বিসিএস প্রস্তুতি : শূন্য থেকে যেভাবে শুরু করবেন BCS Preparation

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা হল বিসিএস- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রতিবছর লাখো প্রার্থী আবেদন করেন। ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পান ২ হাজারের মত। ১টি ক্যাডারের বিপরীতে যুদ্ধ করেন ২৭০ জনের ও বেশি প্রার্থী! ভাবা যায়? পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড এর চেয়ে ও প্রতিযোগিতা বেশি হয় বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষায়। প্রার্থীদের সংখ্যাটা দিন দিন বাড়লে ও ক্যাডারের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই প্রতিযোগিতার মাত্রা অকল্পনীয়। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চাই প্রচুর পড়াশুনা। অধ্যবসায়, নিয়মমাফিক বিসিএস প্রস্তুতি ছাড়া বিসিএস ক্যাডার হওয়া অসম্ভব।

বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করতে হয় অনেক আগে থেকেই। যে যত বেশি পড়বে তার টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

আজকেল আর্টিকেলে বিসিএস প্রস্তুতির (BCS Preparation) আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করব। (How to take BCS preparation?)

১। সিরিয়াস হওয়াঃ

প্রথমেই নিজের মাইন্ড সেট করে ফেলতে হবে। বিসিএস অন্য যেকোন একটি পরীক্ষার মতই একটি পরীক্ষা। তবে সেটা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষায় পাশ করতে পড়াশুনা করতে হবে নিয়মিত। অনেক প্রার্থীর টেবিলে দিনের পর দিন বিসিএস এর বই পরে থাকে। কেউ খুলেও দেখেন না। আজকে পড়ব, কালকে পড়ব এভাবে করে মাসের পর মাস চলে যায়। বইয়ের উপর ধুলো পড়ে, কিন্তু পড়া আর হয় না। তাই শুধু বই কিনে জমা করলেই হবে না। সিরিয়াস হয়ে সেই বইগুলো প্রতিদিন পড়তে হবে।

২। বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করব?

আপনার যদি ইচ্ছা থাকে বিসএস এ যোগ দেবার, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই পড়া শুরু করা উচিত। শুধুমাত্র বিসিএসকে টার্গেট রেখে সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশুনা করতে হবে। আসলে ধরা-বাধা বিসিএস পড়ার নিয়ম ঐভাবে নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন অবস্থায় বিসিএস সিলেবাস ও বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতির সকল তথ্যাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে দেখে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।

৩। বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে?

কে কত সময় পড়বেন তা নির্ভর করবে কে কোন বিষয়ে পড়ছেন তার উপর। যদি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট এ সময় বেশি দিতে হয় তাহলে কম সময় পড়বেন। কোন ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা কম করে বিসিএস এর পড়াশুনা করা যাবে না। বিসিএস পরীক্ষার ৩ টি ধাপ আছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি শুধু টিকার পরীক্ষা। প্রার্থী কমানোর জন্য এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিছু প্রার্থী বাছাই করা হয়। এই পরীক্ষায় নম্বর থাকে ২০০। এখানে ২০০ তে ২০০ পেলে ও কোন লাভ হবে না । শুধুমাত্র একটা পাশ মার্ক নিয়ে পাশ করতে পারলেই হল। এযাবত কালের ইতিহাসে ১২০ বা এর একটু কম-বেশি যারা পেয়েছেন তারা সবাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাশ করেছেন। অতএব প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বইয়ের পর বই না পড়ে দরকারি এক বই ই বারবার পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।

৪। সিলেবাস দেখে নেয়াঃ (BCS Syllabus)

প্রস্তুতির পূর্বেই বিসিএস এর সিলেবাস প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া জরুরী। সিলেবাসের বাইরে সাধারনত কোন প্রশ্ন আসে না। সিলেবাস দেখে কোন বিষয়ে পারদর্শী আর কোন বিষয়ে দূর্বলতা বুঝা উচিত। ধরেন আপনি সিএসইতে পড়াশুনা করছেন। তাহলে আপনার জন্য কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় অনেক সহজ। সুতরাংএই বিষয়ে অন্যদের থেকে আপনার কম পড়া লাগবে। এই সময়ে আপনি অন্য বিষয় পড়তে পারবেন।

৫। বিগত বছরের প্রশ্ন সলভ করাঃ

বিসিএস এর ইতিহাসে প্রতিবারই পূর্বের প্রশ্ন থেকে কিছু রিপিট হয়। তাছাড়া পূর্বের প্রশ্নগুলো সলভ করলে বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে বাস্তবিক জানা যাবে। বাজারে প্রচলিত অনেক বই ই আছে। যেকোন একটা কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বা ২য় বর্ষেই ফাঁকে ফাঁকে পড়ে ফেলা উচিত।

৬। প্রতিদিন একটি বাংলা ও ইংরেজী পত্রিকা পড়া উচিত।

পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। পত্রিকার লিখা পড়লে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় অনেক কাজে দিবে। তাছাড়া বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন আসে। এই ২ বিষয়ের প্রশ্নগুলো সাধারনত পত্রিকা থেকেই করেন প্রশ্ন কর্তারা। তাই নিয়মিত পত্রিকা পড়লে এগুলো থেকে সহজেই উত্তর করা যাবে।

৭। বিশ্ববিদালয়ের ৩য় বর্ষে কিছু বিখ্যাত বই পড়ে ফেললে ভাল হয়।

“অসমাপ্ত আত্মজীবনী”, “লালনীল দীপাবলি” এই বইগুলো থেকে বিসিএসে হামেশাই কিছু প্রশ্ন থাকে। তাছাড়া ভাইভা বোর্ডে এই রকমের বইগুলো থেকে প্রশ্ন করা হয়। এগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত বই, মুক্তিযুদ্ধের উপর বইগুলো পড়ে ফেলা উচিত।

৮। আপনি আপনার নিজ জেলা সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

বিসিএস ভাইভা বোর্ডে সবাই কেই তাদের নিজ জেলা থেকে প্রশ্ন করা হয়। তাই নিজ জেলা, উপজেলা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখুন। উইকিপিডিয়া, বাংলা পিডিয়ায় এই তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন।

৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষ থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিষয়ভিত্তিক বই পড়া উচিত।

নিয়মিত পড়াশুনা করলে প্রতিটি বিষয়ে খুব ভাল একটা প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। পড়াশুনার সময় যে টপিক গুলো কঠিন লাগে সেগুলো খাতায় লিখে রাখলে ভাল হবে। সেগুলো কয়েক দিন পর পর রিভিশন দিলে মনে থাকবে।

১০। সর্বোপরি বিসিএস একটা পরীক্ষা। হ্যাঁ খুব কঠিন, কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।

আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বা এইচএসসির কোন পরীক্ষার আগের রাতে যেভাবে পড়াশুনা করেছিলেন তার ৪ ভাগের ১ ভাগ ও যদি প্রতিদিন বিসিএস পরীক্ষার জন্য পড়েন, তাহলে বিসিএস পরীক্ষায় আপনার দৌড় ১ম ১০০ জনের মধ্যেই থাকবে।

৪৭ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

৪৭তম বিসিএস অথবা ৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা বাংলাদেশের সরকারি পদসমূহে চাকরি পেতে স্থানীয় প্রশাসনিক পরীক্ষার একটি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদের জন্য নিযুক্তি দেওয়া হয়। ৪৭ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য সরকারি পদসমূহে যোগ দেওয়ার জন্য যোগ্য ও যোগযোগ সাধারণ মানুষদের জন্য সহজ এবং প্রকৃত পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যা স্বাভাবিক এবং নিয়মিত পদক্ষেপের পরিণাম।

৪৬ তম বিসিএস সার্কুলার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। অনলাইনে আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে। সাধারণ প্রার্থীর আবেদন ফি ৭০০/= টাকা।

এবারের বিসিএস সার্কুলারে ৩ হাজার ১৪০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হবে। আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত।

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়স (১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে)
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য সকল ক্যাডারের প্রার্থীর জন্য বয়স ২১ হতে ৩০ বছর (জন্ম তারিখ: ০২.১১.২০০২ থেকে ০২.১১.১৯৯৩ এর মধ্যে)।

মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বি.সি.এস. (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থীর জন্য বয়স ২১ হতে ৩২ বছর (জন্ম তারিখ: ০২.১১.২০০২ থেকে ০২.১১.১৯৯১ এর মধ্যে)।

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ও বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা) ক্যাডারের জন্য শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীর বেলায় বয়স ২১ হতে ৩২ বছর (জন্ম তারিখ: ০২.১১.২০০২ থেকে ০২.১১.১৯৯১ এর মধ্যে)।

প্রার্থীর বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

৪৬ তম বিসিএস সার্কুলার ২০২৩: অনলাইনে আবেদনপত্র করার নিয়ম

৪৬ তম বিবিএস পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করা ঠিকানা-

http://bpsc.teletalk.com.bd

www.bpsc.gov.bd

উপরোক্ত ঠিকানায় গিয়ে অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC Form-1) পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম এবং ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।

৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৩ এর বিজ্ঞপ্তি, অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের বিস্তারিত নির্দেশনা এবং নির্ধারিত BPSC Form-1 দৃশ্যমান হবে।৪৭ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC From-1) পূ রণের বিষয়ে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৩ এর আবেদনপত্র (BPSC Form-1) অনলাইনে পূরণ, sms-এর মাধ্যমে ‘ফি’ জমাদান এবং Admit Card প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা শিরোনামে দেয়া থাকবে।

অনলাইন ফরম পূরণের পূর্বে প্রার্থীকে উক্ত নির্দেশনা অংশটি ডাউনলোড করে প্রতিটি নির্দেশনা ভালভাবে জেনে নিতে হবে। ক্যাডার পছন্দের ভিত্তিতে Application Form-এর ৩টি ক্যাটাগরি রয়েছে।

যেমন:

(I) Application Form for General Cadres

(II) Application Form for Technical/Professional Cadres

(III) Application Form for General and Technical / Professional (both) Cadres.

প্রার্থী শুধু General Cadre এর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক হলে General Cadre এর Application form অংশে ক্লিক করলে General Cadre এর আবেদনপত্র দৃশ্যমান হবে।

অনুরূপভাবে, General and Technical/ Professional ক্যাডারের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক হলে তাকে Both Cadre এর জন্য নির্ধারিত অংশটি ক্লিক করলে Both Cadre এর আবেদনপত্র দৃশ্যমান হবে।

প্রার্থীর কাঙ্ক্ষিত BCS Application Form দৃশ্যমান হলে ফরমের প্রতিটি বিষয় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।

BCS Application Form-এর ৩টি অংশ রয়েছে: (I) Part-1: Personal Information; (II) Part-2: Academic Qualification; (III) Part – 3: Cadre Option.

উল্লেখ্য, BCS Application Form পূরণ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা এবং BCS Application Form এর প্রতিটি field এ প্রদত্ত তথ্য/নির্দেশনা অনুসরণ করে পূরণ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদন যাচাই অন্তে দাখিল করার পর কোন পর্যায়েই প্রার্থীর কোন ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে না । ৪৭ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

 

২০ এপ্রিলের পর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২০ এপ্রিলের পর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা কনফার্ম হয়ে তারপর চূড়ান্ত তারিখ প্রকাশ করবো।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবারের মধ্যে চূড়ান্ত হবে কবে পরীক্ষা শুরু হবে। কমিশনের বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হলে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৪৬তম বিসিএসে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে পিএসসি সূত্র জানায়।

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট কিভাবে করবেন?

গাজী মিজানুর রহমান গতকাল ৩০ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত ৪৩তম বিসিএস সার্কুলার। ৪৩তম বিসিএসে সর্বমোট ১ হাজার ৮১৪ জনকে নেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে এই বিসিএসের জন্য আবেদন করতে পারবে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা। আবেদনের শেষ সময় ২০২১ সালের জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত।

এরই মাঝে অনেকে ক্যাডার চয়েস নিয়ে। মানে কোন ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে আগে দিবেন; কোন ক্যাডার পরে দিলে ভালো হয় বা কীভাবে দিলে ভালো হয়, এসব নিয়ে বেশ চিন্তিত। সার্কুলার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু দিন ধরেই অনেকেই রিকুয়েস্ট করে যাচ্ছেন, যেন ক্যাডার চয়েস নিয়ে একটু গাইডলাইন দেই, এই নিয়ে কিছু লিখি।

সত্যি বলতে চাকরি আর ‘শিক্ষক নিবন্ধন Analysis’ ও প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘Authentic Model Test’ বইয়ের কাজ নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত না থাকলে গতকালই দেয়া যেত। তাই আজ কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে কিছুটা লিখার চেষ্টা করলাম। জানি না, এর দ্বারা কে কতটুকু উপকৃত হবেন। লেখাটি যাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হবে, তারা নির্দ্বিধায় আপন গুণে এড়িয়ে যাবেন। আর যাদের কাছে প্রয়োজনীয় বলে মনে ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন-

এবার আসি মূল কথায়। আসলে আমার ৬টি বিসিএসের অভিজ্ঞতা বলে ক্যাডার চয়েসের বিষয়টি একান্তই ব্যক্তির নিজের উপর নির্ভর করে। যার যে ক্যাডার ভালো লাগে সেটাই আগে দেয়া উচিত।

যেমন- কারো যদি শিক্ষা ক্যাডার ভালো লাগে ১ নম্বর চয়েস শিক্ষা ক্যাডার দেয়া উচিত। কারো এডমিন বা পুলিশ কিংবা পররাষ্ট্র ক্যাডার বেশি ভালো লাগলে সেটাই ১ নম্বর চয়েস দেয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, কারো যদি ইংলিশ স্পিকিংয়ে বেশি সমস্যা থাকে তাদের ফরেন ক্যাডার চয়েসে না দেয়াই উচিত বলে আমি মনে করি।

কেননা, ফরেন ক্যাডার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তাদের মূলত বিদেশীদের সাথে বেশি কাজ করতে হয়। কিন্তু বিদেশীরা বাংলা বুঝে না। তাই ইংলিশে কথা বলতে হয়। আর সেজন্যে ভাইভা বোর্ডে যাদের ফরেন ক্যাডার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে তাদের ম্যাক্সিমাম সময়ে ইংলিশে কথা বলতে হয়।

আরেকটি বিষয়, ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার পারিবারিক বিষয়টিও মাথা রাখবেন। কারণ, অনেক ক্যাডার পদ আছে যা অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত। যেমন- পুলিশ, এডমিন, পররাষ্ট্র প্রভৃতি। যাদের পরিবারে বেশি সময় দিতে হয়; আমার মতে, তাদের ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে এসব ক্যাডার এড়িয়ে চলা উচিত।

১. কেউ যাদের ফরেন ক্যাডার দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে তা ১ নম্বর চয়েসে দেয়া উচিত। ২ বা ৩ নম্বর বা তারও পরেরর চয়েসে ফরেন ক্যাডার দিলে অনেক সময় ভাইভা বোর্ডে অনেক প্যাঁচায় এই নিয়ে। তাই ‘ফরেন ক্যাডার’ চয়েসে দিলে ১ নাম্বারে দিন, না হয় একেবারে বাদ দিন।

২. ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে যেসব ক্যাডারে পোস্ট বেশি সেই ক্যাডার গুলো চয়জে প্রথমে রাখা ভালো।

৩. আপনার যদি প্রশাসন ক্যাডার বেশি ভালো লাগে বা পুলিশ ক্যাডার বেশি ভালো লাগে। তবে এই দুইটি যে কোনো একটি আগে পিছে দিলে কোনো সমস্যা নেই। তবে যেন এই ক্যাডারগুলো পছন্দের তালিকায় বেশি নিচে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

৪. কারো যদি বিসিএস ক্যাডার হওয়া বেশি ইচ্ছে থাকে বা এই বারই শেষ বিসিএস; তাদের প্রথম দিকে শিক্ষা ক্যাডার বা যাদের টেকনিক্যাল ক্যাডার আছে তা প্রথম দিকে রাখা ভালো।

৫। আপনি ‘সাধারণ ক্যাডার’-এর যতগুলো ক্যাডারদের কথা ৪১তম সার্কুলারের উল্লেখ করা আছে আপনি চাইলে এর সব কয়টি বা বাছাই করে কয়েকটি দিতে পারেন। এতো কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম বা সমস্যা নেই।

৬। আপনি যদি শিক্ষা ক্যাডার বা যারা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার শুধু নিজের পঠিত বিষয়ে জব করতে চান তারা জেনারেল ক্যাডার চয়েসে দেবেন না।

৭। যারা শিক্ষা ক্যাডার/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার যার যেটা প্রযোজ্য সেসব ক্যাডারে যেতে না চান তাহলে কেবল ‘জেনারেল ক্যাডার’ চয়েস দেবেন।

৮। যারা নিজের পঠিত বিষয়ে ক্যাডার + জেনারেল ক্যাডার (যেমন: এডমিন, পুলিশ, টেক্স ইত্যাদি) দুটিই দিতে চান তাহলে ‘Both Cadre’ চয়েসে দেবেন এবং জেনারেল ক্যাডারগুলো সবার উপরে রাখবেন এবং নিজের পঠিত বিষয়ের ক্যাডার এই ক্ষেত্রে সর্বশেষে রাখা ভালো।

৯। আপনি যে ক্যাডারগুলো চয়েস দেয়ার ক্ষেত্রে উপরের দিকে রাখবেন আপনি বিসিএসের রিটেন+ভাইভাতে মোট নাম্বার পাওয়ার উপর ডিপেন্ড করবে আপনি কোন ক্যাডার পাবেন। বেশি নাম্বার পেলে ১ নাম্বার চয়েসের ক্যাডারটি পাবেন, আরো কম হলে তারপরটি। এইভাবে চলতে থাকে।

আর যদি রিটেন+ভাইভাতে ভালো নাম্বার না পেয়ে কোনোমতে পাশ করেন তাহলে চয়েসের কোনো ক্যাডার না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই ক্ষেত্রে আপনি ‘নন-ক্যাডার’ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

এখানে উল্লেখ্য যে, বিসিএস প্রিলিতে যত বেশি নাম্বারই পান না কেন তা ক্যাডার পেতে বিন্দুমাত্র সাহায্য করবে না। অর্থাৎ বিসিএস প্রিলি হলো বিসিএস বাছাই পরীক্ষা, আর বিসিএস রিটেন+ভাইভা হলো মূল পরীক্ষা। তবে প্রিলিতে অবশ্যই পাশ করতে হবে।

আমার মতে, ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে ‘Both Cadre’ দিলে আপনি এইভাবে দিতে পারেন-

পদ্ধতি-১

১. ফরেন (ইংলিশে ভালো হলে, না হয় বাদ দিন এবং দিলে সর্বপ্রথমে না হয় বাদ দিন)
২. এডমিন/পুলিশ
৩. পুলিশ/এডমিন
৪. ট্যাক্স/কাস্টমস
৫. কাস্টমস/ট্যাক্স
৬. অডিট/আনসার
৭. আনসার/অডিট
৮. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৯. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
১০. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১১.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১২. বাণিজ্য/ডাক
১৩. ডাক/বাণিজ্য
১৪. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য
১৫. শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/অন্যান্য টেকনিক্যাল ক্যাডার

পদ্ধতি-২

যাদের ইংলিশ স্পিকিংয়ে সমস্যা আছে, ফরেন ক্যাডার বাদ দিয়ে এডমিন বা পুলিশ ক্যাডার প্রথম চয়েসে রাখতে পারেন-
১. এডমিন/পুলিশ
২. পুলিশ/এডমিন
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৯. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য
১৪. শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/অন্যান্য টেকনিক্যাল ক্যাডার

পদ্ধতি-৩

যারা শিক্ষা ক্যাডার বা নিজের অধীত টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল ক্যাডার ২য় চয়েসে রাখতে চান-
১. এডমিন/পুলিশ
২. শিক্ষা ক্যাডার/টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডার
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৮. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৪

বোথ ক্যাডার দিতে চান; কিন্তু শিক্ষা ক্যাডার/প্রফেশনাল ক্যাডার/টেকনিক্যাল ক্যাডার যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য, সেটা প্রথমে রাখতে চান-
১. শিক্ষা ক্যাডার/টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডার
২. এডমিন/পুলিশ
৩. ট্যাক্স/কাস্টমস
৪. কাস্টমস/ট্যাক্স
৫. অডিট/আনসার
৬. আনসার/অডিট
৭. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৮. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
৮. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১০.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১১. বাণিজ্য/ডাক
১২. ডাক/বাণিজ্য
১৩. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৫

যারা শুধু জেনারেল ক্যাডার চয়েসে রাখতে চান, কিন্তু প্রফেশনাল/শিক্ষা/ টেকনিক্যাল ক্যাডার দিতে চান না-
১. ফরেন (ইংলিশে ভালো হলে, না হয় বাদ দিন এবং দিলে সর্বপ্রথমে না হয় বাদ দিন)
২. এডমিন/পুলিশ
৩. পুলিশ/এডমিন
৪. ট্যাক্স/কাস্টমস
৫. কাস্টমস/ট্যাক্স
৬. অডিট/আনসার
৭. আনসার/অডিট
৮. কো-অপারেটিভ (সমবায়)/তথ্য
৯. তথ্য/কো-অপারেটিভ (সমবায়)
১০. খাদ্য/পরিবার পরিকল্পনা
১১.পরিবার পরিকল্পনা/খাদ্য
১২. বাণিজ্য/ডাক
১৩. ডাক/বাণিজ্য
১৪. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্য

পদ্ধতি-৬

আপনি যদি শুধু শিক্ষা ক্যাডারে বা হেলথ ক্যাডার/টেকনিক্যাল ক্যাডারে যেতে চান কেবল চয়েস ১টি দিবেন অর্থাৎ সেই ক্যাডারটি ১ নাম্বার চয়েসে দিবেন; আর অন্য কোনো ক্যাডার চয়েসে দিবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার ক্যাডার চয়েস হবে শুধু ১টি।

১। শিক্ষা ক্যাডার/হেলথ ক্যাডার/ইঞ্জিনিয়ার/টেকনিক্যাল ক্যাডার (যার জন্য যেটা প্রযোজ্য)

সবাইকে ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

অভিযাত্রী বিসিএস বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ লিখিত ও এমসিকিউ

অভিযাত্রী বিসিএস বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ লিখিত ও এমসিকিউ- “অভিযাত্রী” বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণের উপর একটি গ্রন্থ হতে পারে যা বাংলা ভাষা শেখার জন্য লিখিত পাঠ এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) সম্বলিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, লেখক, তাদের কর্ম, এবং বাংলা ব্যাকরণের বিভিন্ন দিক যেমন শব্দের গঠন, বাক্য গঠন, ব্যাকরণীয় নিয়মাবলী ইত্যাদি আলোচনা করে।

যদি আপনি বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ নিয়ে পড়াশোনা করতে চান বা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চান, তাহলে “অভিযাত্রী” মতো গ্রন্থ আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নতির জন্য উপকারী হতে পারে। এই ধরনের গ্রন্থে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত থাকে:

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস: আদিকাল, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ এবং সমসাময়িক যুগের সাহিত্য কর্ম এবং লেখকদের পরিচিতি।

সাহিত্যিক রচনাবলী: কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিশ্লেষণ।

বাংলা ব্যাকরণ: ধ্বনি, বর্ণ, শব্দের গঠন, সন্ধি, সমাস, বাক্য গঠন, কারক, ক্রিয়া বিশেষণ, লিঙ্গ, বচন, পুরুষ, কাল, মূধা ইত্যাদি।

লিখিত ও এমসিকিউ অনুশীলন: পাঠকের জ্ঞান পরীক্ষা এবং বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত প্রশ্ন এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।

এই ধরনের গ্রন্থ বাংলা ভাষার ছাত্র-ছাত্রীদের, সাহিত্য প্রেমীদের, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রার্থীদের এবং সাধারণ পাঠকদের জন্য উপযোগী। অভিযাত্রী বিসিএস বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ লিখিত ও এমসিকিউ

বইটি কিনতে ক্লিক করুনঃ অভিযাত্রী

বিসিএস প্রিলিমিনারি বই তালিকা

বিসিএস পরীক্ষার জন্য যত মেটিকুলাসলি বই নির্বাচন করা যায়, ততো উপকার। সবার ক্ষেত্রে যে বইগুলো মিলে যাবে, তা না। আমি নিজে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বই নির্বাচন করেছিলাম কয়েকমাস সময় নিয়ে। নিচে আমার নির্বাচিত তালিকাটা দিচ্ছি একটা আইডিয়া নেওয়ার জন্য। এই বইগুলোই যে লাগবে এমনটা না, হয়তো আমার এই তালিকার সাথে অন্য একজন ক্যাডারের শতভাগ অমিলও হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। আমি এই তালিকাটা অনুসরণ করে যেহেতু ভালো ফল পেয়েছি, তাই শেয়ার করলাম। আপনারা যারা বিসিএস এর জন্য বই বাছাই করতে এ পোস্ট পড়ছেন, তাদের কিছুটা উপকার হয়তো হবে। বিসিএস প্রিলিমিনারি বই তালিকা

বাংলা ব্যাকরণঃ (১৫ মার্কস)

১. ৯-১০ম মুনীর চৌধুরীর বোর্ড বই

২. যে কোন প্রিলি গাইড হাতের কাছে থাকলে ভালো (যেমন, আমি কনফিডেন্সেরটা রেখেছিলাম)

বাংলা সাহিত্যঃ (২০ মার্কস)

১. লাল নীল দীপাবলি

২. সৌমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা

৩. মাঝে মাঝে রকমারি.কম সাইটে লেখক ধরে ধরে বইগুলা ওলটানো

ইংরেজি গ্রামারঃ (২০ মার্কস)

১. কমন মিসটেকস ইন ইংলিশ যথেষ্ট (অথবা অদিতির লতিফ স্যারের প্রিমিয়ার বই)

২. আরও পড়তে চাইলে ভালো মানের একটা গ্রামার বই (৯-১০ সমমানের)

ইংরেজি সাহিত্যঃ (১৫ মার্কস)

১. হ্যান্ড বুক অব ইংলিশ লিটারেচার (কনফিডেন্স-এর টা অথবা লতিফ স্যারের প্রিমিয়ার বই)

গণিতঃ (১৫ মার্কস)

১. যে কোনো একটা গণিত গাইড (যেমন, অ্যাসুরেন্স, সাথে মানসিক দক্ষতাও আছে)

২. ৯-১০ম এর গণিত, উচ্চতর গণিত করলে ভালো, না করলেও চলে, করলে লিখিততে কাজে দেয়

মানসিক দক্ষতাঃ (১৫ মার্কস)

১. যে কোন একটা গাইড (যেমন, অ্যাসুরেন্স, সাথে গণিতও আছে)

২. ডগার ব্রাদার্সের টেস্ট ইওর ইন্টেলিজেন্স বইটা প্রাকটিস করা যেতে পারে, জরুরি না

বিজ্ঞানঃ (১৫ মার্কস)

১. যে কোন একটা গাইড (এমপিথ্রি বাদে, আমি কনফিডেন্সেরটা পড়েছিলাম)

২. ৯-১০ম এর সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান পড়া যেতে পারে (জরুরি না)

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিঃ (১৫ মার্কস)

১. ইজি কম্পিউটার (লেখক ডাঃ কী যেন, যদিও বইটা ভুলে ভরা, জাস্ট রেফারেন্সের জন্য)

বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ (৩০ মার্কস)

১. ৯-১০ম এর ইতিহাস, পৌরনীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি

২. বাংলাদেশের ডিটেল ম্যাপ

৩. যে কোন গাইড (যেমন, কনফিডেন্সের ‘সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান’ বইটা ভালো)

৪. সংবিধান

৫. এক্সামের আগে আগে নাইম ভাইয়ের ‘বেসিক ভিউ’ আর ‘কোশ্চেন ভিউ’ (BA, IA একই বই)

৬. মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে ক্লিয়ার ধারণা রাখার জন্য ১/২ টা বই

বিসিএস প্রিলিমিনারি বই তালিকা

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ (২০ মার্কস)

১. একটা গাইড (এমপিথ্রি বাদে)

২. আন্তর্জাতিক ডিটেল ম্যাপ (খুঁটিনাটি জানতে হবে)

৩. এক্সামের আগে আগে নাইম ভাইয়ের ‘বেসিক ভিউ’ আর ‘কোশ্চেন ভিউ’ (BA, IA একই বই)

৪. একটা বই বেশ ভালো করসে, দেখা যেতে পারে – ম্যানুয়ালস আন্তর্জাতিক

ভূগোলঃ (১০ মার্কস)

১. ৯-১০ম এর ভূগোল

২. কনফিডেন্সের ভূগোল গাইডটা ছোট, পড়তেও বোর লাগে না

নৈতিকতা ও সুশাসনঃ (১০ মার্কস)

১. ১১-১২শ এর পৌরনীতি ও সুশাসন (১ম পত্র, ২য় পত্র পড়ে নিলে রিটেনে কাজে দিবে, প্রফেসর মোজাম্মেলেরটা)

২. পুরাতন কোশ্চেন ৩-৪ টা কমন পাওয়া যায়, তাই কোশ্চেন ব্যাংক থেকে এ পার্টটুকু পড়লেও চলে- বিসিএস প্রিলিমিনারি বই তালিকা

 

এ. এইচ. এম. আজিমুল হক

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মেধাক্রমঃ ৫ম, ৪০তম বিসিএস।

সাবেক সহকারী পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, আইআইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মাস্টার্সে ১ম, শিক্ষা ক্যাডারে ২য় রাবি শিক্ষার্থী রনি

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রনি।

এর আগে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষায় নন-থিসিস গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শাহরিয়ার রনি।

শিক্ষা ক্যাডারে দ্বিতীয় হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে শাহরিয়ার রনি বলেন, “মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ আমি। রোল টা রেজাল্ট শীটে খুঁজে পাওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছিলাম; আর শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ের মেধাতালিকার প্রথম দিকে নিজের রোলটা দেখতে পাওয়া আরো নতুন মাত্রা যোগ করে।”

ডিপার্টমেন্টে ভালো রেজাল্ট করার পেছনে আগে থেকেই শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছেটা ছিল কি না?—এই প্রশ্নের উত্তরে রনি জানান, “ইংরেজি বিভাগে ভালো করাটা আসলে পরবর্তীতে শিক্ষক হতে সাহায্য করবে তেমন মানসিকতা থেকে হয়নি। আমি মোটামুটি প্রথম থেকেই বিসিএস নিয়ে আগ্রহী ছিলাম; সেই হিসাবে ডিপার্টমেন্টে প্রথম দিকে থাকতেই হবে এমন প্রয়োজন অনুভব করিনি। তবে ডিপার্টমেন্টে ভালো করার প্রধান কারণ: প্রথমত আল্লাহর সাহায্য; দ্বিতীয়ত, সাহিত্যের প্রতি ভালো লাগা আগে থেকেই ছিল, কারণ আমার বড় ভাই নিজেও ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং বর্তমানে একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।”

“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে আসার পর সসম্মানিত শিক্ষকগণ ও তাদের নির্দেশনা; ডিপার্টমেন্টের
সিনিয়র ও বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন আইডিয়া, ফিলোসোফি নিয়ে ডিসকাশন সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসাটা আরও বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই যতটুকু অর্জন তা সম্ভব হয়েছে।” —যুক্ত করেন শাহরিয়ার রনি।

বিসিএস পরীক্ষার জন্য নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার রনি বলেন, “প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেহেতু লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাছাই পর্ব; তাই প্রিলির ক্ষেত্রে যত মার্কস পেলে রিটেনের জন্য মনোনীত হওয়া সম্ভব, তত মার্কের আশেপাশের টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি নিতাম। রিটেনে সবগুলো বিষয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি, পরীক্ষায় টাইম মেনেজমেন্টের উপর গুরুত্ব দিয়েছি। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করেছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। ভাইভাতে সাবলীল থাকার চেষ্টা করেছি। উত্তর দেবার সময় জড়তা যেন না আসে সেদিকে সতর্ক ছিলাম। ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ থেকে যা যা শিখেছি, সেগুলো এখানে অনেক সহযোগিতা করেছে।”

শব্দ থেকে আসা ১০-৪8তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্নাবলি PDF সহ

শব্দ থেকে আসা ১০-৪8তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্নাবলি PDF সহ

১। ‘আনারস’ এবং ‘চাবি’ শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে — পর্তুগিজ ভাষা থেকে। [১০তম]
২। কোন দ্বিরুক্ত শব্দ জুটি বহুবচন সংকেত করে — পাকা পাকা আম। [১০তম]
৩। কোন বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত — মাথা খাটিয়ে কাজ করবে। [১০তম]
৪। কোনটি তদ্ভব শব্দ — চাঁদ। [১০তম]
৫। বাংলাভাষা এ শব্দ দুটি গ্রহণ করেছে চীনা ভাষা হতে — চা, চিনি। [১২তম]
৬। মৌলিক শব্দ কোনটি — গোলাপ। [১৪তম, ৩৭তম]
৭। পর্তুগিজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা হয়েছে — বালতি। [১৭তম]

৮। শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায় — তিন ভাগে। [১৮তম]
৯। দুটি পুরুষবাচক শব্দ রয়েছে কোনটির —ননদ। [১৮তম]
১০। কোনটি অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয় — দাম। [১৮তম]
১১। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান’— এখানে ‘টাপুর টুপুর’ কোন ধরনের শব্দ — ধ্বনাত্মক শব্দ। [২০তম]

১২। ‘যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা’— এখানে ‘মুখ’ বলতে কী বুঝাচ্ছে — শক্তি। [২১তম]
১৩। ‘পেয়ারা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ — পর্তুগিজ। [২৩তম]
১৪। ‘কাঁচি’ কোন ভাষার শব্দ —তুর্কি। [২৪তম (বাতিল)]
১৫। ‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে —ফারসি + ইংরেজি [২৪তম (বাতিল)]
১৬। কার মাথায় হাত বুলিয়েছ— এখানে ‘মাথা’ শব্দের অর্থ — ফাঁকি দেওয়া। [২৪তম]
১৭। ‘চৌ-হদ্দি’ শব্দটি কোন কোন ভাষার শব্দ মিলে হয়েছে — ফারসি + আরবি। [২৬তম]
১৮। কোন শব্দটি ফারসি — পেরেশান। [২৬তম] শব্দ থেকে আসা ১০-৪8তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্নাবলি PDF সহ

১৯। কোনটির অর্থ পক্ব অর্থে প্রকাশ পায় — পাকা আম। [২৬তম]
২০। গ্রিক শব্দ কোনটি —দাম। [২৭তম]
২১। ‘উজবুক’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে — তুর্কি। [৩২তম]
২২। কোনটি ইংরেজি শব্দ —কমা। [৩২তম]
২৩। কোনটি সাধিত শব্দ নয় —গোলাপ। [৩২তম]
২৪। বাংলা ভাষায় শব্দ সাধন হয় না নিম্নোক্ত কোন উপায়ে — লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে। [৩৫তম]
২৫। কোন শব্দজোড় বিপরীতার্থক নয় —হৃষ্ট-পুষ্ট। [৩৫তম]।
২৬। ‘হেড-মৌলভী’ কোন কোন ভাষার শব্দ যোগে গঠিত হয়েছে — ইংরেজি + ফার্সি। [৩৬তম]
২৭ । কোনটি মৌলিক শব্দ — গোলাপ [৩৭তম]
২৮। ‘গিন্নি’ কোন শ্রেণির শব্দ —– অর্ধ-তৎসম [৩৮তম]
২৯ । ‘বাবা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ —— তুর্কি [৩৮তম]
৩০ । ‘গির্জা’ কোন ভাষার অন্তর্গত শব্দ ——- পুর্তগিজ [৪০তম]
৩১ । ‘সমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে —– সমর্থ [৪১তম]
৩২ । ‘বাবা’ কোন ভাষার অন্তর্গত শব্দ ——- তুর্কি [৪২তম]
৩৩ । ‘আসমান’ কোন ভাষা থেকে আগত —– ফারসি [৪৩তম]
৩৪ । নিচের কোনটি তৎসম শব্দ —— ধূলি [৪৪তম]
৩৫ । ‘হরতাল’ কোন ভাষা থেকে আগত —– গুজরাটি [৪৪তম]

Thanks : শব্দ থেকে আসা ১০-৪8তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্নাবলি PDF সহ