকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা ছুটি পেলেও, ছুটি পাননি শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকরা তাদের নির্ধারিত অফিস রুমে বসে আছেন। কেউ কেউ একাডেমিক কাজে ব্যস্ত, কেউবা আবার পত্রিকা কিংবা বই পড়ে অলস সময় পার করছেন। ছুটি না থাকায় করোনা আতঙ্কে ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে বাধ্য হচ্ছেন।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়েও (গবি) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও অন্যান্য সকল কার্যক্রম যথারীতি চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থী ছুটি পেলেও ছুটি মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দের।

এদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবা খাতুন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গোটাবিশ্বে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। যেহেতু এই ভাইরাসটির এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, সেজন্য যদি দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে তাহলে সকলকে নিরাপদে বাসায় অবস্থান করাই শ্রেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। সরকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বললেও অফিস বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকারি নির্দেশনা পেলেই শিক্ষকরা ছুটি পাবেন।”.