সেশনজট সমস্যাসহ নানা সংকটে জর্জরিত বেরোবি

উত্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন- সংগ্রামের ফসল রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। প্রতিষ্ঠার যুগের বেশি সময় পার করলেও দীর্ঘ সময় নানা আন্দোলন-সংগ্রাম আর সংকটে জর্জরিত এই বিদ্যাপীঠ।এরই মধ্যে চারজন উপাচার্যের আমল শেষ হয়েছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বেরোবি।

শিক্ষার্থীদের কাছে সেশনজট সমস্যা প্রকট।অবকাঠামোগত উন্নয়নেও অনেক পিছিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়।পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই,অপর্যাপ্ত ক্লাসরুম,সেমিনার-লাইব্রেরিতে বই সংকট,নেই টিএসসি-অডিটোরিয়াম, গবেষণার ল্যাবরেটরি,গবেষণার প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত এই বিশ্ববিদ্যালয়।এ অবস্থান থেকে উত্তরণে একজন উপাচার্যের ভূমিকা অপরিসীম বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

এরই মধ্যে গত ১৪-০৬-২০২১ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।দায়িত্ব নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির হাওয়া ভবন খ্যাত ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিস বন্ধ করেছেন। এনেছেন প্রশাসনিক দায়িত্বের নানা পরিবর্তন। বর্তমান এই উপাচার্যের কাছে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।নতুন এই উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ক্যাম্পাস টুডে প্রতিনিধি রবিউল হাসান সাকীব।

‘সেশন জট কমানো’ মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বেরোবি

‘সেশন জট কমানো’ হলো বর্তমানকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।এটি এ অঙ্গনের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রথম ও প্রধানতর আকুলতা। বিগত এক যুগেও কোনো প্রশাসন আমল সেশন জটকে এগিয়ে নিতে পারেনি। একটি কঠিন সত্য হলো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার দেখা দুই ভিসি মহোদয়ের শাসনামল নিন্দিত হয়েছে কেবলমাত্র এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের শ্বাস-ইন্দ্রিয় বুঝতে পারেনি বলে। শিক্ষার্থীদের মৌলিকতার জায়গাটিতে এ দুই মহোদয়ের কেউই নাড়া দিতে পারেননি ফলে শিক্ষার্থীরাও ওভাবে করে তাঁদেরকে মননে রাখেননি।

নানা সংকট নিয়ে একযুগ পূর্ণ করলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বেরোবির মৌলিকতায় ক্রমান্বয়ে অগ্রভাগে রয়েছে- একাডেমিক ভবন, শিক্ষক বৃদ্ধি, নতুন আবাসিক হল, প্রবেশ গেট, অডিটেরিয়াম, ইন্টারনেট সংযোগ উন্নতকরণ সহ আরও অনেকগুলো বিষয়াদী। আমরা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যেভাবেই নেই না কেন আমি বিনয়ের সাথে দেখাতে চাই বিগত ভিসি স্যার ঢাকাস্থ লিঁয়াজো অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জনবহুল ও দক্ষ প্রশাসনকে পরিচালনা করে নজির স্থাপন করেছেন যে ভাইস চ্যান্সেলর স্যার চাইলে অকল্পনীয় অনেক কিছুই সম্ভব।

প্রত্যাশা রাখি আমাদের এবারের ভিসি মহোদয় সত্যিকার অর্থেই এ অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মৌলিকতাকে অর্থাৎ সেশনজট নিরসনকে প্রাধান্য দেবেন আর এরই মধ্যে দিয়েই আসলে তিনি জনমনে নন্দিত হয়ে থাকবেন সেটিও প্রার্থনা।

সোহানুর রহমান সোহান,
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।


“কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ চাই”

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।এই বিশ্ববিদ্যালয় তথাকথিত অনেক সংগঠন থাকলেও নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা ও মুক্তমতের চর্চার বড় অন্তরায়।ফলে শিক্ষার্থীদের সংকটকালীন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মত পর্যাপ্ত নেতৃত্বের অভাব, তাই সকল ক্ষেত্রে সহসা মেনে নিতে হয় প্রশাসনের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত সমূহ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র সংসদের নামে ভর্তির সময় নির্দিষ্ট একটি ফি জমা নেওয়া হয় সেই ফি কোথায় যায়,কোন কাজে ব্যবহৃত হয় তা অজানা। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অতীব প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ৯টি বাস থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিতান্তই কম। মেডিকেল সেন্টারে নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। একটি অডিটোরিয়াম ও দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটক এখন শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবী। তিনটি আবাসিক হল থাকলেও রয়েছে প্রকট আবাসন সমস্যা। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বাসা বা মেস ভাড়া করে।

উত্তরবঙ্গের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন আয়ের পরিবারের। এই মেস ভাড়ার টাকার জন্য হিমশিম খেয়ে হয় শিক্ষার্থীদের।এই প্রকট সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে দরকার কার্যকরী উদ্যোগ আশা করি তা এই বর্তমান উপাচার্য স্যারের সময় আমরা দেখতে পারব।

রুবেল হোসেন আদনান,
লোকপ্রশাসন বিভাগ।


“চাই শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়”

এক যুগ হতে চললো আমাদের ছোট্ট এই ক্যাম্পাসটির। এই সময়ে বেরোবি পেয়েছে চারজন উপাচার্যকে এবং সম্প্রতি পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজারো সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সেশনজট, আবাসন ও পরিবহন সংকট, শিক্ষকস্বল্পতা, ক্লাসরুম ও ল্যাবের অপ্রতুলতা, গবেষণায় অনগ্রসরতা, দুর্নীতি, শিক্ষক ও প্রশাসকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়হীনতা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেরোবিতেও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরের অংশীজনেরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সবসময়ই সোচ্চার থাকলেও সার্বিক উন্নতি হয়নি শিক্ষার্থীদের। নবনিযুক্ত উপাচার্য উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার কেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব করবেন, সেশনজট ও আবাসন সংকটসহ তাদের সকল সমস্যাকে গুরুত্ব দেবেন ও সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করবেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ভারসাম্য আনয়ন করে গতিশীলতা নিশ্চিত করবেন এবং সর্বোপরি একটি উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেরোবি’র সামগ্রিক ভাবমূর্তির উন্নয়ন করবেন- এমন প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

মোস্তফা কে মুরাদ আহমেদ,
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।


“মৌলিক সুবিধাগুলোর প্রসার চাই”

বেরোবির শিক্ষার্থীদের জীবনে সেশনজট এক মহামারি তূল্য সমস্যার নাম,যার যাতাকলে পিষ্ট আমাদের জীবন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মৌলিক যেসকল সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা নেই বেরোবি ক্যাম্পাসে।একদিকে সেশন জট অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা বঞ্চিত এই দুই মিলিয়ে হতাশায় পর্যবসিত আমাদের ক্যাম্পাস জীবন।

একজন যোগ্য এবং দূরদর্শী উপাচার্য হিসেবে বেরোবির বর্তমান উপাচার্য স্যারের কাছে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে সকল বিভাগে বিদ্যমান সেশন জট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মহামূল্যবান সময় ও মেধা রক্ষা করা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা অতিদ্রুত বেরোবির শিক্ষার্থীদের প্রদান করা।

এছাড়াও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, সেমিনার-সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে বই সংকট নিরসন,মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ আমাদের সময়ের দাবি।করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস মুখী করে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হবে উত্তরবঙ্গের গৌরবের প্রতীক।

হাশেম বাধন,
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।


“অবকাঠামো নির্মাণ দ্রুত সমাপ্ত হোক”

উত্তরবঙ্গের শিক্ষাঙ্গনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর এর ৫ম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ স্যার কে অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনেক। নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেশনজটমুক্তকরনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ,শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ,শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন এবং সুস্থ সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র বিনির্মাণে উপাচার্য মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ক্লাস রুম ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্তি এখন সময়ের দাবী। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত এর জন্য বাসের সংখ্যা ও মেডিকেল সেন্টারে এ্যাম্বুলেন্স এর সংখ্যা বাড়নো, আবাসিক হলগুলোতে খাবার সমস্যা সমাধান আমাদের প্রাণের দাবী।আশা করি মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমাদের এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ধনঞ্জয় কুমার টগর,
রসায়ন বিভাগ।


“নিজস্বতা বজায় থাকুক সবসময়”

একটা সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হতো অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। তখন হয়তো শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতেন তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসের, নিজস্ব ক্লাসরুমের, নিজস্ব পরিবহনের। যতই বলিনা কেন যেকোন কিছুর নিজের বলতে আলাদা একটা সত্ত্বা আছে। ২০১১ সালে পূরণ হয় তাদের সে স্বপ্ন। নিজস্ব ক্যাম্পাসে বড় হতে থাকে কৃষ্ণচূড়া, দেবদারু, জারুল, সোনালু’রা। দিনে দিনে অনেক বেলা গড়িয়েছে। অনেক কিছুরই স্বাক্ষী হতে হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। স্বপ্ন ভেঙেছে হাজারবার, আবারো স্বপ্ন দেখেছে, দেখছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত উপাচার্যগণ একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে গেছেন তাদের কৃতকর্মে। খুব সম্ভবত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত, সমালোচিত উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।বিগত সময়গুলোতে হয়তো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিছু, স্বপ্ন ভেঙেছে। কিন্তু ওই যে বললাম, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান না। নতুন অভিভাবক পেয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ স্যার৷ উনার দুটি চমকপ্রদ কাজ আমাদের বেশ কৌতুহলী করে তুলেছে। লিঁয়াজো অফিস বন্ধ ঘোষণা এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে আমাদের চাওয়াগুলো, আমাদের স্বপ্নগুলো আপনাকেই বলবো স্যার।

সেশনজটে জর্জরিত হাজারো শিক্ষার্থীদের মর্মবেদনাগুলো আপনাকেই শুনতে হবে স্যার। এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলো স্বরুপে আসুক। আইন, চারুকলার মতো বিভাগগুলো চালু করা হোক দ্রুত। লাইব্রেরির বইয়ের স্বল্পতা দূর করা হোক। ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট, শিক্ষক সংকটসহ হাজারো সংকটকে দূরে ঠেলে দিয়ে সবুজের এ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠুক, যেখানে বুক ভরে তৃপ্তির শ্বাস নিতে পারবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা।

মাহমুদ মিলন,
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ।

বেরোবির অনুষ্ঠিতব্য অনলাইন পরীক্ষাসমূহ স্থগিত

রবিউল হাসান সাকীব, বেরোবি প্রতিনিধিঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতককোত্তর পর্যায়ে ৪জুলাই ২০২১ তারিখ হতে অনলাইনে অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।দেশে চলমান কঠোর লকডাউন পরবর্তী দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার তারিখ পুনরায় ঘোষণা করা হবে।

শনিবার (৩জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃহাসিবুর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৩১তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানগণ অনলাইনে অংশ গ্রহণ করেন।

এছাড়া বহি:সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিন এই সভায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।সেই সকল স্থগিতকৃত পরীক্ষা ৪জুলাই হতে অনলাইনে গ্রহণের জন্য গত ২৪জুন অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো।

কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধকল্পে সরকারী নির্দেশনা তথা কঠোর লকডাউন পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠিতব্য এসব পরীক্ষা পুনরায় স্থগিত করা হলো।

একই সাথে বিভিন্ন বিভাগের স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ অনলাইনে গ্রহণের জন্য অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

ভিসি কলিমউল্লাহ’র বিদায়, বেরোবিতে আতশবাজি-মিষ্টি বিতরণ

বেরোবি প্রতিনিধিঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র শেষ কর্মদিবস ছিল আজ রবিবার। এদিনই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদ বর্ধিত না হওয়ায় বিদায় নিয়েছেন তিনি।

এ উপলক্ষে আজ রবিবার (১৩ জুন ২০২১ইং) রাত ৮টায় পুরো ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ, আতশবাজিসহ আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ড. কলিমউল্লাহকে বেরোবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয় ২০১৭ সালের ১ জুন। সে হিসেবে চলতি বছরের ৩১ শে মে তার ৪ বছর মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তিনি ২০১৭ সালের ১৪ জুন ক্যাম্পাসে যোগদান করায় ২০২১ সালের ১৩ জুন ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেন। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার বিদায় গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে তার বিদায় গ্রহণের খবরে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কলিমউল্লাহ’র বিদায় উপলক্ষে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে তার কুশপুত্তলিকা উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা, সেন্ট্রাল মাঠে আতশবাজি, শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে আগরবাতি প্রজ্জ্বলনসহ পুরো ক্যাম্পাসে পরস্পরের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সবশেষে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে কলিমউল্লাহ’র বিদায়ে গণক্রন্দন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ভিসি হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মীসহ সুধীজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, মেয়াদের ৪ বছর দায়িত্ব পালনকালে কর্মচারী দিয়ে পরীক্ষা নেয়া, একটি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করা, রাত ৩টায় ক্লাস নেয়া, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে অনিয়ম, তার আমলে বিভিন্ন বিভাগে সেশনজট বৃদ্ধি, ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতি ধামাচাপা দেয়াসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে মেয়াদের পুরো সময় সমালোচিত ছিলেন বিদায়ী ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

শিক্ষিকার নামে ভুয়া মেসেঞ্জার আইডি খুলে ফাঁসানোর চেষ্টা ছাত্রের

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমাইদার নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েলের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা। ভুয়া আইডির মাধ্যমে ভুয়া নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জরিপের জন্য টাকা উত্তোলন করে পেশাগত ও ব্যক্তিগত সুনামহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাসনীম হুমাইদার ফেসবুকের প্রোফাইলের ছবি ব্যবহার করে হুবহু তার আইডির মত করে তার আইডির সাথে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার একটি ভুয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট তৈরি করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল। এরপর তোফায়েল একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে ফেসবুক সেই ভুয়া স্ক্রিনশট পাঠায় এবং শিক্ষিকা তাসনীম হুমায়দার নাম করে ওই ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জরিপের কথা বলে ১০০ টাকা করে উত্তোলন করতে বলে। তোফায়েল কাজটি করার জন্য বারবার ওই নারী শিক্ষার্থীকে মুঠোফোনে কল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে।

অভিযোগপত্রে তাসনীম হুমাইদা জানান, গত ৫ এপ্রিল দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে বিভাগের এক ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাসনীম হুমাইদাকে জানায় যে, সে তাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কাছে কোন একটা সার্ভের কাজে প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে দিতে বলেছে এজন্য অপর একজন ক্লাস প্রতিনিধি তাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ইতিমধ্যে ১৫ জনের নিকট থেকে ১০০ টাকা করে তুলেছে। আমি উক্ত শিক্ষার্থীর পুরো বক্তব্য শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি এবং আমার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস অনুভব করি। আমি মনে করি যে এই ঘটনার মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে, পেশাগতভাবে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ক্ষতি করা হয়েছে এবং আমাকে মারাত্নক কোন বিপদের মধ্যে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর আমি ডিজিটালি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ”

অভিযোগপত্রে তাসনিম হুমাইদা বলেন, ম্যাজেঞ্জারে বার্তা পাঠানোর ঘটনায় আমি সেই নারী শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন সে জানায়, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী, আবদুল্লাহ আল তোফায়েল তাকে এই স্ক্রিনশটটি তৈরি করে দিয়েছে এবং পুরো কাজটি কীভাবে করবে সেই নির্দেশনা দিয়েছে। আবদুল্লাহ আল তোফায়েল নামক সেই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান এর ‘ভোকাল’ হিসেবেই কাজ করে এবং মূলত এই কাজটি করার নির্দেশনা পরোক্ষভাবে তাবিউর রহমানের কাছ থেকেই আসে। কাজটি করতে পারলে পরবর্তীতে তাবিউর রহমানের কোর্সে ভালো মার্কস পাবে, ভালো রেজাল্ট হবে, এ ধরনের কথা বলে তোফায়েল তাকে প্রলুব্ধ করে ও চাপ প্রয়োগ করে।’

আইনের আশ্রয় নিবেন কিনা জানতে চাইলে তাসনীম হুমাইদা বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে ও নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্ত, যদি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার না পান তাহলে বাধ্য হয়ে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে বলে জানান তিনি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, পতাকা মামলার দুজন আসামি রয়েছে আমাদের বিভাগে। তাসনীম পতাকা অবমানার বিপক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। তাই তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল বলেন, যে শিক্ষক এই অভিযোগ করেছে মূলত এটা তার নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউজ করতে বলেন এবং নিউজ না করার জন্য ক্লাস রুম এবং পরীক্ষার হলে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রোণোদিতভাবে করা হয়েছে।

স্ক্রিনশটের বিষয়ে কারো সাথে কোনরকম যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল তোফায়েল জানান, আমি কিছু জানিনা। এটা নিয়ে আমার সাথে কারো কোনরকম কথা হয়নি। এ ব্যাপারে আমি দ্রত আইনি পদক্ষেপ নেব।

এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের যে ব্যাচের শিক্ষার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই ব্যাচের একটিও ক্লাস তিনি না নিয়েই ফাইনাল পরীক্ষা শুরু করেছেন। ওই ঘটনাকে ঢাকার জন্য মূলত তিনি আমাকে জড়িয়ে এটা করেছেন। এটা পুরোটাই একটা বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপ-উপাচার্য সরিফা সালোয়া ডিনা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

বেরোবির পাঁচ শিক্ষককে সতর্ক করলো প্রশাসন

 

বেরোবি প্রতিনিধি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসাদাচরণের অভিযোগে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষক হলেন—রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিয়ার রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর অপপ্রয়াস, বিভাগীয় প্রধানের অর্পিত দায়িত্ব ক্রমশই বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও ড. বিজন মোহন চাকীর বিরুদ্ধে। মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুমোদনবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সম্পৃক্ততা, আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার, প্রশাসনকে কটাক্ষের অভিযোগ এনে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এ অফিস আদেশে বলা হয়েছে। আসাদুজ্জামান মন্ডলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো ও ছাত্রদের উত্তেজিত করার প্রয়াসের অভিযোগ এনে এমন সঙ্গতিহীন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাহামুদুল হকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো ও ছাত্রদের উত্তেজিত করার প্রয়াসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক, আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর কথা প্রচারের অভিযোগ উঠেছে এ অফিস আদেশে।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, আসলে এটা আমার বোধগম্য নয় কেন তারা এ ধরনের চিঠি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের কাছে জানতে চাইবো কেন এ ধরণের চিঠি দেয়া হয়েছে?

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো আইনবিরোধী বক্তব্য দেইনি। পতাকা অবমাননার মামলার তদন্তে কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা তার প্রতিকার চাইতে বলেছি। আমি পতাকা অবমাননা মামলার প্রধান বাদী হয়ে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত করেছি। মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে যাব এজন্য আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে নোটিশ দিয়ে প্রশাসনিক হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক। তারা রসায়ন বিভাগের অবৈধ বিভাগীয় প্রধানের একতরফা অভিযোগের ভিত্তিতেই এইরকম নোটিশের মতো দ্বায়িত্বহীন কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন না। প্রশাসনের এই অসংলগ্ন সতর্কতা ও নারী নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আগাম হুমকি প্রদান বলে জানান তিনি।

অশ্লীলতা ও পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে বেরোবি সিঙ্গেল ঐক্যজোটের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

 

বেরোবি প্রতিনিধি


সিঙ্গেল আছি,প্যারা নাই, সিঙ্গেল থাকুন, প্যারা মুক্ত থাকুন” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গেল ঐক্যজোট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রেমের নামে অশ্লীলতা বন্ধ ও পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে ।

রবিবার (১৪ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিঙ্গেল চত্বর থেকে সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সভাপতি শিহাব মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান সাকিবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল টি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সিঙ্গেল চত্ত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শেষ হয় ।

সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সভাপতি শিহাব মন্ডল জানান, “প্রেম একটি স্বর্গীয় বিষয় । কিন্তু বর্তমানে প্রেমের নামে বেহায়াপনা,অশ্লীলতায় সব কিছু ভরে গেছে । বেরোবিতে আর কোন অশ্লীলতার জায়গা নেই বলে কঠোর হুঁশিয়ারি ও দেন তিনি ।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সহ সভাপতি নেসার উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান শাহীন,কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ।

বেরোবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষকের জিডি

বেরোবি প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রসায়ন বিভাগের দুইজন সহকর্মী শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিভাগটির প্রধান তানিয়া তোফাজ। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় এই জিডি করেন তিনি। জিডি নং- ২৯১।

জিডিতে বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলাম এবং ড. বিজন মোহন চাকীর অব্যাহত হুমকি ও দূর্ব্যবহারে চরম আতংকগ্রস্থ ও নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তানিয়া তোফাজ বলেন, রবিবার বেলা ১টায় দাপ্তরিক কাজে বিভাগের অফিসে অবস্থান করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে বললে আমি অফিস রুমে শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করি। এরপর ড. বিজন মোহন চাকীর প্ররোচনায় কিছু শিক্ষার্থী কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে এবং আমাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এসময় আমি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে আটক করে রাখে।

“আবারো কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে বললে ড. বিজন মোহন চাকী ও তার সঙ্গীয় অন্যান্য শিক্ষকেরা তা অস্বীকার করলে আনুমানিক বেলা ৫টায় শিক্ষার্থীরা কলাপসিবল গেট খুলে দিয়ে আমাকে চলে যেতে বলে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একাডেমিক ভবন-৪ এর সামনে এবং বিভাগের রুমে এসে আমার সাথে অসদাচরণ করে এবং বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এইচ এম তারিকুল ইসলাম। এরপরে এইচ এম তারিকুল ইসলাম এবং বিজন মোহন চাকী বিভাগের কম্পিউটার অপারেটরকে জোড়পূর্বক বের করে দেয় এবং আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন।”

তবে অভিযোগে উল্লেখিত হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, আমরা তাকে কোন ধরণের হুমকি দেইনি। আমরা অফিসিয়ালি চারজন শিক্ষক তাকে বয়কট করেছি, তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আমরা ন্যায়ের পক্ষে আছি এটা তারা মানতে না পেরে আমাদেরকে দমন করতে এই জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে এইচ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এটা মিথ্যাচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য রহমান চক্রের ষড়যন্ত্র।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২৮ এর ২ ধারা ভঙ্গ সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকীকে নিয়োগ বঞ্চিত করে সহকারী অধ্যাপক তানিয়া তোফাজকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে বিভাগটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বৈধ বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ এর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

বেরোবিতে অ্যামেচার রেডিও ক্লাব গঠন

বেরোবি প্রতিনিধি


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিআরইউআর অ্যামেচার রেডিও ক্লাব গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কমিটির ঘোষণা করা হয়।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র কনফারেন্স রুমে অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন বেরোবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।

তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেরোবি ক্যাম্পাস রেডিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাস টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে বিআরইউআর অ্যামেচার রেডিও ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

কর্মশালায় অ্যামেচার রেডিও বিষয়ক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং দুর্যোগকালীন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক ধারণা প্রদান করেন অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার ভৌমিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হুদা, রংপুর অ্যামেচার রেডিও ক্লাবের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আবেদ আলী। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বেরোবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী অংশ নেন।

নবগঠিত বিআরইউআর অ্যামেচার রেডিও ক্লাব এর প্রধান উপদেষ্টা হলেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইয়াসমিন সুলতানা, সহ-সভাপতি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আবুল মুঞ্জের, সাধারণ সম্পাদক ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ইফফাত আরা বাঁধন, কোষাধ্যক্ষ একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের প্রভাষক শরীফা আক্তার নিপা, সাংগঠনিক সম্পাদক জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লুবনা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাম্মী ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ খালিদ হাসান রিয়েল, প্রকাশনা সম্পাদক ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শামীম হোসেন, নির্বাহী সদস্য রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের প্রভাষক ফাহিমুল কাদের সিদ্দিকী ও জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ত্বহা হুসাইন।

বেরোবি’র পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো একটি নতুন বাস

 

বেরোবি প্রতিনিধি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন আরো একটি বাস এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও।বাসের শুভ উদ্বোধনের সময় দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম কাম খতিব রকিব উদ্দীন আহম্মেদ।

 

উদ্বোধনে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সুবিধার জন্য নতুন এই বাসটির উদ্বোধন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য উন্নতমানের আরো দুইটি বাসসহ মোট ৫টি যানবাহন ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যা অচিরেই যুক্ত হয়ে বেরোবির পরিবহন পুলকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন ।

এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব:), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রহমতুল্লাহ্, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রাম প্রসাদ বর্মণ, শাম্মী ইসলাম, ইয়াসমিন সুলতানা, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শামীম হোসেন, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের প্রভাষক ফাহিমুল কাদের সিদ্দিকী, শরীফা আক্তার নিপা, জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ত্বহা হুসাইন, লুবনা আক্তার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক খালিদ হাসান রিয়েল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আবুল মুঞ্জের, ইফফাত আরা বাঁধন, পরিবহন পুলের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ আতিকুর রহমান, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আরিফুল ইসলাম, বেতন, বিল ও পেনশন শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ-উজ-জামান, উপাচার্য দপ্তরের সেকশন অফিসার সাকিনা আক্তার সীমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অটোমোবাইল) মোঃ সরফরাজ আলম, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকতা মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ পরিবহন পুলের চালকবৃন্দসহ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত , বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও যোগদানের পর ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৪টি অত্যাধুনিক বাস, ৩টি মাইক্রোবাস ও শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য ২টি কোস্টারসহ মোট ৯টি যানবাহন যুক্ত হয়েছে।

 

মাদক সংশ্লিষ্টতায় বেরোবির দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

 

বেরোবি প্রতিনিধি


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ র‌্যাবের হাতে আটক ও মামলা হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই দুই কর্মচারী হলেন, রসায়ন বিভাগে কর্মরত ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট (মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট পদের বিপরীতে) মোঃ আহাদ আলী এবং অর্থ ও হিসাব দপ্তরের অডিট সেল-এ কর্মরত এমএলএসএস মোঃ পারভেজ।

সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও-এর নির্দেশে রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব.) স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বৃহস্পতিবার (২৯অক্টোবর) এই দুজনের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ জারি করেন।