মেসের মালপত্র ক্যাম্পাসে রাখার সুযোগ দেয়া হোক

নয়ন খান লিও


মহামারি করোনা সংকট কেড়ে নিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। বিশেষ করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের অর্থনীতির চাকা থমকে গেছে। ফলে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলোর পাশাপাশি, বাসস্থানের অধিকার নিয়েও তৈরি হয়েছে সংকট।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাড়ি ভাড়ার চাপ সামলাতে না পেরে অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন আবার অনেকে খুঁজে নিচ্ছেন কম ভাড়ার বাসা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দেশসেরা বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে একটি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো আবাসন সংকট। সম্পূর্ণ অনাবাসিক হওয়ায় মেস-বাড়িতেই শিক্ষাজীবন পার করতে হয় শিক্ষার্থীদের। করোনা সংকটে বিপদে তাই জবির প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী।

সংকট নিরসনে বিভিন্নপক্ষ বিভিন্ন দাবি তুললেও মিলছে না উপযুক্ত সমাধান। তাই ম্যাস ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থীই। এক্ষেত্রে অনেকে তাদের মালপত্র বন্ধু, আত্মীয় বাড়িতে রাখছেন। তবে বিপদে পড়ছেন যাদের মালপত্র রাখার জায়গা নাই। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের মধ্যে যদি তাদের জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয় আর তারা যদি ক্যাম্পাসে তাদের মালপত্র রাখে তবে সেক্ষেত্রে এটাকে আমি সময়োপযোগী উদ্যোগ মনে করি।

ক্যাম্পাসে তাদের মালপত্র যতটা নিরাপদ অন্য কোথাও ততটা সেইফ বলে মনে হয় না। কেননা ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিকিউরিটি আছে। আর যারা ঢাকার বাইরে আছেন তাদের অনেকের রুমমেট, বন্ধু, বড়ভাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে সেইসব বন্ধু,শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় মালপত্র ক্যাম্পাসে রাখার মতো ব্যাবস্থা করা হয় তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।

তবে ঢালাওভাবে সবাইকে ক্যাম্পাসে রাখতে বলছি তেমনটা না, যাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বা মালমাল রাখা নিয়ে আপত্তি বা অসুবিধা নেই তারাই রাখতে পারেন। আপাতত যেহেতু অনেকে মেস ছেড়ে দিচ্ছে তাই আগে মালপত্র সংক্রান্ত সমস্যাটার জরুরী সমাধান দরকার। এক্ষেত্রে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রদের মালপত্র ক্যাম্পাসে রাখার অনুমতি দেয় তবে সেই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন যে মেসভাড়া সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের নাম করে প্রশাসন আমাদেরকে ক্যাম্পাসে মালপত্র রাখার অনুমতি দিয়ে শান্তনাস্বরূপ দমিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না তো? সেক্ষেত্রে আমাদের হয়তো কিছুদিন অপেক্ষা করা প্রয়োজন কারণ মেস ভাড়ার সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষার্থীদের ফর্মগুলো ডিপার্টমেন্টে জমা দেয়ার শেষ তারিখ হচ্ছে ১৭ জুন। আর ফর্ম কালেক্ট করবার সাথে সাথেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে সেটা আশা করাও হয়তো আমাদের ভুল হবে। কারণ একটা কাজ প্রক্রিয়াধীন হতেও কিছু সময় প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে অনেকেই ফেসবুকে ক্যাম্পাসে মালপত্র রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়ে কৃত্রিম সংকটের জন্ম দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমি তাদেরকে বলবো বিষয়গুলো একটু বিচারবিবেচনা করে পোস্ট দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত আপাতত মাঠ পর্যায়ে নেমে জবিয়ানদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করবার প্রচেষ্টা করতে।

এক্ষেত্রে আমরা প্রকৃতপক্ষে জবিয়ানদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করে যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। ফেসবুকের পোস্ট কোনোকিছুর সমাধান এনে দিবে না। সমাধান এনে দিবে মাঠ পর্যায়ে আমাদের কাজকর্মগুলো। এটা কেবল আমার মতামত।

ভিন্নমতপোষণকারী কেউ যদি এর চেয়ে ভালো কোনো অভিমত প্রকাশ করতে পারেন তবে আমাদের উচিৎ হবে তার অভিমতকে সাধুবাদ জানানো।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

এক মাসে গোপালগঞ্জে ৬টি মেসে চুরি

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে গোপালগঞ্জে চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। মেস ফাঁকা থাকার সুযোগে চুরির ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে ৷

এখন পর্যন্ত গত এক মাসে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ছয়টি ছাত্রাবাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ৷ এ সকল ছাত্রাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ভাড়া থাকেন। একের এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা ৷ অনেকে চুরির ভয়ে মেস ছেড়েও দিচ্ছেন ৷

সর্বশেষ গোপালগঞ্জের নবীনবাগের এক মেসের গ্রীল কেটে নগদ ১২ হাজার টাকা চুরি করা হয় ৷ এছাড়াও মেসে মূল্যবান মালামাল থাকলেও তা চুরি হয়নি বলে জানান তারা ৷

এ বিষয়ে নবীনবাগে চুরি হওয়া মেসে বসবাসকারী বশেমুরবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ মুরাদ জানায়, “হঠাৎ করে ছুটির ঘোষণার কারনে আমরা আমাদের সেমিস্টার ফি’র টাকা লকারে সাবধানে রেখে গিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আজ বাসা ছাড়ার জন্য এসে চুরির ঘটনার শিকার হই ৷ ভেতর থেকে ছিটকানি লাগানো দেখে অবাক হই, অতঃপর বাসার মালিকের সহিত দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ এর পর দেখি সব ছড়ানো ছিটানো। এমতাবস্থায় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা কি করবো। এভাবে এই পরিস্থিতি এমন একের পর এক চুরি সত্যিই দুঃখজনক ৷”

এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে বার বার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি ৷

এছাড়াও নবীনবাগে একদিন আগেই আরেক মেসে চুরির ঘটনা ঘটে ৷ সেখান থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা, একটি DSLR ক্যামেরা, একটি ল্যাপটপ এবং দুটি ফোনসহ প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।

এ বিষয়ে ওই মেসে ভুক্তভোগী বশেমুরবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ ইমতিয়াজ আকাশ বলেন, “লকডাউন এতদিন দীর্ঘ হবে আমরা বুঝিনি তাই অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে এসেছিলাম। পরবর্তীতে গত ১৩ জুন জানতে পারি মেসে চুরি হয়েছে এবং মেসে যাওয়ার পর দেখতে পাই প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ছুটির সময়টায় কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ছাত্রাবাসগুলোতে চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশের একটি তদন্ত করা উচিত। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরও সতর্ক থাকা উচিত, মূল্যবান জিনিসপত্র মেসে রেখে আসা উচিত নয়।”

এর আগে গোপালগঞ্জের গোবরা এলাকায় দুটি এবং চৌরঙ্গী সংলগ্ন এলাকায় একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

গোবরা এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী তাওহীদ ইসলাম বলেন, “আমাদের রুম থেকে কম্পিউটার সিপিইউ, স্যামসাং টিভি মনিটর, লজিটেক হেড ফোন, সাউন্ড বক্স, ফ্যান, একটি ফোন এবং পিসির হেডফোন চুরি হয়েছে।”

এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই বাড়িওয়ালারা আরো দায়িত্বশীল হোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করুক এবং অনিরাপদ মেস পরিচালনার জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রশাসন আমাদের সহায়তা করুক। এর সাথে সাথে আরো প্রত্যাশা করি যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দ্রুত আবাসন সংকট কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নিবে।”

চুরির ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগী আরেক বশেমুরবিপ্রবি পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আহাদ বলেন, “আমার মেস ভার্সিটি সংলগ্ন গোবরা এলাকায়, গত ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এসব জিনিস বাসায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি, আর সাধারণ ছুটি এত দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে সেটিও কল্পনাতিত ছিল। পরবর্তীতে ৪ জুন জানতে পারি আমার রুমে চুরি হয়েছে। আমার রুম থেকে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, একটি মোবাইল ফোন, একটি ফ্যান ও সাউন্ড সিস্টেম চুরি হয়।”

বাড়ির মালিকের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে আহাদ বলেন, “আশ্চর্যজনক বিষয় হলো আমাদের এ চুরির বিষয়ে মালিক কর্তৃপক্ষ কোন কিছুই জানায় নি। চুরির প্রায় ৪/৫ দিন পর বাড়ির কেয়ারটেকারের কাছ থেকে চুরির ঘটনা জানতে পারি। চুরির সময়ে কেয়ারটেকার বাড়িতে ছিলেন না এবং বাড়িটি অরক্ষিত ছিলো। আমার মনেহয় বাড়ির মালিকদের দ্বায়িত্বহীনতা এবং অসতর্কতার কারণেও প্রতিনিয়ত এমন ঘটনাগুলো ঘটছে।”

চুরির ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “কেউ মামলা করলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া প্রত্যেকের নিজের মালামাল রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কারণ ছাত্রাবাসগুলো বিভিন্ন অলি গলিতে অবস্থিত, স্বল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে সকল ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”

গোপালগঞ্জ: লকডাউনে মেস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের মাঝেই গোপালগঞ্জে মেসে মেসে বেড়েছে চোরের উপদ্রব, হচ্ছে চুরি। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে হাজার হাজার টাকার মালামাল চুরি হচ্ছে।

জানা গেছে, গত এক মাসে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় পাঁচটি ছাত্রাবাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ এ সকল ছাত্রাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

সর্বশেষ গোপালগঞ্জের নবীনবাগ এলাকায় একটি ছাত্রাবাস/মেস থেকে ১৫ হাজার টাকা, একটি DSLR ক্যামেরা, একটি ল্যাপটপ এবং দুটি ফোনসহ সহ প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই মেসে বসবাসকারী বশেমুরবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ ইমতিয়াজ আকাশ বলেন, “লকডাউন এতদিন দীর্ঘ হবে আমরা বুঝিনি তাই অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে এসেছিলাম। পরবর্তীতে গত ১৩ জুন জানতে পারি মেসে চুরি হয়েছে এবং মেসে যাওয়ার পর দেখতে পাই প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।”

আকাশ আরও বলেন, “এধরনের ঘটনার জন্য বাড়িওয়ালা এবং এলাকার কাউন্সিলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে, প্রতিটা গলিতে রোডলাইটের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রতি এলাকায় ২/৩ জন করে গার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ছুটির সময়টায় কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ছাত্রাবাসগুলোতে চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশের একটি তদন্ত করা উচিত। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরও সতর্ক থাকা উচিত, মূল্যবান জিনিসপত্র মেসে রেখে আসা উচিত নয়।”

এর আগে গোপালগঞ্জের গোবরা এলাকায় দুটি এবং চৌরঙ্গী সংলগ্ন এলাকায় একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

গোবরা এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী তাওহীদ ইসলাম বলেন, “আমাদের রুম থেকে কম্পিউটার সিপিইউ, স্যামসাং টিভি মনিটর, লজিটেক হেড ফোন, সাউন্ড বক্স, ফ্যান, একটি ফোন এবং পিসির হেডফোন চুরি হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়েরর আবাসন সংকটের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী তাওহীদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় বশেমুরবিপ্রবির সকল শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতের বিষয়টি থাকলেও বাস্তবে তা নেই। ফলে আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তাহীন পরিবেশে অনেক বেশী ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে এবং এধরণের ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই বাড়িওয়ালারা আরো দায়িত্বশীল হোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করুক এবং অনিরাপদ মেস পরিচালনার জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রশাসন আমাদের সহায়তা করুক। এর সাথে সাথে আরো প্রত্যাশা করি যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দ্রুত আবাসন সংকট কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নিবে।”

চুরির ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগী আরেক বশেমুরবিপ্রবি পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আহাদ বলেন, “আমার মেস ভার্সিটি সংলগ্ন গোবরা এলাকায়, গত ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এসব জিনিস বাসায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি, আর সাধারণ ছুটি এত দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে সেটিও কল্পনাতিত ছিল। পরবর্তীতে ৪ জুন জানতে পারি আমার রুমে চুরি হয়েছে। আমার রুম থেকে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, একটি মোবাইল ফোন, একটি ফ্যান ও সাউন্ড সিস্টেম চুরি হয়।”

বাড়ির মালিকের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে মাহমুদুল বলেন, “আশ্চর্যজনক বিষয় হলো আমাদের এ চুরির বিষয়ে মালিক কর্তৃপক্ষ কোন কিছুই জানায় নি। চুরির প্রায় ৪/৫ দিন পর বাড়ির কেয়ারটেকারের কাছ থেকে চুরির ঘটনা জানতে পারি। চুরির সময়ে কেয়ারটেকার বাড়িতে ছিলেন না এবং বাড়িটি অরক্ষিত ছিলো। আমার মনেহয় বাড়ির মালিকদের দ্বায়িত্বহীনতা এবং অসতর্কতার কারণেও প্রতিনিয়ত এমন ঘটনাগুলো ঘটছে।”

চুরির ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “কেউ মামলা করলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া প্রত্যেকের নিজের মালামাল রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কারণ ছাত্রাবাসগুলো বিভিন্ন অলি গলিতে অবস্থিত, স্বল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে সকল ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”