২০ এপ্রিলের পর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২০ এপ্রিলের পর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা কনফার্ম হয়ে তারপর চূড়ান্ত তারিখ প্রকাশ করবো।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবারের মধ্যে চূড়ান্ত হবে কবে পরীক্ষা শুরু হবে। কমিশনের বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হলে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৪৬তম বিসিএসে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে পিএসসি সূত্র জানায়।

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট কিভাবে করবেন?

গাজী মিজানুর রহমান গতকাল ৩০ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত ৪৩তম বিসিএস সার্কুলার। ৪৩তম বিসিএসে সর্বমোট ১ হাজার ৮১৪ জনকে নেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে এই বিসিএসের জন্য আবেদন করতে পারবে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা। আবেদনের শেষ সময় ২০২১ সালের জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত।

এরই মাঝে অনেকে ক্যাডার চয়েস নিয়ে। মানে কোন ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে আগে দিবেন; কোন ক্যাডার পরে দিলে ভালো হয় বা কীভাবে দিলে ভালো হয়, এসব নিয়ে বেশ চিন্তিত। সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু দিন ধরেই অনেকেই রিকুয়েস্ট করে যাচ্ছেন, যেন ক্যাডার চয়েস নিয়ে একটু গাইডলাইন দেই, এই নিয়ে কিছু লিখি।

সত্যি বলতে চাকরি আর ‘শিক্ষক নিবন্ধন Analysis’ ও প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘Authentic Model Test’ বইয়ের কাজ নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত না থাকলে গতকালই দেয়া যেত। তাই আজ কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে কিছুটা লিখার চেষ্টা করলাম। জানি না, এর দ্বারা কে কতটুকু উপকৃত হবেন। লেখাটি যাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হবে, তারা নির্দ্বিধায় আপন গুণে এড়িয়ে যাবেন। আর যাদের কাছে প্রয়োজনীয় বলে মনে ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন-

এবার আসি মূল কথায়। আসলে আমার ৬টি বিসিএসের অভিজ্ঞতা বলে ক্যাডার চয়েসের বিষয়টি একান্তই ব্যক্তির নিজের উপর নির্ভর করে। যার যে ক্যাডার ভালো লাগে সেটাই আগে দেয়া উচিত।

যেমন- কারো যদি শিক্ষা ক্যাডার ভালো লাগে ১ নম্বর চয়েস শিক্ষা ক্যাডার দেয়া উচিত। কারো এডমিন বা পুলিশ কিংবা পররাষ্ট্র ক্যাডার বেশি ভালো লাগলে সেটাই ১ নম্বর চয়েস দেয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, কারো যদি ইংলিশ স্পিকিংয়ে বেশি সমস্যা থাকে তাদের ফরেন ক্যাডার চয়েসে না দেয়াই উচিত বলে আমি মনে করি।

কেননা, ফরেন ক্যাডার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তাদের মূলত বিদেশীদের সাথে বেশি কাজ করতে হয়। কিন্তু বিদেশীরা বাংলা বুঝে না। তাই ইংলিশে কথা বলতে হয়। আর সেজন্যে ভাইভা বোর্ডে যাদের ফরেন ক্যাডার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে তাদের ম্যাক্সিমাম সময়ে ইংলিশে কথা বলতে হয়।

আরেকটি বিষয়, ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার পারিবারিক বিষয়টিও মাথা রাখবেন। কারণ, অনেক ক্যাডার পদ আছে যা অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত। যেমন- পুলিশ, এডমিন, পররাষ্ট্র প্রভৃতি। যাদের পরিবারে বেশি সময় দিতে হয়; আমার মতে, তাদের ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে এসব ক্যাডার এড়িয়ে চলা উচিত।

১. কেউ যাদের ফরেন ক্যাডার দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে তা ১ নম্বর চয়েসে দেয়া উচিত। ২ বা ৩ নম্বর বা তারও পরেরর চয়েসে ফরেন ক্যাডার দিলে অনেক সময় ভাইভা বোর্ডে অনেক প্যাঁচায় এই নিয়ে। তাই ‘ফরেন ক্যাডার’ চয়েসে দিলে ১ নাম্বারে দিন, না হয় একেবারে বাদ দিন।

২. ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে যেসব ক্যাডারে পোস্ট বেশি সেই ক্যাডার গুলো চয়জে প্রথমে রাখা ভালো।

৩. আপনার যদি প্রশাসন ক্যাডার বেশি ভালো লাগে বা পুলিশ ক্যাডার বেশি ভালো লাগে। তবে এই দুইটি যে কোনো একটি আগে পিছে দিলে কোনো সমস্যা নেই। তবে যেন এই ক্যাডারগুলো পছন্দের তালিকায় বেশি নিচে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

৪. কারো যদি বিসিএস ক্যাডার হওয়া বেশি ইচ্ছে থাকে বা এই বারই শেষ বিসিএস; তাদের প্রথম দিকে শিক্ষা ক্যাডার বা যাদের টেকনিক্যাল ক্যাডার আছে তা প্রথম দিকে রাখা ভালো।

৫। আপনি ‘সাধারণ ক্যাডার’-এর যতগুলো ক্যাডারদের কথা ৪১তম সার্কুলারের উল্লেখ করা আছে আপনি চাইলে এর সব কয়টি বা বাছাই করে কয়েকটি দিতে পারেন। এতো কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম বা সমস্যা নেই।

৬। আপনি যদি শিক্ষা ক্যাডার বা যারা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার শুধু নিজের পঠিত বিষয়ে জব করতে চান তারা জেনারেল ক্যাডার চয়েসে দেবেন না।

৭। যারা শিক্ষা ক্যাডার/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার যার যেটা প্রযোজ্য সেসব ক্যাডারে যেতে না চান তাহলে কেবল ‘জেনারেল ক্যাডার’ চয়েস দেবেন।

৮। যারা নিজের পঠিত বিষয়ে ক্যাডার + জেনারেল ক্যাডার (যেমন: এডমিন, পুলিশ, টেক্স ইত্যাদি) দুটিই দিতে চান তাহলে ‘Both Cadre’ চয়েসে দেবেন এবং জেনারেল ক্যাডারগুলো সবার উপরে রাখবেন এবং নিজের পঠিত বিষয়ের ক্যাডার এই ক্ষেত্রে সর্বশেষে রাখা ভালো।

৯। আপনি যে ক্যাডারগুলো চয়েস দেয়ার ক্ষেত্রে উপরের দিকে রাখবেন আপনি বিসিএসের রিটেন+ভাইভাতে মোট নাম্বার পাওয়ার উপর ডিপেন্ড করবে আপনি কোন ক্যাডার পাবেন। বেশি নাম্বার পেলে ১ নাম্বার চয়েসের ক্যাডারটি পাবেন, আরো কম হলে তারপরটি। এইভাবে চলতে থাকে।

আর যদি রিটেন+ভাইভাতে ভালো নাম্বার না পেয়ে কোনোমতে পাশ করেন তাহলে চয়েসের কোনো ক্যাডার না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই ক্ষেত্রে আপনি ‘নন-ক্যাডার’ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

এখানে উল্লেখ্য যে, বিসিএস প্রিলিতে যত বেশি নাম্বারই পান না কেন তা ক্যাডার পেতে বিন্দুমাত্র সাহায্য করবে না। অর্থাৎ বিসিএস প্রিলি হলো বিসিএস বাছাই পরীক্ষা, আর বিসিএস রিটেন+ভাইভা হলো মূল পরীক্ষা। তবে প্রিলিতে অবশ্যই পাশ করতে হবে।

আমার মতে, ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে ‘Both Cadre’ দিলে আপনি এইভাবে দিতে পারেন-

পদ্ধতি-১

১. ফরেন (ইংলিশে ভালো হলে, না হয় বাদ দিন এবং দিলে সর্বপ্রথমে না হয় বাদ দিন)
২. এডমিন/পুলিশ
৩. পুলিশ/এডমিন
৪. ট্যাক্স/কাস্টমস
৫. কাস্টমস/ট্যাক্স
৬. অডিট/আনসার
৭. আনসার/অডিট
৮. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৯. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
১০. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১১.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১২. বাণিজ্য/ডাক
১৩. ডাক/বাণিজ্য
১৪. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য
১৫. শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/অন্যান্য টেকনিক্যাল ক্যাডার

পদ্ধতি-২

যাদের ইংলিশ স্পিকিংয়ে সমস্যা আছে, ফরেন ক্যাডার বাদ দিয়ে এডমিন বা পুলিশ ক্যাডার প্রথম চয়েসে রাখতে পারেন-
১. এডমিন/পুলিশ
২. পুলিশ/এডমিন
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৯. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য
১৪. শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/অন্যান্য টেকনিক্যাল ক্যাডার

পদ্ধতি-৩

যারা শিক্ষা ক্যাডার বা নিজের অধীত টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল ক্যাডার ২য় চয়েসে রাখতে চান-
১. এডমিন/পুলিশ
২. শিক্ষা ক্যাডার/টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডার
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৮. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৪

বোথ ক্যাডার দিতে চান; কিন্তু শিক্ষা ক্যাডার/প্রফেশনাল ক্যাডার/টেকনিক্যাল ক্যাডার যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য, সেটা প্রথমে রাখতে চান-
১. শিক্ষা ক্যাডার/টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডার
২. এডমিন/পুলিশ
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৮. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৫

যারা শুধু জেনারেল ক্যাডার চয়েসে রাখতে চান, কিন্তু প্রফেশনাল/শিক্ষা/ টেকনিক্যাল ক্যাডার দিতে চান না-
১. ফরেন (ইংলিশে ভালো হলে, না হয় বাদ দিন এবং দিলে সর্বপ্রথমে না হয় বাদ দিন)
২. এডমিন/পুলিশ
৩. পুলিশ/এডমিন
৪. ট্যাক্স/কাস্টমস
৫. কাস্টমস/ট্যাক্স
৬. অডিট/আনসার
৭. আনসার/অডিট
৮. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৯. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
১০. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১১.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১২. বাণিজ্য/ডাক
১৩. ডাক/বাণিজ্য
১৪. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৬

আপনি যদি শুধু শিক্ষা ক্যাডারে বা হেলথ ক্যাডার/টেকনিক্যাল ক্যাডারে যেতে চান কেবল চয়েস ১টি দিবেন অর্থাৎ সেই ক্যাডারটি ১ নাম্বার চয়েসে দিবেন; আর অন্য কোনো ক্যাডার চয়েসে দিবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার ক্যাডার চয়েস হবে শুধু ১টি।

১। শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/টেকনিক্যাল ক্যাডার (যার জন্য যেটা প্রযোজ্য)

সবাইকে ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

মাস্টার্সে ১ম, শিক্ষা ক্যাডারে ২য় রাবি শিক্ষার্থী রনি

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রনি।

এর আগে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষায় নন-থিসিস গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শাহরিয়ার রনি।

শিক্ষা ক্যাডারে দ্বিতীয় হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে শাহরিয়ার রনি বলেন, “মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ আমি। রোল টা রেজাল্ট শীটে খুঁজে পাওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছিলাম; আর শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ের মেধাতালিকার প্রথম দিকে নিজের রোলটা দেখতে পাওয়া আরো নতুন মাত্রা যোগ করে।”

ডিপার্টমেন্টে ভালো রেজাল্ট করার পেছনে আগে থেকেই শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছেটা ছিল কি না?—এই প্রশ্নের উত্তরে রনি জানান, “ইংরেজি বিভাগে ভালো করাটা আসলে পরবর্তীতে শিক্ষক হতে সাহায্য করবে তেমন মানসিকতা থেকে হয়নি। আমি মোটামুটি প্রথম থেকেই বিসিএস নিয়ে আগ্রহী ছিলাম; সেই হিসাবে ডিপার্টমেন্টে প্রথম দিকে থাকতেই হবে এমন প্রয়োজন অনুভব করিনি। তবে ডিপার্টমেন্টে ভালো করার প্রধান কারণ: প্রথমত আল্লাহর সাহায্য; দ্বিতীয়ত, সাহিত্যের প্রতি ভালো লাগা আগে থেকেই ছিল, কারণ আমার বড় ভাই নিজেও ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং বর্তমানে একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।”

“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে আসার পর সসম্মানিত শিক্ষকগণ ও তাদের নির্দেশনা; ডিপার্টমেন্টের
সিনিয়র ও বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন আইডিয়া, ফিলোসোফি নিয়ে ডিসকাশন সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসাটা আরও বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই যতটুকু অর্জন তা সম্ভব হয়েছে।” —যুক্ত করেন শাহরিয়ার রনি।

বিসিএস পরীক্ষার জন্য নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার রনি বলেন, “প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেহেতু লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাছাই পর্ব; তাই প্রিলির ক্ষেত্রে যত মার্কস পেলে রিটেনের জন্য মনোনীত হওয়া সম্ভব, তত মার্কের আশেপাশের টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি নিতাম। রিটেনে সবগুলো বিষয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি, পরীক্ষায় টাইম মেনেজমেন্টের উপর গুরুত্ব দিয়েছি। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করেছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। ভাইভাতে সাবলীল থাকার চেষ্টা করেছি। উত্তর দেবার সময় জড়তা যেন না আসে সেদিকে সতর্ক ছিলাম। ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ থেকে যা যা শিখেছি, সেগুলো এখানে অনেক সহযোগিতা করেছে।”