বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক

বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুইজন শিক্ষক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর সমন্বিত জরিপে চলতি বছরের গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় পুরো এক বছরের গবেষণা ও আরেকটি পেশাগত ভিত্তিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। তালিকায় স্থান পেয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দীপংকর কুমার।

বিশ্বসেরা গবেষক তালিকায় স্থান পেয়ে ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন , বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান অর্জন করতে পারাটা ভালো লাগার বিষয়।এ তালিকায় যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এ ব্যাপারে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের উপরে জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের অধিক প্রকাশনা রয়েছে।

১০-১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা হয়তো আর ক্লাসে ফিরে পাবো না

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বিভাগ অনুযায়ী সশরীরে পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব।

উপাচার্য বলেন, ‘করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমি আশঙ্কা করছি, হয়তো এই দীর্ঘ ছুটির কারণে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। ১০-১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা হয়তো আর ক্লাসে ফিরে পাবো না।’

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে বসবাস করে। অনেকের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ইউজিসির সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যাচ ও ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারি। এতে হল কিংবা ক্লাস প্রতিটা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

শুধু বশেমুরবিপ্রবি নয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায় যে দেড় বছর সময় নষ্ট হয়েছে। তা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা চাচ্ছি আগামী জুন মাসের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

তিনি জানান, অনলাইনে নয় বরং সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। আগামী জুন মাসের শেষ দিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

গত সোমবার (২৪মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদ।

গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার কারণে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে করোনার প্রভাবে। গত ২৪ মে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

নতুন শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা অর্ধেক হবে: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গত শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭০। সে হিসেবে এবছর আসন সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।

তিনি বলেন, ৫৫ একরের এই ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা থেকে এ সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। প্রতি বিভাগে ৩৫ থেকে ৬০ জন করে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ আধুনিকায়ন করা হবে। মাস্টার প্লানিংয়ের মাধ্যমে অত্যাধুনিক হল নির্মাণ করা হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ আশেপাশে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা নেই, শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলারও তেমন ব্যবস্থা নেই। এবিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব ভর্তুকিও দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বড় খেলার মাঠটি রয়েছে, সেটিকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ভবিষ্যতে এ মাঠে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যাবে।

অপরদিকে এক দশক ধরে শিক্ষা-কার্যক্রম চলা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে রয়েছে মাত্র একজন অধ্যাপক। গবেষণা কার্যক্রমেও নেই তেমন অগ্রগতি। এসকল বিষয়ে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার জন্য অধ্যাপকের কোনো বিকল্প নেই। চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক নিয়োগের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন এমন অধ্যাপকদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। আর গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হবে শুধুমাত্র অভিজ্ঞ শিক্ষকদের। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক যেমন সফলভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন তেমনি শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে দক্ষও করে তুলতে পারেন।

এসময় উপাচার্য আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজে লাগিয়ে এই অ লের পাশাপাশি বৃহত্তর ফরিদপুরে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিসহ বেকারদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো।

কমবে আসন সংখ্যা, থাকবে না ভিসি কোটা: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় আসন সংখ্যা কমানো এবং ভিসি কোটা বিলুপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

রবিবার (৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি শীর্ষক এক ফেসবুক লাইভে এ কথা জানান তিনি।

ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সমস্যা আর শিক্ষক স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পূর্বের উপাচার্যের বিভাগ বৃদ্ধি আর আসন বাড়ানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা বেড়েই চলছে ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গবেষণা, শিক্ষার মান ও পরিবেশ।

তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এক প্রশ্ন উত্তরে উপাচার্য বলেন, ভিসি কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি এখানে ভিসি কোটা নামে কোটা রয়েছে কিন্তু আমার সময়ে এরূপ কোনো কোটা থাকবে না। ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই কোটা বাদ দেয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যেহেতু সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো তাই এ লক্ষ্যে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ৩০% আসন রাখা যায় কিনা এমন একটি চিন্তা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবিতে ৭টি অনুষদ এবং ৩৪টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।

বশেমুরবিপ্রবি: পরীক্ষা দিচ্ছেন না দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ আগামী ২৭ নভেম্বর তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর গত ১৪ নভেম্বর ছিল ফরম পূরণের শেষ দিন। কিন্তু এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোন শিক্ষার্থীই ফরম পূরণ করেননি।

এদিকে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ না করে বিভাগ পরিবর্তনের এক দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতির মুখে পড়বেন জেনেও তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত ইটিই বিভাগের ১৫৮ জন শিক্ষার্থী।

গত ২৭ অক্টোবর থেকে শ্রেণিকক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে ইটিই বিভাগের চাকরির বাজারে বর্তমান অবস্থান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইটিইর বিলুপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বিভাগ পরিবর্তন করে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তারা। কিন্তু টানা ২৪ দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

কেন ইটিই বিভাগের রূপান্তর চান? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা জানান, ইইই বিভাগের সিলেবাসের সঙ্গে ইটিই বিভাগের সিলেবাসে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মিল রয়েছে। তা সত্ত্বেও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের। পিএসসি’র নেয়া বিসিএস পরীক্ষায় ইটিই বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র কোনো সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়নি। সেজন্য ইইই বিভাগের প্রণীত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

এ ব্যাপারে ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, “ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। আমি তাদেরকে ক্লাসে ফেরাতে চেষ্টা করেছি। সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ইটিই বিভাগ চলমান রয়েছে। ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি পাস করে চাকরি পায় তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে না কেন।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ‘উপাচার্য’ দুদকের মুখোমুখি

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সদ্য পদত্যাগ করা ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্থা । দুদক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, কেনাকাটায় দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।

সূত্র জানায়, পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্ল্যাহকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক। শিগগিরই সাবেক ওই উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া ভিসি নাসিরের বিরুদ্ধে নিয়োগ, ভর্তি ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে বহিষ্কার, অশোভন আচরণ, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার ঘটনা নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুধু তা-ই নয়, একটি সম্মানিত পদে থাকা সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে এবছরের ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। তাঁকে ভিসি পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ৫ সদস্যদের ওই কমিটি।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

হামলার সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি, ৬ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছয় শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

ওই ছয় শিক্ষার্থী হলেন- আরিফুল ইসলাম সাকিব, রাফিজুল ইসলাম, নুরুদ্দিন নাহিদ, মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিশন, রাহাত আল আহসান, ইসমাইল শেখ। নোটিশ প্রাপ্ত সকলে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, “ওনারা সাবেক ভিসির খুবই আস্থাভাজন ছিলেন, বিভিন্ন সময় তাদের বিভিন্ন সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে”।

এবছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলায় তাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। উক্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সংশ্লিষ্টতার জন্য কেনো কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে এবং এই মর্মে তাদেরকে আগামী ১১ই নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পেটুয়া বাহিনীর সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিলো বলে জানা গেছে এবং বিভিন্ন সময় ভিসির নির্দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বশেমুরবিপ্রবি: শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি, বিভাগের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি



বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ফাতেমা খাতুনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৯টারদিকে নিজ বিভাগের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করেছেন। তাছাড়া তিনি একজন নন ডিপার্টমেন্টাল শিক্ষক এবং তিনি সভাপতি হলেও
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে খুব কম সময় দিয়েছেন।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, “তিনি বিভাগের উন্নয়নে তেমন কোন অবদান তিনি রাখতে পারেননি। তাই আমরা মনে করি তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।”

এ দিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।





আপনার প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭৪৪৫২৭৯৯৯





আপনার প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭৪৪৫২৭৯৯৯



বশেমুরবিপ্রবি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ছাত্রসংগঠনের নবীনবরণ

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন’-এর ‘নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের অডিটোরিয়াম’-এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান,ছাত্র উপদেষ্টা মোঃ মশিউর রহমান,ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান নবীনবরণ ও এত সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।

ইটিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মাহমুদ পামেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্রসংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) অবিনাশ বড়ুয়া সংগঠনের সূচনালগ্নের স্মৃতিচারণ করেন এবং নবীনদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

আনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যান্ড ‘ধূপছায়া’ও উক্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গান পরিবেশনা করেন।

প্রসঙ্গত, ‘মাল্টি কালচার,মাল্টি লার্নিং’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন’ চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় বৃদ্ধি



বিজ্ঞপ্তি



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (বশেমুরবিপ্রবিসাস) সদস্য হতে আগ্রহীদের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর।

সকলের সুবিধার্থে সদস্য পদের আবেদন ফরম বিতরণ ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগ্রহীর উক্ত তারিখ পর্যন্ত ফরম গ্রহণ ও জমা দিতে পারবেন।



বিস্তারিত ও আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে এখানে ক্লিক করুন।