ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে কী উপহার দেবেন

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে– বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে এই দিনটিকে খুব ঘটা করে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

তাই ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে তো উপহার দিতেই হয়। তবে এখন প্রশ্ন হলো– ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে কী উপহার দেবেন।

আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে কী উপহার দেবেন-

১. কমবেশি সবাই ফুলকে ভালোবাসে। তাই প্রিয়জনকে ভালোবাসা জানাতে পারেন ফুল দিয়ে। যাকে ভালোবাসেন তাকে একগুচ্ছ ফুল দিয়েই বরণ করে নিন এই দিনে।

২. প্রিয় মানুষটির জন্য তার পছন্দমতো এক বাক্স চকলেট দিতে পারেন।

৩. উপহার হিসেবে কার্ডও দিতে পারেন। তাতে ভালো লাগা কোনো মুহূর্তের কথা অথবা মনের কোনো ইচ্ছার কথা লিখে দিতে পারেন।

৪. ভালোবাসার মানুষকে দিতে পারেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই। কথার ছলেই তার কাছ জেনে নিন কোন ধরনের বই তার পছন্দ।

৫. বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে পোশাক উপহার দিতে পারেন।

৬. ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটিকে ভিন্ন রঙ ও সুবাসের পারফিউম এবং বডি স্প্রে দিয়েও চমকে দিতে পারেন।

৭. ফটোফ্রেমে নিজেদের যুগল ছবি ফ্রেমে বাঁধিয়ে প্রিয়জনকে উপহার দিন।

৮. ভালোবাসার মানুষকে গহনাও উপহার দিতে পারেন। নারীরা গহনা খুবই পছন্দ করেন।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ

ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে কিছু উক্তি

ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে কিছু উক্তি-

আপনার ত্রুটিগুলি সেই হৃদয়ের জন্য নিখুঁত যা আপনাকে ভালোবাসতে চায়। –Trent Shelton
রোদ ছাড়া একটি ফুল ফুটতে পারে না, তেমনি ভালোবাসা ছাড়া কোনও মানুষ বাঁচাতে পারে না। – Max Muller

প্রেম চিরন্তন। দিকটি বদলে যেতে পারে, তবে সারাংশ নয়। – Vincent van Gogh
একজন সত্যিকারের প্রেমিক তার ভালোবাসার প্রতি সর্বদা ঋণ অনুভব করে। – Ralph W. Sockman

প্রেম করা একে অপরের দিকে তাকানোই নয়। এটি একই দিকে তাকানো। – Antoine de Saint-Exupéry
জীবনেকটা এই সুখ থাকে। ভালোবাসা এবং ভালোবাসা। – George Sand

ভালোবাসার শিল্প… মূলত অধ্যবসায়ের শিল্প। – Albert Ellis
ভালোবাসা একটি গোলাপ পুঁতেছিল এবং বিশ্বটি মিষ্টিতে পরিণত হয়েছিল। – Katharine Lee Bates

কারও কাছে গভীরভাবে ভালবাসা আপনাকে শক্তি দেয় আবার কাউকে গভীরভাবে ভালবাসা আপনাকে সাহস দেয়। – Lao Tzu
একটি সফল বিবাহের জন্য অনেকবার প্রেমে পড়া প্রয়োজন, সর্বদা একই ব্যক্তির সাথে। – Mignon McLaughlin

ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে কিছু উক্তি-ভালোবাসা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস

ভালোবাসা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস

ভালোবাসা দিবসের কিছু শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস. ভালোবাসা দিবসের উপলক্ষে আপনার প্রিয়জনদের জন্য কিছু মনোরম শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস নিম্নরূপে প্রস্তাবিত হলো:

(১)
টিপ টিপ বৃষ্টি পরে, তোমার কথা মনে পড়ে,
এ মন না থাকে ঘরে, জানিনা তুমি আসবে কবে,
এ প্রান শুধু তোমায় ডাকে , আমায় ভালবাসবে বলে,
ফুল হাতে থাকবো দাঁড়িয়ে বলবো আমি তোমায় পেয়ে,
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পেয়েছি তোমায় খুজে।
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে …

(২)
আমি চাইনা তুমি আমাকে বার বার বলো
আমি তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু
আমি চাচ্ছি তুমি আমার জন্য একটু অপেক্ষা করো ,
আমি বলছি না তুমি আমাকে অনেক ভালবাসবে
কিন্তু আমি বলছি তুমি আমাকে একটু সুযোগ দিও
তোমাকে মন উজার করে ভালবাসতে ।

(৩)

আমি সেই সুতো হবো , যে তোমায় আলোকিত করে নিজে জ্বলে যাবো ,
আমি সেই নউকো হবো যে তোমায় পার করে নিজেই ডুবে যাবো ,
হবো সেই চোখ যে তোমায় দেখেই বুজে যাবো ,
হবো সেই সুর যে তোমায় মাতিয়ে করুন হবো ,
হবো সেই চাঁদ যে হয়ে গেলে আধ, তোমাকে আলো দেবে
দিন ফিরে এলেই আবার ফুরিয়ে যাবো , শুধু ভালবেসো আমায় ।

(৪)
তোমায় ভালোবাসা ছিলো আমার জীবনের ২য় শ্রেষ্ঠ কাজ ,
আর প্রথমটি ছিলো তোমায় খুজে বের করা ।
ভালোবাসি তোমায় এবং সবসময় বাসবো ,
আজ বললাম ও সারা জীবন বলবো ।
*** হ্যাপি ভ্যালেনটাইন ডে ***

(৫)
আমি তোমাকে চাই কল্পনাতে নয় বাস্তবে,
আমি তোমাকে চাই চলনাতে নয় ভালোবাসায় ,
আমি তোমাকে চাই তোমার মত করে নয় আমার মত করে ,
আমি তোমাকে চাই ক্ষনিকের জন্য নয় চিরদিনের জন্য ।
@@@ হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে @@@

(৬)
মন যদি আকাশ হতো তুমি হতে চাঁদ ,
ভালোবেসে যেতাম শুধু হাতে রেখে হাত ।
সুখ যদি হৃদয় হতো তুমি হতে হাসি ,
হৃদয়ের দুয়ার খুলে দিয়ে বলতাম – তোমায় ভালোবাসি ।
^^^ ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ^^^

(৭)
একদিন দুজন হাঁটবো আবার উড়বে তোমার চুল,
একদিন শূন্য বাতাস ছুঁয়ে যাবে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ,
@@@ হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে @@@

মেয়েরা সব ক্ষমা করে, কিন্তু ভালোবাসার অপরাধীকে ক্ষমা করে না

জামান সানি


জীবন এক অস্বস্তিকর মোড়ে এনে দাঁড় করিয়েছে রাশেদকে। যেই রিনা, তার কৈশোরের দুরন্ত এডভেঞ্চারের সঙ্গী ছিলো। তার প্রথম যৌবনের প্রথম প্রেম ছিলো, সেই রিনাই আজ তার সামনে বিয়ের পাত্রী সেজে বসে আছে।

তবে তার পাত্রী না , সবচেয়ে কাছের বন্ধু তাওসীফের পাত্রী হিসেবে। আজ রিনা এবং তাওসীফের আংটি বদল অনুষ্ঠান। হাতে গোণা কিছু অতিথি, উভয়পক্ষের শুধু কাছের আত্মীয় আর খুব কাছের কয়েকজন বন্ধু মাত্র। রাশেদ বসেছে তাওসীফের ঠিক পাশেই।

রিনাকে দেখে রাশেদ স্তম্ভ হয়ে গেলেও, রিনা খুবই স্বাভাবিক ব্যবহার করছে। এমনকি বেশ কয়েকবার “ভাইয়া” সম্বোধন করে কুশলও বিনিময় করেছে। রাশেদ বোকার মতো তাকিয়ে ছিলো শুধু, কোন উত্তর দেয়নি।

সাধারণত প্রথম যৌবনে ছেলেদের যে প্রধান দুটি সমস্যা সেগুলো হলো , খুব বেশি পজেসিভনেস এবং ন্যুনতম দায়িত্বশীলতার অভাব। দুটো জিনিসই অতি মাত্রায় বেশি ছিলো রাশেদের। সে তুলনায় রিনা ছিলো তুলনামূলকভাবে ম্যাচিউরড চিন্তাভাবনার এবং সহিষ্ণু।

খুব বেশি ভালবেসে ফেলেছিলো সে রাশেদকে। বলা যায় একা সেই সম্পর্কটা টেনে নিয়ে চলেছিলো পুরো চারটি বছর। কিন্তু স্কুল কলেজ পেড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিতেই রাশেদ তার নাগালের বাইরে চলে যায়। তার চোখে তখন রঙ্গিন চশমা। ডিজুস মোবাইলের সারারাত অফারে জুটিয়ে ফেলে বেশ কয়েকজন মেয়ে বন্ধুও।

শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্কটি টিকেনি। কারণ রাশেদ চায়নি টিকুক। চারুকলার মোড়ে বসে আড্ডারত চে গুয়েভারার ছবি সম্বলিত টিশার্ট পরা মেয়েটির মাঝে রাশেদ যেই আবেদনটি পেতো, সেই আবেদন তো মফস্বলে বেড়ে উঠা রিনার মাঝে সে পেতো না।

আর হটাৎ এতো বড় শহর, ছেলে মেয়ে অবাধ বন্ধুত্ব, হাই থট, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিনোদনের পর্যাপ্তটা.. এতো সব জিনিস একসাথে পেয়ে রাশেদ ঠিক সামলে উঠতে পারছিলো না। সে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে পারছিলো না। তবে এতটুকু বুঝেছিলো যে রিনার সাথে তার সম্পর্কে জড়ালে পোষাবেনা।

রাশেদের জীবনের এরপরের কয়েকটি বছর কেটেছে সুতো কাটা ঘুড়ির মতো। পড়ালেখায় অমনোযোগিতা, রাতভর মোবাইলে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা , ইন্টারনেট , চ্যাটিং, লাল নীল সিনেমা, ধোঁয়া এবং আসরে।

তবে ঠিক সময় মতো নিজেকে ঠিকই শুধরে নিয়েছিলো রাশেদ। হাজার হোক , যেই ছেলেটি ছোটবেলা থেকেই নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে আসছিলো , মাত্র দুই তিন বছরের বখে যাওয়ায় সব মিথ্যা হয়ে যাবে না অনার্সে চমৎকার রেজাল্টসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন। মাস্টার্সে গোল্ড মেডালিস্ট।

কিন্তু সম্পর্কের ব্যপারে রাশেদ সবসময়ই ক্যাজুয়াল, no commitment type. রিনার পর ডজনখানেক সম্পর্ক হয়েছে তার , প্রতিটি সম্পর্কে বহু ধরনের এটাচমেন্ট হলেও , এক মুহূর্তের জন্য সে কারও প্রতি মেন্টাল এটাচমেন্ট অনুভব করেনি।

মাঝে মাঝেই রাশেদের রিনার কথা মনে পড়তো। ভাবতো খোজ খবর রাখবে , কোন কারণে না , প্রাক্তন প্রেমিকা ভেবেও না , শুধু ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে। কিন্তু অনেকটা অপরাধবোধ থেকেই কখনোই যোগাযোগ করার মতো সাহস যোগাতে পারেনি রাশেদ। তবে মনে মনে রাশেদ চাইতো রিনার সাথে একদিন হুট করে দেখা হয়ে গেলে ভালো হবে।

তবে তাই বলে এভাবে দেখা হতে হবে? জীবন এতোটা প্রহসনমূলক হবার তো কথা না!

আজ রিনাকে খুব বেশি সুন্দর লাগছে। প্রিয় কোন উপন্যাসের খুজে না পাওয়া অধরা নায়িকার মতো। তার কথাবার্তাও আর সেরকম টেনে বলা আঞ্চলিক উচ্চারণের নেই। রাশেদের এই ভেবে তাজ্জব লাগছে যে এরকম নিখুঁত পরিপূর্ণ নারী তাকে জীবনে কখনও ভালবেসেছিলো…

সেই ক্লাস সিক্সের পর আজ আবার রাশেদের খুব কান্না পাচ্ছে। তার খুব ইচ্ছে করছে রিনা তার সাথে কিছুক্ষণ আগের মতো কথা বলুক। রাশেদের খুব ইচ্ছে করছে শুধু একটিবার রিনার হাতটি ছুঁয়ে দেখতে , একটিবার নিজের ভালবাসার কথা ব্যক্ত করতে। এরপর যেই শাস্তি আসুক সে মাথা পেতে নিবে। ফিনিক্স পাখির মতো আগুন ছুঁয়ে মরে যাবে , পুড়ে ছাই হয়ে বাতাসে মিলিয়ে যাবে।

এদিকে রিনা “ভাইয়া ভাইয়া ” করেই চলেছে।

বাঙ্গালী নারী সব ক্ষমা করতে পারলেও ভালোবাসার অপরাধীকে ক্ষমা করতে জানে না। সে রাশেদকে একদিনে মারবে না। প্রতিদিন একটু একটু করে মারবে। রাশেদ তাকে যতটা কষ্ট দিয়েছে সে তাওসীফকে তারচেয়েও অনেক বেশি ভালবাসবে আজীবন। তাদের সফল সুখী দাম্পত্য জীবনকে খুব কাছ থেকে রাশেদকে দেখাবে।

অসহায়ত্বে ভোগাবে, শূন্যতায় ভোগাবে, আমরণ অসহ্য যন্ত্রণায় জ্বালাবে। তার প্রতিটি অশ্রু বিন্দুর হিসেব নেয়ার সুযোগ জীবনই তাকে করে দিয়েছে , সে এই সুযোগ কোনভাবেই হারাতে চায় না।

মনে মনে আজও রিনা চায় , কষ্ট পেয়ে রাশেদ নষ্ট হয়ে যাক।

“ভালোবাসা দিবস” হোক সকল মায়ের উদ্দেশ্যে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ভালবাসা দিবস মানে কি শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকার একে অপরের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের দিন? কিন্তু দুঃখের বিষয় ভালোবাসা দিবসের কথা এলে আমরা সকলে এক বাক্যে ধরেই নিই- দিনটি বুঝি কেবলই প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভালোবাসার মানুষটির জন্য বলা হয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক, ভালোবাস বা ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারির জন্যই নয়, শুধু স্বামী-স্ত্রী; কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যও নয়, এটা সার্বজনীন, সেই সাথে সারা বছরের জন্যই।

১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে একটু আয়োজন করে জানানো ছাড়া আর কিছুই নয়। তাহলে সার্বজনীন হলে এ দিবস নিয়ে সকল আয়োজন বা প্রচার কেবল প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন? এখানে তো বাবা-মা, ভাই-বোনও আসতে পারেন। বিশেষ করে মা’কে বাদ দিয়ে ভালোবাসা উদযাপন করাটাই বা কেমন হয়? তাছাড়া বাবা-রা কেন ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকবে।

তবে এ নিয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন যে, মা’র জন্য তো মা দিবস রয়েছে। থাকুক। তবুও আসুন এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে উপহার দিতে পারেন বাবা-মাকেও। ভালোবাস দিবস উপলক্ষে মা-বাবকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন বা খেতে যেতে পারেন।

প্রিয় মা, এই সুন্দর পৃথিবীতে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য একমাত্র মা। তিনি কত-রাত না ঘুমিয়ে আমাদের বুকে জড়িয়ে বসে ছিলেন। কত-দিন নিজে ক্ষুধার্থ থেকেও না খেয়ে আমাদের মুখের খাবার তুলে দিয়েছেন। সন্তান একটুখানি ব্যথা পেলে ভিজে উঠেছে তার চোখ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার মতো মুখ বুঝে সব সহ্য করেও কখনো যদি জিজ্ঞেস করা হয় কেমন আছো মা? তিনি উত্তর দিবেন ভালো আছি । পৃথিবীর সব ভালোবাসা তুচ্ছ হয়ে যায় মায়ের হৃদয় কেঁপে ওঠা এই ভালোবাসার কাছে। সেই মা কে ভালো রাখতে আমরা কিছু প্রয়াস করতে পারি। এই ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষ গুলোকে একসাথে করে তাকে সারপ্রাইজ দেয়া যেতে পারে। তার প্রিয় রং এর একটি শাড়ি কিনে আনতে পারেন। প্রিয় মা-এর জন্য আপনি যাই কিনে থাকেন আপনার দেয়া সব কিছুই মা-এর কাছে অনেক মূল্যবান ।

প্রতিটি “ভালোবাসা দিবস” হোক প্রিয় মা-দের ঘিরেই। পৃথিবীতে যদি কেউ বেশি ভালোবাসে তিনি হচ্ছেন মা। তাই, চলুন এবারের ভালোবাসা দিবসটি পালন হোক সব মায়ের উদ্দেশ্যে।

আজ আলিঙ্গন, কাল চুম্বনের দিন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ০৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা সপ্তাহ। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভালবাসার সপ্তাহের মধ্যে অন্যতম দিবস হচ্ছেহাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। । তবে কাল চুম্বন দিবস ।

এরপরেই প্রতীক্ষিত সেই ভালবাসার দিন অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবিস। এজন্য আজ আলিঙ্গনের দিন, কাল চুম্বনের দিন। তাছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস মানেই ভালবাসার মাস। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রেমের সপ্তাহ।

যেভাবে এলো চুম্বন দিবস

প্রেম পঞ্জিকার ৭ম দিনটি ‘চুম্বন দিবস’হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে। ‘চুম্বন দিবস’ সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালন করা হয়। আদিকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা, অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। হতে পারে তা আপনার সন্তানের, মায়ের অথবা প্রিয়জনের। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। যদিও আমাদের দেশও এখন যথেষ্ট সচেতন।

আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলোতে চুম্বন দিবসে একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, এ প্রতিযোগীতায় সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ ছিল। গেলো বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।

‘ভালোবাসা দিবস’ নিয়ে মিথিলা-তাহসানের স্ট্যাটাস

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং তার সাবেক স্বামী কণ্ঠশিল্পী তাহসান।

শনিবার দুপুরে কণ্ঠশিল্পী তাহসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের গানের একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, বছরের প্রথম গান “স্মৃতির ফানুস”। ভালোবাসা দিবসে’র আগাম শুভেচ্ছা।

এদিকে একই দিনে রাত ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম থেকে সৃজিত মুখার্জিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রশিদ মিথিলা। স্ট্যাটাসে বর্তমান স্বামী সৃজিতের সঙ্গে তার একটি ছবিও পোস্ট করেন।

নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম স্ট্যাটাসে মিথিলা জানিয়েছেন, ভালোবাসা দিবসে ‘আমার আমি’তে বিশেষ শোতে মিস্টার ও মিসেস মুখার্জিকে দেখুন।

মিথিলার উপস্থাপনায় বাংলাভিশনের ওই শোতে হাজির হচ্ছেন সৃজিত মুখার্জি। ওই দিন মিথিলার মুখোমুখি হবেন তিনি। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে।