ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে? বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী?

ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে? বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর ।

ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে?

ক্রান্তীয় অঞ্চলে যেই ঋতু গুলো বিরাজমান করে অথবা প্রবাহিত হয়, সেই ঋতু’কেই ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বলা হয়।

বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর

বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করায় দেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজ করে। বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাপন্ন। বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হলেও মহাদেশীয়-অক্ষাংশীয় অবস্থানের দিক থেকে এটি উত্তর অক্ষে অবস্থিত।

অক্ষাংশীয় মানানুসারে এদেশের অবস্থান ২০ডি. ৩৪মি. উত্তর অক্ষরেখা হতে ২৬ডি. ৩৮মি. উত্তর অক্ষরেখার এবং দ্রাঘিমাংশীয় মানানুসারে ৮৮ডি. ০১মি. পূর্ব দ্রঘিমারেখা হতে ৯২ডি. ৪১মি. পূর্ব দ্রঘিমারেখার মধ্যবর্তী স্থানে। কর্কটক্রান্তি রেখা এদেশের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে তাই বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিরাজ করে।

নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ | Class 9 Geography & Environment Assignment

নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ | Class 9 Geography & Environment Assignment | ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে? বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকের ‘Z অঞ্চলের বর্ণনা দাও। উদ্দীপকের ‘X’ ও ‘Y’ অঞ্চলের ভূমিরূপের মধ্যে কী কী সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়? মতামত দাও। নবম শ্রেণি ভূগোল এসাইনমেন্ট .

নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ | Class 9 Geography & Environment Assignment

নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ | Class 9 Geography & Environment Assignment

সৃজনশীল প্রশ্ন-১ এর (ক) ও (খ) এর উত্তর পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন-

ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে? বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী?

 

(গ) উদ্দীপকের ‘Z অঞ্চলের বর্ণনা দাও।

উদ্দীপকে ‘Z’ অঞ্চল অর্থাৎ পলিবাহিত মাটি দ্বারা গঠিত অঞ্চল। নদীর বদ্বীপ অঞ্চল, প্লাবন ভূমিতে পলিমাটি দেখা যায় নবীন পলিমাটি ‘খাদার’ ও অনুর্বর প্রাচীন পলিমাটি ‘ভাঙর’ নামে পরিচিত। দেশের প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চল পলিমাটি দ্বারা গঠিত অঞ্চল।

পলি মাটি হালকা এবং আর্দ্রতাযুক্ত উর্বর মৃত্তিকা। পলি মাটি মাঝারি আকারের কণাসম্পন্ন এবং এই মাটি বেশ শুকনো হয় ও আর্দ্রতা ভালভাবে ধরে রাখতে পারে।এই মাটির কণাগুলি সহজেই মিশে যেতে পারে এবং বৃষ্টির সাথে ধুয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

নদী বাহিত পলি থেকে এই মাটির সৃষ্টি হয়েছে । পলিমাটি খুব উর্বর হয় । এই মাটিতে পটাশ, ফসফেরিক অ্যাসিড, চুন ইত্যাদি থাকে । পলিমাটি উর্বর হওয়ার জন্য এই মাটিতে প্রায় সব রকমের ফসল চাষ হয় । বিশেষত নদীর পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য অধিক উপযোগী। এই মাটিতে ধান, গম, আখ, মিলেট প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়।

(ঘ) উদ্দীপকের ‘X’ ও ‘Y’ অঞ্চলের ভূমিরূপের মধ্যে কী কী সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়? মতামত দাও

উদ্দীপকের x ও y অঞ্চলের ভূমির সাদৃশ্য নিম্নরূপ :

অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে প্রধান নদীর আশেপাশে এবং নিকটবর্তী এলাকায় যেখানে বার্ষিক প্লাবনের সময় কালে নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে পলি সঞ্চয়ন এবং ক্ষয় সংঘটিত হয়ে থাকে, সে সমস্ত এলাকা জুড়ে সক্রিয় প্লাবন সমভূমি। এই প্লাবন সমভূমি তে নতুন নতুন সঞ্চিত পলি রাশি বিভিন্ন স্তরে স্তরে স্তরীভূত হয়ে থাকে সাধারণত সূক্ষ্ম পলি এবং কর্দম সঞ্চয়ন মিহি স্তরে স্তরীভূত হয় এবং বালি ও পলির মিশ্রণ স্তরে সজ্জিত হয়।

এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মাটি গঠনকারী প্রধান নদীখাত অন্যত্র সরে যাওয়ায় নবীন এবং প্রবীণ প্লাবন সমভূমি সমূহ মূলত স্থিতিশীল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে Y অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে, সাধারণত ধূসর বর্ণের পৃষ্ঠ মৃত্তিকা এবং ধূসর ম্যাট্রিক্স ও ধূসর গ্লেন সমৃদ্ধ Cambic B অনুভূমিক স্তর বিশিষ্ট অন্তর্মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত।

এই মৃত্তিকা ব্যাপকভাবে তিস্তা, করোতোয়া, যমুনা মেঘনা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীগঠিত প্লাবন সমভূমি জুড়ে বিস্তৃত তবে পৃথক পৃথক মৃত্তিকার বুনট দ্বারা গঠিত মাটিতে বর্ণিত উপাদানসমূহের অনুপাত এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আঞ্চলিক বিভিন্নতা দেখা যায়।

তিস্তা – নদীর সর্পিলাকৃতি প্লাবন সমভূমির মৃত্তিকায় পলি, দোঁ -আঁশ বুনটের প্রাধান্য বিদ্যমান, অপরদিকে গাঙে জোয়ার ভাটা প্লাবন সমভূমি ও সুরমা- কুশিয়ারা প্লাবন সমভূমির মৃত্তিকায় পলি কর্দমের প্রাধান্য বিরাজমান। কিন্তু যমুনা প্লাবন সমভূমি তে রয়েছে দোআশ, পলি কর্দম দোআশ এবং পলি কর্দমের অধিক সমানুপাতিক বন্টন। এ-সকল মৃত্তিকার বেশিরভাগই Eutric Gleysol এর অন্তর্ভুক্ত।

 

২। বাংলাদেশের মানচিত্র অংকন করে পাট, চা ও ইক্ষু উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ প্রদর্শন করা হলো-

বাংলাদেশের মানচিত্র অংকন করে পাট, চা ও ইক্ষু উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ প্রদর্শন করা

 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা চাইলে এই উত্তরগুলো নিতে পারো বা তোমাদের মত করে লিখতে পারো। ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ এই কন্টেন্ট শিক্ষামূলক। বিনাঅনুমতিতে যে কেউ ব্যহার করতে পারবেন। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

৯ম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৬ সপ্তাহ প্রশ্ন সমাধান এর কাজ চলছে…. এইখানে সব বিষয়ের সমাধান পাবেন।

আরও দেখুন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৬ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর-

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট ৬ সপ্তাহ | Class 6 Bangla Assignment 6th Week

ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৬ সপ্তাহ | Class 6 Math Assignment 6th Week

৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট ৬ সপ্তাহ | Class 6 Agriculture Assignment 6th Week

আরও দেখুন ৭ম শ্রেণির ৬ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর-

৭ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্টে ৬ সপ্তাহ | Class 7 Bangla 6th Week Assignment Answer

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর। নবম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের সপ্তম অধ্যায়: জনসংখ্যা থেকে এই প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। ৯ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহ ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট । Class 9 Geography and Environment Assignment 5th Week Answer.

উত্তরে যেসকল বিষয়ের দক্ষতা দেখাতে হবে তা হলো-স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান, নির্ভুল তথ্য প্রদান, জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে নিজস্ব মতামত প্রদানের সক্ষমতা, প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী উত্তর প্রদানের সক্ষমতা।

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ স্থূল জন্মহার- সাধারণ জন্মহারের চেয়ে স্থূল জন্মহার বহুল প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। এই পদ্ধতি হাজারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কোনো বছরে জন্মিত সন্তানের মোট সংখ্যাকে উত্ত বছরের মধ্যকালীন মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে স্থূল জন্হার নির্ণয় করা হয়।

একে নিমোন্তরূপে দেখানো যেতে পারে-
স্থূল জন্মহার = (কোন বছরের জন্মিত সন্তানের মোট সংখ্যা )/(বছরের মধ্যকালীন মোট জনসংখ্যা ) × ১০০০

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ
প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাবঃ
জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ে ভূমির উপর । একটি দেশের ভূমি সীমিত হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওই দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন দেখা দেয়। বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য ভূমি অধিক ব্যবহার হয়।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভূমির কিছু ক্ষেত্রে অধিক ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১) বন ও পাহাড় কেটে আবাদি জমি তৈরি।
২) অধিক ফলনের জন্য অধিক হারে সার ও কিটনাশকের ব্যবহার।
৩) অধিক বসতবাড়ি ও গৃহস্থলি কাজে ব্যবহার।
৪) বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন।
৫) যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি।

কোনো দেশের ভূমি ব্যবহার সঠিকভাবে করার জন্য জনসংখ্যার ভারসাম্য থাকা দরকার।

আরও দেখুনঃ ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।

পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য । জনসংখ্যার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পানির উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ পানি, কিন্তু সকল পানির শতকরা ৯৭ ভাগ লবণাক্ত বা লোনা। তাহলে আমাদের খাবার উপযুত্ত পানি মাত্র শতকরা ৩ ভাগ। পানির ব্যবহার ও ক্ষতিকর দিক নিচে উল্লেখ করা হলো :

১) সেচ কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তলোন ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া।
২) বেশি পানি উত্তলোনের কারণে সমুদ্রের লোনা পানি ভুগর্ভে প্রবেশ।
৩) তেল ও বর্জ্য রাসায়নিক দ্রব্য পানিতে উন্মুক্তকরণ।

জনসংখ্যা অধিক বৃদ্ধি পেলে উপরিউক্ত কাজগুলো বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয়, যা পানির উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। জলজ ক্ষুদ্র উদ্ভিদ, প্ল্যা্ংটন, কচুরিপানা, শেওলা প্রভৃতি জন্মাতে পারছে না। পর্যায়ক্রমে ছোট মাছ ও বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে জলজ সম্পদ দিন দিন-হ্রাস পাচ্ছে।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা চাইলে এই উত্তরগুলো নিতে পারো বা তোমাদের মত করে লিখতে পারো। ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ এই কন্টেন্ট শিক্ষামূলক। বিনাঅনুমতিতে যে কেউ ব্যহার করতে পারবেন। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।