চবির ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক নতুন তারিখ প্রকাশ

 

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক পুনঃনির্ধারিত/ নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে।একই সাথে প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমাও প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিট্রার(একাডেমিক) স্বাক্ষরিত এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই সময়সূচি জানানো হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত ২২জুন থেকে পিছিয়ে আগামী ২০ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়।

নতুন সময় অনুযায়ী ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার তারিখ/পুনঃনির্ধারিত পরীক্ষার সময়সূচী-

‘বি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২০আগস্ট ও ২১ আগস্ট,’ডি’ইউনিট এর পরীক্ষা ২২আগস্ট ও ২৩ আগস্ট,’এ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৪ আগস্ট ও ২৫ আগস্ট,’সি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৬ আগস্ট ,’বি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা৪৫ এবং ‘ডি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৭ আগস্ট দুপুর ২টা১৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।

ব্যবহারিক পরিক্ষার সময়সূচি-

‘চারুকলা ইনস্টিটিউট’ ৪সেপ্টেম্বর,’নাট্যকলা বিভাগ’ ৫সেপ্টেম্বর,’সংগীত বিভাগ’ ৬সেপ্টেম্বর, ‘ফিজিকাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগ’ ৭সেপ্টেম্বর ও ৮ সেপ্টেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্থান-

প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমা –

‘বি’ ইউনিট ৫আগস্ট,’ডি’ ইউনিট ৭আগস্ট,
‘এ’ ইউনিট ৯আগস্ট,’সি’ ইউনিট ১১আগস্ট এবং
‘বি১’ও ‘ডি১’ উপ ইউনিটে ১২আগস্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ইউনিট সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ১ঘণ্টা আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুন থেকে। আর ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পরীক্ষা।

মঙ্গলবার বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন। তিনি বলেন, আজ আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরীক্ষা পেছানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন সূচী অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন ও ১ জুলাই আমাদের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে আগামী ১০ জুলাই বুয়েট ক্যাম্পাসে চূড়ান্ত পরীক্ষা আয়োজন হবে।

গত রবিবার (৯ মে) ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। কমিটির বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে দুই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছিল।

করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী হলে জুলাই ও আগস্ট মাসে আর সংক্রমণ কম থাকলে জুন ও জুলাই মাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সুপারশি করা হয়েছিল। একাডেমিক কাউন্সিল তাদের সেই সুপারিশ অনুযায়ী আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলো।

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আজ

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ করোনা মহামারী ক্রমশও বাড়তে থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। একারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষাও পেছানো হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ রোববার বৈঠকে বসবে আয়োজক কমিটি।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আগের ঘোষণা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন না করার পক্ষে মত দিয়েছেন পরীক্ষা আয়োজক কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন সদস্য। ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা হতে পারে ঈদের পর।

ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৩১ মে, ১ ও ১০ জুন এই তিন দিন পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হতে পারে।

বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, করোনার কারণে পূর্বঘোষিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন কঠিন। পরীক্ষা সংক্রান্ত অনেক কাজ থাকে, লকডাউনে সেগুলো করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় পরীক্ষার তারিখ পেছানো উচিত।

পেছাচ্ছে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, করোনা ভাইরাস মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

প্রশাশন জানায়, তারা একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করে পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করবে লকডাউন শেষ হওয়ার পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে।

দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হবে এবার। ১৫ এপ্রিল থেকে বুয়েটের ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল আবেদনের সময়সীমা আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুয়েট।

জানাগেছে, ভর্তি পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে নিয়মিত বৈঠকও করতে পারছে না একাডেমিক কাউন্সিল। এই অবস্থায় পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বুয়েট উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ মে এর পরিবর্তে আগামী ৩১ শে জুলাই থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বৈঠক বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইউনিট প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, আগামী ৩১ শে জুলাই থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। আমরা আগস্টের ১৪ তারিখের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করব।

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আরও জানান, পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ আগস্ট, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৭ আগস্ট, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ আগস্ট, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ আগস্ট এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (অংকন)-এর তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ জুলাই ২০২১ তারিখ হতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত ডাউনলোড করা যাবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।

 

দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তি পরীক্ষা: জবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে সেটার সিদ্ধান্ত হবে সামনে উপাচার্যদের সাধারণ সভায় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সাধারণ সভা চলতি মাসের শেষদিকে আহবান করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমার সংবাদকে গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘ দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব। এছাড়া আগের বছরের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠানো যায়নি। আগে তাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে। আর প্রথমবর্ষের পরীক্ষা নিয়েই তো আর আমরা ক্লাস নিতে পারবো না। এজন্য এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো নেই।

দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আগেই জানিয়েছি এ বছর যারা পাশ করেছে ও গতবছর যারা পাশ করেছে শুধু তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় আগে যেভাবে ভর্তি করত এবারও সেভাবে ভর্তি করবে। যারা সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চায় তারা করবে। যারা করতে চাই না তারা করবে না। তবে যে শিক্ষার্থী বর্তমানে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তারা যদি দ্বিতীয় বারের মতো পরিক্ষা দিতে চাই তাহলে তাদের পরিক্ষার সেন্টার হবে অধ্যয়নরত ওই বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটারে এটার প্রোগ্রামিং করে দেওয়া হবে জানান তিনি।

“আমরা আগেই এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে তাও বলে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না।” তার বক্তব্যে তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেডিকেল, প্রকৌশলসহ আরো অনেক ধরনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটির মধ্যে যাতে আরেকটি পরীক্ষা না পড়ে যায়, সেজন্য আমাদের উপাচার্যদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু

কুবি প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীতে আটকে থাকা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) স্নাতক শেষ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

রবিবার(২০ ডিসেম্বর) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অনুষদ ভবনে পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের তথ্যমতে, প্রথম পর্যায়ে ৮ বিভাগের আটকে থাকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যা চলবে আগামী ১৩ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। এর মধ্যে বাকি থাকা বিভাগগুলোর চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার হলে বসানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি ১০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন করে পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, “আমি সকালে এসেই পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাকি থাকা বিভাগগুলোর পরীক্ষাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষা নিলে, আমরাও বিসিএস নিয়ে নেব: চেয়ারম্যান

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শিগগিরই হয়তো করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে। শীতটা কমলে করোনার প্রকোপও কমবে। তখন আমরা সব বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব। ৪০তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষ পর্যায়ে। এখন তৃতীয় পরীক্ষকের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা বাকি আছে। প্রয়োজন না হলে আমরা তৃতীয় পরীক্ষক পর্যন্ত যাব না এবার।’

মিস্টার মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাতাপত্র আনা-নেওয়ার সমস্যার কারণে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। করোনার কারণে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও আটকে আছে। আমরা অপেক্ষা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য। তারা যদি পরীক্ষা নেয়, আমরাও পরীক্ষা নিয়ে নেব।’

করোনার কারণে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সব নিয়োগ পরীক্ষাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ৪০তম ও ৪১তম বিসিএসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে চারটি বিসিএসসহ পিএসসির অধীন নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সূত্র জানিয়েছে, এসব পরীক্ষা নেয়ার জন্য করোনা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার দিকে নজর রাখছে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষা হলে পিএসসিও বিসিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে তারা মনে করছেন। এ পরীক্ষা শুরু হলে নিয়োগ পরীক্ষার জট দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল চলতি মাসেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র। সে অনুযায়ী, সব ধরনের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হলে ভাইভা কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জরুরি সভায় বসবে পিএসসি। সভায় ৪০তম বিসিএসের ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে সশরীরে

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সশরীরে নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । তবে কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে, ক্যাম্পাসে, নাকি নিজ শহরে পরীক্ষা হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পরিষদের ২৫২ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে নয়, সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা পরিষদে অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গণমাধ্যমকে বলেন, অনূকুল পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। যেহেতু শীতকালে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাই নির্দিষ্টকরে পরীক্ষার সময়সূচি বলা যাচ্ছে না। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার পর এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

এছাড়া শুধু মাস্টার্স পাস করা শিক্ষার্থীরাই নয়, অনার্স পাস করা শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজে (আইবিএস) বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ এ বিষয়টি শিক্ষা পরিষদের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখন সময়ের দাবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়েই নিতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল সমন্বিত পরীক্ষা। এখন সমন্বিত পরীক্ষা সময়ের দাবি। এমন মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা সারাদেশে নিতে পারলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া সম্ভব। জেলায় জেলায় এ পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। আমাদের ধারণা এটি করা সম্ভব। তবে চলতি বছরের শুরুতে কয়েকটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আপত্তি জানিয়েছিল। আমরা আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় ডা. দীপু জানান, ‘আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আরও পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সব নির্ভর কোভিড পরিস্থিতির ওপরে। আমরা যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবো। এজন্য যার যেখানে অ্যাকসেস আছে ধরে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও পরে হবে, তবে পরীক্ষা হবে। আশা করছি, আগামী বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো হবে। সে আলো পরীক্ষার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আজকের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন পদ্ধতির এক মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, মাধ্যমিকে চারটি সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিকে এবারের বার্ষিক পরীক্ষাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এ বছর কোন পরীক্ষা নয়। এই মূল্যায়নটা শিক্ষার্থীদের অবস্থাটা বোঝার জন্য। তাদের দুর্বলতা জানার জন্য। এ বছর বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে যতটুকু পঠক প্রয়োজন সে বিবেচনায় এই সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি, সবাই শিখন ফল অর্জন করতে পারবে। এর উপরেই অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। কাজেই শিক্ষকদের দক্ষতা আছে কি নেই, তা তফাত করবে কিনা মনে করছি না।

‘মূল্যায়নের কোন চাপ সৃষ্টি করা হবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এনসিটিবি ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। এগুলো পরবর্তী ক্লাসের জন্য কাজ করবে। সব প্রধান শিক্ষকের নিকট এটি পাঠাবো হবে। এ সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্ট পৌছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করবে। এগুলো অনলাইনেও নেয়া যাবে। এ সময়ে অন্য কোন কার্যক্রম চলবে না। শিক্ষার্থীদের যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেগুলো পরবর্তী শ্রেণির ক্লাসে পূরণ করা হবে।’শিক্ষামন্ত্রী আরও যোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার মনোভাব ও ক্লাসে আগ্রহ আছে। একজনের ডিভাইসে বন্ধুরাও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে অনেকে সিলেবাস শেষ করতে পারবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পড়তে পারবে। তাদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের অ্যাকসেস ছিল না, তাদেরও ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। নানাভাবে তাদের গ্যাপগুলো পূরণ করা হবে।’

দেশের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস চালু করেছি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। সবাই এর উন্নতিতে কাজ করছে। তবে এটা ঠিক, সবার প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় সমস্যা থাকছে। তবে শিক্ষকরা মোবাইলে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। সবার কাছে নতুন বই আছে।’