বাংলা ১ম পত্র এইচএসসি- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি

বাংলা সহপাঠের অন্তর্ভুক্ত সিকান্দার আবু জাফর রচিত ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক থেকে আজ নির্বাচিত কিছু প্রশ্ন দেয়া হলো। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ আলোচনা ও অনুশীলনী তোমাদের জন্য প্রকাশ করবো।

1. সিরাজউদ্দৌলা নাটক কত অঙ্কে বিন্যস্ত?
A. তিন
B. চার
C. পাঁচ
D. এক

2. জগৎ শেঠের প্রকৃত নাম কী?
A. ফতেহ চাঁদ
B. কামাল লোহানী
C. দিগম্বর রায়
D. বীরচন্দ্র শেঠ

3. ‘আপনাকে আমরা মায়ের মতো ভালোবাসি।’ ঘসেটি বেগমকে উদ্দেশ করে এ কথা কে বলেছিল?
A. সিরাজ
B. রাইসুল জুহালা
C. লুত্ফা
D. আমিনা

4. কোথায় যেতে পারলে আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে বলে নবাব প্রত্যয় ব্যক্ত করেন?
A. মুর্শিদাবাদ
B. কলকাতা
C. ঢাকা
D. পাটনা

5. সিরাজ তাঁর চারপাশে ‘দেয়াল’ বলেছেন কোনটিকে?
A. ইংরেজদের সহযোগিতাকে
B. অধীনদের ষড়যন্ত্রকে
C. আত্মীয়দের বিশ্বাসঘাতকতাকে
D. স্বপ্ন দেখার আকাঙ্ক্ষাকে

6. সততার চেয়ে অর্থকে অধিকতর মূল্যবান মনে করে কোন চরিত্র?
A. ঘসেটি বেগম
B. লুত্ফুন্নেসা
C. ক্লেটন
D. উমিচাঁদ

7. কার সংলাপের মাধ্যমে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটেছে?
A. ক্লাইভের
B. মিরনের
C. সিরাজের
D. মোহাম্মদি বেগের

8. ‘সে মসনদে বসতে হলে আপনার হাত ধরেই বসব, তা না হলে নয়।’ কে, কাকে এ কথা বলেছে?
A. মির জাফর, ক্লাইভকে
B. মির জাফর, ড্রেককে
C. মির জাফর, ওয়াসকে
D. মির জাফর, হলওয়েলকে

9. ‘আমাকে খুন করে ফেলো, আমাকে খুন করে ফেলো।’ এটি কার সংলাপ?
A. রাজবল্লভের
B. রায়দুর্লভের
C. জগৎ শেঠের
D. উমিচাঁদের
10. সিরাজউদ্দৌলাকে কোন কয়েদখানায় বন্দী করে নিয়ে আসা হয়?
A. জাফরাগঞ্জের
B. মুর্শিদাবাদের
C. আলিনগরের
D. লক্ষবাগের

11. উমিচাঁদকে ঠকানোর জন্য ক্লাইভ কোন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন?
A. মিথ্যা আশ্বাসের
B. নকল মোহরের
C. নকল মুদ্রার
D. নকল দলিলের

12. ওয়াটসনের সই জাল করে দিয়েছিল কে?
A. তেটন
B. লুসিংটন
C. ক্লাইভ
D. ড্রেক

13. মিরনের বাবা কে?
A. মির জাফর
B. মোহনলাল
C. মির মর্দন
D. উমিচাঁদ

14. লবণের ইজারাদার কে ছিল?
A. সেনাধ্যক্ষ
B. সামন্ত শ্রেণি
C. কুঠিয়াল ইংরেজ
D. সার্জন হলওয়েল

15. পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে কতজন সৈন্য ছিল?
A. ৪৫ হাজার
B. ৫০ হাজার
C. ৫৫ হাজার
D. ৬০ হাজার

16. পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কামানসংখ্যা কত ছিল?
A. গোটা পাঁচেক
B. গোটা দশেক
C. গোটা পনেরো
D. গোটা বিশেক

17. ইংরেজ সৈন্যরা কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?
A. অগীরণীর নিকটবর্তী শিবিরে
B. পলাশীর ব্যারাকে
C. লক্ষবাগে
D. মিরবাগে

18. কে যুদ্ধ বন্ধ করতে চাননি?
A. মির মর্দন
B. মোহনলাল
C. মির জাফর
D. সাঁফ্রে

19. উপযুক্ত মর্যাদায় কার লাশ দাফন করতে হবে?
A. মির জাফরের
B. মির মর্দনের
C. মোহনলালের
D. মিরনের

20. মোহাম্মদি বেগ কত টাকার বিনিময়ে সিরাজকে হত্যা করতে রাজি হয়েছিল?
A. দশ হাজার
B. আট হাজার
C. ছয় হাজার
D. পাঁচ হাজার

সঠিক উত্তর

1| B. চার 2| A. ফতেহ চাঁদ 3| C. লুত্ফা 4| D. পাটনা 5| B. অধীনদের ষড়যন্ত্রকে 6| D. উমিচাঁদ 7| D. মোহাম্মদি বেগের 8| A. মির জাফর, ক্লাইভকে 9| D. উমিচাঁদের 10| A. জাফরাগঞ্জের 11| D. নকল দলিলের 12| B. লুসিংটন 13| A. মির জাফর 14| C. কুঠিয়াল ইংরেজ 15| B. ৫০ হাজার 16| B. গোটা দশেক 17| C. লক্ষবাগে 18 | B. মোহনলাল 19| B. মির মর্দনের 20| A. দশ হাজার।

বাংলা ২য় পত্র – পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি

বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরণ অংশের অন্তর্গত ধ্বনিতত্ত্ব, ধ্বনির পরিবর্তন ও সন্ধি থেকে আজ নির্বাচিত কিছু প্রশ্ন দেওয়া হলো। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ আলোচনা ও অনুশীলনী প্রকাশ করব।

১. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
A. ৮টি
B. ১০টি
C. ৯টি
D. ১১টি

২. কোনগুলো বর্গীয় বর্ণ নয়?
A. চ, ছ, জ,ঝ,ঞ
B. ত, থ, দ, ধ, ন
C. ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
D. য, র, ল, শ, ষ

৩. বাক্যতত্ত্বের অপর নাম কী?
A. শব্দক্রম
B. ধ্বনিক্রম
C. পদক্রম
D. অর্থক্রম

৪. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
A. ৭টি
B. ৮টি
C. ৯টি
D. ১০টি

৫. বাংলা বর্ণমালার ‘পরাশ্রয়ী’ বর্ণ কয়টি?
A. ২টি
B. ৩টি
C. ৪টি
D. ৫টি

৬. কোনটি যুগ্ম স্বরধ্বনি?
A. উ
B. ঋ
C. এ
D. ঐ

৭. ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
A. ফলা
B. কার
C. অক্ষর
D. ধ্বনিমূল

৮. তালব্য ও নাসিক্য বর্ণ কোনটি?
A. ঙ
B. ঞ
C. গ
D. ম

৯. কোনটি মৌলিক স্বরধ্বনি?
A. ঔ
B. ই
C. ঐ
D. সব কটি

১০. কোনটি ‘বিষমীভবন’-এর উদাহরণ?
A. লাফ>ফাল
B. লাল > নাল
C. কবাট>কপাট
D. লগ্ন>লগ্গ

বাংলা ২য় – পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি

বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরণ অংশের অন্তর্গত উচ্চারণ ও বানান থেকে আজ নির্বাচিত কিছু প্রশ্ন দেওয়া হলো। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ আলোচনা ও অনুশীলনী তোমাদের জন্য প্রকাশ করব।

০১. ‘সুদৃষ্টি’ শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
ক. সুদৃশিট খ. শুদৃস্টি
গ. শোদৃশিট ঘ. শুদৃশ্‌টি

০২. ‘আহ্বান’ শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
ক. আহোব্বান্ খ. আহোভান
গ. আউভান্ ঘ. আওভান

০৩. ‘জিহ্বা’ শব্দের উচ্চারণ কোনটি?
ক. জিওবা খ. জিউভা
গ. জিব্বা ঘ. জিবহা

০৪. ‘অপ্রতুল’ শব্দের সঠিক উচ্চারণ কোনটি?
ক. ওপেপ্রাতুল খ. অপ্রোতুল
গ. অপ্‌প্রোতুল ঘ. অপোপরতুল

০৫. ‘অধ্যাপক’ শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
ক. অদ্ধাপক খ. অদ্ধাপোক
গ. ওদ্ধাপোক্ ঘ. ওধ্ধাপোক্
০৬. ‘তীব্র’ শব্দটির সঠিক উচ্চারণ কোনটি?
ক. তীবেবা খ. তিব্‌ব্রো
গ. তিবেরা ঘ. তীব্রো
০৭. ‘অক্ষর’ শব্দের কোন উচ্চারণটি শুদ্ধ?
ক. ওক্‌খোর্ খ. অক্খোর
গ. ওক্খর ঘ. অক্খর

০৮. উচ্চারণের একককে কী বলা হয়?
ক. অক্ষর খ. অনুসর্গ
গ. উপসর্গ ঘ. ধ্বনি
০৯. ‘সন্ধ্যা’ শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
ক. সন্ধা খ. শন্ধা
গ. শোন্ধা ঘ. সণ্ধা
১০. শুদ্ধ বানানে লেখা নয় কোনটি?
ক. ক্ষণজীবি খ. প্রণয়ন
গ. ধারণ ঘ. নিরীক্ষণ

১১. শুদ্ধ বানানে লিখিত শব্দগুচ্ছ কোনটি?
ক. সমীচীন, হরিতকি, বাল্মিকী

খ. সমীচীন, হরীতকী, বাল্মীকি

গ. সমীচীন, হরিতকি, বাল্মীকি

ঘ. সমীচীন, হরিতকী, বাল্মীকী

১২. কোনটি শুদ্ধ?
ক. পুননির্মান খ. পুননির্মাণ
গ. পুনঃনির্মান ঘ. পুনর্নির্মাণ
১৩. কোনটি শুদ্ধ?
ক. সৌজন্যতা খ. সৌজন্নতা
গ. সৌজন্য ঘ. সৌজন্যাতা
১৪. শুদ্ধ বানান কোনটি?
ক. মুহমহু খ. মুহুর্মুহু
গ. মূহর্মূহ ঘ. মুহর্মুহু
১৫. শুদ্ধ বানান কোনটি?
ক. পরজিবী খ. সহযোগীতা
গ. তৃর্ণভোজী ঘ. বুদ্ধিজীবী

১৬. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
ক. সৌজন্যতা খ. প্রতিযোগিতা
গ. মিতালী ঘ. সহযোগীতা
১৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
ক. শ্রদ্ধাঞ্জলী খ. দরিদ্রতা
গ. পরিস্কার ঘ. আবিস্কার
১৮. সঠিক বানান কোনটি?
ক. পিপিলিকা খ. পিপীলিকা
গ. পীপিলিকা ঘ. পিপীলীকা
১৯. নিচের কোন শব্দটি নির্ভুল?

ক. উপর্যুক্ত খ. উপরম্নক্ত
গ. উপরিক্ত ঘ. উপরিযুক্ত
২০. নিচের কোন গুচ্ছ অশুদ্ধ বানানের দৃষ্টান্ত?
ক. আকাঙ্ক্ষা, স্বায়ত্তশাসন খ. পরিপক্ব, মরূদ্যান গ. শ্রদ্ধাঞ্জলি, মুমূর্ষ ঘ. ভিখারিনী, ত্রিভূজ

উত্তরমালা
১| ঘ. শুদৃশ্‌টি ২| গ. আউভান্ ৩| খ. জিউভা ৪| গ. অপ্‌প্রোতুল ৫| গ. ওদ্ধাপোক্ ৬| খ. তিব্‌ব্রো ৭| ক. ওক্‌খোর্ ৮| ক. অক্ষর ৯| গ. শোন্ধা ১০| ক. ক্ষণজীবি ১১| খ. সমীচীন, হরীতকী, বাল্মীকি ১২| ঘ. পুনর্নির্মাণ ১৩| গ. সৌজন্য ১৪| খ. মুহুর্মুহু ১৫| ঘ. বুদ্ধিজীবী ১৬| খ. প্রতিযোগিতা ১৭| খ. দরিদ্রতা ১৮| খ. পিপীলিকা ১৯| ক. উপর্যুক্ত ২০| ঘ. ভিখারিনী, ত্রিভূজ

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

১। গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরবেন না
২। পড়ার লেখার চেয়ে বন্ধু বান্দবকে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা
৩। রুমে নয় লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশুনা করুন, এতে আপনার স্টাডি সার্কেল বড় হবে
৪। সিট নয় বই কিনে পড়ুন
৫। নিজের যা আছে তার চেয়ে বেশি দেখাতে যাবেন না
৬। রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে বেশি হাই হ্যালো না করলেও শত্রুতা রাখবেন না

৭। নিজেকে সবার সেরা মনে করে অন্যকে ছোট করা যাবে না
৮। হলের ক্যান্টিনে বকেয়া রাখবেন না
৯। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে এড়িয়ে যাবেন না
১০। লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়ে পড়ার চেয়ে বেশি আড্ডা দিবেন না
১১। অন্যের কক্ষে গিয়ে বেশিক্ষণ আড্ডা না দেয়াই ভালো

১২। জুনিয়রদের কাজের হুকুম না দিয়ে ভালোবাসুন, দেখবেন এমনিতেই সে আপনার প্রয়োজনে কাজে আসবে
১৩। এক শিক্ষকের বদনাম আরেক শিক্ষকের কাছে বলবেন না
১৪। দোকানে খাওয়া শেষে বিল দিতে না পারলে বলে আসুন পরে দিবেন কিন্তু না বলে আসবেন না
১৫। ধর্ম কর্ম একেবারে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ, দিন শেষে মনের শান্তির জন্য হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা উচিত
১৬। পরীক্ষার চিন্তায় পড়াশুনা কমিয়ে দিবেন না

১৭। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে রাখবেন না
১৮। একটা কিছু হবেই, এ ভেবে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিবেন না। প্রথম থেকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক পড়াশুনা করতে হবে
১৯। শিক্ষকদের তোষামোদি করে ভালোবাসা নয়, মেধা দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করুন
২০। ক্যাম্পাসে কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না

প্রকৌশল গুচ্ছে সব আবেদনকারীই পাচ্ছেন পরীক্ষার সুযোগ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ শনিবার (০৮ মে) দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে । এবারে এ ভর্তি পরীক্ষায় সব আবেদনকারীই পরীক্ষা দিতে পারবে। আবেদনের সময়সীমা আর বাড়ানো হচ্ছে না।

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব এবং চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব অধ্যাপক মইনুল ইসলাম জানান, তিন প্রকৌশল গুচ্ছে এবার নির্ধারিত সংখ্যক আবেদন জমা হওয়ায় আমরা আশা করছি সব আবেদনকারীই পরীক্ষা দিতে পারবে। আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুসারে ভেন্যু সিলেক্ট করা হবে। শিক্ষার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

এছাড়া নির্দিষ্ট তারিখেই শুরু হচ্ছে তিন প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা। অধ্যাপক মইনুল জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত পূর্ব ঘোষিত তারিখেই সব কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় যদি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট তারিখ পরিবর্তন করা হয় সেটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

যে তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছতে ভর্তি পরীক্ষা হবে- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট)

তথ্যমতে, এই তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এবারে ‘ক’ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগ এবং ‘খ’ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা এবং স্থাপত্য বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২ জুন ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের নামসহ কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১২ জুন ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ জুন ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সব তথ্য এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা https://www.admissionckruet.ac.bd/

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: বৈরী পথের সঙ্গী হোক প্রেরণা

আলমামুন সরদারঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা জীবনটাকে নতুন করে বদলে দিতে শেখায়। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটার অন্যতম আরো একটা পদক্ষেপ। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেই তখনি জীবনের লক্ষ্য হয় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণকর সকল কর্মকাণ্ডকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার।

করোনার সংকটকালীন মূহুর্তের ছবিটা সকলের হৃদয়ে ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছে। প্রায় তের লক্ষ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অটো পাসের মাধ্যমে পাস করাতে বাধ্য হয়েছে সরকার ।কিছুদিনের মধ্যে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে স্বপ্নপ্রবণ এসব শিক্ষার্থীদের।

সবার ভিতরে হতাশা বিরাজ করছে কিভাবে এই যুদ্ধটাকে জয় করবো। অজপাড়া গাঁয়ের ছেলেমেয়েদের এই কঠিন নির্মমতার সাক্ষী হতে হয় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। আজকে এমনই হারতে হারতে জয়ী হওয়ার একটা গল্প শোনাবো।

আমি নবম শ্রেণীতে উঠতেই বাবা হটাৎ বলে ফেলল, আর লেখাপড়া করতে হবে না। চল আমার সাথে মাছ ধরতে যাবি। অবাধ্য হওয়ার সাহস ছিল না বলে, ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিয়েছিলাম। কিন্তু মন সবসময় পড়াশোনাকে বরণ করে নিয়েছিল। মা বাবার পা ধরে সেদিন বলেছিল, আমার ছেলেকে অনেক বড় কিছু করতে হবে। আপনি ওরে মুক্তি দেন। সেদিনই জীবনের গুরুত্ব বুঝেছিলাম। জীবনে কোনদিন স্কুলের বারান্দায় না গিয়েও আমার মা যদি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে, তাহলে আমি কেন পারবো না।

বাবা হয়ত চেয়েছিল আমি যদি সংসারের হাল ধরি তাহলে দারিদ্র্যতার রোষানলের এই সংসারের কষ্টটা লাঘব হবে। হয়ত মহৎ ছিল উদ্দেশ্যটা। কিন্তু আমার মায়ের ছিল আমার প্রতি অপরিসীম বিশ্বাস আর আস্থা। তখনই বাবা রাগ করে বলেই বসলেন, আমাকে আর পড়াশোনার টাকাকড়ি দিতেই পারবেন না।

জীবনের সকল দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন অন্যের দরজাই পরামর্শের হাত পাততে হয়। তাই শিক্ষকের পরামর্শ মতাবেক নাইট ডিউটির কাজটা বেছে নিয়েছিলাম। দিনের বেলা বেশীরভাগ সময় নদীতে জালটানা আর রাতের বলা ঘেরে নাইট ডিউটি করে কোন মতে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিছুদিনের মধ্যে রেজাল্ট বের হলো। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে পাস করলাম। এটাই ছিল আমার মায়ের পুরোটা জীবনের আনন্দের অন্যতম একটা মূহুর্ত।

কিন্তু আমার কপালে ছিল চিন্তার ভাজ। মনে করেছিলাম এইচএসসি বুঝি আর পড়া হবে না। আমি আমার জীবনে বার বার আমার মায়ের আত্মবিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়ে গেছি। যখনি দিশেহারা হয়ে যেতাম মা কোন না কোন উপায় বাতলে দিতেন। রেজাল্ট ভাল হওয়ার জন্য সবাই বলেছিল শহরের ভালো কলেজে ভর্তি হতে। আমি সাহস করতে পারি নি সেদিন। আমার জীবনে আমার সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করিনি। আর আমার সিদ্ধান্তের মূল ভিত্তি ছিল আমার মায়ের দোয়া।

আমার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে ভর্তি হয়েছিলাম গ্রামের একটা কলেজে। তার পরের ঘটনার জন্য আমি একদম প্রস্তুত ছিলাম না। বাড়ি থেকে খবর এলো বাবা আমার পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি অন্য জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কলেজের প্রথম মাস মায়ের জমানো টাকা দিয়ে চলার পর এমন ঘটনা শোনায় হতাশা আঁকড়ে ধরেছিল। ছোট তিন বোনের লেখাপড়া, পরিবারের সমস্ত ব্যয়ভার নিজের কাঁধে চড়ে বসেছিল।

বাড়িতে এসে মাটির কাজ করতাম সারাদিন। এমনভাবে বেশ কয়েকমাস পার হয়ে গেল। হটাৎ কলেজের এক বন্ধু ফোন করে খবর দিল তার বাড়ির পাশে একটা ছেলে রাখবে। তাদের বাড়িতে থাকার উদ্দেশ্যটা ছিলো তাদের ছেলেটিকে মানুষ করা।বিনিময়ে আমি পাবো তিন বেলা খাবার আর থাকার জায়গা। মা জোর করে আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল সেদিন। কলেজ করার পাশাপাশি বাকি সময়টা কাজও করতাম। আর তাদের ছেলেটিকে পড়াতাম। মনে হচ্ছিল জীবন্ত লাশ আমি। না পারছি মরতে, না পারছি বেঁচে থাকতে। বাড়ির কথা মনে করতেই চোখ দিয়ে নির্গত অশ্রুধারা গুলো স্বাক্ষী হয়ে থাকবে আজীবন।

ছোট একটা ঘরে থাকার জায়গা হয়েছিল আমার। আমার সাথে থাকতো তাদের বাড়ির রাখাল বালক। সবার কথা অমান্য করলেও সে কোনদিন আমার কথা অমান্য করতো না। মাঝে মাঝে কলেজ শেষ করে তার জন্য মাঠে ভাতও নিয়ে যেতাম। কিছুদিনের মধ্যে সবার প্রিয়পাত্র হয়ে গিয়েছিলাম। তাই তারা আমাকে পাঁচ জন ছাত্র ছাত্রী যোগাড় করে দিয়েছিল। সকালে ভোরে উঠে, প্রায় সময় সবজির বোঝা মাথায় নিয়ে আড়ং যেতাম । তারপর গোসল করে কলেজ করা, কলেজ শেষে ছাত্র পড়ানোর ভিতরেই ছিল আমার জীবনের সীমাবদ্ধতা। পড়ানোর টাকাগুলো বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম। এভাবেই চলে জীবনের প্রথম সংগ্রাম।

দেখতে দেখতে চলে আসলো এইচএসসি পরীক্ষা। পস্তুতি ভাল না থাকায় প্রথমে ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিব না। কিন্তু মায়ের কথা মনে স্থান দিয়ে কোনমতে পরীক্ষা গুলো দিয়ে বাড়ি চলে আসি। কাজ করতে থাকি রীতিমতো। হটাৎ এক কাকুর মাধ্যমে জামাল ভাইয়ের (যিনি ছিলেন আমার জীবন বদলে দেওয়ার অন্যতম এক নায়ক, খুবিতে তিনি আমার সিনিয়র ছিলেন, আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি পেয়েছি তার থেকে) সাথে পরিচিত হই। তিনি শুনেছি খুলনাতে কোচিং করাতেন। তিনি আমায় বললেন, তুমি ভর্তি পরীক্ষা দাও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি তাঁর থেকে সব বিস্তারিত জেনে মাকে বললাম। মা আমাকে তিন হাজার টাকা দিয়ে বলেছিল, এইটা নিয়ে তুমি খুলনা চলে যাও।

আমি মায়ের কথামতো খুলনাতে আসি। থাকার কোন জায়গা ছিলনা। এক বন্ধুর সাথে কথা বলে তার কাছে কিছুদিন থাকব বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আমি পৌঁছে ফোন দিতেই তার নম্বর বন্ধ পাচ্ছিলাম। সেদিন পার্কের পাশেই বসে রাতটা কেটে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম সেদিন। জীবনে প্রথমে শহরে আসা। হয়ত এটা অবিশ্বাস্য হলেও মেনে নিতে হয়েছিল। পরদিন সকালে বন্ধুকে কল করে তার বাসায় থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। গ্রামের সেই জামাল ভাইকে ফোন দিয়ে কান্না করেছিলাম আর বলেছিলাম, “ভাইয়া আপনি যদি আমাকে সারাদিন রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন, তবে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকব। কিন্তু আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য যদি একটু পড়াতেন!” তিনি আমাকে বিনা টাকায় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জীবনে যতোদিন বেঁচে থাকবো এই মানুষটিকে ভুলতে পারবো না।

বন্ধুর বাসায় রাতে থাকতাম আর দিনে পার্কে বসে পড়তাম। নিজেকে অসহায় লাগতো। মনে হতো পার্কে শুয়ে থাকা পাগল যেন আমার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে। ওর যেমন থাকার জায়গা নেই, আমারও থাকার জায়গা নেই। বন্ধুর বাসায় থাকার জায়গা বেশিদিন কপালে জুটলো না। আমার থাকতে দেওয়ায় তার রুমমেট প্রতিদিন তাকে কথা শুনাতো। তারপরে চলে গেলাম আমার ছোটমামার মেসে। সেখানেও একই পরিস্থিতি। হটাৎ দেখা হলো এক পরিচিত কাকার সাথে। তিনি আমাকে একটা টিউশনি দিয়েছিলেন। তিনি আমার থাকার জায়গাও দিয়েছিলেন সেদিন। সেদিন থেকে টিউশনে যাওয়ার পরে আরো দুইটা টিউশনি পাই। নিজেকে নতুন করে গোছাতে থাকি। কাকার মেসে একটা সিটও নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করি।

পারিবারিক অশান্তি আর বাস্তবতার নির্মমতায় এইচএসসি রেজাল্টটা খুবই খারাপ হয়েছিল। জিপিএ- ৪.০৮ পেলাম। তখনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মানবিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম পূরণ করেছিলাম। কিন্তু কোন সাবজেক্ট পাইনি। হতাশায় জীবন কাটছিলো রীতিমতো। ভেবেছিলাম নিজেকে গোছাতে হলে সবকিছুর বন্ধনকে কিছুদিনের জন্য ভুলে থাকতে হবে। তাই বাড়ির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে মার ফোন আসতো। আর আমাকে দেখার জন্য সে প্রচুর কান্না করত। সবকিছুকে সহ্য করতে পারতাম কিন্তু মায়ের হৃদয়ের কান্নার ধ্বনি আমার হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দিত। নিজেকে কেমন যেন স্বার্থপর লাগত। কিন্তু হার মানি নি কখনো। অনেকগুলো টিউশন করে আসতে রাত এগারটা বেজে যেত। তার থেকে বাড়িতে টাকা দিতাম আর নিজের পড়াশোনা করতাম।

কিছুদিনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা চলে আসল। জগত সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জানা অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে আসা একজন ছাত্রই কেবল জানে একাকী ভর্তি পরীক্ষার পিছনে দৌঁড়ানোর কঠিন নির্মমতা। সেই কষ্টগুলো মনে করলে আজও চোখ দিয়ে অজান্তে পানি গড়িয়ে পড়ে। ঢাবি , জবি , রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। ঢাবির ইংরেজিতে ফেল আসলো। জবির ফলাফল পেলাম না। মনে হয়েছিলো বৃষ্টি ভেজা শরীর নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে রোলটা ভুল করে এসেছিলাম। রাবির ফলাফলে বিষয় এসেছিল ইসলামের ইতিহাস।

পরবর্তীতে পরীক্ষা দিলাম খুবি আর বশেমুরবিপ্রবিতে । বশেমুরবিপ্রবিতে পেলাম ইংরেজি আর আইন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলো প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিন। প্রিন্টমেকিং আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধের একটা বিষয় ছিল। তবুও কোন একদিন স্কুলের এক শিক্ষকের মুখ থেকে মা শুনেছিল “Khulna University” এই ইংরেজি নামটা। অন্য কোন কিছুর ইংরেজি উচ্চরণ ঠিক মতো বলতে না পারলেও এটা ভালোভাবে বলতে পারে। তাই মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম । হাসিমুখে বিষয়টিকে মেনে নিয়ে ক্লাস পরীক্ষা সব দিতে থাকি রীতিমতো। পাশাপাশি চলতে থাকে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি। পরীক্ষা দিয়েছিলাম খুবিতে। ফলাফল পেলাম খুবির ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিন। সমস্ত কষ্টকে ভুলে গিয়ে খুবিতে ভর্তি হয়ে যায়। জীবনে যতবার হতাশার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েছি, আমার মায়ের দোয়া আর আমার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস আমাকে ঠিক কোন একটা পথ বের করে দিয়েছে। আমি আজও বলি, ” হ্যাঁ মা, আমি হেরে গেছি, তোমার কাছে আমি পরাজিত “!!

সংকটকালীন সময়ে হতাশায় জীবন কাটাচ্ছে দেশের সমস্ত শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে যেতে পারে। অনেক মেধাবীরা হারিয়ে যেতে পারে ভয়ে ভীত হয়ে।বিশ্ববিদ্যালয় নামক হরিণটাকে আঁকড়ে ধরতে প্রচেষ্টারত যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য বলবো জীবনে সংগ্রাম করতে হবে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করে শত বাঁধাকে অতিক্রম করতে হবে। আল্লাহ কখনো কাউকে নিরাশ করেন না। অনেক অনেক শুভকামনা সকলের জন্য। বৈরী এই পথে সফলতার গল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বপ্ন ধরার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে বেঁচে থাকুক প্রতিটি জীবন।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

চবিতে পৌনে দুই লাখ ভর্তি আবেদন, বাড়ানো হয়েছে সময়

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


১৯ দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটে ১লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৫জন আবেদন করেছেন। গত ১২ এপ্রিল থেকে আজ শনিবার (১মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ আবেদন করেন।

গত ১২এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৩০তারিখ পর্যন্ত আবেদনের শেষ সময় ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চেয়ে দেরিতে আবেদন শুরু হওয়ায় গত ২৮ এপ্রিল ডিনস কমিটির সভায় আবেদনের শেষ সময় বর্ধিত করে ৭মে রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত করা হয়।তবে টাকা জমা দেওয়া যাবে ৯ মে রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড.মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই লাখ আবেদন হয়েছে।এটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।দেরিতে শুরু হওয়ার কারণে আবেদন এর সময় বর্ধিত করা হয়েছে।কারিগরি ও পেমেন্ট সংক্রান্ত কোন ত্রুটি এখন আর নেই।’’

আইসিটি সেলের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৬৬ হাজার ৮৬৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৪৩ হাজার ২৮৮জন, ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ৫৮৯ জন, ‘ডি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৩ হাজার ৪৯২ জন, ‘বি১’ উপ-ইউনিটে আবেদন করেছেন তিন হাজার ৪৯১ জন, ‘ডি১’ ইউনিটে আবেদন করেছেন চার হাজার ৫৫১জন।

প্রবেশপত্র সংগ্রহের তারিখ

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র সংগ্রহের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে আজ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।

‘বি’ ইউনিট ৭জুন,’ডি’ ইউনিট ৯জুন,’এ’ ইউনিট ১৩জুন,’সি’ ইউনিট ১৫জুন এবং ‘বি১’ও ‘ডি১’ উপ ইউনিটে ১৬ জুন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ইউনিট সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ১ঘণ্টা আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশপথ সংগ্রহ করতে পারবে।

এছাড়া ১৮ মে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন সংশোধন করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বল হয়।

ভর্তি প্রক্রিয়া

প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা?

চলমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পেছানো হতে পারে কিনা এই ব্যাপারে ব্যাবসায় প্রসাশন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্ল্যা ভূঁইয়া বলেন, “পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আমাদের পরীক্ষার এখনো দুই মাস বাকি আছে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে মে মাসের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’’

চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন,”আমদের হাতে সময় আছে এখনো।পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না থাকলে তখন এই বিষয়ে আমরা বিবেচনা করবো।পরিস্থিতি বুঝে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’’

আসন সংখ্যা ও পরীক্ষার তারিখ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪২টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।

আগামী ২২ ও ২৩ জুন ‘বি’ ইউনিট, ২৪ ও ২৫ জুন ‘ডি’ ইউনিট, ২৮ ও ২৯ জুন ‘এ’ ইউনিট ও ৩০ জুন ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১ জুলাই উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২০-২১ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৪ জুন।

তিনটি ইউনিটে (এ, বি, সি) ভর্তি পরীক্ষা তিনদিনে সম্পন্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ জুন, ‘এ’ ইউনিটের ১৫ জুন এবং ‘বি’ ইউনিটের ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম. হুমায়ুন কবীর।

অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিবারের মতো এবারেও বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা তিন শিফটে নেয়া হবে। প্রতি শিফটে ১৫ হাজার করে তিন শিফট মিলে এক ইউনিটে ৪৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি সংক্রান্ত কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাবিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন চলবে ৭ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।

প্রাথমিক আবেদন বাছাই শেষে ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন করা যাবে। এবারে সার্ভিস চার্জসহ প্রাথমিক আবেদনের ফি ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্ত আবেদনের ফি ১,১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা ৩টি (এ, বি, সি) ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা মিনিট, দুপুর ১২ থেকে ১টা ও বিকেল ৩ থেকে ৪টা, এই ৩ শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা তিনটি ইউনিটেই আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এবারে ৮০ টি এমসিকিউ প্রশ্নে ১ ঘণ্টা মেয়াদে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৫টি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০। এবারেও সেকেন্ড টাইম এবং জিপিএ নম্বর থাকছে না।

 

জিপিএ ৫ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ নেই?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশে কোভিড ১৯ পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি-২০ এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া সবাইকে পাস করিয়ে দিয়েছে দেশের সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলেছে এবারে অটোপাসে ১ লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।

বাংলাদেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্যে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। -বিবিসি ।

একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি-২০ এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া সবাইকে পাস দেয়া হয়েছে, সেই সাথে করোনায় ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও জেএসসি-পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অটোপাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হয় শিক্ষার্থীরা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে জিপিএ ৫ এর নীচে যাদের জিপিএ তারা কি পরীক্ষা দিতে পারবে?

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সূর্য রায় নামে একজন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন “GPA 5 ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ নেই নিউজটা কী সত্য?”

ইউজিসি / UGC বলছে পরীক্ষা দিতে পারবে সবাই। কিন্তু মূল সংকটের জায়গাটা হল ‘ক্যাপাসিটি/Capacity’ বা ধারণক্ষমতা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আলমগীর বলছিলেন, “বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার সামর্থ্য আছে তারা ঠিক ততো জনেরই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তারা অন্য কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা নেবে না। তাছাড়া তাদের পরীক্ষা লিখিত হয়। সেক্ষেত্রে একটা সময় লাগে খাতা মূল্যায়ন করতে। টেকনিক্যাল যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেমন চুয়েট, রুয়েট সবাই এভাবেই পরীক্ষা নেবে।”

কমিশনের এই সদস্য বলছেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়। তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি এমসিকিউ। সেক্ষেত্রে একটা সুবিধা আছে।

মি. আলমগীর বলেন, “আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরামর্শ দিয়েছি যাতে তারা যত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া যায় কীনা সেটাও দেখতে। এতে করে সময় কম লাগবে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষা ঈদের পর অনুষ্ঠিত

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ডিনস কমিটির সভায় ইদের পর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির সভায় পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “করোনা ভাইরাসের কারণে এবারে সব কিছু দেরিতে হচ্ছে। সামনে রোজা,ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও সময়ের প্রয়োজন আছে।তাই রোজার ইদের পর পরীক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পরীক্ষা সশরীরে হবে।চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আরো পরে জানানো হবে।’’

এ বিষয়ে চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান বলেন, ” আমরা ইদের পরে পরীক্ষার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।উপাচার্য পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চুড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে।সশরীরে চবি ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা হবে।এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কয়েক শিফটে পরীক্ষা হতে পারে।’’

গত বছর ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ-ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম হয়েছে। ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। প্রতি আসনে আবেদন করেছিলেন ৫২ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ আছে ৯টি, বিভাগ ৪৮টি ও ইনস্টিটিউট রয়েছে ৬টি।