শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে মাইকিং, প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনার তাণ্ডবে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের সেই নির্দেশনা অমান্য করে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মাইকিং করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের
পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই ক্লাস মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মাইকিং করায় ওই প্রধান শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শনিবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক সৌকত ইসলাম এমন মাইকিং করান। পরে রাতেই এটি বাতিলে প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক সৌকত ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার দুপুর থেকে অটোরিকশা করে এক যুবক মাইকিং করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাইকিংয়ে ওই যবক বলেন, আগামী (১৮মে) সোমবার সকাল ১০টার সময় সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে হবে। বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ক্লাশ মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

এছাড়াও যারা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তারা রেজিস্ট্রেশনের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। আদেশক্রমে প্রধান শিক্ষক সৌকত ইসলাম। পরে সন্ধ্যার সময় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের মাইকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কড়া সমালোচনা করেন।

মাইকিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌকত ইসলাম বলেন, “ইউএন ও ম্যাডামের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে না আসার জন্য আবারো রাত ৯টার দিকে এলাকায় মাকিং করানো হচ্ছে।”

বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরিচালনা কমিটির অনুমতি ব্যতিত এমনটি করায় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই গোকর্ণ ইউনিয়নে যাই। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আসতে মাইকিং করানোর বিষয়টি আমি এলাকার অভিভাবকদের মাধ্যমে শুনি। তাৎক্ষণিককভাবে ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, জেলা লকডাউনের মধ্যে তিনি এমনটি কেন করলেন? পরে তাকে আবারো মার্কিং করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বারণ করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়।