বশেমুরবিপ্রবি পেল নতুন রেজিস্ট্রার

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার খান মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নিয়োগ আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী মো. আব্দুর রউফকে বশেমুরবিপ্রবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। প্রাথমিকভাবে এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। তবে দাপ্তরিক কাজকর্ম সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে এ মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হবে। নতুন রেজিস্ট্রারকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট যোগদানপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত

প্রসঙ্গত, এর আগে বশেমুরবিপ্রবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য অব্যাহতি চাইলে তার স্থলে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হয়।

অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর প্রায় ৮ মাস পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির দাবীতে অনশনকে অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হওয়ায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ (রবিবার) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত ২৭/১০/২০১০ইং তারিখে ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তি হবার দাবী নিয়ে পূজার সরকারি ছুটি চলাকালিন সময়ে ৭/৮ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে অনশন শুরু করে। তৎপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশনকারিদের ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ০১/১১/২০২০ইং তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অত্র তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষনে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হয়েছে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করেছে বিধায় পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তির আর কোন সুযােগ নেই। এছাড়া, ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘােষণার ৮/৯ মাস অর্থাৎ ক্লাস শুরুর হবার ৭/৮ মাস পরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোন নজির নেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেও দেখা যায় যে, ক্লাস শুরুর বেশিদিন পর শিক্ষার্থী ভর্তি করলে পরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্লাসে তাল মেলাতে পারে না এবং পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করে ও হতাশায় ভােগে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সমাপনের পরে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ করার কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা ক্ৰমান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও স্বার্থের পরিপন্থী।”

এধরনের দাবি স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের চক্রান্ত উল্লেখ করে এবং চক্রান্তকারীদের কাছ থেকে সকলকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির জন্য এমন দাবী ও অনশনের বিষয়টি নজিরবিহীন ও দুঃখজনক একটি ঘটনা যা ক্রমান্তরে প্রমাণিত যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। এই ষড়যন্ত্রকারিরা বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিতে তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে ভর্তি বাণিজ্যের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের থেকে সংশ্লিষ্টদের সাবধান থাকার আহবান জানানাে হলাে।”

বশেমুরবিপ্রবি: অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি গণনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক


৩০-৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) একমাস ধরে অনলাইন ক্লাস চলছে। তবে অনলাইন ক্লাস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

নিজ অর্থায়নে ইন্টারনেট এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ডিভাইস কিনে যুক্ত হতে হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির অনলাইন ক্লাসে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মুখপানে চেয়ে বসে আছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এসমস্ত অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি গণনার বিষয়ে তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। জানা যায়, নির্দেশনা না থাকলেও কিছু শিক্ষক অতি উৎসাহী হয়ে অনলাইন ক্লাসকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে গণনা করছেন। আর এতে বিপদে পড়েছেন নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং দারিদ্র্যের কারণে ক্লাসে অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা। এসমস্ত শিক্ষার্থীদের দাবি, অনলাইন ক্লাসকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষক তাঁর লেকচার ভিডিও করে দিলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চলবে অন্যদিকে নেটওয়ার্ক সমস্যা তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে ক্লাসটি করে নিতে পারবে।

বিভিন্ন বিভাগে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগের মধ্যে অধিকাংশ বিভাগের অনলাইন ক্লাস গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। তবে এখনও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়নি এমন বিভাগও রয়েছে কয়েকটি। অনলাইন ক্লাস চলা বিভাগগুলোর মধ্যে অধিকাংশ বিভাগে উপস্থিতি গণনা করা হচ্ছে না। কিন্তু মানবিক অনুষদের কয়েকটি বিভাগসহ বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষকেরা অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি গণনার বিষয়ে কড়াকড়ি নির্দেশনা আরোপ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অনলাইন ক্লাস শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক শিক্ষক জানতেন না কিভাবে অনলাইনে ক্লাস নিতে হয়। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা ছাড়া এখন অনেক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমন। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেটওয়ার্ক দুর্বলতার জন্য অনেক শিক্ষার্থী এসমস্ত ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। আবার অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের স্মার্টফোন বা প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করেই উপস্থিতি গণনা করা বা সেগুলোকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে বিবেচনা করা অমানবিক।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, আমার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। প্রতিটা ক্লাস করতে আমাকে বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। তারপরও অনেকসময় নেটওয়ার্ক পাই না।

লাইভস্টক সাইন্স অ্যাণ্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য পড়া বুঝতে সমস্যা হয়। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে না। ক্লাসের মাঝে মাঝে শিক্ষকেরাও ডিসকানেকটেড হয়ে যান। ৪০ মিনিটের ক্লাসে কানেকটেড, রিকানেকটেড,ডিসকানেকটেড করতে গিয়ে সময় চলে যায়।

পঞ্চগড় জেলার শিক্ষার্থী মো. পারভেজ বলেন, বাড়ি থেকে অনেক দূর গিয়ে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে হয়। অনেক সময় নেটওয়ার্কের কারণে ক্লাসে যুক্ত হতে পারি না সেক্ষেত্রে উপস্থিতি বাদ পড়ে যায়।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি নিজের পড়ালেখার খরচ নিজে চালাই। আমার পরিবারের মোট ছয় সদস্য রয়েছে তাদের ভরণপোষণ দিতে গিয়ে বাবাকে হিমশিম খেতে হয়। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট ক্রয় করা নিয়ে। পকেটে নেট কেনার টাকা না থাকলে ক্লাস করতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট কেনার বিশেষ সুবিধা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার ব্যাপারে সুবিধা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘সব জায়গাতে চোরের আড্ডা। আমি ৫০০ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে গেলে আরও ৫০০ বড়লোক শিক্ষার্থী চলে আসবে। তাছাড়া সাত আটমাস ধরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না, সেখানে যে টাকা খরচ হতো বাড়িতে থাকার কারণে সেটা হচ্ছে না। ফলে ক্লাসের জন্য তারা পাঁচ-সাত হাজার টাকা খরচ করতে পারবে না? বাড়িতে থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া করতে গিয়ে ইনভেস্ট করবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে তেমন টাকা নেই। ইউজিসি টাকা-পয়সা দিলে সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। আর শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি আমি কমিয়ে দিবো।’

বশেমুরবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

দীর্ঘ প্রতিক্ষা, অবশেষে তার অবসান। নানা জল্পনা কল্পনার পর ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।জানা গেছে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। ২৪০ বর্গমিটার স্থানে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ম্যুরাল কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানা গেছে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপ-পরিচালক তুহিন মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন প্রদান করেছেন।

আগামী দু-একদিনের মধ্যে অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি আমাদের কাছে এসে পৌঁছাবে এবং এরপর যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির জনকের পূণ্যভূমিতে অবস্থিত। তাই আমাদের দায়বদ্ধতাও বেশি। আমরা চেষ্টা করবো সর্বোচ্চ সুন্দরভাবে ম্যুরাল কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করার।”

এর আগে, যোগদানের পরপরই বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.এ.কিউ.এম মাহবুব জানিয়েছিলেন মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে, ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমোদন পাওয়ায় আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

আইন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ আকাশ বলেন, “জাতির পিতারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না থাকা টা ছিল আমাদের জন্য অতীব দুঃখজনক একটা ব্যাপার৷ মূলত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল অনেক আগেই তৈরি করা উচিত ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে ম্যুরালের কাজ শুরু হচ্ছে জেনে খুবই উচ্ছ্বসিত।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা ছিলো। ওইসময়ে ম্যুরালের জন্য বরাদ্দ ছিলো দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো।
কিন্তু ২০১৭ সাল পর্যন্ত ম্যুরালটির নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি। পরবর্তীতে বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং ২০১৮ সালে প্রকল্পটির বাজেট রিভাইজড করা হয়। রিভাইজড বাজেটে ২৪০ বর্গমিটার স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বশেমুরবিপ্রবি : অপেক্ষামান শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একাংশ ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।

আজ (মঙ্গলবার ) সকালে এ ইউনিট, বি ইউনিট, এফ ইউনিট, এইচ ইউনিট এবং ই ইউনিটের মোট আটজন শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন।

এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবিতে আসন ফাঁকা থাকার পরেও তাদেরকে ভর্তি নেয়া হয়নি আর এর ফলে তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ই ইউনিটে( ১৩৫৭ সিরিয়াল) অপেক্ষামান শিক্ষার্থী মো: নাইম হোসেন ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “আমরা ভর্তি হতে আসা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি এখনও অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই আমরা আশা করেছিলাম আমাদেরকে ডাকা হবে।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এই ফাঁকা আসনের বিপরীতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে ডাকে নি।

শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সমাধান পাইনি।”

কুমিল্লা থেকে আগত এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমরা বিষয়টা নিয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ অথবা ৮ তারিখের দিকে উপাচার্যকে চিঠিও দিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।”

এছাড়া এইচ ইউনিটে ৪২৭ সিরিয়ালে থাকা মোঃ হুমায়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরের একজনের মাধ্যমে জেনেছি এখনও ৩৩০ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই এইসকল ফাঁকা আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।”

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার বলেন, “আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো।

যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া হয়েগেছে প্রায় এক বছর আগে আমি এখন কিভাবে স্টুডেন্টদের ভর্তি করাই। আর এখম যদি নিয়ম ভঙ্গ করতে হয় তাহলে এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং এ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সাথে ইউজিসির অনুমতি লাগবে। এছাড়া এ মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং আমি ঢাকাই আছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে কথাবার্তা বলা যেতো।”

বশেমুরবিপ্রবি: ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন

সাগর দে

সারাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এখন শুধু ধর্ষণ এক কথায় টক অফ দ্যা ক্যান্ট্রি। তবে নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে মহিলাকে পাশবিক নির্যাতনের পর বর্তমানে বহুল আলোচিত বিষয় এখন ধর্ষণ। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সোচ্চার সচেতন সমাজ, শিক্ষক সমাজের পাশাপাশি ছাত্র সমাজ।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল ভিডিও, স্কুল শিক্ষক, পিতা কর্তৃক মেয়ে , মাদ্রাসা শিক্ষক, গীর্জার গড ফাদার, মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষণ, একে একে প্রতিদিন বেড়িয়ে আসছে এসব চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের খবর।

এসকল নরপিশাচ ধর্ষক যা ৭১ এর গণধর্ষণকেও হার মানায়। আর এসকল নরপিশাচদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চোখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমার মা বোনের স্বাধীন রাষ্ট্রে নিরাপদ নয়। তাহলে এ লজ্জা আমরা কোথায় লুকাবো? যেখানে দেশের ডিজিটাল আইন সহ সকল আইন সংশোধন হচ্ছে সেখানে ধর্ষণের আইন কেন সংশোধন হবে না বলে প্রশ্ন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এখানে মানববন্ধন করছি নিজের বা সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে নয়। নিজের মা বোনদের সুরক্ষায় এ মানববন্ধন। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইন প্রনয়ণকারী তাদের সকলের কাছে ধর্ষক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বিধান রেখে আইন পাশের আহ্বান জানান।

এসময় মানববন্ধনে তারা ৭ দফা দাবি দেন। দাবি সমূহ হলো –

১. ধর্ষণ আইন পুনঃবিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা।
২. ধর্ষণজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া তৈরি করা।

৩. ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
৪. জেলায় জেলায় ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা।

৫. নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন।
৬. পূর্ববর্তী সকল ধর্ষণ মামলার রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা।
৭. দলীয় মদদে কোন ধর্ষণকে বা কোন অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১০ মাস পর ডাক্তার পেলো বশেমুরবিপ্রবি

গোপালগঞ্জ টুডে

দীর্ঘ দশ মাস পর অবশেষে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ডা. অভিষেক বিশ্বাসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব রবিবার বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক লাইভে জানান তিনি চেষ্টা করবেন ভবিষ্যতে আরও একজন চিকিৎসককে নিয়োগ প্রদান করতে।

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বশেমুরবিপ্রবির দুজন চিকিৎসক ই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসক শূণ্য ছিলো বশেমুরবিপ্রবির একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটি।

কমবে আসন সংখ্যা, থাকবে না ভিসি কোটা: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় আসন সংখ্যা কমানো এবং ভিসি কোটা বিলুপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

রবিবার (৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি শীর্ষক এক ফেসবুক লাইভে এ কথা জানান তিনি।

ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সমস্যা আর শিক্ষক স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পূর্বের উপাচার্যের বিভাগ বৃদ্ধি আর আসন বাড়ানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা বেড়েই চলছে ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গবেষণা, শিক্ষার মান ও পরিবেশ।

তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এক প্রশ্ন উত্তরে উপাচার্য বলেন, ভিসি কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি এখানে ভিসি কোটা নামে কোটা রয়েছে কিন্তু আমার সময়ে এরূপ কোনো কোটা থাকবে না। ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই কোটা বাদ দেয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যেহেতু সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো তাই এ লক্ষ্যে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ৩০% আসন রাখা যায় কিনা এমন একটি চিন্তা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবিতে ৭টি অনুষদ এবং ৩৪টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।

‘মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নির্মিত নয় শুনে অবাক হয়েছি’

শাফিউল কায়েস ও সাগর দে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ লাইভ প্রোগ্রামে বশেমুরবিপ্রবিতে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ক্যাম্পাসের ধর্মীয় মন্দির শিক্ষার্থীদের টাকায় নির্মাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নির্মিত নয় শুনে অবাক হয়েছি। তবে এটা পরবর্তীতে আরও আধুনিক ও সুন্দর একটি মন্দির উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

রবিবার (০৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

‘ইতিহাস বিভাগের সমস্যা, বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করব তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’ তিনি যোগ করেন।

অন্যদিকে ইইই ও ইটিই বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, ‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইইদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

‘অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে হলেও ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার চেষ্টা করব’

শাফিউল কায়েস


‘ইতিহাস বিভাগের সমস্যা, বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করব তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।

অন্যদিকে ইইই ও ইটিই বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, ‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইইদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ বিষয়ক বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত লাইভ প্রোগ্রামে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।