বিইউপিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এ ‘টেকসই উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিইউপির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সম্মেলনটির আয়োজনে করে।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল ড. মোঃ মাহবুব-উল আলম সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অগ্রগতির মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠন করা’ যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

জানা যায়, সম্মেলনে ১৫টি দেশ থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি, শিল্প এবং আধুনিক নগরায়ন বিষয়ে ২৮৭টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা হয় যার মধ্যে ১০০টি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া এই সম্মেলনে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, এবং প্রকৌশল বিষয়ক ধারণা বিনিময়ের মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি শিল্প মেলার আয়োজন করা হয়। সময়োপযোগী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার পাহাং ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল জুহাইরি বিন জামলি, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, গ্রামীন ফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন (আরএপিআইডি) এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় বিইউপি সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। দেশের সরকার বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘অনেকে বলছেন অটোপাস দিলে মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা ঠিক নয়। কারণ একজন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে হঠাৎ ভালো ফলাফল করবেন তা বলা যাবে না। বরং অতীতে দেখা গেছে, এইচএসসির তুলনায় এসএসসিতে তুলনামূলক ভালো ফলাফল হয়। সুতরাং শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এইচএসসি ও সমমানের অটোপাস সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি জানান, করোনা পরিস্তিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরীক্ষার্থীরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। একেবারে আগ মুহূর্তে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। এটি হঠাৎ করে করা হয়নি, চিন্তাভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বার বার বিষয়টি দেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আগের পরীক্ষাগুলোতে মেধাবীরা মেধার স্বাক্ষর রেখেই এসেছেন। আমরা জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সুতরাং এতে কারোরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

‘২০২১ সাল থেকে শ্রেণি রোল থাকছে না’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আগামী ২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বর থাকছে না। এর পরিবর্তে সবাইকে একটি করে ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বই উৎসব নিয়ে আয়োজিত অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২১ সালের জুন মাসে নেয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষা

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বই উৎসব নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী বছরের জুন মাসে আমরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ নিয়েই আমরা সামনে এগোচ্ছি। পরীক্ষার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ করছে এনসিটিবি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আগামী বছরের শুরুর দিকেই এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে ক্লাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু পরীক্ষা নির্ভর নয়, আনন্দ নিয়ে আসতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী

যবিপ্রবি প্রতিনিধি


শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু পরীক্ষা নির্ভর নয়,সনদ সর্বস্ব শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন আমরা শুধুমাত্র পড়াশোনা করাচ্ছি, পরীক্ষা দিচ্ছি ও সনদ দিচ্ছি। এমনিতেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা পরীক্ষা নির্ভর এবং সনদ সর্বস্ব। একইসঙ্গে আনন্দহীন। সেটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই।

তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। সংখ্যায় নয়, শিক্ষায় গুণে ও মানের দিকে নজর দিতে হবে।

শনিবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়ার বৃক্ষ রোপন এবং শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের উদ্বোধন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আধুনিক শ্রম বাজারে ক্রমশঃ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সানুগ্রহ নির্দেশনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজগুলোর জন্য গতানুগতিক চিন্তা বা শিক্ষা ব্যবস্থায় হবে না। সব জায়গায় আমাদের একটু ‘আউট অব বক্স’ চিন্তা করতে হবে।

এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সে জন্য আমাদের জগতে পরিবর্তন আনার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা শুধুমাত্র পড়াশোনা করাচ্ছি, পরীক্ষা দিচ্ছি ও সনদ দিচ্ছি। এমনিতেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা পরীক্ষা নির্ভর এবং সনদ সর্বস্ব। একইসঙ্গে আনন্দহীন।

সেটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। আনন্দ নিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে। তারমধ্যে অনুসন্ধিৎসার জাগ্রত হবে। সে জ্ঞান অর্জনের আনন্দেই জ্ঞান অর্জন করবে, বাধ্য হয়ে নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রুটি খুঁজে বের করারও আহ্বান জানান তিনি।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বে যোগ্যতায় টিকে থাকার একমাত্র মানদন্ড। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি হলে উন্নয়নের বাহন। কাজেই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শুধু উদ্ভাবন করলেই হবে না, এটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে এবং এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটাব, ইনশাল্লাহ।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের দক্ষ, সুস্থ-সবল জনশক্তি প্রয়োজন উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ সুস্থ ও সবল এবং কর্মে উদ্যোমী প্রজন্ম আমরা গড়ে তুলতে পারি। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। তিনি যবিপ্রবির গবেষণা, উন্নয়ন কর্মকা- ও ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈপূণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে যবিপ্রবির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

যশোরের উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনার অবদানের কথা স্মরণ করে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পস-২০১৯ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এ জিমনেসিয়ামটি ঢাকার ইনডোর স্টেডিয়ামের সমকক্ষ। সরকারের কাছ থেকে যে সুবিধা পাচ্ছি তা সত্যিকারভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একার পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।

প্রয়োজন সরকারের সার্বিক সহযোগিতা। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে আগ্রযাত্রা আজ শুরু হয়েছে, আরও সহযোগিতা পেলে আমরা অতি দ্রুত তার পূর্ণতা দিতে পারব। এ সময় তিনি যবিপ্রবির সম্প্রাসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ নাসিম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, পরিচালক (শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তর) ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির যবিপ্রবির বিভিন্ন গবেষণাগার, ভবন ও নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হয়।

শনিবার যবিপ্রবিতে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


আগামী শনিবার (১৪ নভেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রীডা. দীপু মনি ।

শনিবার দুপুরের দিকে শিক্ষামন্ত্রীর যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপর ১২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন উপাচার্যসহ যবিপ্রবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এরপর ক্যাম্পাসের গিয়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ শেখ রাসেল জিমনেশিয়াম উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করবেন তিনি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেসিয়াম তৈরি হয়েছে যবিপ্রবিতে, উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী

সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দ্যেশে ত্যাগের আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শনেরও কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেসিয়াম তৈরি হয়েছে যবিপ্রবিতে, উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী

 

যবিপ্রবি টুডে

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেসিয়াম তৈরি হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) । কর্তৃপক্ষের দাবি, এই জিমনেশিয়াম বিশ্বমানের। এটির নামকরণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে।
আগামী ১৪ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এটির উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে ।

জিমনেসিয়াম সম্পর্কে জানা যায়, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। ২২ হাজার ২৮০ বগফুটের আন্তর্জাতিক মানের এই জিমনেশিয়ামটিতে ফুটসাল, বাস্কেট, ভলিবল, টেবিলটেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকবে।

আরও জানা যায়, একই সঙ্গে খেলায়াড়দের ফিটনেসের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি কন্ডিশনাল ল্যাব। শুধু খেলায়াড়দের জন্য নয়, যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কন্ডিশনাল ল্যাবে গিয়ে ব্যায়াম সহ জিমনেশিয়ামের অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়া জিমনেশিয়ামের প্রবেশমুখে তৈরি করা হচ্ছে শেখ রাসেলের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা সড়ক সংলগ্ন সুউচ্চ এই ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। ভবনের ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে কংক্রিটের বিমের উপর বিশেষ টিন দিয়ে। রয়েছে দশকের জন্য একটি গ্যালারি।

জিমনেশিয়ামটির প্রকল্পপ রিচালক ড. জাফিরুল ইসলাম বলেন,মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম।আমাদের এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।
জিমনেশিয়ামটির সাথে আমাদের একটি আন্তর্জাতিকমানের কন্ডিশনাল ল্যাবও থাকবে। এখানে খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা ও তাদের ফিটনেস পর্যেক্ষণ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, এমনকি জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে পারব এখানে।এ ছাড়াও এই কন্ডিশনাল ল্যাবে আমরা সাধারণ মানুষসহ খেলোয়াড়দের কিভাবে শারীরিক সক্ষমতা ও পেশীর কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে গবেষণা করতে পারব।খেলোয়াড়রা কিভাবে কম শক্তি ব্যয় করে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে পারে সেই ধরণের পরীক্ষা ও গবেষণা করা হবে এখানে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের একটি আন্তর্জাতিকমানের জিমনেশিয়াম যবিপ্রবির প্রাঙ্গণে হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।আমি বিশ্বাস করি যবিপ্রবির এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিকমানের ইনডোর খেলা যেমন বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদিতে একটি ভেন্যু হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমাদের টিএসসি সম্পন্ন হবে।সেখানকার ডরমিটরিতে চাইলে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে।এ ছাড়াও জিমনেশিয়ামটি আমাদের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ও জাতীয় ইনডোর গেমগুলোতে অনেক বড় অবদান রাখবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে এই ধরনের অবদান রাখতে পারা অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

জেএসসি-এসএসসিতে ৫ থাকলে এইচএসসি রেজাল্টেও জিপিএ-৫

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি।

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ দেয়া হবে। তবে এ দুটির একটিতে খারাপ হলেও তা যোগ করে তার অর্ধেক দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে গড় নম্বর দেয়া হবে সেটি নির্ণয় করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে তার অর্ধেক নম্বর এইচএসসিতে দেয়া হতে পারে। এ দুটি পরীক্ষার মধ্যে কারও একটি স্তরের মোট নম্বর কম হলেও তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। তবে যাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ রয়েছে তাদের এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ দেয়া হবে।

অন্যদিকে যারা এক অথবা দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের অটোপাস দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকবে এইচএসসিতেও তাদের জিপিএ-৫ দেয়া হতে পারে। এক ও দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে পাস করিয়ে মোট জিপিএ দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, নিচের স্তরের উভয় পরীক্ষায় কম জিপিএ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করবে সেই সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ কারণে তাদের পাস করিয়ে দেয়া হলেও জিপিএ নম্বর কম থাকবে। তবে সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন।

শিক্ষামন্ত্রীর লাইভে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘চুমু’ দেয়ার ছবি ভাইরাল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অবশেষে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস স্থগিত থাকার পর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আয়োজিত এই বৈঠক কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। লাইভ চলাকালীন পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণার সময় টিভি স্ক্রিনে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘চুমু’ দেন এক পরীক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, নেভি-ব্লু টি শার্ট পড়া জনৈক ছাত্রী টেলিভিশনের স্ক্রিনে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘চুমু’ দিচ্ছেন। তবে ছবিটি কোথা থেকে তোলা কিংবা ওই শিক্ষার্থী কে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে আপলোডের পর থেকেই ছবিটি অনেকে শেয়ার করছেন। ফলে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এইচএসসি: গতবার ফেল করা সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর কপাল খুলল

এদিকে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসার পর ফেসবুকেসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণাকে তারা ‘এইচএসসির ফল প্রকাশ’ হিসেবে দেখছেন। আর সাথে সাথে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, আজকের এমন ঐতিহাসিক ঘোষণার পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে সবাই ভুলে গেলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কখনও ভুলবেন না।

করোনা পরবর্তী সময়েও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সঙ্কট অনেক সময় আমাদের জন্য সম্ভাবনা নিয়ে আসে। করোনাভাইরাসও আমাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। যেটা আমরা আজ থেকে পাঁচ বছর পরে করতাম সেটির সাথে আমরা এখন থেকেই অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। করোনা পরবর্তী সময়েও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

রোববার (৪ অক্টোবর) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। জুম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাসের উদ্বোধন করা হয়।

তিনি বলেন, আমারা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এর কথা বলি। সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের ভবিষ্যতে অনলাইন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতেই হতো। করোনা পরিস্থিতি আমাদের সেই সুযোগ এখনই করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়েও অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত: ডা. দীপু মনি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কারণ আমাদের যুব সমাজ খুবই সংবেদনশীল। তাদের মনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের জন্ম নেয়। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানির ও শিকার হয়। এইজন্য তার বিভিন্ন রকমের মানসিক সমস্যায় ভোগে। যেমন বিষন্নতা ও হতাশা। ফলশ্রুতিতে অনেক সময় তারা আত্মহত্যার মত পথও বেছে নেয়।

আজ (শনিবার) সিআরআই এবং ইয়ং বাংলার আয়োজনে লেটস টক অন ইয়ুথ এডোকেশন এন্ড স্কিলস শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

আরও বলেন, এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক স্কুলে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকাকে মানসিক সমস্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে যেন শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক জেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন কিনা তা ভাবার সময় এসেছে। প্রতিবছর ২০ থেকে ২৬ লক্ষ তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। এ বিপুল সংখ্যক তরুণ শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ হয়ে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় স্বপ্ন ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এসডিজি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত ও দক্ষতা নির্ভর কারিগরি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে মেইনস্ট্রিমিং করার লক্ষ্যে নবম ও দশম শ্রেণীতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ট্রেড কোর্স বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এছাড়া আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খানসহ অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থী।