একনজরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০-ই থাকছে। ভর্তি আবেদন ফি বাড়েনি। আগের মতো ১ হাজার টাকা রয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করেন।

একনজরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া

– ১১-২৩ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন। ফি জমা ২৪ জানুয়ারির মধ্যে।
– সব কলেজের চয়েজ একবারে দিতে হবে।
– ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়।
– ৮ মার্চ ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা।
– সরকারি আসন ৫৩৮০টি, বেড়েছে ১০৩০টি।

– সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১১৭২৮টি সিট রয়েছে।
– কোচিং বন্ধ হবে ৯ জানুয়ারি থেকে।
– ভর্তি ফি বাড়েনি
– পাস নম্বর ৪০ই থাকবে
– দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিলে ১০ নম্বর কাটা।

শিক্ষা প্রকৌশলের ৯৫৬ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে । এছাড়া ৮ মার্চ ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আমরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেব। পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ৯ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে সব মেডিকেল কোচিং।

মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি শিডিউল ঠিক করেছি, সে অনুসারে পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষার শিডিউলের পাশাপাশি কীভাবে মান উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে আরও যুক্তিসংগত পরীক্ষা নেওয়া যায়, যাতে ভালো ছাত্র ভর্তি হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে ন্যূনতম ৪৯ নম্বর পেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা আগেও ছিল। মাইগ্রেশনের সুযোগ তিনবার রাখা হয়েছে। সবগুলো কলেজে একবারে চয়েস দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।

এদিকে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে বিদেশি নাগরিকদের জন্য আবেদন নেওয়া যাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ফি জমা দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ জানুয়ারি। রোল নম্বর ও সিট প্রদান ২৬ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে।

এছাড়া প্রবেশপত্র বিতরণ ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে। ৮ ফেব্রুয়ারি আসন প্রদান ও ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গত পাঁচ বছরে মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ন্ত্রণে সবকিছু ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক করা হয়েছে। একজন প্রশ্নকারী একটি প্রশ্নই করেন, অন্যরা তা জানতে পারেন না। যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় এবং খোলা হয়, তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যে কারণে যে কেউ প্রশ্ন খুলতেও পারবে না। এমনকি নেওয়ার পথেও যদি কেউ খোলার চেষ্টা করে, তাহলে ডিজি অফিসে লালবাতি জ্বলে উঠে। এমনকি পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টারগুলোও বন্ধ থাকে।